উপহাসের হাসি

উপহাসের হাসি

আমরা কয়েকজন বন্ধু। আমি, হায়দার, হাসবিব, মাসুক, সুনীল, আলম, রাজিব আমরা এই কয়জন নিয়মিত
আড্ডাবাজ। এ ছাড়া অনিয়মিত আরও অনেকে আছে। আমরা কেউ চাকরীজীবি কেউ ব্যাবসায়ী, কেউ আধা
বেকার ( মৌসুমি ব্যাবসায়ী ,মৌসুমি চাকরিজীবি), কেউ সম্পূর্ন বেকার। যে যাই করি না কেন, সন্ধ্যা হলেই
দোতালা বাড়ির ছোট্ট এই কামরাটাতে আমাদের আসা চাই। পেটে ভাত না থাকতে পারে ( আমাদের কয়েকজন
বেকারের মাঝে মধ্যে বাসায় ভাত দেওয়া বন্ধ করে দেয়।)। পকেটে টাকা না থাকতে পারে ( বেকাররাত বটে
চাকরিজীবিরাও মাসের শেষে প্রায় অভাবে পড়ে।) মনে যতই কষ্ট থাক ( বন্ধুদের মধ্যে কয়েকজন প্রেম করে ,মাঝে
মাঝে তাদের ছ্যাক খেতে হয়। তখন তাদের মন খুবই খারাপ থাকে)। সব কষ্ট চেপে রেখে তারাও এই আড্ডায় নিয়মিত হাজির হয়। প্রতিদিন নানা বিষয় নিয়ে নানা ধরনের আড্ডা জমে। সেই সাথে চলে তাসের খেলা ,সিগারেটের সতী দাহ, ও চা-নাস্তার আয়োজন। এভাবে প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে রাত দশটা পর্যন্ত আমরা আড্ডা মারি। এই পৃথিবীর হেন কোন বিষয় নাই যার মাঝে আমরা আমাদের নাকটা না গলাই। এক একজনের কথা শুনে মনে হয়, যেন বিষয়টার উপর অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাদের পি, এইচ,ডি ডিগ্রী নেওয়া আছে। সন্ধ্যায় সবাই চনমনে ভাব নিয়ে আসি রাত দশটা বাজতে বাজতে চুপসে যাওয়া বেলুনের মত মিইয়ে যাই আমরা। তারপর অলস পায়ে বাসায় ফিরি। বাসায় কারো জন্য থাকে মায়ের আদর মাখা বুলিঃ এলি বাবা ? আরেকটু সকাল সকাল আসতে পারিস না। সেই তো কোন ভোরে উঠে অফিসে যাস। আরো কারো জন্য থাকে মুখ ঝামটাঃ এসেছেন নবাব পুত্তুর। যান খেযে আমাকে একটু উদ্ধার করুন। কেন যে এমন ছেলে পেটে ধরেছিলাম। আর কিছু না পারিস রিক্সাতো চালাতে পারিস। এই বুড়ো বয়সে তোর বাপটা এখনও সংসারের ঘানি টানছে দেখে তোর কি একটুও মায়া হয় না? আর কারো কপালে বকাটাই জুটে ভাত আর জুটে না। তখন আড্ডায় খাওয়া নাস্তাটাই রাতের শেষ খাবার হয়ে ক্ষুদাকে ঠেকিয়ে রাখে। তখন মনে পড়ে ছোট বেলায় হারানো মায়ের মমতা মাখা সেই দিন গুলিঃ খোকা ঘুমালো পাড়া জুড়ালো , বর্গী এল দেশে। বুলবুলিতে ধান খেয়েছে , খাজনা দেব কিসে ? ধান ফুরালো পান ফুরালো , খাজনার