মজলিশ পুর গ্রাম, এ গ্রামে লোক সংখ্যা খুবই কম। তাই বলে গ্রামটা কিন্তুু ছোটো নয়। গ্রামের লোক গুলো খুব সহজ সরল। ঝগড়া বিবাদ মারামাড়ী রাজনিতী কোনোটার ছোয়া পরে নি গ্রামটিতে, এখানে আমার মামার বাড়ি, ২০০৩ শালে গিয়েছিলাম বেড়াতে,
উপজেলা থেকে গ্রামটার দুরত্ব ছয় শাত কিঃ মিঃ।
মেইন রাস্তা পার করে বারো ফিটের একটা রাস্তা চলে গেছে আমার মামার বাড়ির দিকে। যাবার সময় হাতের ডান দিকে একটা ঈদ গাহ্, তার আশে পাশে অনেক গুলো বাড়ি, কিছু দুর আসার পর হাতের বায়ে একটা কবরস্হান ও মাদ্রাসা, তার পর আর কোথাও বাড়ি ঘড় নেই।
চাঁদনী রাত মামাতো ভাই বোন সবাইকে নিয়ে আড্ডা দিচ্ছি, বিদ্যুৎ চলে গেছে, কখন আসবে তার কোনো ঠিক নাই। পল্লী বিদ্যুৎ বলে কথা।
মামি বলে গেলো কারেন্ট আসার সাথে সাথে সবাই খেতে আসবা। খাবার খেয়ে যত খুশি গল্প করবা। এর মোধ্যে ছোটো মামা এসে হাজির। আমার ছোট মামা প্রচুর গল্প জানেন। তাও আবার ভুতের গল্প, মামাকে বললাম একটা গল্প শোনান না,,,, মামা বললেন কি গল্প শুনবি, আমি বললাম ভুতের গল্প, সবাই আমার দিকে তাকিয়ে আছে, কারন ভুতের গল্প সবাই পছন্দ করে না। আমি শহরের ছেলে ভুতের গল্প আমার কাছে রুপ কথার গল্প বলে মোনে হয়।
ছোটরা তো ভুতের কথা শুনে ভয়ে চেপে চেপে বসলো।
মামা শুরু করলেন একটা গল্প, এই গ্রামের পাশের গ্রাম, মামা তখন তিন রাস্তার মোড়ে দোকান করতেন অনেক রাত পর্যন্ত, মামার দোকানে খবর আসলো পাশের গ্রামের একজন লোক আত্ম হত্যা করেছে, লোকটা কোন কারনে যে আত্ম হত্যা করলো কেউ বুঝে উঠতে পারছেনা। মামা বললো সকালে নাকি তার দোকানে একবার এসেছিলো।
পুলিশ কেস, তাই কেউ লাশের গায়ে হাত লাগায় নি। থানায় খবর দেওয়া হয়েছে,
সন্ধ্যা থেকে শুরু হোলো বৃষ্টি, বৃষ্টি তো বৃষ্টি প্রচুর বৃষ্টি। লাশটা নাকি এখনো আমগাছের ডালে ঝুলছে। বৃষ্টির কারনে লোকজন কম যে মারা গেছে শুধু তার পরিবারের কয়েক জন আর প্রতিবেশি কয়েক জন। অনেকেই বলছিলো লাশটা নিচে নামিয়ে রাখতে। কিন্তুু বয়োঃ জারা তারা বলল মরার পরে আর কি থাকে। পুলিশ কেস দরকার নাই। পুলিশ আসুক তার পর যা করার করা যাবে।
পুলিশ আসতে আসতে রাত পোনে এগারোটা বেজে গেলো। নানা রকম জিগ্গাসা বাদ করার পর। লাশ নামিয়ে ভ্যান ঠিক করে থানায় নিয়ে গেলো।
পা চালিত ভ্যান, ভ্যান চালোক আর একজন সিপাহি। দারোগা মটর সাইকেল নিয়ে চলে গেলো আগেই।।
রাস্তা একেবারে কমও না, তারপর মরার পর মানুষ নাকি অনেক ভারি হয়। বের হতে হোতে প্রায় সারে বারোটা বেজে গেলো।
সিপাহিটা নানা রকম গল্প করতেছে ভ্যান চালকের সাথে, যেমন, লোকটা কেমন ছিলো, নেশা করতো কি না ছেলে মেয়ে কজন, কত বছর ধরে ভ্যান চালাও ইত্যাদি। আর আস্তে আস্তে এগিয়ে চোলছে ভ্যান।
সাথে পুলিশ থাকাতে ভ্যান চালকের ভয়ের কোনো কারন নাই, তার পর লাশটা তার পরিচিত। কিছুদুর যাবার পর চালক খেয়াল করলো লাশটা বুঝি পাশ ফিরে শুলো। কারন ভ্যান গাড়িটা নরে উঠলো, সে গুরুত্ব দিলনা।হয়তো ঝাকুনিতে এমন মনে হয়েছে। আবার কিছুদুর যাবার পর মনে হোলো লাশটা উঠে বসলো। চালক পিছন ফিরে দেখলো