অপ্রত্যাশীত ভালবাসা (পার্ট-২)

অপ্রত্যাশীত ভালবাসা (পার্ট-২)

রাফির সাথে অনেক কথা হল।তার ফোন নাম্বার নিলাম।তার কাছ থেকে বিদায় নিলাম।মনটা অনেক ফুরফুরা।আজ অনেক দিন পর শান্তির নিশ্বাস নিলাম।দেখলাম বিড়ালটা এখনও আমার সাথেই আছে।আমার পিছু পিছু হাটচ্ছে।আমি যেই বাসায় ঢুকবো বিড়ালটা সে সময়ই মিউ মিউ করছে।মনে হলো বিড়ালটা আমাকেই ডাকছে।যাইহক বিড়ালটাকে নিয়ে গেলাম বাসায়।কিছু সময়ের মধ্যেই বিড়ালটা আমার এত পোষ মেনে গেলো যেন কত বছর ধরে জানি এটাকে পুষছি।সারাক্ষণ ছায়ার মত আমার সাথে থাকো।রাফির কথা ভাবছি।রাফিকে ফোন দিলাম।কিন্তু ও যেন আমার সাথে কথা বলতে চায় না এমন ভাব দেখাচ্ছে।তারপরও আমি জোর করে অনেক কথা বললা।কথা বলা শেষে বিড়ালটাকে খেতে দিলাম।কিন্তু ও খাচ্ছে না।আমি খাচ্ছি আর বিড়ালটাকে বলছি ‘নে খাবার খা’।আমি বলার সাথে সাথে বিড়ালটা খাবার খেয়ে নিলো।না বিড়াল বড়াল বলতে ভালো লাগে না।ওর একটা নাম দিতে হবে।নাম রাখলাম “ছায়া”।কারণ বিড়ালটা ছায়ার মতই আমার সাথে থাকতো।ছায়া আর আমি ঘুমাচ্ছি।ঘুম থেকে উঠে রাফির কথা বলছি নিজে নিজেই আর ছায়া আমার মুখের দিকে তাকিয়ে মিউ মিউ করছে।এমন মনে হল ছায়া আমার কথার প্রতি উওর দিচ্ছে।বিকালে ছায়াকে বাসায় রেখে রাফির সাথে দেকা করতে গেলাম।রাফি কেমন জানি করছে।আমার মনে হল ও আমার প্রতি বিরক্ত বোধ করছে।

আমি চলে আসলাম।ছায়ার সাথে এসব কথা বলছি।ছায়া মিউ মিউ করছে।আবার গেলাম রাফির সাথে দেখা করতে।রাস্তায় গিয়ে দেকি ছায়া আমার পিছু নিয়েছে।আজ রাফিকে দেখে মনে হল ও যেনো আমার সাথে দেখা করার জন্য কখন থেকে অপেখ্খা করছে।আমিও খুশি।এভাবে রাফির সাথে দেখা হয়,কথা হয় আর ছায়াতো ছায়ার মতই আমার সাথে লেগে থাকে।এর মাঝে একটা দিক খেয়াল করলাম ছায়া যখন আমার সাথে থাকে রাফি ব্যবহার অন্য রকম হয়ে যায়।আমি ভাবলাম ছায়া আমার জন্য শুভ।আমি ওকে অনেক আদর করি।রাফির সাথে দেখা করার সময় ছায়াকে সাথে করে নিয়ে যাই।এভাবে অনেক মাস কেটে গেলো রাফি ও ছায়ার সাথে কথা বলতে বলতে।এখন আমি রাফির অনেক ভালো বন্ধু।রাফি সাথে ঘটা প্রতিটি কথা ছায়াকে বলি।একদিন ছায়া আমার কথার প্রতি উওর দিল।মিউ মিউ করে না ঠিক মানুষের মত।আমি খুব ভয় পেলাম আর হতভম্ব হয়ে গেলাম।আমি এখন ছায়াকে আমার থেকে দূরে দূরে রাখি।কিন্তু আমার এমন মনে হল কি যেন আমার কাছ থেকে হারিয়ে গেছে।নিজেকে মানালাম এটা হয়তো আমার মনের ভুল।ছায়াকে আবার আদর করলাম।ও আমার সাথে খুব ভাব দেখাচ্ছে।এখন আমি চিন্তা করছি কে রাফির প্রেমিকা।তার খোজ নিতেই হবে।তাকে সরানো না আমি রাফিকে পাবো না।রাফিকে কল দিলাম।একটু একটু তার প্রেমিকার খবর নেয়া শুরু করলাম।

