পরপর দুদিন নির্বিঘ্নে কেটে যায়..কথানুযায়ী মি: এবং মিসেস রয় তাদের গ্রুপ নিয়ে কলেজের ক্যাম্পাসে এসে দাড়ায়..তাদের সাথে হাসান কাকু ,রিয়া ও জিয়াও আসে..কলেজের এডমিন ও তাদের সাথে আসতে চেয়েছিল হাসানের বন্ধু হওয়ার সূএে..কিন্তু হাসান ওকে আসতে দেয়নি কারণ এখানে বিপদ হতে পারে ভেবে..
ওরা সবাই কলেজের থেকে দুরে আধপোড়া বাড়িটার সামনে এসে দাড়ায়..
এই গাড় অন্ধকারে বাড়িটাকে একটা বিভিষিকার মতো মনে হচ্ছে যেন সব ধংস করে উগরে দেবে তার রাগ..
মি: এবং মিসেস রয় আগে থেকেই প্রতেককে বলে রেখেছিল একটা করে মোমবাতি ও টর্চ আনতে.প্রতেকেই তা এনেছিল..
এবার মি: রয় তার নিজের টর্চটা জালিয়ে প্রথমে বিলডিং এর গেটের তালটা ভাঙে নিচে পড়ে থাকা একটা পাথর দিয়ে..তারপর গেট খুলে সবাই একে একে ভিতরে ঢুকতে থাকে..টর্চের আলোয় যতটা
দেখা গেল তাতে শুধু ওরা দেখল চারপাশে
শুধু কয়েকটা ভাঙা বেনচ ধুলোয় ঢাকা এদিক ওদিক ছড়িয়ে আছে..ওরা ঢুকেয় বাম ও ডানদিকে লম্বা করিডোর দেখল..ওরা পুরো করিডোরটা ঘুরে দেখল মোট ৬ টি রুম আছে আর তারমধ্যে ২ টি হল এডমিন অফিস আর বাকি ১ টা ডাক্তারদের চেনজিং রুম আর ৩ টিতে কেবিন ১/২/৩ লেখা..ওরা এবার উপরে উঠল..উপরের করিডোরটাও লম্বা .উপরে শুধু একটা ওটি রুম আর পাশে একটা পেশেনট কেবিন ও ডাক্তারের রুম..ওটিটা দেখে রিয়া ভয়ে কেপে উঠল..ও বলে উঠল
“এটাই সেই ওটি..যেটা আমি দেখি”
সবাই এবার ওটিতে ঢুকল..
ওরা দেখল যে একটা ওটি বেড আধভাঙা হয়ে পড়ে আছে আর ঘরে এদিক সেদিক ছড়িয়ে ওটির কিছু জং পরা কাচি ও যন্ত্র ..ওরা ওটি রুম থেকে বেরিয়ে এসে নিচে নেমে আসে..মি: রয় বলেন
“আমাদের আত্মার সাথে কানেক্ট করার প্রসেসটা ডাক্তারদের চেনজিং রুমটায় করা ভালো কারণ ওটা বেশ বড় ঘর”
সবাই ওনার কথায় সায় দিল..
সবাই চেনজিং রুমে এসে প্রায় ৪/৫ ইনচি ধুলোয় ঢাকা মাটি কিছুটা পরিস্কার করে তাতে সবাই গোল হয়ে বসে পরল একে অপরের হাত ধরে..আর তাদের চারপাশে একটা গুড়ো দিয়ে সারকেল করে দিল মিসেস রয় আর মাঝখানে ৪ টে মোমবাতি জালিয়ে দিল….এবার মি: রয় সবাইকে উদ্দেশ্য করে বলল
“আমারা প্রসেস শুরু করতে যাচছি .আমার ওয়াফের আত্মাকে আমি এই বিলডিং এ বন্দি ডাক্তার অতুনুর আত্মার কাছে পাঠাব ..তাই আমি যতক্ষণ না বলব যা কিছুই হয়ে যাক কেউ কারুর হাত ছাড়বে না আর সারকেল থেকে বেরোবে না..তাহলে মৃত্যু অনিবার্য ..”
সবাই মাথা নাড়ে..মি: রয় সবাইকে চোখ বন্ধ করতে বলে একটা মন্ত্র পড়তে থাকে..
হঠাত্ একটা দমকা হাওয়ায় মোমবাতি গুলো কাপতে থাকে..আর মিসেস রয়ের শরীরটা একবার জোরে ঝাকুনি দিয়ে স্থির হয়ে যায়..রিয়া ভয় পেয়ে যায় কারণ ওর এক হাত মিসেস রয়ের হাতে ছিল আর ও বুঝতে পারছিল যে মিসেস রয়ের হৃদস্পনদন সম্পূর্ণ বন্ধ …..
ওদিকে মিসেস রয়ের আত্মা তার দেহ থেকে বেরিয়ে পিছনে ফিরে দেখে সবাই সারকেলের ভিতর ..ওর দেহটাও আছে..
মিসেস রয় ধিরে ধিরে উপরে ওঠে অন্ধকার কাটিয়ে..উনি দেখেন ওটিতে লাইট জলছে আর ভিতর থেকে একটা অস্পষ্ট গোঙানির আওয়াজ আসছে..উনি ওটির সামনে এগিয়ে গিয়ে ওটির দরজা খুলে যা দেখেন ওনার রক্ত হিম হয়ে যায়…
আরো গল্প পড়তে লিংক এ ক্লিক করুন……