ঘটনাটা আমার এক বন্ধুর কাছ থেকে শোনা। ঘটনাটা ও শুনেছে ওর ভাইয়ার কাছ থেকে। ঘটনাটা নিচে আমার বন্ধুর ভাষায় লেখা হলো….
*****
আজ থেকে প্রায় ৫ বছর আগের কথা। আমার ভাইয়া তখন শেরপুর থাকতো পড়ালেখার কারনে।
শেরপুর শহর থেকে প্রায় ৮ কি.মি. দুরে কালিবাড়ি নামে একটা গ্রাম আছে।
সেখান থেকে পাকুরিয়া নামে অন্য একটা জায়গায় যাওয়ার জন্য একটা কাচাঁ রাস্তা ছিলো যেটা একটা বিলের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে।
রাস্তাটা অবশ্য এখন পাকা হয়ে গিয়েছে।
যাই হোক রাস্তার দুইপাশের বিলটা অনেক বড় ছিল এবং বিলটাকে নিয়ে অনেক কাহীনি প্রচলিত ছিল।
ঘটনার রাতে এক রিকশাওয়ালা পাকুরিয়া থেকে খালি অবস্থায় কালিবাড়ি নামক গ্রামটিতে ফিরছিল। তখন রাত আনুমানিক ১ টা বজে।
তো রিকসাওয়ালা যখন ঠিক বিল এর মধ্যখানে পৌছে ছিলো সেই সময় হঠাৎ দেখে….
পুলিশ-এর ইউনিফরম পড়া একজন লোক একটি লাশ নিয়ে রাস্তার পাশে দাড়িয়ে আছে।
সে খেয়াল করলো যে পুলিশটা তাকেই ডাকছে। সে খুব সাহসী ছিল, তাই সে সেখানে দাড়ালো।
পুলিশটা তাকে বললো যে তাকে আর লাশটাকে কাছেই কোন একটা জায়গায় পৌছে দিতে….,
রিকসাওয়ালা রাজি হতে চায়নি কিন্তু পুলিশটা অনুরোধ করে বলতেই সে রাজি হয়ে গেলো এবং তাদের কে রিকসায় উঠাইয়া নিল…
এভাবে কিছু দূর যাওয়ার পর পুলিশটা বললো যে, তোমার কাছে ম্যাচ আছে ?
জবাবে রিকসাওয়ালা বললো যে, আমার ম্যাচ এর কাঠি একটু আগে শেষ হয়ে গেছে।
এরপর তারা কিছুদূর এগিয়ে গেল কিন্তু তখনও বিল পাড় হয়নি তারা।
হঠাৎ রিকসাওয়ালা শুনলো যে তার পেছন থেকে হাড় চিবানোর মত কটমট শব্দ আসছে। সে প্রথমে জিনিসটা পাত্তা দিলনা।
কিন্তু কিছুদূর গিয়ে সে শুনলো যে শব্দটা আরও বেশি হচ্ছে। তখন
সে পেছনের দিকে তাকালো এবং যা দেখলো, তাতে তার নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারলনা।
সে দেখলো যে পেছনের ঐ পুলিশটা সেই লাশটাকে কোলের উপর রেখে কামরিয়ে কামরিয়ে খাচ্ছে। পুলিশটার মুখে লাল টকটকে রক্ত লেগে আছে।
সে তখনি রিকসা টা থামিয়ে জোরে একটা দৌড় দিল এবং কিছুদূর গিয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়লো। পরদিন সে দেখে যে তার বাড়িতে শুয়ে আছে।
আসলে পরদিন সকালে ঐ রাস্তার কিছু লোক তাকে রাস্তায় পড়ে দেখেছিলো, তার রিকসা টা বিলের পানিতে পরে ছিলো।
সেই রিকসাওয়ালা টা তখন ঘটনাটা তাদের গ্রামের মসজিদের ইমাম সাহেবের কাছে শেয়ার করলো।
ঘটনাটা এখানেই শেষ না। সেই দিন রাতে ঐ রিকসাওয়ালা টার খুব জ্বর আসে এবং নাক, মুখে রক্ত এসে সে মারা যায়।
সবচেয়ে আশ্চর্যের কথা হচ্ছে যে, ঘটনার রাতে ঐ গ্রামের একটা কবর থেকে একটা লাশ চুরি হয়েছিল। যার খবর আজ পর্যন্ত কেউ পায় নাই…