এক সময় রাফির প্রমিকা সর্ম্পকে খোজ নেওয়া শেষ।এখন চিন্তা কি করে তাকে রাফির জীবন থেকে সরানো যায়।কি করে যেন হুট করে মাথায় কালো যাদু ভাবনা এলো।আমি শুনেছি কালো যাদু দিয়ে সব পাওয়া যায়।যা করতে চায় করা যায়।কিন্তু আমি কিভাবে কালো যাদু করবো।কে আমাকে সাহায্য করবে।ছায়ার দিকে তাকিয়ে দেখলাম ওর চেহারা কেমন যানি হচ্ছে।ও আমার কথার উওর দিচ্ছে।ও আমাকে সাহায্য করবে।আমি এবার ভয় পেলাম না।অনেক খুশি,ছায়াকে কোলে তুলে নিলাম,আদর করছি।ছায়া আর মিউ মিউ করে না আমার সাথে মানুষের মত কথা বলে।এখন মনে হয় ছায়া বিড়াল না যেন মানুষ।ছায়াকে বললাম কিভাবে তুই আমাকে সাহায্য করবি।ও বলল কালো যাদু দিয়ে।আমি বললাম তুই একটা বিড়াল হয়ে এতসব কি করে করবি।ও হাসছে অবিকল মানুষের মত।আমি ভয় পেলাম।ও বলল ভয় পেয়ো না আমি তোমার বন্ধু।ছায়া বলল এটা আমার ছদ্দবেশ,আমার আসল রুপ দেখতে চাও।আমিও হ্যা বললাম।

ওর আসল রুপে এত সুন্দরয,লাব্যণতা যা দেখে যে কেউ ওর রুপে পাগল হয়ে যাবে।আমি ওর বিড়াল মানুষ রুপ জানতে চাইলাম।ও বলল আমার নাম রুপন্তি।আমি হিন্দু।আমার ৩০০শ বছর বয়স।এই কথা শুনে আমি আকাশ থেকে পড়লাম।ও বলল ভয় পেয়ো না।আমিও তোমার মত কেউকে ভালবাসতম কিন্তু সে অন্য কেউকে ভালবাসতো।আমার রুপের যাদুও তাকে বশ করে নি।তাকে পাওয়ার জন্য তন্ত্র মন্ত্র কালো যাদু শিখি।কালো যাদু দিয়ে তাকে আমি আমার বশে করে পেয়ে যাই।আমার কালো যাদু সফল হয়।একদিন সে আমাকে রেখে না ফিরার দেশে চলে যায়।কিন্তু কালে যাদু প্রভাবে আমি আটকে গেলাম।তাই তোমার মত মানুষকে খুজে খুজে আমি সাহায্য করি।এবার বল তুমি কি আমার সাহায্য চাও না আমি ফিরে যাব।আমি বললাম আমি তোমাকে সব সময় আমার সাথে রাখতে চাই।তাইতো তোমার নাম ছায়া রেখেছি।কিন্তু তুমি আমার সাথে বিড়াল রুপে থাকবে।তারপর শুরু হল কালো যাদু।আমি ছায়াকে বললাম সবার আগে রাফির প্রেমিকাকে সরাতে হবে,রাফির জীবন থেকে না এই পৃথিবী থেকে।ছায়া আমাকে বলল ও আমার সাহায্য করবে কিন্তু এর বিনিময়ে আমার কাছ থেকে খুব মুল্যবান কিছু নিয়ে যাবে।

আমি ছায়াকে কথা দিলাম ও যা চাইবে আমি তাই দিব,শুধু রাফিকে চাই।তখন ছায়া বলল কালো যাদু করার জন্য রাফির প্রেমিকার নতুন জামা,মাথার চুল, নখ, শানের ছাই ইত্যাদি ইত্যাদি লাগবে।এখন আমি ভাবচ্ছি কিবাবে এগুলো সংগ্রহ করব।রাফির প্রেমিকাকে আমি চিনি না কখন দেখিও নেই।শুধু রাফির কাছ থেকে শুনেছি।তখন ছায়া বলল রাফিকে তোমার বশে এনে দেই।আমি বললাম রাফিকে আমি বশ করে ভালবাসতে চাই না।চাই রাফি ওর প্রেমিকাকে ভুলে নিজ থেকেই আমাকে ভালবাসুক।আর তার জন্য যা দরকার তা করব।ছায়া বলল রাফিকে বশে এনে দি বে এই কাজগুলো করার জন্য।আমিও রাজি হয়ে গে লাম।পরের দিন আমি আর ছায়া গেলাম রাফির সাথে দেখা করতে।

বিঃদ্রঃএই গল্পটি একটি কাল্পনিক।কালো যাদু বলতে কিছুই নেই।মানুষের মন,চিন্তা,ভাবনা,ইচ্ছা যার যার নিজের মন-মানসিকতা।কাউকে ক্ষেপানোর জন্য নয়।

আরো গল্প পড়তে লিংক এ ক্লিক করুন……

অপ্রত্যাশীত ভালবাসা (পার্ট-১)

গল্পের বিষয়:
ভৌতিক
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

আরও গল্প

সর্বাধিক পঠিত