আমি,নীল,সোনিয়া,
রিমা,লিজা,জাবেদ, শাখওয়াত, মহিন,মনির,রিপাত,অয়ন আমরা ১১জনের একটা টিম, খুব ভালো বন্ধুতু আমাদের সবসময় আড্ডা মস্তি খুব ভালো কাটছিল আমাদের দিন সব সময় আমরা একসাথে থাকি জাবেদ আমার সাথে সবসময় জগড়া করে কিন্তু কথা না বলে থাকতে পারে না। নীল& মহিন তো আছে প্রতি দিন ওদের জগড়া একদিন ও ওদের শান্তি নাই আমার কিন্তু ওদের জগড়া দেখতে খুব মজা লাগে সামান্য কারণ নিয়ে ও ওদের জগড়া লেগে যায়। হাজার কিছু হলে ও আমাদের টিম টা কেউ কাউকে ছাড়া থাকতে পারেনা আমাদের এই টিম নিয়ে সবার অনেক হিংসা হয় কলেজে আমাদের এই টিম মত কারো এমন টিম নাই সব মিলে খুব ভালো আছি আমরা।
কিন্তু বেশ কয়দিন যাবত দেখছি অয়ন অন্য রকম হয়ে গেছে কেমন চুপচাপ থাকে সবাই যখন আড্ডা ব্যস্ত তখন ও চুপচাপ অন্য দিকে তাকিয়ে আছে। এটা আমাদের সবার চোখে পড়ে তাই আমরা এর কারন জানতে চায় অয়ন কাছে কিন্তু যা শুনি তা তে খুব ভয় পেয়ে যায়।অয়ন জানায় হঠাৎ করে তার দাদু নিখোঁজ কোথাও খুজে পাচ্ছে না তাকে কেউ বলতে পারছে না পুলিশ অনেক তদন্ত করেও কোনো তথ্য দিতে পারে নাই তাই পুলিশ এটা বাদ দিয়ে রেখেছে। দাদু নিখোঁজ এর ৭ দিন পর থেকে আমাদের ওখানে রাজবাড়ি সামনে প্রতিদিন একটা করে রক্ত শূন্য লাশ পাওয়া যায় , তাই সবাই ভয়ে গ্রাম ছাড়তেছে।
তখন আমি প্রশ্ন করে উঠলাম দাদু নিখোঁজ আজ কত দিন
অয়ন: ১মাস।
নীল : আজ ১মাস নিখোঁজ আর আমাদের একবার জানানোর প্রয়োজন মনে করলি না।
অয়ন : জানিয়ে লাভ কি যা পুলিশ করতে পারে নাই তা তোরা পারবি নাকি আর শুধু শুধু তোদের টেনশেন রেখে লাভ কি।
আমি: সব কাজ পুলিশ পারে না।
মহিন : আমরা তোর দাদু কে যেভাবে হোক খুঁজে বের করব।
মনির : হ্যাঁ তোর গ্রাম বাড়ি যাওয়ার ব্যবস্থা করে দে।
শাখওয়াত : আমরা আজ রাওনা দিতে চায় তোরা কি বলিস।
সোনিয়া : হুম এমনে তে ও অনেক দেরি হয়ে গেছে আমাদের আজ ই রাওনা দেওয়া উচিত।
রিপাত : আমাদের তাহলে একসাথে দুইটা কাজ হবে ঘুরা & এ্যাডবেঞ্চার।
সবাই তার কথা মত প্রকাশ করল।
আমি : তাহলে আজ ই আমরা অয়ন গ্রাম বাড়ি যাচ্চি তাই সবাই যার যার বাসায় গিয়ে ব্যাগ গুছি য়ে ১টা:৩০ মধ্যে বাস স্টেশেন চলে আয, আর রিপাত সবার জন্য টিকেট কেটে রাখ ২টায় জন্য।
সবাই যার যার বাসায় চলে গেলো আমি বাসায় এসে সব দরকারি জিনিস নিলাম বলাতো যায় না কখন লাগতে পারে ব্যাগ গুছিয়ে ১:২০ রাওনা দিলাম বাস স্টেশেন এ গিয়ে দেখি সবাই চলে এসেছে।
আমি যেতে অয়ন আমার উদ্দেশ্য করে বললো জারা আমি তোদের মনে হয় বিপদ পেলতেছি এমনে গ্রাম অবস্থা খারাপ তোদের কোনো ক্ষতি হলে আমি আন্টি কে কি জবাব দিব তোদের না যাওয়া ঠিক হবে।
