সিলেট জিন্দাবাজার শহরে রহস্যময়
একটা বাড়ি আছে,যেট পুরো জিন্দাবাজার এলাকটা কেই দারুন আকর্ষন করে।ওই এলাকার লোকজনেরা এই বাড়িটা রহস্যময়ী বাড়ি নামে পরিচয় দিতে পছন্দ করে।
পাহাড়ের চূড়ায় দাড়িয়ে থাকা একটা
বাংলো এটি,সরু একটা রাস্তা উঠে গেছে বাংলোটার দিকে।
যতদুর জানা যায়,এই বাড়ির মালিক
একদিন কোন এক কারনে তার পরিবারের সবাই ধারালো দা দিয়ে কুপিয়ে খুন করেন,পরে নিজেও আত্তহত্যা করেছিলেন।তারপর থেকেই এটা হানাবাড়িতে পরিনত হয়।পাশেই ঘোড়ার একটা আস্তাবল,
লোকে বলে বাড়ির মতই আস্তাবলটা
অভিশপ্ত আর ভুতুড়ে।কখনও সিলেট
জিন্দাবাজার এলাকায় যদি বেড়াতে
যান তবে দেখবেন রোমাঞ্চোপ্রিয় সিলেটিদের কেউ কেউ নুড়ি বিছানো
পথ ধরে গাড়ি নিয়ে চলেছে ওটা কে
এক নজর দেখার জন্য।তবে সাধারণ ত গাড়ির নিরাপদ আশ্রয়ে থেকে কিছুটা দুরে থেকে বাড়িটা দেখে চলে
আসে তারা।তবে সবাই তাদের মত বুদ্ধিমান নয়,এদের একেকজনেরই
কাহিনী এটি।
এক রাতে দারুন উত্তেজনাকর এক
পার্টি শেষে বেশ কয়েকজন তরুন তরুনী রহস্যময়ী সেই বাড়িটায় একটা চক্কড় দেবে।তারা বাড়ির কাছা
কাছি গিয়ে গাড়ি দাঁড় করালো।
তারপর গাড়ির হেডলাইট জ্বালিয়ে
বাড়িটা দেখতে লাগলো।
একপর্যয়ে বাড়িটার ভিতরে ডুকবে কি ডুকবে না তা নিয়ে তর্কাতর্কি শুরু
হয়ে গেলো তাদের মধ্যে।
তাদের সেই তর্ক ক্রমেই চেচাঁমেচিতে
রুপ নিলো।শেষমেশ বাড়িটাতে ডুকাই স্তির হলো।
হৈ হোল্লা আর চিৎকার করতে করতে
গাড়ির ভেতর থেকে বের হয়ে এলো
তারা।তারপর আস্তে আস্তে তারা এগুলো বাড়ির সদর দরজার দিকে।
এসময় তাদের দলের মেয়েদের সাহস
একটু একটু করে টলতে শুরু করলো
গাড়িতে ফিরে যেতে চাইলো তারা,
তবে গাড়িটাকেও যেনো এখান থেকে
অনেক দুরে মনে হলো।আর তাদের
ভয় পেতে দেখে ছেলেরা আরও দৃড়
সংকল্প হয়ে উঠলো।
ছেলেদের একজন হঠাৎ দরজা ঠেলে
ভিতরে ডুকে পড়লো।তারপরই তার
পিছনে দরজাটা আঁটকে গেলো।
তারপর বেশকিছুক্ষনের জন্য তাদের
মধ্যে মৃত্যুনীরবতা নেমে এলো।
আকস্মিক এই ঘটনায় বাকি দুটো মেয়ে আর ছেলেটা কি করবে বুঝতে
না পেরে নীরব হয়ে দাড়িয়ে রইলো।
তারপরই তারা চিৎকার শুনলো,কি
করবে বুঝে উঠতে পারলো না তারা।
ও কি তাদের ভয় দেখাতে এমনটা করছে??
আবার চিৎকার শুনা গেলো,এবার
পরিস্কার হয়ে গেলো আতংকিতো
মানুষের টানা চিৎকার এটা।
দৌড়ে গিয়ে তারা ভিতরে ডুকলো,
দরজাটা ভেজানো ছিলো।
তারপরই দেখলো তাদের বন্ধুটি মেঝেতে পড়ে গড়াগড়ি খাচ্ছে আর
শরীর মোচড়াচ্ছে,মনে হয় প্রচন্ড যন্ত্রনা হচ্ছে তার মুখ দিয়ে ফেনা বের
হয়ে এসেছে তার।
তাদের দেখে গলা ফাটিয়ে চিৎকার
করা শুরু করলো,সাহায্য করো,,,
আমি তলিয়ে যাচ্ছি দয়া করে আমাকে তুলো আমি তলিয়ে যাচ্ছি।
দ্রুত তাকে ওখান থেকে তুলে গাড়িতে
নিয়ে আসা হলো।আতংকে চেঁচামেচি
শুরু করেছে সবাই।ভাগ্য ভালো তাদের একজনের এক কবিরাজের
খবর জানা ছিলো।
এবং শেষমেশ কবিরাজকেও পাওয়া
গেলো।তিনি তাদের বন্ধুকে অশুভ প্রভাব মুক্ত করতে পারলেন তবে পুরোপুরি না।কারন এরপর থেকে আচার আচরন পুরোপুরি বদলে যায়
তার।কারো কারো ধারোনা কোন একটা দল কালো জাদুর চর্চা করে ওই রহস্যময়ী বাড়িতে।সপ্তাহের কোন
রাতে প্রার্থনা আর খারাপ জিনিসের
চর্চা হয় এখানে।তবে কাউকেই ওই বাড়িতে যেতে বাধা দেওয়া হয় না।
এদের একজন জানিয়েছে একবার
এমন কৌতূহলের বশে এর ভিতরে এক আশ্চর্য এক অভিজ্ঞতা হয়েছে তার।ভিতরে পা দিতেই নজরে পড়ে
বাড়ির প্রধান হলে জলন্ত মোমবাতির
আলখেল্লা পরা এক লোক বসে আছে।খুব সম্ভব সেই দলটির নেতা।
আর দেখার সাহস হয়নি তার,পরে খুব দ্রুত বেরিয়ে আসে সেই রহস্যময়ী বাড়ি থেকে।…..
………………………………………………..সমাপ্ত……………………………………….