উপায় কি ? আর কটা দিন সবুর কর, রসুন বুনেছি। ধীরে ধীরে চোখের পানিতে ভিজে যায় বালিশ। চোখের পানি কি পেটের ক্ষুদায় না মায়ের ভালবাসায় এল খুজতে যেয়ে হারিয়ে যায় ঘুমের রাজ্য। এই জগৎ সংসারে বেকারদের এইত জীবন। ঝড়-বাদল, রোদ- বৃষ্টিতে আমরা নিয়মিত হাজিরা দিয়ে যাই। যৌবন কালের এ যেন কি এক অমোঘ নিয়তি। সব যাক আড্ডাডা শুধু থাক। আর থাকবেই না কেন ? আটপৌড়ে এই জীবনে আমাদের মত নিম্ন মধ্যেবিক্ত যুবকদের এইত একটু আনন্দের খোরাক। সারাদিন অফিসের, ঘরের, ব্যাবসার নানা ঝন্ঝাটে মনটা যখন আউলা-বাউলা হয়ে যায়, তখন এই কয়েক ঘন্টার আড্ডা আমাদের আবার যেন পূনর্জীবিত করে তোলে। হৃদয়ের যত হা-হুতাশ আছে সব আমরা উগরে দেই এই আড্ডায়। শুনে অন্য সবাই সহানুভূতি জানায় নয়ত হাসি-ঠাট্টার তোড়ে সব গ্লাণি আর কষ্ট ভাসিয়ে দেয়। মনটা হয়ে যায় পাখির পালকের মত হালকা। এইভাবে চলছিল আমাদের দিনগুলি। সেদিন ছিল আষাঢ়ের সন্ধ্যা। কখনও টিপটিপ কখনও অঝোর ধারায় বৃষ্টির পানি ঝরছিল। পাশের নালা উপচে রাস্তা ঘাটে কোথাও হাটু সমান কোথাও পায়ের টাখনু সমান পানি জমেছে। একজন দুইজন করে সন্ধ্যার ভিতর নিয়মিত আড্ডাবাজদের মধ্য আমরা সবাই চলে এসেছি, শুধু একজন আসেনি। সুনীল। পরিপূর্ণ বেকার আমাদের এই বন্ধু। মা-বাবা ভাই নেই। আছে শুধু এক বোন। জন্মের আগে বাবাকে, কিশোরকালে মাকে হারিয়ে একমাত্র বোনের কাছে আশ্রয় পায়। বোনও মা-বাবা হারা একমাত্র ছোট ভাইকে আদর-যত্নে মানুষ করে তোলে। বোনের অভাবের সংসারে বহুকষ্টে ভাইকে এম ,এ পাশ করায়। এম,এ পাশ করার পর আজ দীর্ঘ তিন বছর বেকার। টুকটাক টিউশনী করে তাও অনিয়মীত। অনেক জায়গায় চেষ্টা করেছে কোথাও কোন চাকরি জোগার করতে পারছে না। ঘুষের টাকা আর বড় মামা-টামা না থাকলে যা হয় আরকি। বোন জামাই ছাপোষা মানুষ, নিজের দুটি সন্তান আছে। ঘর ভাড়া বাচ্চাদের পড়ার খরচ সংসার খরচ এসব যোগাতে গিয়ে বেচারার নাভীশ্বাস উঠে যাছ্ছে, তবুও কোনদিন বোন বা বোনের জামাই দুজনের কেউ সুনীলের সাথে এতটুকু খারাপ ব্যাবহার করেনি। মা-বাবা হারা ছেলেটিকে তারা খুবই ভালবাসে। সন্ধ্যাটা আরেকটু গভীর হতে না হতেই বৃষ্টির বেগ আরও বেড়ে গেল। এই সময় বিদ্যুতটাও চলে গেলো। অন্ধকার কেউ ম্যাচ জ্বালাল , কেউ মুঠোফোনের আলো জ্বালাল। এতে কি অন্ধকার যায় ?