আমি : আর এ এটা কি বললি আমাদের বন্ধু বিপদে পড়বে আর আমরা চুপ করে থাকব মৃত্যু ভয়ে এটা তো হয় না। তুই আমাদের নিয়ে কোনো চিন্তা করিস না।
চল বাস চলে আসছে উঠা যাক।
উঠে যে যার সিটে বসে পড়লাম।গড়ি চলতে লাগলো আর সবাই বিভিন্ন দুষ্টামি করতেচে হঠাৎ আমার চোখ গেলো মহিন দিকে ও যেন কিছু একটা দেখার চেষ্টা করছে তখন খেয়াল করলাম বাসে প্রথম সিটে একটা সুন্দরী মেয়ে বসে আছে তাকে দেখার চেষ্টা চলছে বাট তেমন দেখতে পারছে না।
নীল দিকে তাকিয়ে দেখি ও মহিন দিকে অগ্নি দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে আর মহিন সুন্দরী মেয়েটা কে দেখা নিয়ে ব্যস্ত।
আর আমি মনে মনে হাসছি হঠাৎ চিৎকার দিয়ে উঠলো নীল, মহিনননননননা….
তার চিৎকার সবাই চুপ হয়ে গেল আমি মনে মনে ভাবছি এবার লাগবে জগড়া যা ভাবা তাই শুরু হলো ওই মেয়ে দিকে কেন তাকিয়েছে তার জন্য নীল মহিন কে বকতেছে নীল এসব পছন্দ না ও বলতে চায় বন্ধুটা বেস্ট লাভ না আর আমাদের সবার ও একি মত তাই লাভ এ দিকে কেউ পা বাড়ায় না, কিন্তু মহিন যেতে চায়লে নীল বাধা দে।তাই নীল মহিন সাথে জগড়া করছে আমি কিন্তু সেই মজা পাচ্ছি সবাই হা করে তাদের জগড়া দেখছে।
শাখওয়াত আমাকে উদ্দেশ্য করে বললো জারা কিছু বলবি আমার কিন্তু মোটে সহ্য হচ্ছে না এসব।
আমি : আর এ ভাই বিরক্ত না হয়ে মজা নেই খুব মজা পাবি ওদের তো বকলে কাজ হবে না তাই আমার মত মজা নে।
আমার কথা শুনে ওদের জগড়া থেমে গেল মহিন রাগি দৃষ্টি তে আমার দিকে তাকালো কিন্তু কিছু বললো না।
অনেকক্ষণ এভাবে বাস চলতে থাকলো সবাই আড্ডা ব্যস্ত আর নীল & মহিন জগড়া নিয়ে।
আমি : অয়ন আর কতখন লাগবে আমাদের পৌঁছতে এখন তো ৫টা বাজে সন্ধ্যা হয়ে আসছে প্রায়।
অয়ন : আর বেশি নে। ৩০ মিনিট লাগবে।
অয়ন সবার উদ্দেশ্য করে বললো আমরা চলে এসে ছি এবার সবাই নেমে পড়।
সবাই বাস থেকে নেমে পড়লাম অয়ন আমাদের দাড়াতে বলে CNG জন্য গেল ২টা CNG নিয়ে হাজির অামরা সবাই
উঠে পড়লেম প্রথম টা তে আমরা মেয়েরা উঠলাম পরে টাতে ছেলেরা।
CNG আমাদের অয়ন দের বাড়ি উঠানে নেমে দিল অয়ন রা ও চলে এসেছে সবাই একসাথে ওদের বাড়ি দিকে যেতে লাগলাম অয়ন দের মস্ত বড় উঠান বাড়ি দুতালা খুব সুন্দর ওদের বাড়ি টা।
৪০/৪৫ বছর বয়সের একটা লোক আমাদের দিকে এগিয়ে এলো অয়ন পরিচয় করে দিল এটা ওর বাবা আমরা সালাম করলাম ওনি আমাদের বললো তোমরা সবাই এসেছো এতে আমি খুব খুশি কিন্তু একটা কথা রাতে কেউ বাড়ি থেকে বের হবা না।
আমারা হ্যাঁ সূচক উওর দিলাম কারণ জিঙ্গেস করলাম না।
