গলা কাঁটা মেয়ে রিয়া

গলা কাঁটা মেয়ে রিয়া

উফফ রে আজ বাসায় যেতে সন্ধ্যা হয়ে যাবে ..সামনে আবার শশান ঘাট ভয় লাগে ..শুনেছি ওখানে অনেকে ভয় পেয়েছে ..
সপ্তম শ্রেণীতে পরে পিরু ..আজ প্রাইভেট থেকে যেতে যেতে এগুলো ভাবছে ….

সন্ধ্যা হয়ে আসছে পিরু হাঁটছে আমার গুণ গুণ করে গান গায়তেছে ..
পিরু হটাত্ গান থামিয়ে দেয় ..পিরু ওখানে কে কে ,

একটি গাছের আড়ালে বসে কেউ কান্না করতেছে অনেক বড় চুল .যেন মেয়ে তবুও দেখা যাচ্ছে না …

একটূ এগিয়ে গেলো পিরু ..
কে আপনি —
-আমি রিয়া
-বাড়ি
-মহেশ খালি
-এখানে কি ??
রিয়া কাঁদো কাঁদো কণ্ঠে আমাকে একটু সাহায্য করবেন ..
এটা বলেই রিয়া পিরুর হাত ধরলো ..
পিরু আচ্ছা আগে বলুন কি হয়েছে ..

রিয়া ..আমি ঢাকা ভার্সিটির ম্যাথ তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী ..
আমি মহেশ খালির মেয়ে …অনেক সপ্ন নিয়ে ঢাকায় আসা .প্রথম দুই বছর কোন ভাবে কেঁটে গেলো .এ্ই তৃতীয় বছর বাবা একটু আর্থিক সমস্যায় পড়েছে .
আমি ঈদের ছুটি শেষ করে ভার্সিটিতে শবে আসছি ..

হাঁটছি ক্যাম্পাস দিয়ে আর ভাবছি কি করি যাতে একটু আর্থিক সমস্যা মেটাতে পারি !
একটি দেয়ালে একটি ছোট পোস্টার লাগানো দেখলাম ..এখানে লেখা একটি মহিলা ম্যাথ টিউটর চাই .নিচে একটি মোবাইল নম্বর ..

আমি কল দেই .
একটি মহিলা ধরে .
তাকে কিছু বলতেই তিনি বাড়ির ঠিকনা দেই .
বলে ,সামনে বসে কথা বলবে ..

আমি তো একটু খুশি কারণ টিউটর নেই বলেই আমাকে যেতে বলছে ..

পিরু -হা তা তো ঠিক .কিন্তূ আমার বাড়ি যেতে হবে যে .
রিয়া : আচ্ছা চলো হাটি আর কথা বলি !

পিরু :আচ্ছা ,,,

রিয়া ,,, আমি বিকালে সুন্দর করে একটি গেটআপ নিয়ে গেলাম oi বাসায় ..
নয় তালা বিশিষ্ট্য একটি ফ্লাট .আমি পঞ্চম তালায় যাবো ..
লিফট দিয়ে উঠলাম .
দরজায় কলিং বেল চাপলাম কিছুক্ষণ পর এক মহিলা দরজা খুলে দিলো .
আমি ভিতরে গেলাম আমাকে মহিলা বললো বাচ্চারা ছাদে আছে .! ডেকে আনি .
আমি হু বললাম —
বসে আছি প্রায় একঘন্টা হয়ে গেছে আমি রুমে আশে পাশে তাকিয়ে দেখি কোন পড়ার টেবিল নাই .এখানে কোন বাচ্চা ও থাকে বলে মনে হয় না .

আমি একটু এগিয়ে গেলাম দরজা খুলতে .একি দরজা বাহির থেকে লক করা কেন ?
অনেক চেষ্টা করলাম পারলাম না …..
অনেক দুশ্চিন্তা মনে ঘুরতে লাগলো ,,
কি করি ভাবতেছি ..

পিরু -তারপর

রিয়া : সন্ধায় ওই মহিলা আসলো ..তার সাথে সাথে আরো পাঁচটা যুবক লোক ঢুকে পড়লো ..মহিলা বললো এ্ই তোমার ছাত্র .

শুনে আমার চোখের পানি ঝর ঝর করে পরতে লাগলো ..
কিন্তু oi হায়নার দল আমার কোন্ কথা শুনলো না .

ওঁরা আমাকে পাঁচ জন মিলে তিন দিন ধরে রেখে পাশবিক অত্যাচার করে ..পানি খেতে চাইলে প্রসাব দিত একটু পানি দিয়েছিল না .ওই কুত্তার দল ..

আমি ভাবতাম তিন দিন পর হয়তো ওরা আমাকে ছেড়ে দিবে কিন্তূ না ,ওরা আমার গলা কেঁটে বস্তায় ভরে এখানে ফেলে দিয়ে যায় ..

পিরু : কি কি ?বললেন আপনি মারা গেছেন .
রিয়া : হা , এ্ই সেই বস্তা এর ভিতর আমার লাশ –
-আমি এদিকে কেন আমার বাড়ি তো উল্টা দিকে !
-বস্তা টা খুল ও !

পিরু বস্তার মুখ খুলার সাথে সাথে রিয়ার কাঁটা মাথাটা ওর পায়ের নিচে গড়ে পরে ..চোখ দুটো এখন ও তাকিয়ে আছে ..রক্ত পড়ছে এখন ও .

পিরু এটা দেখে ভীষণ ভয় পায় এক দৌড় এ বাড়ি …

পিরু …বাসায় এসে খাবার খেয়ে ঘুমাতে যায় …

ঘুমিয়ে আছে ..হটাত্ ঘড়ির এলাম তিনটা .

পিরু -অনুভব করে তার পা কোন্ ঠান্ডা জিনিসের সাথে লেগে আছে …
সে উঠে বসতেই দেখে ..
রিয়ার মাথা ছাড়া body টা ওর পা ধরে আছে …
পিরু কান্না শুনে বামে তাকায় দেখে রিয়ার কাঁটা মাথা টা তার বালিশের পাশে কান্না করতেছে ..

বলতেছে .help me..

পিরু : আচ্ছা ,bolun কি করবো আমি ??

রিয়া : আমি যেখানে বসে chilam তার samne একটি বাঁশের ঝাড় আছে ..ওখানে আমার মোবাইল fele দিসে ..
ওই মোবাইলে সব ভিডিও kora আছে
ওদের সবার চেহরা …

তুমি শুধু ভোরে ওই মোবাইল খুঁজে আমার ওই লাশের বস্তায় রেখে দিবে ..
পিরু :আচ্ছা :

ভোরে পিরু মোবাইল খুঁজে রেখে আসলো ,বেলা দশটায় পুলিশ এসে লাশ নিয়ে গেলো ….

আজ ও সেই মেয়ের sathe আবার o দেখা হলো ..সে বললো “পাপ কখনও বাপ কেউ ছাড়ে না ”

আবার মিশে গেলো বাতাসে জানি না আবার দেখা হবে কি না

গল্পের বিষয়:
ভৌতিক
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

আরও গল্প

সর্বাধিক পঠিত