আমি নবম শ্রেণিতে পড়ি। তখন বন্ধুরা ও আমি বনোভোজনে গিয়েছে। সকলে রাত দুইটা পর্যন্ত গল্প ও কাবিতা – কৌতুক বলে রাত কাটিয়েছি। একদিন আমার প্রায় সব বন্ধুরা ঘুমিয়ে ছিল। আমি , প্রশান্ত, রেজা ও নুসরাত জেগে কৌতুক লিখছি। হঠাৎ আমার গায়ে উপর থেকে এক মগের মতো পানি পড়লো আমার ও প্রশান্তের গায়ে। আমরা ভয়ে কাতর। তারপর দেখি আকাশে মেঘও নেই বৃষ্টিও নেই। তার আমরা সাফীন কে ডেকে উঠিয়ে বললাম কি হইলো রে। সব কথা শুনে সে বলল ভুত। রেজা ও নুসরাত ভয়ে চিৎকার করলো। এতে যাবির উঠে পড়লো। কি হইলো এতো ষাঁড়ের মতো চিক্কর পাড়স কেন? আমি সব কিছু বলার পর বলল কি জানি বাবা!
হঠাৎ কেজানি দরজায় কড়া মাড়লো সকলে ভয়ে কাতর। সাফীন ও আমি দরজা খুলে দেখি কেউ নেই। যাবির বলল আরে ঘুমাই তে দে ভাই বাতাস কড়া নাড়লে আমি কী করব। প্রশান্ত বলল কিচ্ছু করবিনা এখন ঘুমা। আমি দরজা বন্ধ করে দিলাম। হঠাৎ দেখি দরজা খোলা। রেজা বলল দরজা বন্ধ করিস নাই। আমি বললাম হ্যাঁ। আবার দরজা আটকে দিলাম। সাফীন আবার ঘুমিয়ে পড়ল। কিছুক্ষণ পর আবার একই কান্ড একই সব ঘটনা। আমরা সবাই কে ডাক দিলাম। সবাই উঠে অবাক।
যাবিরও বলল ভুত নাকি। রেজা, নুসরাত, অঙ্কুর, সেজুতি,তিথি ও মুনতাহা আবার চিৎকার করলো। আমি বললাম থামো সকলেই এখানে থাকবে তবে ঘুমিয়ে নয় জেগে আমি, সাফীন, জীব, রেজা ও নুসরাত যাবে আমার সাথে পুলিশ ফাড়িতে। যাবির, প্রশান্ত, স্নেহা ও কারিব সকলের দায়িত্ব নিবে। আমরা যাবার পড় দেখি সাদা শাড়ি পড়া একাধিক মহিলা সকলে আমাদের দিক আসতেই সাফীন লাইটের আলো মারতেই কিছুই দেখা গেল না। আমরা নৌকাই উঠে লুকিয়ে পড়ি। পড়ে আমি দেখি কেউ নেই। অদ্ভুদ! নৌকা নদীর মাঝখানে। আমরা তীরে উঠে দেখি একটা কুটির।
তাই আমরা সেখানে গিয়ে দেখি দুইজন মানুষের মাংস কেটে খাচ্ছে। তাই দেখে সাফীন ও নুসরাত অচেতন হয়ে গেল। তার পর। সেখান থেকে পালিয়ে যায়। তার সকলকে নিয়ে সব কথা বলতে বলতে সেখান থেকে বাস স্টপে গিয়ে বাসে অপেক্ষার পর ভোরে বাসে উঠে চলে যাই। সে রাতের কথা আমি এখনো ভুলতে পারিনি। তার পরের দিন সাফীন, রেজা, নুসরাত, জীব ও আমার প্রচন্ড জ্বর হয়। আমি কখনো ভুলবো না।