সবাই কে উনি বাড়ি ভেতর নিয়ে এলো বাহির থেকে বাড়ি ভেতর আরও সুন্দর সবাই দেখতে লাগলো অয়ন আমাদের বসতে বললো সবাই বসে পড়লাম খুব খিদেও পেয়েছি দুপুরে খেয়েছি আর কিছু খাওয়া হয় নাই অয়ন ওর পরিবারের সবার সাথে আমাদের পরিচয় করে দিল অয়ন পরিবারে তেমন কেউ নে অয়ন রা ২ভাই ওর বাবা,মা,আর ওর চাচা। চাচা বয়স ৩৫/৪০ হবে কিন্তু মজার কথা হলো এখনো বিয়ে করে নাই।সবাই কে বেশ ভালো লাগলো অয়ন আম্মু আমাদের জন্য নাস্তা বানাতে ব্যস্ত হয়ে পড়লো
অয়ন আম্মু নাস্তা নিয়ে এলো আমাদের জন্য সবাই কে নাস্তা দেওয়ার সাথে সাথে সবাই এমন ভাবে খাওয়া শুরু করছে মনে হয় জন্মে ও খায় নাই ওদের খাওয়া দেখে আমার পেট ভরে গেছি আমার আর নামচে না আমি খাচ্ছি না দেখে মনির & জাবেদ উঠে বললো খাচ্ছিস না কেন??
আমি : আমার খেতে ইচ্ছা করছে না তোরা খাবি।
সবাই একসাথে বলে উঠলো আমাকে দে ও বলে আমাকে দে আল্লাহ এই কোন রাক্ষস দের নিয়ে এলাম আমি সবার উদ্দেশ্য করে বললাম বন্ধু রা তোমরা একটু কম খাও তোমাদের যে খাওয়া এই আবস্থা দেখলে অয়ন বাবা ঘারধাক্বা দিয়ে বের করে দেবি আমাদের আর এ্যাডবেঞ্চার করা লাগবে না।রিপাত বলে উঠল খাওয়ার বয়স তো এটা।
আমি : এরে এটা তোর মামা বাড়ি না তাই কম খাবি এটা জানি।
সবাই : আমাদের খাইতে ও দিবি না।
অয়ন বাবা এসে একটা কমন ডায়লগ দিল আমরা গরিব মানুষ তোমাদের তেমন কিছু খাওয়াতে পারছি না।
আমি : নানা অান্কেল এটা কি বলছেন আপনি যা দিয়েছেন তা অনেক করেছেন।
মনির : আর একটু হলে ভালো হ….
আমি সাথে সাথে ওর মুখ চেপে ধরলাম।
অয়নের বাবা : মনির উদ্দেশ্য করে বললো তুমি কিছু বললে বাবা আমি উঠে বললাম না অান্কেল তেমন কিছুনা ওবলছে বাথরুমে যাবে।
অয়নের বাবা : অয়ন তোর বন্ধুকে বাথরুম টা দেখিয়ে দেত।
অয়ন মনির কে নিয়ে বাথরুম দিকে গেলো আমি ভাবতে লাগলাম ওদের গ্রাম রক্ত শূন্য লাশ কথা আর ওর দাদু নিখোঁজ কথা ওর দাদু নিখোঁজ পর থেকে এসব শুরু ওর দাদু নিখোঁজ সাথে এসব কি সম্পর্ক আছে বুঝছি না আবার লাশ পাওয়া যায় রাজ বাড়ি সামনে এসব মানে কি অয়ন বাবা হয়ত কিছু জানে।
আমি : আয়ন তোর বাবা কোথায় আমি ওনার সাথে কথা বলতে চায়।
অয়ন। : আমার সাথে আয়।
অয়ন দুতালায় একটা রুমে নিয়ে এলো দেখি অয়ন বাবা কি যেন করছে। আমাদের পিছু পিছু রিপাত ও আসছে।
অয়ন : আব্বু এরা তোমার সাথে কথা বলবে।
অয়ন বাবা : বস মা।
আমি বসতে বসতে বলি তেমন কিছু বলতে আসি নাই আসলে আপনার বাবা কিভাবে নিখোঁজ হয়েছে তা একটু বলবেন।
অয়ন বাবা : হ্যাঁ অবশ্যই বলব আমাকে অয়ন বলেছে তোমরা এখানে কেন এসেছো আমি তোমাদের অবশ্যই সাহায়্য করব। তোমাদের মত মানুষ হয় না মা।
আমি : ( লজ্জা পেয়ে) কি যে বলেন আমরা তো এখনো কিছু করলাম না।
অয়নের বাবা : আমি জানি তোমরা পারবা।
আমি : দোয়া করবেন যাতে এসব বন্ধ করতে পারি।
অয়ন বাবা : অবশ্যই মা। এখন বল কি জানতে চাও।
আমি : দাদু কখন কিভাবে নিখোঁজ হয়েছে????
