এরপর আমি দেখতে পেলাম ঘুমন্ত আমাকে, ছোট ভাই আমার দিকে পেছন ফিরে কি জানি করছে ।
ডিম লাইটের আলোটা অন্ধকার তো দূর করছেই না, উলটো কেমন জানি একটা গা ছমছমে পরিবেশ তৈরি করছে।
হঠাৎ করে উঠে বসলাম আমি । চোখ বন্ধ, কাঁথা দিয়ে পুরো গা পেঁচানো !
“হেই”, ভারী গলায় বলে উঠলাম । আমি দেখতে পেলাম প্রচণ্ড ভয়ে চিৎকার করে উঠল ছোট ভাই ।
পাশের রুম থেকে মা ছুটে আসল । আমি সব দেখছি, কিভাবে জানি না ।
তারপর শুয়ে পড়লাম । মা ছোট ভাইকে ঘুম পাড়িয়ে রুম থেকে বেড়িয়ে গেল।
অনেক্ষন কেটে গেল। ঘুমটা আবার ভেঙ্গেছে, সম্ভবত জ্বর পড়ছে।
মাথার ভেতরে কে জানি ফিসফিস করে কথা বলছে। ভাবলাম জ্বরের ঘোরে উল্টা-পাল্টা শুনছি, অডিটরি হ্যালোসিনেশন টাইপ কিছু।
সবাই ঘুমাচ্ছে। এদিকে মাথার যন্ত্রণাটা বেড়েই চলছে ।
“আমার একটা মাথা চাই”, ফিসফিস করে কে জানি বলে উঠল, স্পষ্ট শুনতে পেলাম । কোন কারণ ছাড়াই গায়ের সব লোম দাঁড়িয়ে গেল।
“শাট আপ”, বিড়বিড় করে বলে উঠলাম, ভাবলাম ভুল শুনেছি তাই উড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করলাম ।
“আমার একটা মাথা চাই”, এবার আরো কাছে এবং জোরালো ভাবেই শুনতে পেলাম ।
“কে তুমি”, ভয়ে গলা শুকিয়ে গেল । জ্বরের কারণে গত রাতেও ঘুমাতে পারি নি ।
তাই হয়ত সমস্যা হচ্ছে । কথা বলে ভয়টা কাটানোর চেষ্টা করলাম ।
“লুসিফার, আমাকে সবাই লুসিফার নামেই চেনে!” এবার ঘরের এক কোনে কালো ছায়াটাকে দেখতে পেলাম, কেমন জানি ঘন-জমাট বাধা অন্ধকার।
“একটা মাথাই তো, এমন করার কি আছে?” এবার গলাটা মাথার ভেতরেই কোথাও বেজে উঠল । কালো ছায়াটা ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ছে। চিৎকার দেয়ার চেষ্টা করলাম, কিন্তু মনে হল কেউ মুখের ভেতর কাপড় গুজে দিয়েছে।
হঠাৎ করেই মনে হল আমার শরীরটা আর আমার নিয়ন্ত্রণে নেই। আমি চাইলাম না, তাও উঠে বসলাম । কালো ছায়াটা ছড়িয়ে পড়েছে সারা ঘরে, ডীম লাইটের আলোটাও দেখা যাচ্ছে না আর।
অন্ধকারেও পা টেনে টেনে রান্নাঘরের দিকে এগুচ্ছি। সিনেমার জম্বিদের মত করে, কিছুই দেখছি না, হাটারও চেষ্টা করছি না, তাও হাঁটছি । সোফায় বাড়ি খেলাম। কিন্তু কোন ব্যথা অনুভব করলাম না।
বাবা-মা, বোন সবাই গভীর ঘুমে। মনে হচ্ছে যেন কোন গ্রেইভ ইয়ার্ডে এসে পড়েছি । চোখের কোণে কি জানি দেখে মনে হল কে জানি বসে আছে সোফার উপর, সে দিকে তাকাতেই মনে হল দৌড়ে লুকিয়ে পড়ল ।
অবাক হয়ে লক্ষ্য করলাম আমার হাতে শান দেয়া ধারালো বটি ।
“হোয়াট দ্যা,” রেখে দিতে চাইলাম বটিটা, কিন্তু হাত আমার নির্দেশ অমান্য করল । অন্ধকারেও বটিটা ধারালো প্রান্তটা ঝিলিক দিয়ে উঠল।
আবার পা গুলো নিজের ইচ্ছের বিরুদ্ধেই হাটতে শুরু করল, আমি বাবা-মাকে ডাকার ব্যর্থ চেষ্টা চালালাম, কিন্তু পা গুলো নিজের রুমে ফিরিয়ে আনল আমাকে।
