বেঁশো আর হোয়াইট লেডি

বেঁশো আর হোয়াইট লেডি

বেঁশো ভূত

খবর্দার, ভুলেও অন্ধকার ঘনালে বাঁশঝাড়ের পাশ দিয়ে যাবার সময় কোন বাঁশ হেলে মাটিতে পড়ে থাকলে তাকে টপকে যেয়ো না। ওই বাঁশ হঠাৎ চড়চড় করে সোজা হয়ে যেতে পারে। শুয়ে থাকা বাঁশকে ধৃষ্টতা দেখিয়ে ডিঙিয়ে যাবার মজা টের পাওয়াতে তুলে নিয়ে যেতে পারে মাটি থেকে অনেক উঁচুতে। তারপর সোজা আছড়ে ফেলবে মাটিতে। অবধারিত মৃত্যু।

এই ঘটনাটা যদি ঘটে তবে বুঝবে ওই বাঁশবাগানটা সাধারণ নয়। ওখানে ওনাদের বাস। মানে

বেঁশোভূতের আখড়া ওটা।

বেঁশোভূত গ্রামেগঞ্জের বাঁশঝোপে থাকে। মাটিতে পড়ে থাকা গোঁড়া সুদ্ধু বাঁশের আচমকা সোজা হয়ে যাবার কারণ, ওই ওনাদের রাগ।

শুয়ে থাকা বাঁশকে টপকে না গিয়ে পাশকাটিয়ে ঘুরে গেলে অবশ্য ক্ষতি হবার ভয় নেই। বেঁশো ভূতের উপস্থিতি আরও টের পাওয়া যায় যদি দেখা যায় কোন কারণ ছাড়াই হঠাৎ করে বাঁশবনে আচমকা হাওয়া বওয়া শুরু হয়।

গ্রাম বাংলার লোকেরা বিশ্বাস করে এটা হল  বেঁশোভূতেদের ইশারা। বাঁচতে চাইলে শিগগিরি পালাও।

ব্রিটেনের সাদা মেয়েভূত 

সাদা মেয়েভূত  বা হোয়াইট লেডি একটি আপাদমস্তক সাদা পোশাক পরিহিত মেয়ে ভূত। পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে এই ভূতের দেখা পাওয়া যায়। একেক দেশে এই ভূতের চরিত্র একেকরকম।

ব্রিটেনের কিম্বদন্তী অনুযায়ী এই মেয়েভূত বা পেত্নীর উপস্থিতি কোন বাড়ির কাছাকাছি টের পাওয়া গেলে বুঝে নিতে হবে ওই বাড়িতে মৃত্যু আসন্ন। এই পেত্নীর দেখা দিনে রাতে যেকোনো সময়ই পাওয়া যেতে পারে।

নাত্তাল এনসাইক্লোপিডিয়ার (Nuttall Encyclopedia) মতে হোয়াইট লেডি কোন মৃত আত্মীয়ের আত্মা।

“হোয়াইট লেডি”, “রানিং লেডি” নামেও পরিচিত। ব্রিটেনের ইস্ট ইয়র্কশায়ারের ‘বিফোর স্ট্রেট’ রাস্তায় নাকি প্রায়শই এই সাদা পেত্নী হানা দেয়।অনেক গাড়ি চালক সাদা পোশাকের এই পেত্নীকে দৌড়ে রাস্তা পেরোতে দেখেছেন।

এক মোটরসাইক্লিস্ট একবার আপদমস্তক সাদা পোশাকে মোড়া এক মহিলার হাতের ইশারায় তাকে বাইকের পেছনে বসিয়েছিল ‘লিফট’ দেবার জন্য। মাইল খানেক যাবার পর মোটরসাইক্লিস্ট টের পান, পেছনের আসনে কেউ বসে নেই।

বেশকিছুদিন আগে এক সাদা পোশাকের মহিলাকে আচমকা রাস্তার মাঝে দেখে এক গাড়ির চালক আচমকা ব্রেক কষেন ও গাড়িটি গিয়ে সোজা একটা গাছে ধাক্কা খেয়ে উলটিয়ে যায় ও গাড়ির ছয় আরোহী মারা যায়। বিশ্বাস ওই মহিলাটা ছিল হোয়াইট লেডি।

কথিত, ১৯৮৩ সালে এক গাড়ি দুর্ঘটনায় এক মহিলার এই রাস্তায় অপমৃত্যু ঘটে। অকালে মৃত ওই মহিলার প্রেতাত্মা প্রায়শই গাড়ির রাস্তায় শুয়ে পড়ে সাহায্য চেয়ে চিৎকার করতে থাকে। কোন গাড়ি আরোহী যদি ওই মহিলাকে সাহায্য করতে গাড়িতে তুলে নেয় তবে খানিক পরেই দেখেন ওই মহিলার সমস্ত শরীর দিয়ে রক্ত ঝরেছে। আর মহিলা অচিরেই স্টিয়ারিংএর ওপর ঝাঁপিয়ে পরে গাড়িকে কোন গাছের গায়ে আছড়ে পড়ে আরোহীদের মেরে ফেলে। ঠিক যেখানটায় ওই মহিলা মাড়া গেছিলেন।

ব্রিটেনের গল্পকথায় আছে বত্রিশ সন্তানের জনক এক মহিলা পোর্টচেষ্টার কেল্লার ছাদ থেকে লাফিয়ে পরে আত্মহত্যা করেছিলেন। তারপর থেকে ওই মহিলা সাদা বেশ পরে ওই কেল্লার আনাচে-কানাচে ঘুরে বেড়ায়।

গল্পের বিষয়:
ভৌতিক
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

সর্বাধিক পঠিত