ভূতের গল্প তোমরা অনেক পড়েছে, অনেক শুনেছে—এ ভুতের গল্পটি মোটেই সেগুলির মতো নয়। এ হলো একটি অদ্ভুত ভূতের গল্প। আমার নিজের কানে শোনা।
গঙ্গার ধারে গ্রাম। গ্রামে বহু লোকের বাস—গ্রামে সকলের বাড়ি বাগান পুকুর আছে যেমন, তেমনি আছে বনজঙ্গল, ঝোপঝাপ, শ্মশান, গঙ্গাযাত্রীর ঘর—তাছাড়া ইস্কুল পাঠশালাও আছে।
এই গ্রামে গঙ্গার ধারে দোতলা বাড়ি—বহুকাল পড়ে আছে—গ্রামের লোক বলে ভূতের বাড়ি। এই গ্রামে বাস করতো ঠাকুরদাস চক্ররর্তী। তার অনেক টাকা। সে ছিল দারুণ কৃপণ। গ্রামের কারো সঙ্গে মিশতে না—পাছে কেউ টাকা ধার চায়। কারো বাড়ি নিমন্ত্রণ খেতে না-–পাছে তার নিজের বাড়িতে কাকেও কোনো কাজে কোনো দিন নিমন্ত্রণ করতে হয়। গ্রামের লোকে তার নাম করতো না—তার ছায়া দেখলে সরে যেতো— মুখ দেখলে, কে জানে সেদিন কি বিপত্তি ঘটবে!
তার স্ত্রী ছিল ছেলেমেয়ে ছিল—তারা একরকম না খেয়ে বিনা চিকিৎসায় মরে গেল।
তার পরে ঠাকুরদাস মারা গেল—মারা গিয়ে ভূত হয়ে সে ঐ বাড়িতে বাস করছে। সে মারা যাবার পর তার একটি ছেলে দেবীদাস ছিল বেঁচে–কিন্তু বাবা ভূতের দৌরাত্ম্যে সেবেচারীও বাড়িতে বাস করতে পারলো না, —কোথায় একদিন নিরুদ্দেশ হয়ে গিয়েছে— গ্রামের মানুষজন আজ বিশ বাইশ বছরেও তার কোনো পাত্তা পায়নি।
সেই থেকে ও-বাড়ি এমনি পড়ে আছে . . . বাড়ির দরজা-জানালা কপাট ভেঙ্গে খসে পড়ছে—বাগান যেন জঙ্গল . . . . . শুধু বাগানের মধ্যে যে পুকুর ছিল. . . জল শুকিয়ে পুকুরের এতবড় বুকখানা খাঁ খাঁ করছে। ও-বাড়িতে কত মানুষ তারপর বাস করতে গেছে— পুরো একটা রাতও কেউ থাকতে পারেনি। নির্মেঘ আকাশ হঠাৎ বাড়ির মধ্যে ঝড়ের দমকা বেগ—প্যাচার ডাক, ছোট ছেলের কঁকানি কান্না—বন্ধ দরজা জানলা দুমদাম শব্দে খুলে যায়, আর সারা বাড়িতে গট গট খড়ম-পায়ে মানুষ চলার শব্দ তার উপরও যারা বাড়ি ছেড়ে যায়নি, —তাদের পা ধরে হিড় হিড় করে টানা-সিঁডির উপর থেকে দুম করে নীচেয় আছড়ে ফেলা . . . এমনি নানা দৌরাত্ম্য।
শেষে এমন ব্যাপার হলো ও বাড়িতে যাওয়া নয়, রাত নটার পর ও বাড়ি আর বাগানের ধার দিয়ে মানুষ জন রাত্রে চলতে পারে না। ঝাঁকে ঝাঁকে ওড়া বাদুড় চামচিকে এসে নাকে মুখে ঝাপটা মেরে সরে যায়… গাছের ডাল মড়মড় শব্দে নীচে হেলে পড়ে পথ আটকায়— সে ডালের পাশ কাটিয়ে চলতে গিয়ে গায়ের অমন জোয়ান মানুষ তিনকড়ি—ডাল থেকে দুটো ফ্যাঁকড়া রেরিয়ে চিমটের মতো তাকে ছুড়ে ফেলে দিয়েছিল প্রায় বিশ হাত দূরে। সে আছাড়ে তিনকডির পা ভেঙ্গে দুটি মাস তাকে রিছানায় পড়ে থাকতে হযেছিল।
তারপর একবার—বাগানের মধ্যে ছিল পথের দিকে বড় জামরুল গাছ . পথে দাঁড়িয়ে আঁকশির খোঁচা দিলে ঝরঝর করে পড়ে একরাশ জামরুল স্কুলের ছেলেরা একদিন শনিবারে দেড়টার সময় ছুটি হলে দল রেঁধে এসে পথে দাঁভিয়ে ঐ গাছের ডালে আঁকশি লাগিয়ে ডাল নাড়া দিয়েছিল—যেমন ডালে নাড়া দেওয়া, অমনি গাছের দুটো ডাল দুদিক থেকে নেমে ছেলেদের পিঠে পটাপট, তারা যে করে পালিয়ে এসেছিল, তা আর বলবার নয়!
