রহস্য

রহস্য

বৃষ্টি কম হতেই বাড়িতে যাবার জন্য রৌনা দেই। আমাদের বাড়ি যেতে একটা রাস্তা আছে। সেই রাস্তার ডান দিকে একটা বাড়ি আছে। আগে ওই বাড়িতে লোক থাকত কিন্তু এখন কেউ থাকেনা কেন তা জানি না। এখন বাড়িটা অনেক পুরানো হয়ে গেছে আবার বাড়িটায় ফাটলও ধরেছে। আমি যখনই ওই রাস্তা দিয়ে যেতাম।শুধু বাড়িটা তাকিয়ে দেখতাম। সারা পথ কোনো বৃষ্টি ছিল না।যখন ওই রাস্তাটার সামনে এলাম তখনই ঝর ঝর করে বৃষ্টি পরতে শুরু হলো তার সাথে আবার বিদ্যুৎও চমকালো।বৃষ্টিতেকোথাও থাই না পেয়ে ওই বাড়িতে বারান্দায় এসে দারিয়ে বৃষ্টি থামার অপেক্ষা করছিলাম। হঠাৎ সেই বৃষ্টির মধ্যে বাড়িটার ভিতরে স্পিকারে গান শুনতে পেলাম। চারি দিকে কোনো বাড়িও ছিল না যে কারো বাড়িতে স্পিকার বাজাবে। আমি যেখানে দারিয়ে ছিলাম সেখান থেকে সরে জানালা দিয়ে ভিতরে দেখলাম।

বড় একটা স্পিকারে গান বাজছে। স্পিকারেরপিছনটায় দেখে ভয় পেয়ে যাই আমি। ছিরা জ্যাক তার পরও জ্যাক প্লাক ছারাই স্পিকারে গান বাজছে।

ভয়ে জানালা ছেরে বারান্দায় এসে দেখি মায়া আপু ওই রাস্তা দিয়ে যাচ্ছে। মায়া আপু হচ্ছে আমাদের পারা প্রতিবেশি।আপুটাঅনেক ভালো। অনেক দিন হলো আপুর সাথে দেখা হচ্ছিল না। কিন্তু আজ হঠাৎ করেই ওই রাস্তায় দেখতে পেয়ে ডাক দেই।আপুর সাথে বাড়ি আসার জন্য।
আপু আমার সামনে আসতেই আপুর সাথে সারা পথ কথা বলতে বলতে বাড়ি এসে মা কে সব কথা বলি।মা একটু বকা দিয়ে বলে।
-তুই এই বৃষ্টির মধ্যে কেমনে আসলি?
আমি মা কে বলি।
-আমাদের পাশের বাড়ি যে মায়া আপু থাকে তার সাথে এলাম তার কাছে বড় একটা ছাতি ছিল।
মা কথাটা শুনে অবাক হয়ে যে কথাটা বলে। তা শুনে আমি গাবরে যাই।
মায়া আপু নাকি একমাস হলো ওই বাড়িটায় পালিয়ে গিয়ে ফাসি নেয়। কারণ একটা ছেলেকে ভালোবাসত মায়া আপু কিন্তু সেটা আপুর মা মেনে নিতে পারেনি।

গল্পের বিষয়:
ভৌতিক
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

আরও গল্প

সর্বাধিক পঠিত