অয়ন বাবা বলতে শুরু করলো : আমার ছোট বোন মিনি রোড এক্সিডেন্ট এ মারা যায়। ওর মৃত্যু পর থেকে বাবা কেমন হয়ে যায়,
বাবা কে সবসময় অস্তির দেখাতো কেন জানি কি বিষয় নিয়ে যেন চিন্তা থাকতো কারণ জানতে চায় লে বলে নাই
আমরা ভাবতাম মিনি মৃত্যু তে বাবা এমন করছে তাই বিষয় টা বাদ দিয়ে রাখলাম।তারপর থেকে খেয়াল করতাম রাতে বাবা কার সাথে যেন কথা বলে মিনি কন্ঠও শুনা যেত। তারপর মাঝে মাঝে কোথায় চলে যেত আবার আসতো। জিঙ্গেস করলে কিছু বলতো না আমরা বুঝতাম মিনি আত্মা বাবা কাছে আসতো। বাবা নিখোঁজ পর আমরা ভাবি হয়ত মিনি আত্মা নিয়ে গেছে….
অয়ন চাচা : ভাইজান আপনি ওদের এসব বলে দেখছি মাথা খারাপ করে দিবেন।
রিপাত : না চাচা আমরা জানতে চায়ছি তাই বলছে আমরা এর শেষ দেখতে চায় এভাবে রক্ত শূন্য লাশ এসব কে করে আমরা জানতে এসেছি। এর শেষ না করে আমরা পিরছি না।
অয়ন চাচা রিপাত কথা শুনে রেগে যেতে লেগে ও কেন জানি নিজেকে কনটোল করে বললো তোমরা ছোট ছেলে মেয়ে তোমরা কিছু করতে পারবানা এসব সাথে জড়িয়ে নিজের মৃত্যু ডেকে আনিও না।
রিপাত : না চাচা এসব নিয়ে আপনাকে চিন্তা করতে হবে না।
অয়ন চাচা :তোমরা এখন যেতে পার।
আমরা উঠে চলে আসতে আসতে রিপাত কে আমি বলি তোর এভাবে বলা ঠিক হয় নাই।
রিপাত : আমার কেমন জানি অয়ন চাচা কে সন্ধেহ হচ্ছে।
আমি : আমার ও কোথায় ওনি সাহায়্য করবে তা না করে আমাদের মৃত্যু ভয় দেখাছে।
নিচে এসে দেখি সবাই আড্ডা দিচে আমরা যেতে সবাই প্রশ্ন করলো কি জানসি।
আমি ওদের সব খুলে বললাম।
তখনি অয়ন আম্মু রাতের খাবার খেতে ডাকলো।
অয়ন : সবাই খেতে চল এটা নিয়ে পরে ভাবা যাবে।
সবাই খেতে আসলাম,
সবাই একসাথে খেতে বসাল অয়ন আম্মু দেখছি অনেক কিছু রান্না করছে জিবে জল আসার মত সবাই তাড়াতাড়ি খেতে বসল।
শাখওয়াত : এত কিছু কেন করছেন শুধু শুধু কষ্ট করলেন আমরা এত কিছু খায় না।
(আমি মনে মনে বলি এমনে তোমরা খাও না খেতে দিলে সব কোথাও চলে যায়)
অয়ন মা : না বাবা এটা কি বলছ তোমরা আর কখন আসবা খেয়ে নাও।
শাখওয়াত আমাকে পিস পিস করে বলছে উনি কি বললো আর কখন আসবা মানে আমাদের তাড়িয়ে দেওয়ার চিন্তা করে নাই তো।
আমি : তোদের যে খাওয়া তাই না করে পারে চুপচাপ খেয়ে নে।
সবাই খেয়ে যার যার রুমে শুয়ে গেলাম রুমে অভাব নাই অয়ন দের আমি আর নীল সুয়েছি একরুমে রুমটা বেশ ভালো।
নীল সুয়েছে মাত্র ঘুম চলে আসছে আমি ও ঘুমিয়ে গেলাম।
হঠাৎ কিছু পড়ার শব্দে ঘুমটা ভেঙ্গে গেল খেয়াল করলাম কিছু খুলতেছে তাই আওয়াজ হচ্ছে মনে হয় তালা আমি উঠে মোবাইল লাইট জ্বালালাম।
শুনতে পেলাম আমাদের সামনের রুম থেকে আওয়াজ আসছে।