শুধু তাই? বাগানের ওধারে নদী। একদিন রাত্রে বাগানের গা ঘেষে নদীতে নৌকো নিয়ে আসছিল রনমালী মাঝি—ওপার থেকে সওয়ারি নিয়ে যেমন ঐ চক্রবর্তীর বাগানের গায়ে নৌকো আসা হঠাৎ নৌকোর সামনে জলের বুকে কি একটা ভারা পদার্থ পড়লো সঙ্গে সঙ্গে ঢেউ ওঠা আর সেই ঢেউয়ের দোলায় নৌকো উল্টে বনমালী পড়লো জলে— সওয়ারি পড়লো ডাঙ্গায় ছিটকে—পড়েই অজ্ঞান। বনমালীকে পাওয়া গিয়েছিল ও জায়গা থেকে আট মাইল দূরে নদীর ঘাটে রেহুশ, অজ্ঞান। সকালে ঘাটে যারা এসেছিল চান করতে, তারা দেখে রনমালীকে তোলে—তুলে সেবায় পরিচর্যায় তার জ্ঞান করায়। জ্ঞান হতে বনমালীকে বলেছিল—বাপরে—চক্কোতি-খুড়ো আমাকে জলে ডুরিয়ে দিতে দিতে এ ঘাটে ফেলে দিয়ে যায়। সওয়ারির কোনো পাত্তা মেলেনি—নৌকোখানা পাওয়া গিয়েছিল চক্রবর্তীর বাগানের নীচে…… ডাঙ্গায় উল্টানো অবস্থায়। …
তারপর …
ওপারে ছিল ভুলো আর কানু—দাগী সিধেল চোর। তারা পুলিশকেই ভয় করে না, তা ভূতকে কররে। সকলের বিশ্বাস চক্রবর্তীর ছিল বহুৎ টাকা … সে টাকা কোনো ব্যাঙ্কে সে কোনোদিন রাখেনি—বুকের হাড়-পাঁজরার মতোই সে টাকা কৃপণ চক্রবর্তী বুকে করে রাখতো… যে ছেলে নিরুদ্দেশ হয়ে যায়, সে যে একটি পয়সা পায়নি তা তার দুর্দশা দেখে সকলেই বুঝেছিল। সেই ভুলো আর কানু ঠিক করলো—চক্রবর্তীর বাড়িতে হানা দিয়ে তার সেই টাকা করবে আত্মসাৎ!
