চোখে মুখে একটা বিরক্তিরভাব স্পষ্ট হয়ে ফুটে উঠেছে হাসানের।কারনটা অবশ্য স্বাভাবিক ওর জায়গায় যে কেউ থাকলেও এভাবেই বিরক্ত হতো।
একে তো লোকাল বাসে উঠেছে তার উপর দু দুবার টায়ার পাংচার হয়ে পুরো আড়াই ঘন্টা লেট।
এজন্যই লোকাল বাসে উঠতে ইচ্ছে করে না তার।
তবে না চড়েও উপায় ছিল না,কারন সে যেখানে যাচ্ছে সেখানে যাবার এই একটাই গাড়ি।
এন.জি.ও তে চাকরি করাটাই আসলে ঝামেলা,বেতন যেমন কষ্ট তার দ্বিগুন।
কোথায় ভেবেছিল মামাতো ভাইয়ের বিয়ের দাওয়াত খেতে যাবে,মোটামোটা ফার্মের মুরগীর হাড্ডি চাবাবে।
তা না শেষ মুহূর্তে বসের অর্ডার এল।আর কি,দে ছুট।
সে এখন যেই গ্রামে যাচ্ছে তার নামটাও ভারি অদ্ভুত,সরাজকান্দি।
চারিদিকে ঝিঁঝিঁর ডাক আর জোনাকির আলো ছাড়া কিছুই দেখা যাচ্ছে না।কি আজিব পোকারে বাবা এই জোনাকি,পিছে বাত্তি নিয়া ঘোরে।
অন্ধকারে চোখ সয়ে আসতে কিছুটা সময় লাগল হাসানের।দৃষ্টিটা একটু প্রখর করে এদিকসেদিক তাকাল সে।
ওইতো একটা দোকান দেখা যাচ্ছে,অন্ধকারে তো এতক্ষন চোখেই পড়ে নাই।
দোকানদার ঝাপটা ফেলে ঘুমুতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
>এই যে ভাই শুনছেন,এটাই কি সরাজকান্দি গ্রাম?
দু’চার কদম এগিয়ে কথাটা বললো হাসান।
>না ভাইজান,সরাজকান্দি এখান থেইক্কা আরও ২কিলো।
তয় আফনে কেডা?আগে তো কোনসুমে দেহি নাই।কিছু কি কিনবেন নাকি?
মুখে চিবুতে থাকা পানের পিকটা ফেলে উওরের আশায় হাসানের দিকে ফিরলো দোকানদার।
>নারে ভাই আপাদত কিছু লাগবে না।আমার নাম হাসান চৌধুরি।এন.জি.ও তে চাকরি করি।ওই গ্রামে একটা কাজে আসছি।
এখান থেকে গ্রামে যাওয়ার কোন ব্যাবস্থা নাই?
রিকসা,ভ্যান কোনটাই তো দেখতে পারছি না।
>ভাইজান ঘড়ি দেখছেন?এহানে সন্ধ্যা রাইতেই হগলে কাইত হইয়া যায়।আর আফনে এত রাইতে রিসকা টোকাইতাছেন?
লোকটি একটা ফিচলে হাসি দিল।
না মানে বাসটা একটু লেট করলো তো,তাই এতটা রাত হল।থাক্ আমি না হয় হেঁটেই যাব,বেশী দূরের পথ তো নয়।রাস্তাটা কোন দিকে ভাই?
>ওইত্তো পূব দিকের রাস্তা ধইরা আগান।তয় ভাইজান আফনে তো নয়া তাই একখান কথা আফনের কইয়া দিতাছি।
কিছু দূর আগাইলেই রাস্তাডার দুইডা মোড় দেখবেন।আমরা ওইডারে তেরাস্তার মোড় কই।দুই রাস্তা দিয়াই গেরামে যাওন যায়।তয় ওইখানথেইক্কা ডান দিকের রাস্তা ধরবেন।বামদিকের রাস্তাডা খারাপ,ভাল না।ওই দিগ দিয়া যাইয়েননা।
>খারাপ মানে?