পাশাপাশি দুটো সিঙ্গেল বেড। ছোট ভাই নিজের বেডে ঘুমোচ্ছে। ওর বিছানার পাশে গিয়ে দাঁড়ালাম।
এতক্ষণে বুঝতে পারলাম অদৃশ্য কেউ একজন কার মাথার কথা বলছিল। মনে হচ্ছে কেউ জোর করে আমার হাতটা ওর গলার দিকে ঠেলে নিয়ে যাচ্ছে।
“জেসাস, প্লিজ ডোন্ট ডু দ্যাট”, একটা ধার্মিক ক্যাথলিক পরিবারে জন্মালেও চার্চ-গড এগুলার প্রতি কখনই তেমন আগ্রহ ছিল না, কিন্তু বিপদে পড়ে জেসাসকে ছাড়া স্মরণ করার মত কাউকে পেলাম না।
নিজেকে হালকা মনে হল, বটি ধরা হাতটা এতক্ষণ ছোট ভাইয়ের গলার দিকে এগোলেও হঠাৎ করেই থমকে গেল।
“প্লিজ, আই নিড দিস বডি”, মাথার ভেতর কেউ একজন এতক্ষণ মাথার কথা বললেও এখন বডির কথা বলছে।
“শাট আপ, ইয়্যু সন অফ এ বিচ”, হাতের নিয়ন্ত্রণ হারালাম আবারো। এবং হঠাৎ করেই বুঝতে পারলাম শয়তানটা গডের নাম নিলেই আমার নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছে ।
আবারো বিড়বিড় করে যীশুকে স্মরণ করা শুরু করলাম। বাইবেলের যে কয়টা ভার্স জানা ছিল আওড়াতে লাগলাম। কিন্তু জিভটা ভারী হয়ে এল, হাতটা আবারো কেউ ঠেলে নিতে লাগল গলার উপর ।
ঠিক তখনই মাথায় প্ল্যানটা এসে গেল ।
আমার ডান হাতটাই যদি না থাকে তাহলে আমাকে দিয়ে আমার ভাইকে খুন করার কাজটা করতে পারবে না, লুসিফার হোক বা আর যেই হোক ।
ডান হাতটা পড়ার টেবিলের উপর রেখে বাম হাতে বটিটাকে আঁকড়ে ধরলাম । হাতটাকে জোর খাটিয়ে নামিয়ে আনছি। কোপ মারার আগেই কি হল কে জানে, প্রচণ্ড ভাবে কাপতে লাগল বটি ধরা হাতটা।
এবার মুখের উপর নিয়ন্ত্রণ হারালাম, অন্য কারো ইচ্ছেই নয়। হঠাৎ করেই ভয় ঢুকে যাওয়ায়।
“ইয়্যু আর ইনসেইন, বাস্টার্ড,” মনের ভুলেই বলে উঠলাম এবং এখানেই ভুলটা করলাম। লুসিফার আমার মনের উপর পুরো নিয়ন্ত্রণ পেয়ে গেল । আমার ওখানে কিছুই স্পষ্ট মনে নেই, একটা ঘোরের মধ্যে ছিলাম কেমন জানি।
যখন ঘোর কাটল তখন দেখতে পেলাম আমার ছোট ভাইটা পড়ে আছে বিছানায়, ডান কানের কাছ থেকে বাম কানের কাছ পর্যন্ত গলাটা দুই ভাগ করা। মেঝেটা রক্তে ভেসে যাচ্ছে।
“ধন্যবাদ, এখন আমি একটা শরীরের মালিক হলাম”, কে জানি গা ঘিনঘিনে হাসির সাথে বলল কথাটা, গায়ের সব কটা লোম সরসর করে দাঁড়িয়ে গেল। পিছিয়ে যেতে চাইলাম, কিন্তু পায়ের নীচে থকথকে রক্ত। রক্তের উপর মুখ থুবড়ে পরলাম।
কি হল কে জানে, চুপিচুপি দরজাটা খুলে দৌড়াতে শুরু করলাম। এভাবে কতক্ষণ ছুটেছি খেয়াল নেই, একটা সময় মনে পড়ল অনেক বড় একটা ভুল হয়ে গেছে।
যেই বা যাই হোক না কেন, ওটা এখনও ঘরে রয়ে গেছে। ওখানে আমার বাবা-মাও, ওরাও নিরাপদ না।
প্রায় সকাল হয়ে গেছে। একটা রিক্সা ডাকলাম, কিন্তু রিকশাওয়ালা আমাকে দেখে কেমন করে চাইল!
“এক্সিডেন্ট করেছি”, মিথ্যে বলে কাজ হল। রিক্সা নিয়ে ঘরে ফিরে আসলাম। ঘরের দরজাটাও আগের মত ভেজানো। কোন সাড়া-শব্দ নেই ভেতরে। তাহলে কি যা হয়েছিল তা কোন রকম স্বপ্ন বা ঘোর?
