জিয়ার কাকু পরদিন সকাল দশটায় হস্টেলের সামনে থেকে রিয়া আর জিয়া দুজনকেই গাড়িতে তুলে নিয়ে গাড়ি ছেড়ে দিল৷ গাড়ি ড্রাইভ করছেন কাকু..আর রিয়া আর জিয়া দুজনে গাড়ির পিছনের সিটে নিঃশব্দে বসে আছে..দুজনের মুখে একটা আতঙ্ক আর অবসাদের ছাপ..দুজনের মুখ দেখে বোঝা যাচছে যে ওরা রাতে কেউই ঘুমায়নি..
প্রায় ১৫ মিনিট সবাই নিস্তব্ধ থাকার পর কাকু প্রথম কথা শুরু করল..
কাকু- আমারা এখন যার কাছে যাচছি তাদের ৫ জনের একটা প্যরানমাল গ্রুপ আছে..মি: এবং মিসেস রয় এই গ্রুপটার প্রতিষ্ঠাতা..ওনারা ১৯৯৬ সালে এই কাজ শুরু করেন..গ্রুপে মি: এবং মিসেস রয় ছাড়া ১ জন ক্যামেরাম্যান ও দুজন তনএো
বিদ্যায় পারদর্শী লোক আছে ..এছাড়াও মিসেস রয় একজন অতীব সুপার নেচারাল পাওয়ার এর ক্ষমতাশালী..উনি নিজের আত্মাকে মৃতদের দুনিয়ায় পাঠাতে পারেন আর এই কাজে ওনাকে সাহায্য করে ওনার হাসবেনড মি: রয়..
এইবলে কাকু কিছুক্ষণ থেমে বলল
“রিয়া মা তুমি চিনতা কোরো না..যাদের কাছে যাচছি তারা এরকম অনেক কেস সলভ করেছে..ওরা তোমার সমস্যার ও সমাধা করবেই”..
কাকুর কথায় রিয়া শুধু একবার হুম ছাড়া আর কিছুই বললো না..তারপর পুরো রাস্তা
সবাই চুপ করেই কাটাল…
কাকু একটা প্রায় আধভাঙা বাড়ির সামনে গাড়িটা দাড় করালো.রিয়া আর জিয়া এতক্ষণ খেয়ালই করেনি যে ওরা শহরের বাইরে দুরে এক নির্জন বন্য এলাকায় চলে এসেছে..কাকু ওদের গাড়ি থেকে নামিয়ে কিছুটা দুরে গাড়িটা পার্ক করে এসে ওদের দুজনকে নিয়ে দরজার কাছে যায়..
রিয়া আর জিয়া বাড়িটার চারপাশে একবার চোখ বুলিয়ে দেখে বাড়িটার চারদিকে শুধু ঘন জংগল..বাড়িটাকে যেন গিলে খেতে আসছে..
কাকু কলিংবেল বাজাতেই একজন মধ্যবয়স্কা মহিলা দরজা খুলে হাসিমুখে বলে
“আরে হাসান ভাই আপনি যে..হঠাত্ কি মনে করে??..আসুন ভেতরে আসুন”
এইবলে মহিলা দরজা থেকে সরে দাড়ায়..রিয়া জিয়া আর কাকু ভিতরে এসে বড় সুন্দর লিভিং রুমের সোফায় বসে..মহিলা বলেন
“আপনারা একটু বসেন..আমি ওকে ডেকে নিয়ে আসি”
এইবলে উনি সিঁড়ি দিয়ে উপরে উঠে যান..
কাকু টেবিলে পড়ে থাকা একটা সাপতাহিক ম্যাগাজিন হাতে নিয়ে উলটাতে পালটাতে থাকেন..ওদিকে রিয়া আর জিয়া পুরো বাড়িটাকে অবাক হয়ে দেখতে থাকে..ওরা অবাক হয়ে যায় যে বাড়িটার বাইরেটা আধভাঙা হলেও ভিতরটা একদম মর্ডান ধাচে সাজানো…
এমনসময় উপর থেকে মহিলার সাথে ওনার সমবয়সী একজন লোক এসে হাসান কাকুকে জড়িয়ে ধরে বলে
“ভাই আমাদের কথাতো আপনি ভুলেই গেছেন..আসেন আর”
হাসান- আর নানা..ভুলবো কেন??..ভুললে কি আর আজ তোমার কাছে সমস্যা নিয়ে আসতাম ..পরিচয় করিয়ে দিই এ হলো আমার ভাগনি জিয়া(জিয়ার দিকে হাত দিয়ে) আর এ ওর বন্ধু রিয়া আমার আরেক ভাগনি..
লোকটি- তা সমস্যাটি কার এবং কি?
হাসান- রয় সাহাব সমস্যাটি হল রিয়ার..ও ছোটোবেলা থেকে একটা স্বপ্ন দেখে যেখানে ও দেখে যে ও একটা হসপিটালের ওটির সামনে আর ভেতরে এক পাগল ডাক্তার মৃত মানুষকে জীবিত করার একটা
রির্সাচ করে মানুষকে খুন করে আর তাতে একটি মেয়ে বাধা দেয় এবং সে নিজের গায়ে আগুন লাগিয়ে দিলে পুরো বিলডিংটায় আগুন লেগে যায়..
আমি রিয়াকে হিপনোটাইজ করে ওর অতীত জীবনে নিয়ে গিয়ে জানতে পারি যে স্বপ্নের মেয়েটি আর কেউ নয় ওর নিজের আগের জন্মের..আর ওদের কলেজের প্রায় ২৪ বছর আগের একটি ঘটনার সাথে রিলেটেড এটা..এখন তোমার
সাহায্য চাই আমার ..
মি: এবং মিসেস রয় পুরোটা শোনার পর মিসেস রয় বললো
” আপনি কি ওদের কলেজের ওই বিলডিংটায় আমাদের একটা রাত থাকার অনুমতি আনতে পারবেন..আমার মনে হয় রিয়ার পুনঃজন্মো হলেও ওর আগের জন্মের বাবার আত্মা মুক্তি পায়নি..ওই রিয়াকে এইসব দেখায়”
হাসান – ওকে আমি পরশুর মধ্যেই সব ব্যাবসথা করছি..আজ তবে চলি..
এইবলে কাকু রিয়া ও জিয়াকে নিয়ে ওদের কলেজে ফিরে আসে..কলেজ এডমিন হাসানের বন্ধু হওয়ায় উনি রাজি হয়ে যান বিলডিং এ একরাত থাকার অনুমতি দিতে..এখন শুধু অপেক্ষা পরশু রাত আসার…
আরো গল্প পড়তে লিংক এ ক্লিক করুন……