>খারাপ মানে ভালা না আরকি।ওই পথে ডাকিনী আছে।ডাকিনীর কাম মানুষ ধরন।
>ধুর মিয়া,কি বলেন এইসব উল্টাপাল্টা।বাচ্চারে আলিফ লায়লার কাহিনী শুনাচ্ছেন।
গাঁজা খাইছেন নাকি? হা হা হা।
সশব্দে হেসে উঠল হাসান।
সব কথা হাইস্সা উড়াইয়া দিয়েন না রে ভাই,মুসিবতে পড়বেন।আমি আজাইরা আপনেরে ভয় দেহাইতে যামু ক্যান?
গেরামে এইরকম কত কিছুই থায়ে।ওই রাস্তায় দিনের বেলায়ও কেউ যায় না।আফনের ইচ্ছা হইলে যাইয়েন।সিগারেট খাইবেন?
>নাহ্ ,আমি এইসব খাই না।
দোকানদার খানিকটা বিরক্ত হয়ে ঝাঁপটা ফেলে ভেতরে ঢুকে গেল।
হাসান আর কথা না বাড়িয়ে হাঁটতে লাগল।রাস্তাটা খুব সুনসান।এইধরনে পরিস্থিতিতে পড়তে হবে জানলে একটা টর্চ অবশ্যই সাথে রাখতো সে।আকাশে চাঁদও নেই।
এখন আর কি করা,প্রকৃতির আলোয় যতটুকু দেখা যায়।
হাসান যতই এগুচ্ছে ঝিঁঝিঁর শব্দ ততই বেড়ে চলেছে।অবশেষে তেরাস্তার মোড়টা চলে এল।
দোকানদারের কথা মত দুটো রাস্তাই দেখা যাচ্ছে।তবে দোকানি বলেছিল যে ডানদিকের রাস্তা ধরে এগুতে।
কিন্তু ডানদিকের রাস্তাটাই তো বেশি ভয়ঙ্কর লাগছে।শুরুতেই বাঁশঝাড়।ঝোঁপালো অন্ধকার পথ।অপরদিকে বামের রাস্তাটা অন্ধকারে যতটা দেখা যায় তাতে তো ভালই মনে হচ্ছে।পরিষ্কার মেঠো পথ।
কিছু কিনে নি বলেই কি দোকানি তাকে ঠকালো?
মেজাজ খানিকটা চড়ে গেল হাসানের।মনে মনে ঠিক করল যে যাওয়ার বেলায় মজা দেখাবে দোকানি ব্যাটাকে।অসহায় মানুষ পেয়ে ঠকানো?
একবার হাতের কাছে পেলেই হয়।
এইসব কথা ভাবতে ভাবতে বামের পথ দিয়েই হাঁটতে শুরু করলো সে।
প্রায় ১ কি:মি: হাঁটার পর একটা ঘর দেখতে পেল হাসান।
পুরাতন ধাঁচের একটা দোচালা বাড়ি,তবে একদম নিশ্চুপ।দরজা জানালা বন্ধ।
মানুষজন কি নেই নাকি!
>হ্যালো..কেউ কি বাড়িতে আছেন?
গলা চড়িয়ে বললো হাসান।
খুঁট করে দড়জা খোলার শব্দ হলো।ভেতর থেকে উঁকি দিল একটি মুখ।
মনে হচ্ছে মহিলা।হাসানের ধারনা সঠিক প্রমান করেই মহিলাটিবলে উঠল,
>কি চাই এত রাইতে?
>দেখুন আমি একজন এন.জি.ও কর্মী,যাচ্ছিলাম সরাজকান্দি।খুব পানির পিপাসা পেয়েছে তাই আপনাকে বিরক্ত করলাম।দয়া করে একটু পানি খাওয়াবেন?
