ভয়াবহ এ ঘটনাটি ভেনিজুয়েলার। ১৭০৪ সালের জানুয়ারির এক সকাল। মি. ওয়ানিকুর ও তার পরিবার পাশের মাঠে কাজ করছিলেন। তখন ভেনিজুয়েলা জুড়ে দাঙ্গা চলছিল।
ওয়ানিকুরের বাড়িতে হামলা চালায় একদল দাঙ্গাকারী। ঘরের সব মালামাল লুটপাট করে। মাঠের মধ্যে খুন করে ওয়ানিকুরের স্ত্রীকে। এর পর বাপের চোখের সামনে ১৪ জন পুরুষ মিলে ধর্ষণ করে একমাত্র মেয়েটিকে।
ঘটনা সইতে না পেরে ওয়ানিকুর দড়ির বাঁধন ছিঁড়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন শত্রুর ওপর। এ সময়ে তার দুই যমজ ছেলেকে গুলি করে মারে দাঙ্গাকারীরা। ওয়ানিকুরকে অজ্ঞান করে ফাঁসি দেওয়া হয়।
এরপর কেটে যায় বেশ কয়েক বছর। পরে সেই বাড়িটিতে বাস করতে আসে এক গরিব দম্পতি এবং তাদের পাঁচ বছরের একটি শিশু মেয়ে। বাড়িতে ঢোকার দিন থেকেই তারা লক্ষ করতে থাকেন, রাত নামলেই বাড়িটিতে কাদের যেন উপস্থিতি টের পাওয়া যায়।
ভৌতিক বাড়িটিতে প্রায়ই টিনের চালে রাতের বেলা ধস্তাধস্তির আওয়াজ শোনা যেন। তার পরও সেই পরিবার বাড়িটি ছেড়ে যায়নি।
বাড়িটিতে থেকে যাওয়ার পরিণাম হয় খুব ভয়াবহ। বাড়ির পাশে একদিন তাদের বাচ্চা মেয়েটাকে পাওয়া যায়। শরীর থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন। পাশেই পড়ে আছে একটি মেয়ের ছবি। ছবির সেই মেয়েটি ছিল ওয়ানিকুরের ১৪ বছরের মেয়ে, যাকে ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়েছিল তাদের বাড়ির সামনেই।