কে জানে ! চোখের কোনে একটা অস্বাভাবিকত্ব ধরা পড়ল, একুরিয়ামটায় তরল পদার্থ। কিন্তু আমি শিউর ওটা খালি ছিল !
বাতি জ্বালাতেই মাথাটা ভোঁ-ভোঁ করে উঠল ।
চারটা মাথা, কাটা, রক্তে প্রায় অর্ধেক ভরে থাকা একুরিয়ামে ডুবে আছে !
দৌড়ে পাশের রুমে গেলাম, গা গুলিয়ে বমি এল দৃশ্যটা দেখে।
শরীর গুলো পড়ে আছে। সব কিছু ঠিক-ঠাক। শুধু মাথা নেই কারো । গলার কাটা জায়গাটা দিয়ে এখনও মাঝে মাঝে রক্ত গড়িয়ে নামছে। মেঝেতে রক্ত জমাট বেধে আছে । কালো, চোপচোপ রক্ত। মাঝখানে লাশ টেনে নেয়ার দাগটা স্পষ্ট ।
প্রচণ্ড কষ্টে মারা যেতে ইচ্ছে করল। নিজের রুমে ঢুকতেই কেমন অস্বস্তি লাগা শুরু হল। গড, রুমে আমি একা নই ! কিন্তু কাউকে দেখতেও পাচ্ছি না।
“তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ, অমিয়”, কে জানি খনখনে গলায় বলে উঠল।
“কুত্তার বাচ্চা, আমার ফ্যামিলিকে মেরে ফেলে এখন ধন্যবাদ জানাতে এসেছিস?” রাগের মাথার কি বলছি নিজেও জানি না।
“ওটা তোমার কারণেই সম্ভব হল, এখন তোমাকেও ওদের দলে যোগ দিতে হবে”, কালো একটা ছায়া জমাট বেধে উঠল এক কোনায়। ভয়ে কাপতে শুরু করলাম আমি।
ধীরে ধীরে একটা আকৃতি ধরতে শুরু করল ছায়াটা।
“বুঝতেই পারছ প্রথমে তোমার ভাই মিরান কে দিয়ে তোমাদের বাসার সবাইকে খুন করেছি, শেষ-মেষ ওকেও দুই টুকরো করে রেখে দিয়েছি। এখন আমি চারটা আত্মার মালিক।” ছায়াটা এগিয়ে আসছে আমার দিকে। দরদর ঘামছি, আর ভাবছি কিভাবে বাঁচা যায় পিচাশটার হাত থেকে!
বটিটা তুলে নিলাম পাশ থেকে, “তোর মত শয়তানের হাতে মরার চেয়ে নিজে নিজে আত্মহত্যা করাটাই বেটার”, গলার কাছে বটিটা নিয়ে গেলাম, ঠিক তখনই খেয়াল করলাম ছায়াটা থমকে দাঁড়িয়েছে। মাথাটা পরিষ্কার হয়ে গেল, বটিটা লোহার তৈরি। আর এই হারামিটার লোহাকে যত ভয়। সেই কারণেই ওদেরকে খুন করার জন্য আমার আর ছোট ভায়ের সাহায্য দরকার পড়েছে এর।
তিক্ত একটা হাসি ফুটে উঠল আমার ঠোঁটে, কিন্তু সেই হাসি উবে যেতেও বেশীক্ষণ সময় লাগল না। কারণ এরই মধ্যে অনেক বেশী শক্তিশালী হয়ে উঠছে এই অশরীরীটা ।
সম্ভবত টেলিপ্যাথি ধরনের কিছু করে আবার আমার নিয়ন্ত্রণ নিতে চাইছে । এটা কোন ভাবেই হতে দেয়া যাবে না। অন্তত আমার আত্মাটা ওর হাত থেকে বাঁচাতে হবে। কিন্তু অন্য মানুষদের এভাবে বিপদের মুখে ফেলে মারা যাওয়াটাও ঠিক হবে না। মনের উপর জোর করে দখল নিতে চাইছে, আর আমি যুদ্ধ করে চলছি মনে মনে, যাতে অন্তত কিছুটা সময় পাই ।
জানি বেশী সময় নেই হাতে, তবে যে সময় আছে তার আগেই পুরো ঘটনটা লিখে রাখছি একটা খাতায়। আর কতক্ষণ টিকে থাকব ঠিক নেই ।
বাম হাতে বটিটা ধরে আছি, ওটা থেকে রক্ত গড়াচ্ছে । হাত থেকে পিছলে যেতে চাইছে । ডান হাতে লিখে চলছি ঘটনাটা। সবাইকে জানিয়ে যেতে হবে যে শয়তানটা কিভাবে মানুষের শরীরের নিয়ন্ত্রন নেয়, আর কিভাবে সেটা দিয়ে আত্মা দখল করে !
