গভীর রাতে আপনি গাড়ি দিয়ে যাচ্ছেন। রাস্তা ফাঁকা। তাই গাড়ির স্পিড ও বেশী। এক মনে গাড়ি চালাচ্ছেন। হঠাৎ আপনার গাড়ির সামনে দিয়ে কেউ এক জন পাড় হতে চেষ্টা করলো। আপনি তাকে ধাক্কা দিলেন। স্পষ্ট বুঝতে পারলেন যাকে আপনি ধাক্কা দিয়েছেন, তার বেঁচে থাকার কোন সম্ভাবনাই নেই। গাড়ি থামিয়ে নামলেন দেখার জন্য। আপনাকে অবাক হতে হবে তখন। কারন যাকে আপনি ধাক্কা মেরেছেন তার কোন অস্তিত্বই নেই। এমনকি আপনার গাড়ির মধ্যেও এক্সিডেন্ট ঘটার কোন আলামত নেই। কেমন হবে তখন আপনার মনের অবস্থা? আপনার মনের অবস্থা যাই হোকনা কেন প্রতি দিন অনেক মানুষ ঠিক আপনার মতনই এসবের সম্মুখীন হচ্ছে। তাও অচেনা জায়গাতে নয়। ঢাকার উওরা তে! কি, অবাক হলেন? উওরা তে অনেক আগে থেকেই এ ধরনের কথা শোনা যায় এবং অনেক মানুষই উওরার রাস্তা গুলোতে নানা ঘটনাও দুর্ঘটার সম্মুখীন হয়ে আসছে। উওরা হতে আশুলিয়া গাড়ি দিয়ে যাবার পথে গভীর রাতে অনেকই একজন সাদা কাপড় পরা বৃদ্ধা মহিলা কে দেখছে। মহিলা নাকি গাড়ির সামনে দিয়ে রাস্তা পার হয়। মহিলা কে চাপা পড়ার হাত থেকে বাঁচাতে গিয়ে নাকি অনেকে নিজেই গাড়ি এক্সিডেন্ট করে গুরুতর আহত হয়েছে। এ যেন বিপদ থেকে বাঁচাতে গিয়ে উল্টো বিপদেই পাদেয়া!! দুজন লোক একবার এই রাস্তা দিয়ে রাতের বেলা যাচ্ছিল। তারা এই বৃদ্ধা মহিলা কে দেখতে পায় রাস্তার এক পাশে দাড়িয়ে আছে। যেন লিফটের অপেক্ষা করছে। তারা গাড়ি থামালোনা। ৫ মিনিট যাবার পর তারা আবার দেখল যে, রাস্তার অন্যপাশে ৩ নম্বর লেন ধরে সেই মহিলা নিচের দিকে নেমে যাচ্ছে। অন্যপাশ থেকে যে একটি গাড়ি তাদের দিকে এগিয়ে আসছে,সেটা তারা বুঝতে পারলনা। ভয়াবহ একটা এক্সিডেন্ট হয়। আহত হওয়া ছাড়া সৌভাগ্যক্রমে সবাই বেঁচে যায়। উওরার এই রোডে প্রায় প্রতিদিনই ছোট খাট এক্সিডেন্ট হয়। ধারনা করা হয় বৃদ্ধা মহিলার দিক লক্ষ্য করতে গিয়ে গাড়ির ড্রাইভার অসাবধান হয়ে পড়ে এবং তখনি এক্সিডেন্ট গুলি ঘটে। এয়ারপোর্টের কাছাকাছি একটা রাস্তায় রাতের বেলা একটা মেয়ে রাস্তা পারহয়। যারা ট্যাক্সিক্যাব চালায় তাদের কাছে বল্লে ঘটনার সত্যতা জানা যাবে।
গল্পের বিষয়:
ভৌতিক