অশুভ রাস্তা গল্প ৪

অশুভ রাস্তা গল্প ৪

এবারের অভিজ্ঞতাটি হয় মানস্টার অ্যাণ্ড লেইনস্টার ব্যাংকের মি. জে. জে. উলির। আয়ারল্যাণ্ডের ক্লনমেলের বাইরে, একটা

সড়ক চলে গেছে পর্বতের ধারে পুরানো এক বসতির দিকে। এই রাস্তা ধরেই ক্রউলি যাচ্ছিলেন তার দুই বন্ধুর বাসায়। বন্ধু দুজনও চাকরি করেন ব্যাঙ্কে। রাত আটটার মত বাজে তখন। আকাশে চাঁদ নেই। একসময় একটা সেতুর পোয়া মাইলের মধ্যে চলে এলেন। ছোট্ট একটা ঝরণার ওপরে সেতুটা। ওটার ধারেই তাঁর বন্ধুদের বাড়ি। এসময়ই একটা মেয়েকে দেখলেন। পরনে সাদা পোশাক, তবে কালো একটা কাপড় ঝুলছে কাঁধ থেকে, দীঘল চুল। আস্তে আস্তে সেতুতে উঠছে। তারপরই সেতুর অপর পাশ দিয়ে নীচে নেমে অদৃশ্য হয়ে গেল। অবাক হয়ে ক্রউলি ভাবলেন এত দূর থেকে চাঁদহীন রাতে কাঠামোটা এত পরিষ্কারভাবে দেখতে পাওয়ার কারণ কী তাঁর? মনে হলো নিশ্চয় কোনো ধরনের আলো মেয়েটির ওপর পড়েছে, কিংবা আশপাশে অন্য কেউ আছে, যে একটা ম্যাচ জ্বেলে। সেতুর কাছে পৌঁছলেন যখন, চারপাশে ভালভাবে খুঁজে কাউকে পেলেন না।

বন্ধুদের বাড়িতে পৌঁছে কী দেখেছেন বললেন। এসময় তাঁদের একজন একটা ঘটনা বললেন। কয়েক রাত আগে হঠাৎ তার ঘুম ভেঙে যায়। তারপরই দেখেন বিছানার ধারে একটা মেয়ে দাড়িয়ে আছে। মেয়েটার পরনের পোশাক আর গঠন ক্রউলির বর্ণনার সঙ্গে মিলে যায়। ভয়ে বন্ধুটি তখনই এই কামরা ছেড়ে দৌড়ে বের হয়ে যান। রাতে কাটান বাড়ির অন্য এক ভাড়াটের সঙ্গে। ঘটনাটি বাড়িওয়ালীকে জানান পরে। ভদ্রমহিলা তখন বললেন নারীমূর্তিটিকে এই এলাকায় মাঝেমাঝেই দেখা যায়। এটা তারই এক মেয়ের আত্মা। বছর কয়েক আগে বেশ কম বয়সে মারা যায় মেয়েটা। আর মারা যাওয়ার আগে তার পরনে ছিল তারা যে পোশাকে রাত নারীমূর্তিটিকে দেখেছেন ঠিক সেই পোশাক। মেয়েটার কাঠামো আর আকার-আকৃতিরও রাতে দেখা দেওয়া রহস্যময় নারীর সঙ্গে মিল আছে। ক্রাউলি ছায়ামূর্তিটিকে দেখার আগে বাড়িওয়ালীর মেয়ের ভূত সম্পর্কে কিছুই জানতেন না। কাজেই এটা তার উর্বর মস্তিষ্কের কল্পনা কিংবা দৃষ্টিবিভ্রম, এমনটা হবার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।

(সমাপ্ত)

গল্পের বিষয়:
ভৌতিক
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

আরও গল্প

সর্বাধিক পঠিত