শয়তানটা আমার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ফেলেছে প্রায়। তবে কিছুতেই নিজেকে ওর হাতে সপে দেয়া যাবে না।
~পরিশিষ্ট~
উত্তরা থানার ওসি দু’তলা বিল্ডিঙটা থেকে নেমে এলেন । ঘটনার বীভৎসতায় একটু ভড়কে গেলেও স্বাভাবিক থাকার চেষ্টা করছে। কারণ এখন উনাকে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হতে হবে।
“কেইস খুব সিম্পল। মানসিক বিকার গ্রস্ত এক ছেলে নিজের পরিবারের সবাইকে খুন করে নিজেও আত্মহত্যা করেছে ।”
সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে স্টেইটমেন্ট দিয়ে দিল ওসি রুবায়েত হোসেন।
কিন্তু কাজটা ঠিক হয়নি, কারণ ওনাকে ছেলেটার লাশের নিচে সন্দেহজনক একটা ডায়রি পাওয়া গেছে, রক্তে ভেজা ! উনারা অনেক চেষ্টা করেও কিছুই বুঝতে পারেন নি । হোমিসাইড ডিপার্টমেন্টকে কেইসটা দেখার জন্য বলে দিয়েছেন উপর থেকে।
নিজের এলাকার কেইস অন্যের হাতে চলে যাচ্ছে এটা মেনে নিতে হচ্ছে, কিন্তু স্টেইটমেন্ট দিয়ে নিজের কর্তৃত্ব ফলানোর চেষ্টা করছেন এখনো ।
-“স্যার!” পেছন থেকে একটা মেয়ে কষ্ট বলে উঠল ।
-“ইয়েস?” পেছন ফিরে স্বভাবসুলভ রাশভারী গলায় জানতে চাইলেন ওসি রুবায়েত।
-“স্যার, আমি জুনিয়র ইনভেস্টিগেটর শাহীন কামাল। ক্রিপ্টোলজি। শুনলাম কোড ইউজ করে লেখা একটা ডায়রি ধরনের পাওয়া গেছে, ওটা ক্রিপ্টো ডিপার্টমেন্টে নিয়ে যেতে এসেছি।” মেয়েটা মৃদু হেসে বলল। ওসি রুবায়েত মেয়েটাকে আগে কখনও দেখে নি, ধরেই নিল নতুন রিক্রুট । বুঝায় যাচ্ছে নতুন ডিপার্টমেন্ট বেশ ভালই এগুচ্ছে। কিন্তু বুঝতে পারল না ডায়রির খবরটা ওরা কি করে পেল, -“সম্ভবত অতি উৎসাহী কারো কাজ, পরে বিষয়টা দেখতে হবে।” মনে মনে ভাবলেন ওসি রুবায়েত ।
-“আচ্ছা, নিয়ে যান। ডিসাইফার করে জানাবেন আমাকে।” বেশি ঘাটালেন না ক্রিপ্টোলজিস্টকে।
-“আসলে স্যার আমি ডায়রিটা উপর থেকে দেখে এসেছি, ওরা নিতে দিচ্ছিল না দেখে আপনার অনুমতি নিতে এলাম। ওটা দেখে মনে হচ্ছে খুব সহজেই সল্ভ করা যাবে, কারণ লেখার ধরনটা আমি ধরতে পেরেছি। ওটা আসলে আমাদের পরিচিত বাংলাতেই লেখা, শুধু উলটো থেকে লেখা। মিরর রাইটিং বলা যায়।”, মেয়েটা এক নাগাড়ে বলে গেল কথাটা।
এত সহজ বিষয়টা ধরতে পারল না বলে নিজের উপর বিরক্ত লাগল উত্তরা থানার ওসি সাহেবের । মেয়েটার পা থেকে মাথা পর্যন্ত দৃষ্টি বোলালেন উনি, অন্য দিকে ফিরতে যাবে। কিন্তু একটা অস্বাভাবিকত্ব দেখে খুব দ্রুত ফিরে তাকালেন মেয়েটার গলার দিকে ।
-“কোন সমস্যা, স্যার?” মেয়েটা সপ্রতিভ ভাবে জিগ্যেস করল।
-“নাহ, আপনি যেতে পারেন।”
মুখে না বললেও মনের ভেতর খচখচ করতে লাগল ওসি রুবায়েতের। উনার মনে হয়েছিল মেয়েটার ডান কান থেকে বাম কান পর্যন্ত গলার কাছে একটা কাটা দাগ ।
“ধুর, চোখের ভুলও হতে পারে!”
মনে মনে নিজেকে বোঝালেন ওসি রুবায়েত হোসেন ।