কয়েকজন চেচিয়ে উঠল ঃ কিরে মোমবাতি নাইরে ?
কে একজন বললঃ কোথ্থেকে থাকবে। কেন সেদিন না কয়েকটা আনলি।

আরেকজন বললঃ সেদিনের ওগুলো খুজতে আরেকটা মোমবাতি লাগবে । কয়েকজন অন্ধকারে হা হা করে হেসে উঠল। এর মধ্য
একজন বলল আমি দেখেছি মোমবাতি গুলো কোথায় ?
ঃকোথায় আছে বেটা তাড়াতাড়ি বল না। আর কতক্ষন
অন্ধকারে বসে থাকব।

পূর্বের জন বললঃ মোমবাতি বেটাকে হোটেলে দেখেছি বসে চা খাছ্ছে সাথে নোনতা বিস্কিট।
আবার সবাই হা হা করে হেসে উঠল। এই সময় কে যেন এল। দরজা জুড়ে তার আবছায়া কাঠামো। কেউ একজন কে ? বলে উঠতেই আবছায়াটা নড়ে উঠল। নড়াচড়া দেখে আমরা বুঝলাম আমাদের সুনীল। আমি বললামঃ কিরে আজ তোর এত দেরি ? সুনীল কিছু না বলে আমার হাতে একটা বড় মোমবাতি দিয়ে চেয়ার একটা টেনে নি্যে বসল। আমি আরেকজন থেকে ম্যাচ নিয়ে মোমবাতিটা জ্বালালাম। মোমবাতির আলোয় দেখলাম সুনীল বিষন্ন মুখে বসে আছে। দেখে মনে হছ্ছে আজ সারাদিন কিছুই খায়নি।

আমি বললামঃ কিরে আজ তোর এত দেরী , মুখখানা এত শুকনো কেন? সুনীল ভাবলেশ হীন কন্ঠে বললঃ আজ সব কিছু শেষ করে ফেলেছি। সব সম্পর্ক সব চাওয়া সব পাওয়া শেষ করে ফেলেছি। সুনীলের কন্ঠ কেমন যেন ফ্যাসফ্যাসে কান্না জড়ানো। আমরা সবাই অবাক হয়ে চুপ হয়ে গেলাম। এর মধ্য আমি হঠাৎ খেয়াল করলাম এই তুমুল বৃষ্টির মধ্য ও এসেছে কিন্তু একটুও বৃষ্টিতে ভিজে নাই। পড়নের কাপড় মাথার চুল একেবারে শুকনো। ব্যাপারটা আমাকে অবাক করলেও সুনীলের অবস্থা দেখে কিছুই জিগ্গাসা করলাম না।
হাসবিবঃ কিরে সুনীল আজ তোর কি হয়েছে কান্না করছিস কেন?
ঃকান্না নয় বন্ধু এ আমার জীবনের ব্যার্থতার
বহিঃপ্রকাশ। আর কতদিন অসহায় বোনটার উপর বোঝা হয়ে থাকব। নীরহ বোন জামাইটার অন্ন আর কত ধ্বংস
করব? সেই কবে এম,এ পাশ করেছি। কত জায়গায় কত পরীক্ষা দিয়েছি, কই কিছুইত হল না। বিশ্বাস কর তোরা,
প্রতিদিন রাতে বোনটা আমার জন্য কান্না করে, আর আমার বোন জামাই তাকে স্বান্তনা দেয় আর বলে তুমি ওকে নিয়ে এত কান্না কর, দেখবে একদিন তোমার সব চোখের জল শুকি্যে দেবে। তোমার সব দুঃখ মিটিয়ে দিবে।
প্রতি রাতে আমি শুনি আর দিদির সাথে নীরবে আমিও চোখের জল ফেলি। ভাবি কবে আসবে সেই দিন। বোনটাকে একটু স্বস্তি দেওয়ার জন্য কতই না চেষ্টা করেছি। কিন্তু কিছুই করতে পারিনি। শেষে না পেরে………..।
সুনীল চুপ হয়ে গেল। আমরা কিছুক্ষন অপেক্ষা করে যখন দেখলাম আর কিছু বলছে না চুপ করে মাথা নিচু করে করে বসে আছে ।

