সময়টা ছিলো শীত কাল ঐই দিন ছিলো শনিবার আমার এক চাচি মারা গেছে ওনি অসুস্থ ছিলেন তাই তাকে ঢাকা নেওয়া হয় এবং ওইখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
আমি বিপ্লব যে মারা গেছেন উনি আমার দূরসম্পের্কর চাচি কিন্তু উনার বাসা আমাদের বাসার সাথে।তো উনার মরার খবার শুনে আমরা সবাই আতংকিত হয় কারন ওনার মৃত্যু স্বাভাবিক ভাবে হয় নাই উনার উপর ছিলো জ্বিনের আসর।
লাশ আনার জন্য বাড়ি থেকে আমি এবং উনার ছোট ভাই শুভ দুজনে একসাথে রওনা দিলাম কুমিল্লা থেকে উদ্দেশ্য ঢাকা।
চাচির সাথে ছিলেন আম্মু এবং উনার কিছু আত্নীয় ,এখন কাহিনী হলো ওদের সাথে কোনো পুরুষ মানুষ নাই তাই তারা লাশ নিয়ে আসতে চাইলো না ,আমাদের যেতে বললো এবং আমরা ও যাওয়ার জন্য বাসে উঠলাম।
যেহেতু উনি বিকালে মরেছেন তাই আমরা ঠিক ৬টায় বাসে উঠি, গায়ে একটা চাদর গায়ে দিয়ে। কুমিল্লা থেকে ঢাকা যেতে সময় লাগে আড়াই ঘন্টা তো আমরা ৯টার মধ্যে পৌছে যাওয়ার কথা।
রাত ৭:৪৭ ,সবদিক নিরব..আমি আর শুভ দুইজন একসিটে বসে যাচ্ছি, তখন একটা ঠান্ডা হাওয়া আসলো যার কারনে আমাদের শরীলের পশম দাড়িয়ে যায় এতে আমরা খুব ভয় পাই কারন বাসের সব জানালা বন্ধ এবং পর্দা টানানো আর আমরা তো চাদর..+ভারী জামা পরে আছি তাহলে বাসে এতো হাওয়া আসছে কোথা থেকে তখন শুভ বলে উঠলো কিরে আমি যা বোধ করছি তুই ও কি তা বোধ করছিস আমি শুধু মাথা নাড়লাম।
একটুপর বাসটি মহাসড়কের একপাশে থামালো আমরা ভালোভাবে লক্ষ করলাম এটি একটি কবরস্থান এবং তখন বাসের মধ্যে আগরবাতির ঘ্রান পেলাম কিছুক্ষন পর বাস এর মধ্য থেকে একটি লাশ নামালো তবে সে লাশটি ছিলো
বরফের মধ্যে সাদা কাপর পেছানো আমরা বাসের হেলপার কে জিগ্যেস করলাম এসব কি?
হেলপারঃ এটি একটি লাশ আপনি মনে হয় খেয়াল করেন নি ভালো করে খেয়াল করে দেখুন
অতঃপর আমরা ভালোভাবে বাসটি খেয়াল করলাম এবং যা দেখলাম বাসটির মধ্যে অনেক ধোয়া এবং বাসে যারা আছে সবাই হুজুর আর একটি লাশ। আমরা তো থ এসব কি হচ্ছে যখন বাসে উঠছিলাম তখন তো এরুকম ছিলো না আর দু জনে বুঝলাম আমরা কোনো এক মায়ার মধ্যে ডুকে গেছি তাই দু আ পড়া শুরু করলাম তখন এক হুজুর বললেন আপনারা ও আসুন লাশটিকে দাফন করবো আমরা কিছু না বলে ওদের সাথে কবরস্থানে গেলাম সবদিক নিরব গায়ের চাদরটি বাসে রেখে এসেছি তারপর ও ঠান্ডা লাগছে না। লাশটি থেকে সুঘ্রান বাহির হতে লাগলো।যে সুঘ্রান টি আসছিলো ওইটি আমাদের চিনা ওই ঘ্রান টি আমার চাচির শরীলের তাই ভয়টা একটু বেশি বেড়ে গেলো যার কারনে এই শীতের মধ্যে আমার মাথায় চিকন গাম দিলো।
এমন সময় এক মুরুব্বী বললো বাবা তোমরা যেহেতু লাশটিকে দেখো নাই আমরা চাই তোমরা ও লাশটি দেখো।
আমি বললাম না লাশের তো জানাযা হয়ে গেছে এখন আর দেখবো না তখন ওনি মুখ বাকা করে বললো দেখ বলছি দেখ আমরা দুজনে ভয় পেয়ে যায় এবং লাশের সামনে আসি কিন্তু ভয়ে লাশের কাপর সরাচ্ছি না আমার হাত কাপা শুরু করলো শরীল গেমে চুবসে গেছে তখন একটি জোরে বাতাস আসলো এবং লাশের উপর থেকে কাপরটি সরে গেলো এরপর যা দেখলাম যে লাশটি শুয়ে আছে আমাদের সামনে ওটি আর কারো ও লাশ নয় ওটি আমার চাচির আর এর চেয়ে ভয়ঃকর হলো ওনার চোখ খোলা এবং চোখ পুরু লালা পিছন থেকে হুজরের মতো লোক গুলো হেসে উঠলো তখন লাশটি আমাদের চোখের সামনে উঠে বসলো এবং বললো খুব তো আগে কথা বলতি মজা করতি আবার তাড়তেও চাইতি আজ কেন ভয় পাস হে তখন ওনার মুখ বেয়ে রক্ত পড়ছে এরপর ওনি বললেন তোরা আমার সাথে চরম অন্যায় করচত তোদের সাজা পেতে হবে এ বলে আমাদের দুজনকে যে কবরটি খোড়া হয়েছিলো ওই কবরে ফেলে দিলো আর আমারা এতেই বেহুস হয়ে যায়।
সকাল ৭টা ফোন বাজার শব্দে জেগে উঠলাম তখন আমরা দেখলাম আমরা একটি কবরস্থানের পাশে পড়ে আছি এবং ফোনে বললো কিরে তোরা কই আসছিস না কেন লাশ তো ফ্রীজে রাখতে হয়েছে তাড়াতাড়ি আয় লাশ নিতে হবে তো…
আমরা তখন ওই কবরস্থান থেকে দৌড়ে বাহিরে আসি এবং একটি বাসে করে ঢাকা আসি লাশ বাড়িতে আনি এবং দাফন করি কিন্তু আজ ও প্রশ্ন রয়ে গেলো ওইদিন রাতে কে ছিলো এরুকম হলো কেনো আমাদের সাথে।