মাঝরাতে ঘুম ভাঙ্গিয়ে কেউ যে পানি চাইতে পারে তা মনে হয় মহিলাটি আশা করতে পারেনি।তবু ভদ্রতা স্বরূপ বললো,
>ভিতরে আহেন।
ঘরের ভেতর ঢুকলো হাসান।ছিমছাম ঘর,তেমন আসবাব নেই।বিছানা হিসেবে ঘরের কোনায় খড়ের উপরে একটা মাদুর বিছানো।একটা পানির কুঁজও দেখা যাচ্ছে।পাশেই মনে হয় রান্নার ঘর।দড়জাটায় একটা ছালা ঝুলানো।ঘরে মাটির দু তিনটা প্রদীপ রাখা,টিমটিমে আলো ছড়াচ্ছে।দড়জা ভেরানোর শব্দে পিছে তাকালো সে,তাকিয়েই চমকে গেল।মহিলাটি হাত থেকে রামদাটা রাখছে।হাসান খানিকটা ভয় পেল।মহিলাটি বোধয় তা বুঝতে পেরেছে।
>ডরাইয়েন না।ভাবছিলাম চোর বদমাইস্ ,তাই ওইডা…।আসলে একলা থাকি তো।আমার স্বামি আবার মাডি কাডইন্না বদইল্লা।দু দিন হয় পাশের গেরামে মাডি কাটতে গেছে।একলা মাইয়া মানুষ তাই সাবধান তো থাকনি লাগে কি কন?
এই লন পানি।
মাটির কুঁজ থেকে পানি ঢেলে এগিয়ে দিল হাসানের দিকে।ভদ্রতার হাসি হাসল হাসান।এতক্ষন যাকে মহিলা মনে হচ্ছিল প্রদিপের আলোতে বুঝা গেলসে আসলে একটা মেয়ে।উজ্জ্বল শ্যামলা গায়ের বর্ণ,চোখগুলো পটলচেরা।খুব মায়া ওই দু চোখে,যেন হাজার বছর তাকিয়েই কাটিয়ে দেয়া যাবে।
>একা বাড়িতে থাকেন কেন?ভয় লাগে না?
>ভয় পাইলে কি করুম?একলা থাকতে হইলে এত ডরাইলে কি চলে?বাঁকা হাসি দিল মেয়েটি।
>কুকুর পুষলেই তো পারেন।
>কুত্তাগো আমারে সহ্য হয় না।তাই পুষি না।
>মানে?এবার একটু অবাক হলো হাসান।
>মানে আবার কি,আমার তাইনে কুত্তা দেখতে পারে না।তাই..।
আফনে র মুখটাতো হুগাইয়া দড়ি বইট্টা গেছে।ক্ষিদা লাগছে না?
দাঁড়ান আফনেরে খাওন দেই।
বেশি কিছু নেই ভাত,ডাল আর আলু সিদ্ধ।মজার খাবার।কিন্তু জার্নির কারনেই মনে হয় কোন কিছুরই স্বাদ পাচ্ছেনা হাসান।যেন কিছুই খাচ্ছে না।
খেতে খেতে কিছু একটা আমতা আমতা করে বলতে চাইল হাসান।
আচ্ছা আপনাকে একটা কথা বলি?
আপনাদের এই পাশটায় ডাকিনী নামের কোন কিছুর কি অস্তিত্ব আছে?
হাসানের আচমকা এইধরনের প্রশ্নে মেয়েটা খানিকটা অবাক হলো।পটলচেরা চোখগুলো বড় বড় করে বললো,
>আফনে কেমনে জানলেন এইসব?
হ,এককালে ডাকিনী আছিল,তয় অখন নাই।
বর বদ কিসিমের মাইয়া মানুষ,তয় হুনছি নাকি অনেক সুন্দর মায়া মায়া চেহারা আছিল।
ওয় শয়তানের সাধনা করতো,প্রতি অমাবস্যার রাতে একটা কইরা পুরুষ মানুষ বলী দিত।অনেকদিন ধইরা চলতাছিল ওর শয়তানি।
অবশেষে গ্রামবাসীরা কেমনে জানি জানতে পারল,হের পরে একরাইতে সবাই মিল্লা ওর বাড়ি ঘেরাও দিল।ডাকিনীরে চুলের মুঠি ধইরা হেঁচড়াইয়া বাইরে লইয়া আইসা পরথমে দড়ি দিয়া শক্ত কইরা বান্ধল।হেরপর চাইরপাশে শুকনা কাঠ সাজাইয়া জ্যান্ত পোড়াইয়া মারল শয়তানডারে।
তয় জানেন তো,নানির মুখে হুনছিলাম এইসব জিনিস নাকি মইরাও মরেনা।
ডাকিনী ছিল ছলনাময়ি,সে ছল কইরা মায়া দেখাইয়া অনেক মাইনষেরে সহজেই ফাঁসাইতে পারতো।
কথাগুলো গরগর করে এক নিঃশ্বাসে বলে গেল মেয়েটি।
আপনি এত কিছু কিভাবে জানেন?