তখন আমরা অধৈর্য হয়ে বললামঃ শেষে কি করলি ?
সুনীল মাথা তুলতেই কার যেন মুঠোফোনে বাজনা বেজে উঠল। দেখলাম মাসুকের মুঠোফোনে কল এসেছে। মাসুক
কলটা রিসিভ করে অনেকক্ষন হ্যালো হ্যালো বলল। কিছুই শোনা যাছ্ছেনা তাই আবার কেটে দিল। আমি
বললামঃ ঝড়ের জন্য হয়ত নেটওয়ার্কে সমস্যা হছ্ছে।
সুনীল আবার বলতে লাগলঃ শেষে আর না পেরে , মায়ের কিছু পুরোনো স্বর্ণ ছিল ওগুলো বিক্রি করে শেয়ার
বাজারে নামলাম। ভালই লাভ হছ্ছিল। এসব তো তোরা জানিস। এরপর এল
ইউনিপে, টিভিআই । এদের লাভের অংক শুনেও প্রথমে যাইনি। কারণ অপেক্ষা করেছি দেখি সরকারে পক্ষ
থেকে এদের বিরুদ্ধে কোন অ্যাকশন নেয় কিনা। কেননা ওরা যে হারে লাভ দিছ্ছে তাতে ব্যাবসাটা সন্দেহজনক
মনে হছ্ছিল। কিন্তু বেশ কিছুদিন হয়ে যাবার পরও সরকার কিছুই বলছে তখন ভাবলাম ব্যাবসাটা সরকারি ভাবে বৈধ তাই সরকার কিছুই বলছে না। নানা জায়গা থেকে ধার- কর্জ করে ইউনিপে-টু, টিবিআই এক্সপ্রেস , এসবে টাকা খাটালাম । এরপর শুধু একটা কি দুইটা কিস্তি পেয়েছি তারপরই সরকারের ঘুম ভাংগল, আর আমাদের ভাংগল আশা ভরসার স্বপ্নটা। ইতিমধ্যে শেয়ার বাজারে খেলাম ধরা হাজার টাকার শেয়ার হয়ে গেল মাত্র কয়েকশ টাকা। চারদিকে শুরু হয়ে গেল হাহাকার। পাওনাদারদের হুমকি-ধামকি। যারা মোমবাতি দিয়ে খুজে খুজে আমাকে এমএল কোম্পানিতে খাটানোর জন্য টাকা দিয়েছিল তারাই এখন ছুরি, দা, চাপাতি, নিয়ে আমাকে খুজে। এই সময় আমার মুঠোফোনে কল এল। রিসিভ করলাম দেখি নেটওয়ার্কে সমস্যা। কিছুই শোনা যাছ্ছ্বে না। আমি বিরক্ত হয়ে ফোন রেখে দিলাম। সুনীল আবার বলতে
লাগলঃ দোস্ত তোরা অনেকে আমার কাছে টাকা পাবি। বিশ্বাস কর পারলে আমি দিয়ে দিতাম। আমিও ওর কাছে কিছু টাকা পাই,