অতি নিঃশব্দে গোপনে তারা এসে ও-বাড়িতে একদিন রাত্রে আস্তানা নিয়েছিল.. তাদের হাতে সিধ-কাঠি এবং আরো কি-কি সব যন্ত্র। গভীর রাত্ৰে লণ্ঠন জ্বেলে তারা দুটাে ঘরের মেঝে খুঁড়ে কিছু না পেয়ে দোতলার যে ঘরে চক্রবর্তী মারা গিযেছিল, সেই ঘরের মেঝে খুড়ছিল—দু পাঁচ মিনিট তারা শাবলের ঘা মেরেছে—ঘরের দরজা বন্ধ , হঠাৎ ঘরের দরজা গেল খুলে—হুড়কে আটা দরজা , দড়াম শব্দে সে দরজা গেল খুলে– দু’জনে পেছনে চেয়ে দেখে–চক্রবর্তী খুড়ো—গায়ে মাংস নেই, শাঁস নেই, —মুখখানা শুধু আছে. কঙ্কালের উপর চক্ররর্তীর মুণ্ডু বসানো।
কঙ্কাল এলো এগিয়ে এসে কথা নয়, বার্তা নয়—দুটি হাড়ের হাতে দুজনেল টুটি টিপে—জানালা খুলে দুজনকে দিলে ঝপ করে নীচে বাগানে ফেলে। পরের দিন সকালে কেষ্টর জ্ঞান হতে চোখ মেলে সে দেখে, বাগানে পড়ে আছে পাশে ভোলা , সে তখনো অজ্ঞান-অচেতন!
উপায়? কেষ্ট কোনো মতে রেরিয়ে এসে লোকজনকে এ খবর দেয়—তাই তো গাঁয়ের লোক জানতে পারলো এ ব্যাপার! সকলে এসে ভোলাকে তুলে নিয়ে হাসপাতালে দিয়ে আসে—দুদিন পরে ভোলার চেতনা হলো—কিন্তু সে পাগল হয়ে গেল। দু’চোখে ফ্যালফ্যাল দৃষ্টি, আর থেকে থেকে শুধু বলে চক্কোত্তি-মশাই।
তাদের সিঁধ-কাঠি আর যন্তর-তস্তর——সে গুলোর কি হলো, কেউ জানে না। বাড়ির মধ্যে ঢুকে কেউ তার সন্ধান নেবে—এমন পরোয়া গাঁয়ে কারো নেই। এমনি কত গল্প যে চলে আসছে ও-বাড়ির সম্বন্ধে—কত কাল ধরে, তার আর সংখ্যা হয় না। এখন বলি, সদ্য ঐ চক্রবর্তী মশায়ের যে গল্প শুনেছি…
তখন দেশ স্বাধীন হয়েছে। তাই সেই গাঁয়ের মাতবরের দল ঠিক করলেন ধূমধামে স্বাধীনতা দিবস পালন করবেন। মস্ত উৎসব হবে—কোনো মন্ত্রী বা উপমন্ত্রীকে এনে মহা ধূম বাধাবেন। গ্রামের ছেলেরা কলকাতার কলেজে পড়ে– তারা বললে—-নাট্যাভিনয় করবে—তিন-তিন রাত্রি ধরে অভিনয়—তিন রাত্রে তিনখানা নাটকের অভিনয়! ফীমেল পার্টে নামাবার জন্য কলকাতা থেকে থেকে আনা হয়েছে দুটি বন্ধুকে—সাত্যকি আর অমর সিঙ্গীকে! তারা নাকি খুব ভালো ফীমেল পার্ট করে!
