এই কাহিনিটি পাওয়া গেছে রেভারেণ্ড এইচ.আর.বি. গিলেসপির কাছ থেকে। ঘটনাটা যাঁরা দেখেছেন তাঁদের একজনই এটা বলেন তাঁকে। এটা উনিশ শতকের শেষদিকের ঘটনা।
চন্দ্রালোকিত এক রাতে আয়ারল্যাণ্ডের লেইট্রিমের এক গ্রাম্য রাস্তা ধরে ঘোড়ার গাড়িতে আসছিলেন এক লোক, তার দুই মেয়ে আর ভদ্রলোকের এক বন্ধু। একসময় খাড়া একটা পাহাড়ের কাছে এলেন। ঘোড়াটার বোঝা কমাতে চালক ছাড়া বাকিরা নেমে হাঁটা শুরু করলেন রাস্তা ধরে।
মেয়েদের একজন সামনে, তার পিছনে বাকি দুজন। খুব বেশিদূর এগোননি এমন সময় পিছনের দুজন দেখলেন সামনের মেয়েটার পাশেই জীর্ণ, ছেঁড়াখোড়া পোশাকের এক লোক হাঁটছে। তবে মেয়েটাকে দেখে মনে হচ্ছে না পাশের লোকটার উপস্থিতি সম্পর্কে সচেতন সে। লোকটা কে হতে পারে ভেবে, তাকে ধরার জন্য জোরে পা চালালেন পিছনের দুজন। কিন্তু যখনই প্রায় ধরে ফেলেছেন এমন সময় দৌড়ে রাস্তার পাশের একটা পরিত্যক্ত কামারশালার ছায়ায় অদৃশ্য হয়ে গেল ওটা।
ঘোড়াটা, যেটা এতক্ষণ খুব শান্ত ছিল, প্রচণ্ড অস্থির হয়ে উঠল। এদিকে যে মেয়েটার পাশে রহস্যময় লোকটা হেঁটেছে সে কিছু দেখেনি এমনকী কোনো শব্দও শুনতে পায়নি। রাস্তার কিনারায় গাছপালার সারি কিংবা কোনো ঝোপ-জঙ্গল নেই। তাই চাঁদের আলোয় দৃষ্টিবিভ্রম ঘটেছে এটাও বলা যাবে না। মেয়েদের একজন পরে স্থানীয় এক শ্রমিককে ঘটনাটি খুলে বললে এর একটা ব্যাখ্যা পাওয়া যায়। শ্রমিকটা জানায়, এটা সম্ভবত সেই কামার, ছমাস আগে যাকে মৃত অবস্থায় ওই কামারশালায় পাওয়া যায়।
(সমাপ্ত)