তাই বললামঃ তোর কাছে কেউ টাকা খুজেছে?
ঃ না দোস্ত তোরা কেউ টাকা খুজিসনি।
ঃতাহলে তুই এই কথা বললি যে ?
ঃআমি আজ তোদের থেকে বিদায় নিতে এসেছি আর কোনদিন দেখা হবে না। এটাই তোদের সাথে আমার শেষ দেখা। দিদি আর বোনজামাই থেকে বিদায় নিয়ে
ফেলেছি। তোরা যারা যারা আমার থেকে টাকা পাবি তারা দয়া করে আমায় ক্ষমা করে দিস। এখানে আমার
পক্ষে থাকা আর সম্ভব না । পাওনাদাররা যেভাবে আমায় খুজছে তাতে আমার আর নিস্তার নাই। আমি নিজে বিদায় না হলে ওরা আমায় বিদায় করাবে। বিশ্বাস কর আমি আমার জন্য চিন্তা করছি না চিন্তা করছি আমার বোনদের জন্য । পাওনাদাররা যদি একবার ওদের পেয়ে যায়, তাহলে যে কি হবে আমি ভাবতে পারছি না। বাইরে প্রচন্ড ভাবে ঝড়-বৃষ্টি হছ্ছে।
ঃ তোরা আমায় বিদায় দে বন্ধু। তোদের ভালবাসা তোদের সহমর্মিতা আমি চিরকাল মনে রাখব। তোদের মত বন্ধু পাওয়া সৌভাগ্যের ব্যাপার। তা আমি পেয়েছি ,তাই নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করি। এই বলে সুনীল উঠে দাড়াল। ও উঠে দাড়াতেই মাসুকও উঠে গেল। মাসুক বললঃ দোস্ত তুই কোথাও যাবিনা। আমরা তোকে কোথাও যেতে দেবনা। আমরা সবাই মিলে তোর যাবতীয় সমস্যা সামাল দেব। পাওনাদারদের সাথে কথা বলব। পাওনা টাকা কিস্তি দেওয়ার চেষ্টা………। আমরা সবাই সমস্বরে হৈ হৈ করে উঠলাম। আমি বললামঃ তুই কোথাও যাবিনা। হায়দার যা-ত সি এন জি নিয়ে আয। আমরা সবাই সুনীলের বোনের বাসায় যাব।
ঃদোস্ত অযথা তোরা চেষ্টা করছিস। আমি আর ফিরে যাব না। আমাকে চলে যেতেই হবে। এছাড়া আর কোন উপায়ও নাই। হায়দার বৃষ্টিতে ভিজে সি এন জি নিয়ে এল। আমি চট করে সুনীলের ডান বাহু ধরে ফেললাম। বাহু ধরেই চমকে  উঠলাম কি শক্ত আর ঠান্ডা ওর বাহু। ওর গায়ের পাতলা শার্টটার দিকে লক্ষ্য করে বললাম এই ঠান্ডার মধ্যে একটা মোটা কাপড় পড়তে পারিস নাই। দেখ তোর শরিরটা কি ঠান্ডা হয়ে আছে। সুনীল তাছ্ছিল্যর হাসি দিয়ে বললঃ আমার আবার ঠান্ডা

আমরা সবাই সি এন জিতে উঠলাম। কি যে বৃষ্টি সেই সাথে বাতাস আর বজ্রপাত। আজ বোধহয় সব ভাসিয়ে নিয়ে যাবে। প্রায় পনের মিনিট পর আমরা সুনীলদের বাসায় পৌছলাম। সি এন জি থেকে নেমে দেখলাম সুনীলদের ঘরে অনেক মানুষ। পুলিশও আছে। আমরা অবাক হয়ে গেলাম ব্যাপার কি? আমি
সুনীলের দিকে তাকিয়ে জিগ্গাসা করলামঃ কিরে কি হয়েছে? সুনীল কিছু না বলে দ্রূত বাসার ভিতরে চলে গেল। আমরা গাড়ি ভাড়া দিয়ে ঘরের ভিতরে ঢুকতেই সুনীলের বোন হাউমাউ করে কান্না করতে করতে বললঃ তোরা কোথায়? এত ফোন করছি ফোন রিসিভ করে কথা বলছিসনা কেন?
হাসবিব জিগ্গাসা করল ঃকেন কি হয়েছে?
ঃওরে সুনীলত আমাদের ছেড়ে চলে গেছে? আমরা কিছু বলার জন্য মুখটা খুলতেই যেয়ে থমকে গেলাম । কারন দেখলাম মাটিতে শোয়ানো একটা লাশ। চেহারার দিকে তাকাতেই দেখলাম ওটা সুনীলের লাশ। ধীর পায়ে সামনে এগিয়ে যেতে দেখলাম লাশটার মুখের কোনে এক চিলতে উপহাসের হাসি ।

গল্পের বিষয়:
ভৌতিক
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

আরও গল্প

সর্বাধিক পঠিত