বিস্ময় জড়ানো কন্ঠে জিজ্ঞেস করলো হাসান।
>এইডা আর এরূম কি খবর!
আফনেও কত্ত জানবেন…।
গেরামে থাকলে কতকিছুই জানন যায়।
অখন খান তো,খানার সময় বেশি কথা কইয়েন না।
আরেক চামুচ ভাল হাসানের পাতে তুলে দিল মেয়েটি।
মাদুরের উপর বেশ সুন্দর করে একটা জংলা ছাপার শাড়ি বিছিয়ে দিয়ে বিছানাটা সাজানো হয়েছে।যদিও এই ধরনের বিছানায় ঘুমানোর কোন প্রকার পূর্ব অভিজ্ঞতা নেই হাসানের,তবে এই পরিস্থিতিতে ব্যাবস্থাটা একেবারেই ঈদের চাঁদ হাতে পাওয়ার মতই।
>নেন,খাওন সারছে এইবার হুইয়া পরেন।
>একি! আপনি আমার জন্য বিছানা সাজাইছেন যে?আমি তো এখন সরাজকান্দির দিকে রওনা দেব।
>না না এইসব তো হুনমু না।মেহমান মানুষ,এত রাইত কইরা তো আর যাইবার দিতে পারি না।কাইল ভোরে উইট্ঠা যেদিকে যাওনের যাইবেন।
ও…আর একখান কতা,বাইরে যাওনের দরকার লাগলে আমারে ডাক দিয়েন আমি রান্দনের ঘরে আছি।পন্ডিতি কইরা অতি সাহস দেখাইতে বাইরে ঘুইড়েন না কিন্তু।আইজকা আবার অমাবশ্যা,একলা বাইরনের দরকার নাই বুঝলেন।
আফনের ব্যাগটা এই কোনায় রাখলাম।পিদিমডাও জ্বালাইন্না রইলো।
>ঠিক আছে যান।আমি শুয়ে পড়বো।
মৃদু হেসে বললো হাসান।
>ও…আপনার নামটা কিন্তু জানা হলো না।
>কাজল।
নরম কন্ঠে নামটা বলেই মেয়েটা ছালা সরিয়ে পাশের ঘরে চলে গেল।
ওই ঘরে কোন প্রদীপ নেই তাই কিছুই দেখা যাচ্ছে না।
কাল সকালে উঠেই সরাজকান্দি, তারপর বাড়ি ফিরতে হবে।কত কাজ পরে আছে বাড়িতে।
যাক রাতের একটা ভাল আশ্রয় মিললো।
নামের মত অচেনা এই মেয়েটাও বেশ ভাল।মেয়েটার কথা ভাবতে ভাবতেই কখন যে ঘুমিয়ে পড়ল টেরই পেল না হাসান।
গভীর রাতে হঠাত্ খচ্ খচ্ আওয়াজে ঘুম ভেঙ্গে গেল তার।
তন্দ্রাচ্ছন চোখজোড়া মেলে দেখল,হাসি হাসি মুখ করে মেয়েটি তার পায়ের কাছটায় বসে আছে।চমকে গেল হাসান।
>আপনি এখানে?কি হল কোন সমস্যা?