ঠিক হলো রিহার্শাল হরে ঐ চক্ররর্তীর পোড়া বাড়িতে। মাতব্বররা মানা করলেন— ভয় দেখালেন। কিন্তু ছেলের দল সে কথা গ্বাহ্য করলে না—তারা বললে—ভূত। ভূত স্রেফ কুসংস্কার।
ভূতের নাম শুনে অমর সিঙ্গী মেতে উঠলো যেন! সে বললে—ভূত যদি থাকে তাকে দেখতে চাই। ভূতের গল্পই শুনে আসছি—চোখে কখনো দেখিনি। এখানে যদি সে সুযোগ পাই…
মাতব্বররা মানা করলেন— বললেন, একে একালের ছেলে—তার উপরে স্বাধীন দেশ– এরা মানুষকেই মানতে চায় না তা ভূতকে মানবে! তবে সাবধান … আমরা নজর রাখবো। চক্ররর্তীর বাড়ির রৈঠকখানা তারা সাফ করিয়ে সেখানে পাতলে আমর সিঙ্গী আর সাত্যকি আস্তানা। তারা অতিথি—তাদের মান এরং মন রাখতে গাঁয়ের ছেলেরাও বললে— আমরাও ওখানে থাকবো—শুধু নাইতে-খেতে বাড়ি আসা। তারপর রাত্রে রিহার্শাল।
একখানা নয়-তিন-তিনখানা নাটকের রিহার্শাল। সব কখানাই জাতীয়তার উদ্ধোধক ঐতিহাসিক নাটক। সকলেই বীর্সশৌর্য দেখাতে চায়—যার গলা যত চড়ে—সেদিকে সকলের প্রাণপণ সংগ্রাম—-হ্যাঁ, রীতিমত সংগ্রাম চলেছে।
রিহার্শাল চলেছে—হঠাৎ সে ঘপের দরজায় চক্ররর্তীর কঙ্কাল—কঙ্কালের ঘাড়ে চক্ররর্তীর মুণ্ডু সকলে দেখল, দেখে অমর সিঙ্গী বললে– কে মশায় — বহুরূপী সেজে দেখা দিলেন এসে দু’চারজন গাঁয়ের ছেলে বলে উঠলো–তুমিই কিপটে চক্ররর্তীর ভূত। বটে।
সাত্যকি রললে–সরে পড়ো আমাদের রিহার্শালে বাধা দিয়ো না।
কঙ্কাল নথর নিম্পন্দ । আমর সিঙ্গী বললে—যাও এখানে তোমার কিছু হবে না। সকলে জোর পেলে মনে—বললে—হ্যাঁ—হ্যাঁ—হ্যাঁ—ভাগো। অমর সিঙ্গী বললে—তোমার অনেক গল্প শুনেছি, বাপু—ওসব গল্প গাঁজা—এখানে তোমার গাঁজা চলবে না। সরে পড়ো। .
কঙ্কালের দাঁতের পাটি মুক্ত হলো-–এরং মুখে খোনা ভাষায় আওয়াজ বেরুলো— আমি কারো ঘেঁষ সইতে পারি না—কোনো কালে না—বেঁচে থেকে পারিনি—মরে গিয়েও , পারি না। তোমরা হৈ চৈ চিৎকারে কেন আমার শান্তি ভঙ্গ করছো?
অমর সিঙ্গী বললে—তার কারণ, যে মরে সাফ হয়ে গেছে, এ পৃথিরীর সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক থাকতে পারে না। মরে গিয়েও তুমি যদি এ বাড়ি আঁকড়ে থাকতে চাও, তাহলে তোমার সে কাজ হবে বেআইনী—যার নাম ট্রেসপাশ। অতএর এ বাড়িতে এখন তোমার কোনো অধিকার নেই থাকবার—তুমি সরে পড়ো।
কঙ্কাল রললে—কিন্তু…..
বাঁধা দিয়ে সাত্যকি বলে উঠলো—কিন্তু-টিন্ত চলব না। আমরা তোমাকে মানি না— তুমি যাও। নাহলে সেই মামুলি দাওয়াই—আমরা কোরাসে বাম-নাম গান করবো। রঘুপতিবাঘর রাজা রাম’….
কঙ্কাল চুপ—হঠাৎ মনে হলো, যেন মোটরের টায়ার ফেটে হুশ করে বাতাস রেরুলো— তেমনি শশ্ব ! অর্থাৎ কঙ্কাল নিঃশ্বাস ফেললো—নিরুপায়ের মত নিঃশ্বাস!
তারপর কঙ্কাল বাতাসে মিলিয়ে অদৃশ্য! রাত দুটো পর্যন্ত চললো রিহার্শাল তারপর নিদ্রা. নিশ্চিন্ত গাঢ় নিদ্রা।
পরের দিন সকালে এ কথা কিন্তু এরা কারো কাছে প্রকাশ করলো না—রাত্রি আসতে রিহার্শেল আবার…
জোর রিহার্শাল চলেছে.. তার মধ্যে হঠাৎ সেই কঙ্কালের আবির্ভাব!