অয়ন তো বললো এই রুমে কেউ থাকেনা এটা বন্ধ থাকে কেউ যায় না তাহলে এখন কিসের আওয়াজ আসছে।
আমার দেখার আগ্রহ বেড়ে গেছে আমি ব্যাগ থেকে চুরি বের করলাম যা আসার সময় নিয়েছি। ওটা নিয়ে আস্তে আস্তে দরজা খুলে বের হয়ে দেখি ওই রুমে দরজা খোলা আমি ওই রুমে উুঁকি দিয়ে দেখি রুমে একটা নীল লাইট লাগানো যাতে হাল্কা আলো রুমটা তে কেউ নাই তাই রুমে ভিতরে গিয়ে দেখি রুমে সিডি যা নিচের দিকে গেছে আমি সিডি দিয়ে চুপে চুপে নামতে লাগলাম সিডি দিয়ে নিচে এসে দেখে চারপাশে জঙ্গল আর সামনে রাজবাড়ি টা তার ভেতর থেকে আলো আসছে আমি ভয় পেয়ে যায় তারপর ও সামনে যেতে থাকি । হঠাৎ কারো চিৎকার ভেসে আসে আমি কেন চিৎকার হয়েছে তা দেখতে তাড়াতাড়ি যায় দেখি রাজবাড়ি পিছনের দরজা খুলা আমি দরজা পাশে লুকিয়ে ভিতরে দেখি, উুঁকি দিতে যা দেখি তার জন্য মোটে প্রস্তুত ছিলাম না। দেখি ওখানে একটা মেয়ে একটা লোকের গাঢ মুখ বসিয়ে রক্ত খাছে তার সামনে ৭৫/৮০ বয়সের একটা লোক তার পাশে অয়ন চাচা তার পাশে অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছে রিপাত আমার কাছে সব পরিস্কার হয়ে গেল এই রক্ত শূন্য লাশ কেন পাওয়া যায় আর বুড়া লোকটা হয়তে অয়ন দাদু আর তার চাচা ও এসব সাথে জড়িত রিপাত কে নিয়ে এসেছি ও এসব শেষ চায় বলছে তাই। আবার আর বুঝতে বাকি রইল না আমি এসব শেষ করব।
তখনি মেয়ে টি হেসে বললো বাবা ওরো ১৩২ টা মানুষ রক্ত খেতে হবে তারপর আমি মানুষ হয়ে পিরবো। আমি মনে মনে বলি এটা শেষ আর রক্ত খাওয়া তোর হবে না।
কিন্তু রিপাত কে বাচঁাতে হবে,
এখন কিছু করা যাবে না যা করার কাল করতে হবে তাই ওখান থেকে চলে আসি রুমে। এসে দেখি নীল ঘুমাছে আমি ও সুয়ে পড়ি রিপাত জন্য চিন্তা হচ্ছে খুব।
হঠাৎ ঘুম চলে আসে।
চিৎকার চেঁচামিচি ঘুম টা ভেঙ্গে গেল সবাই জগড়া কান্না এসব করছে আমি উঠে বসতে জাবেদ বলে রিপাত কে পাওয়া যাচ্ছে না আমি তখন সবাই কে শান্ত হয়ে বসতে বললাম সবাই বসলা আর কাল রাতে সব ঘটনা ওদের খুলে বলি কিন্তু কারা এসব করছে তা এই। মহৎতে ওদের জানালে সমস্যা হবে ভেবে জানালাম না। সবাই শুনে খুব চিন্তা পড়ে যায় আমি অয়ন কে বলি একটা তান্ত্রিক কে নিয়ে আসতে কাউকে নাজানি য়ে তারপর টা আমরা দেখছি।
অয়ন তান্ত্রিক উদ্দেশ্য বেরিয়ে পড়লো সারাদিন তার কোনো খবর নাই রাতে ফিরলো।
আমি : অয়ন এতক্ষন করলি কেন।
অয়ন : অনেকক কষ্ট করে আনছি।
আমি : এবার তোদের থানা পুলিশ কে কল দে রাত ২টায় দিকে রাজ বাড়ি সামনে থাকতে।
অয়ন : পুলিশ কেন এখানে পুলিশ কি করবে।
আমি তা নিয়ে তোদের ভাবতে হবে না তুই কল দে।
অয়ন তাদের থানা পুলিশ তারেক কে কল দিল।
আমি : পুলিশ কি বলেছে???