কাঁপা কাঁপা গলায় বললো সে।
ঘুমের ভাবটা কাটতেই হঠাত্ খেয়াল করলো ঘর জুড়ে একটা বিশ্রি পোড়া গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে।
বদলে যাওয়া চারপাশটা হাসান বিস্ফোরিত দৃষ্টিতে দেখতে লাগল,
অলৌকিকভাবে নিজেকে আবিষ্কার করলো একটি পুড়ে যাওয়া বিদ্ধস্থ ঘরে।
চোখগুলো আতঙ্কে প্রায় বেড়িয়ে আসতে লাগল তার।
এইবার মেয়েটির চেহারার দিকে তার চোখ গেল।
হঠাত্ করেই ধীরে ধীরে পাল্টে যাচ্ছে মেয়েটির চেহারা।কুঁচকে কেমন যেন বঁটে যাচ্ছে গায়ের চামড়া।
বেড়িয়ে আসছে বিভত্স পোড়া একটি মুখ,যার চোখের কোঠোর দুটি ফাঁকা।
গলে গলে পড়ছে শীর্ন হাতের চামড়াগুলো।
গলে লেপ্টে যাওয়া ঠোঁটের কোনায় শয়তানি হাসি।
অসম্ভব ভাবে হৃদস্পন্দন বের যাচ্ছে হাসানের,ঘামে ভিজে উঠছে সারা শরীর।ওটার পায়ের দিকে নজর গেল তার।সাধারন মানুষের মত না বরং উল্টো দিকে মোড়ানো।
কোন প্রকারের চিত্কার করতে পারছে না সে,বাকশক্তি হারিয়েছে যেন।কিন্তু ইচ্ছে করছে চিত্কার করে বলতে,
কেউ কি আছ,প্লিজ বাঁচাও আমাকে।প্লিজ।
অসহায়ের মত ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে আছে হাসান,নড়তে পারছে না সে,এই কি তবে সেই ডাকিনীর মায়া।
পরদিন সকালে সরজকান্দি যাওয়ার রাস্তায় ব্যাপক হট্টগোল।অনেক মানুষ জড়ো হয়ে আছে এক ব্যাক্তির লাশকে ঘিরে।
কে যেন নৃসংশভাবে মেরে ফেলেছে লোকটাকে।
বুকের বা পাশে বিশাল গর্ত,হৃদপিন্ডটা নেই।কোন অজানা বিভিষীকা যেন শকুনের মত ছিড়ে খেয়েছে কলজেটা।
গলার শিরাগুলো ছিন্নভিন্ন,চোখ দুটো যেন আসন্ন বিপদের আতঙ্কে কোটর থেকে বেড়িয়ে আসছে।হা করে থাকা মুখের উপর দু একটা মাছি উড়ছে।শরীরে একবিন্দু রক্তও অবশিষ্ট নেই বোধহয়।
বাদিকের রাস্তায় ঝোপের ধারে পড়ে আছে লাসটা।পাশে কিছুটা দূরে লোকটার ব্যাগটা ধূলোয় পরে আছে।
ভীর ঠেলে গত রাতের দোকনদারটা বেড়িয়ে আসল।
>আরে এইডা তো সেই এন.জি.ও-র ব্যাডাডা।কি যেন নামডা. . .।
ও… মনে পড়ছে।হাসান ,হাসান চৌধুরি….মনে হয়।
কাইল রাতেই আমার লগে দেহা হইছিল।সরাজকান্দি যাইবো কইছিল।আমি সাবধান করছিলাম।বার বার কইরা মানা করছিলাম বামদিকের পথটায় যাইয়েন না।
হুনলো না,ঠিক ডাকিনীর মায়ায় পড়লো।আহারে. . . !
সকলের মাঝে মৃদু কথার গুন্জ্ঞন উঠলো।সবাই মিলে লাসটাকে আইডি কার্ডের ঠিকানা অনুযায়ি পাঠানো ব্যাবস্থা করার সিদ্ধান্ত নিল।তবে আগে পোষ্টমর্টেম করতে পাঠাতে হবে।
এ যাত্রায় হাসানের আর বাড়ি ফেরা হল না…
……………………………………………………………(সমাপ্ত)…………………………………………………….