ভুতের ধমক

ভুতের ধমক

কি বন্ধুরা ভাল আছ?? আশা করি ভাল আছ। কিন্ত আমি ভাল নেই,কারন গতকাল সন্দায় আমার সাথে যা ঘটে গেল তা ভুলা সম্বভ নয়।

এখন সেটাই বলব;———–
আমার কিছু দিন ধরে গল্প লেখার অভ্যাস হয়ে গিয়েছে।তাই আমি সময় পেলেই গল্প লিখতে বসি।

কিন্তু গত কয়েক দিন ধরে লক্ষ করছি আমি রাতে যখন গল্প লিখতে বসি,তখন কেউ যেন আমার গায়ে নিশ্বাস ফেলে।

কিন্তু আমি ভাবলাম এ হয়ত আমার মনের ভুল,কারন আমি যেহেতু ভুত এর গল্প লিখি তাই এমন হয়।

গতকাল সন্দায় আমি গল্প লিখতে ছিলাম,কারন তখন বাসায় কেউ ছিল না।তাই এই ফাঁকে একটা কিছু লিখা যাক।

আমি যখন “ভুত এর তানডব” গল্প টা প্রায় ২ পিষ্টা লিখছি তখন কেউ আমার গালে ঠাস করে একটা থাপ্পর দিল।

তখন আমি এইদিক-ওইদিক তাকিয়ে কাউ কে দেখলাম না। হঠাৎ কেউ আমাকে বললঃ”তুমি রুপকথার গল্প লিখতে ছিলে,

বিভিন্ন রহস্যর সন্দান করতে ছিলে সেটা তো ভাল ছিল,তহ মরতে আবার আমাদের দিকে হাথ বাড়াইলা কেন?

“আমার তো তখন রাগ উঠে গেসে,তাই আমি বললাম:”ব্যাটা চোর,তুই আমার গায়ে হাত দিলি কেন?আর তুই বাসায় ঢুকছিস কেন?”

তখন সে বললঃ”ভদ্রতার সাথে কথা বল,আমাকে দেখে কি চুর মনে হয়?”আমি রাগে ফুসতে ফুসতে বললামঃ

“তা নয়ত কি?সবাই কোট’-টাই পড়লেই ভদ্র হয় নাকি?চোর না হলে না বলে ঢুকছিস কেন?”
“আমি তোমাকে সাবধান করার জন্য এসেছি।মানে আমাকে বলা হয়েছে তোমাকে warning দিতে।” (আগুন্তুক)
এইবার আমি বিনীত ভাবে বললামঃ——
“কি বলতে চাও তুমি?”
সে আমাকে ধমক দিয়ে বললঃ”আমি তোমাকে সাবধান করে দিচ্ছি তুমি আর কখনো কোন Magazine এ ভুতের গল্প আর লিখবে না।

“আমি অবাক হয়ে বললামঃ” কিন্তু কেন?”
সে আবার ধমক দিয়ে বললঃ”তুমি তো আচ্ছা বদ ছেলে,বড়দের সামনে সিগারেট খাচ্ছ।

“আমি এবার আপনি করে বললামঃ”sorry,আপনার কথা ভুলে গেছিলাম,আচ্ছা আপনি কি আমার গল্প পড়েন?”
“বিপদে পড়ে পরতে হয়”। (আগুন্তুক)
“তা কেন?”(আমি)
“ওটা আমার ডিউটি।কিন্তু তুমি আজকাল এতই ভুত এর গল্প লিখ যে তোমাকেই নিয়ে সারা দিন পড়ে থাকতে হয়”(আগুন্তুক)
আমার এতখনে মনে হল সে মনে হয় রানা ভাই এর পরিচিত কেউ।কিন্তু রানা ভাই কে তো আমি বেশি গল্প দেই না,

তাইলে বিরক্ত করার কি আছে?

আমি আবার বললাম,”আপনি রানা ভাই—————”
সে আমাকে থামিয়ে দিয়ে বলল,”আমি রানা-টানার কেউ নই।ও বেটাকেও একটা শিক্ষা দিতে হবে,বেটাই যত নষ্টের মুল।”
“তা কেন?”(আমি)
ওটা আমার ডিউটি।কিন্তু তুমি আজকাল এতই ভুত এর গল্প লিখ যে তোমাকেই নিয়ে সারা দিন পড়ে থাকতে হয়”(আগুন্তুক)
আমার এতখনে মনে হল সে মনে হয় রানা ভাই এর পরিচিত কেউ।কিন্তু রানা ভাই কে তো আমি বেশি গল্প দেই না,তাইলে বিরক্ত করার কি আছে?

আমি আবার বললাম,”আপনি রানা ভাই—————”
সে আমাকে থামিয়ে দিয়ে বলল,”আমি রানা-টানার কেউ নই।ও বেটাকেও একটা শিক্ষা দিতে হবে,বেটাই যত নষ্টের মুল।”
“তা কেন?”(আমি)

দুই .

“ও বেটা থেকেই পিচ্চি ছেলে-মেয়ে গুলা এখন ভুত এর গল্প লিখতে শুরু করেছে।সে জন্য ওর নানা প্রায়ই দুঃখ করে।

কারন ওর কপালেও অনেক দুঃখ আছে।”এইবার আমি আবার রেগে গিয়েছি,কারন রানা ভাই এর নানা আর ৩ মাস আগে মারা গিয়েছে।

তাই আমি বললাম,”আপনি মিয়া বাটপার নাকি?সে তো আর ৩ মাস আগেই এই পৃথিবী ছেড়ে চলে গিয়েছে।”
“আমি কি মতে’ থাকার কথা বলছি?মার কাছে মামার বাড়ির গপ্প?” (আগুন্তুক)
লোকটার কথা শুনে মনে হল সে বুজি আমাকে ধমকাবার জন্যই এসেছে।সে আবার বললঃ”শুন তুমি আর ভুত এর গল্প লিখবে না।

লিখলে এমন শাস্তি দিব যে বাড়িতে বসে আর সিগারেট খেতে পারবা না।যাই হক কথাটা যেন মনে থাকে।”এটা বলে সে উঠে যেতে দাঁড়ালো।

আমি তাড়াতাড়ি বললামঃ”Sir,আপনার পরিচয় টা??”
“আমি ভুতদের রিপ্রেজেনটি। দূত বলতে পারেন।ওখানকার সেনসার অফিসে এক জুনিয়র অফিসার।সদ্য গিয়েছি।

আমি বাংলাদেশের আর্মি তে চাকরি করতাম।কিছু দিন আগে মায়ানমার এর মুসলিম দের বাচাতে গিয়ে মারা পরেছি।

আর সেখানেই যেতেই আমাকে এই পোস্ট আ বসিয়ে দিল।আচ্ছা এখন তাহলে আসি। যা বললাম মনে রেখ।” (আগুন্তুক)
কথাটি বলে লোকটা হাওয়ায় মিলিয়ে গেল।
তাই ভাবতেছি আর ভুত এর গল্প লিখব না।
(সমাপ্ত )

গল্পের বিষয়:
ভৌতিক
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

সর্বাধিক পঠিত