সকলে চেয়ে দেখলো! অমর সিঙ্গী বললে—আজ আবার এসেছে জ্বালাতন করতে! কালকের ও দাওয়াই-যে হলো না এ্যাঁ ।
কঙ্কালের দাঁতের পাটি নড়লো—-কঙ্কাল বললে—বেশ হুঙ্কার দিয়েই বললে—কাল ভালো কথায় বলেছিলুম—শুনলে না! দেখাবো নাকি মজা?
অমর সিঙ্গী তেড়ে গেল তার সামনে—তার হাতে রাজার তলোয়ার—-সেই তলোয়ার উঁচিয়ে বললে—শুধু তো ক খানা হাড়! এই তলোয়ারের চোট মেরে ওগুলো খশিয়ে টুকরা টুকরো করে দেবো।
কঙ্কাল বললে—জানো, আমি ভূত।
সাত্যকি বললে—আমরা ভূত মানি না। তোমাদের নামে ভয় পেয়ে অনেকে অনেক সর্বনাশ হয়েছে! তোমার ছেলে বাড়ি-ছাড়া—দেশছাড়া। জানো, তোমাদের আমরা ভেলকি নাচ নাচাতে পারি।
অমর বললে——যাও এখান থেকে। আমাদের ভয় দেখিয়ে ফল পাবে না। আমরা এ বাড়ি ছাড়বো না। জোর যার, মুলুক তার! চাও যদি তো ফাইট করতে পারি—
সাত্যকি বলে উঠলো—এ্যাকটিংয়ের ভঙ্গীতে ঘুষি পাকিয়ে—
শোন রে বর্বর, চলে যা এখান থেকে—
নহিলে এ বজ্রমুষ্টি—ইহার আঘাতে রফা করে দেরো তোর দফা!… তার এ্যাকটিং শেষ হলো না—কঙ্কাল হলো অদৃশ্য! পরের রাত্রে রিহার্শালের সময় আবার তার আর্বিভাব! এরা কিছু বলবার আগেই কঙ্কাল বললে—অত্যন্ত কাকুতি ভরা কষ্ঠে—(অবশ্য খোনা খোনা ভাষা)—দয়া করে আমাকে মুক্তি দাও। আমি এ গোলমাল সয়ে থাকতে পারছিনা।
অমর সিঙ্গী বললে—না পারো, পথ দ্যাখো। এ বাড়িতে আর থাকা চলবে না তোমার!…..
আজি শেষ বারের মতো তোমাকে বলছি—ফের যদি এসে দেখা দাও—তা হলে কঙ্কাল চূৰ্ণ করে পুড়িয়ে দেবো।–
তারপর থেকে এ বাড়িতে চক্রবর্তীর ভূতের আর দেখা নেই। গাঁয়ের সকলে শুনলেন এ কথা। তাবা পরখ করলেন এবং থিয়েটার চুকে গেলে তারা নোটিশ ছাপিয়ে দিলেন— ঠাকুরদাস চক্রবর্তীর নিরুদ্দেশ ছেলে দেবীদাসের নামে—
দেবীদাস চক্ররর্তী-—যেখানেই তুমি থাকো—এ বিজ্ঞাপন পাঠ মাত্র গ্রামে ফিরিয়া তোমার পৈত্রিক ভিটা দখল করিবে। এ বাড়ি এখন ভূতলেশহীন—সম্পূর্ণ নিরাপদ জানিবে!
জানি না, এ বিজ্ঞাপন দেবীদাস চক্রবর্তীর নজরে পড়েছে কিনা এরং সে এ বাড়িতে ফিরে এসেছে কিনা! তবে খরর নিয়ে জেনেছি—সে বাড়িতে বা বাড়ির ত্রিসীমানায় ভূতের ছায়াও সেই থেকে আজ পর্যন্ত কেউ আর দেখেনি!
গল্পের বিষয়:
ভৌতিক