অয়ন : থাকবে বলছে।কিন্তু এখানে পুলিশের বেপার টা বুঝলাম না।
আমি : তোর বুঝতে হবে না শুন আজ রাতে কেউ ঘুমাবি না যার যার রুমে শুয়ে থাকবি আমি তোদের যখন এসএমএস দিব তখন বের হবি।
সবাই হ্যাঁ সূচক উওর দিল।
আমি : ১১টা কুরাআন শরিফ এর ব্যবস্থা কর।
অয়ন : ঠিক আছে।
সবাই এখন যার যার রুমে যাও আর তান্ত্রিক কে লুকিয়ে রাখ।
আমি অপেক্ষা করতে লাগলাম কখন দরজা টা খুলবে,
অনেকক্ষণ অপেক্ষা পর দরজা খুলার আওয়াজ পেলাম আমি তখন সবাই কে এসএমএস দিয়ে বললাম ৫ মিনিট পর সবাই বের হতে কোরাাআন শরিফ নিয়ে।
৫মিনিট পর সবাই বের হলাম।
ওই রুম দিয়ে সবাই কে সাবধানে যেতে বললাম সবাই রাজ বাড়ি সামনে এসে দাড়ালো তখন সবাই কে ভিতরে যেতে বললাম সবাই একসাথে ভিতরে ঢুকতে ভিতরের সবাই আমাদের দেখে অগ্নি দৃষ্টিতে তাকায়
অয়নের চাচা : খুব মরার শখ হয়েছে নিজের মৃত্যু নিজে ডেকে আনলা।
অয়ন : চাচা& দাদু তোমরা এসব করছে আমার ভাবতে ঘৃণা লাগছে।
মিনি : অয়ন এসব কি বলছিস তুই আমাকে আবার ফিরে পেতে চাস না আর ১৩২ টার রক্ত খেলে আমি ফিরে আসব।
অয়ন : চুপ কর। তুমি ফিরে আসতে এত মায়ের বুক খালি হবে আমি তা চায় না।
এটা শুনি মিনি রেগে অয়ন দিকে তেড়ে আসতে লাগলো অয়ন কে ধরতে গিয়ে ছিঁড়কে পড়লো তাতে মিনি আরো রেগে গেল চিৎকার দিয়ে বললো তোরে সবাই কে শেষ করব।
আমি : অয়ন পুলিশ কে কল দে।
অয়ন পুলিশ কে ভেতরে আস্তে বলে ।
আমি তান্ত্রিক কে বললাম আপনি আত্মা কে বন্ধি করেন।
পুলিশ তারেক রাজবাড়ি ভিতরে এসে সব দেখলো সাথে অয়ন বাবা মা ও এলো তারা এটা মেনে না তি পারলে ও মেনে নিল।
পুলিশ অয়ন চাচা & দাদু কে বন্ধি করে।তান্ত্রিক মিনি কে। এখন আর রক্ত শূন্য লাশ পাওয়া যায় না ওই গ্রাম এ।
কিন্তু এখন আবার অয়ন কে চিন্তিত মনে হচ্ছে কেন কেউ জানে না।
সমাপ্ত