অনেক শতাব্দী আগের ঘটনা।বিজয় নামে এক রাজা বাস করতো চাঁদের দ্বীপে।তার স্ত্রীর নাম ছিলো অভয়া।আসলে সেটি কোন চাঁদের দ্বীপ নয়,এলাকার নাম ছিলো চাঁদের দ্বীপ।রাজা বিজয়ের ছিলো একটি মাত্র পুত্র সন্তান।তার নাম ছিলো অজয়।রাজা বিজয়ের এখন বয়স হয়েছে।তাই তিনি রাজ্যর ভার তার ছেলেকে দিবে বলে ঠিক করলো।
অজয় ও বাবার মতো ছিলো বুদ্ধিমান ও শক্তিশালী।রাক্ষসরা ছিলো তাদের চির শত্রু।রাক্ষসরা অনেক বার এই রাজ্য আক্রমন করেছে,কিন্তু গায়ের জোরে ও বিধাতার কৃপায় বেঁচে গেছে ।
এবার,রাজা তার ছেলের জন্য রাজকুমারী দেখছে।কিন্তু রাজকুমার অজয়ের কোনো রাজকুমারি দেখে পছন্দ হয়না।এজন্য রাজা তার পুত্র কে বললো..তুমি যাও।যেভাবেই হোক একটি রাজকুমারি পছন্দ করে নিয়ে এসো।রাজকুমার ও তার ঘোড়া ছুটে চলছে……
দিনের পর দিন যায়,রাজকুমার তার পছন্দ মতো কোন রাজকুমারি খুজে পায় না।হঠ্যাৎ একদিন দেখতে পারলো গভির অরন্যে(জঙ্গলে)এক যুবতি কন্যা বসে আছে।দেখে তো মনে হয় রাজকুমারি নয়।কিন্তু রাজকুমারি না হলে কি হবে।তার রূপ রাজকুমারিদের চাইতেও বেশি।
তার রূপে মুগ্ধ হয়ে যায় রাজকুমার অজয়।ধীরে ধীরে এগিয়ে যেতে থাকে মেয়েটির দিকে..এবার রাজকুমার মেয়েটিকে বললো:
অজয়:কে তুমি???
মেয়ে :আমার নাম পদ্ম।
অজয়: (একটু হেসে)হা..হা..হা।এ আবার কি রকম নাম??
মেয়েটি এই প্রশ্নের কোন জবাব দিলো না।
অজয়: তুমি কোথায় থাকো???
মেয়ে:আমি আর আমার বাবা এই জঙ্গলেই থাকতাম। আমার বাবা মারা গেছে আজ।এখন আমার কোন থাকার জায়গা নেই।
অজয়: তোমার যদি কোন আপত্তি না থাকে তাহলে আমি তোমাকে বিয়ে করবো।আমি চাঁদের দ্বীপের রাজকুমার অজয়।
মেয়েটি ও রাজি হয়ে যায়।কারন সেটি কোন মানুষ নয়।সে হলো রাক্ষস রাজকন্যা পদ্ম।সে তার দাদার হত্যার প্রতিশোধ নিতে চায়।কারন রাজা বিজয় তার দাদার প্রান ভ্রমর শেষ করে ফেলে এতে তার দাদার মৃত্যু হয়।এই প্রতিশোধ নিতে এসেছে রাক্ষস রাজকন্যা পদ্ম।
রাজকুমার পদ্মকে নিয়ে তার রাজ মহলে পা রাখতেই পুরো রাজমহল কেমন করে যেন কেঁপে উঠলো।সবায় ভয় পেয়ে যায়।সবার মুখে একি প্রশ্ন …রাজ মহল কেন কেঁপে উঠলো??????
রাজকুমার তার রানীকে নিয়ে মহলে ঢুকলো।তাকে বরন করার সময় বরন ডালার প্রদীপ টা নিভে গেলো।রানী অভয়া তো খুবই সংকটে পরে গেলেন।যতবার বড়তে যায় ঠিক ততোবারই প্রদীপ নিভে গেলো।পরবর্তীতে তাকে প্রদীপ না জ্বালিয়েই বরন করা হলো।
রাজরানী অভয়া অনেক চিন্তায় পড়ে গেলেন।তিনি একথা রাজা বিজয়ের কানেও দেয়।কিন্তু রাজা বিজয় সে বিষয়টিকে কোন পাত্তা দেয় না।সে বলে এগুলো সব বাতাসের কারনে হয়েছে।
রাজকুমার ও তার রানী তাদের শয়নগৃহে প্রবেশ করলো।প্রবেশ করার পরেই রাক্ষসী রাজকন্যা পদ্ম তার মায়া দ্বারা রাজকুমারকে ঘুম পারালে।ঘুম পারিয়ে চলে গেলো সে তার রাক্ষস রাজ্যে।সে গিয়ে সকল কথা তার বাবাকে বলে।
রাক্ষস রাজা তার মেয়েকে আশীর্বাদ করে দিলো।সে যেনো ঔ চাঁদের দ্বীপকে ধ্বংস করতে পারে।সে তার রাজকন্যাকে আরো বললো…ঔ মহলে বিধাতার কৃপা সর্বদা থাকে।এজন্য তোমাকে সাবধানে থাকতে হবে।
এবার তুমি যাও।রাজকুমারের ঘুম ভাঙ্গার আগেই তোমাকে প্রাসাদে যেতে হবে।রাজকুমারী প্রাসাদে ফিরে এলো,এবং ঘুমিয়ে পড়লো।সকাল হলো রাজকুমারের ঘুম ভাংলো।রাজকুমার তার রানীকে বলতে লাগলো…কাল হয়তো বেশি ক্লান্ত ছিলাম তাই দ্রুত ঘুমিয়ে পরেছি।তুমি কিছু মনে করোনা পদ্ম।
রাজকুমারি বললেন আরে না কি মনে করবো।রাজ কুমার ও তার রানীর জন্য সকালের নাস্তার ব্যাবস্থা করা হলো।তাদের ঘরেই দাসিরা খাবার নিয়ে এসেছে।রাজকুমারী পদ্ম দাসিদের খাবার রেখে যেতে বললেন।দাসিরা সবাই খাবার রেখে চলে গেলো।
আগামী পর্বে::::*রাজকুমার যা খায়,রাজকুমারি চেয়ে তিনগুন বেশি খাবার খেয়ে নিলো।রাজকুমার তো অবাক!সে এগুলো কি দেখছে।সে নিজের চোখকে বিশ্বাস করাতে পারলো না।
চলবে……..