একটি বট গাছে একটা পেন্তী থাকতো। এবং পেন্তীটার একদিন সাধ হলো সে একটা মানুষকে বিয়ে করবে । তারপর পেন্তী টা এই গ্রাম থেকে ওই গ্রাম বর খুঁজিতে লাগল। এবং সে দেখল একটা বাড়িতে ধুমধাম করে বিয়ে হচ্ছে । বিয়ের বরটা পেন্তীটার পছন্দ হলো এবং সে সুযোগ খুঁজিতে লাগিল। তারপর দেখল বিয়ে বাড়ির বওটা মুখহাত ধুতে এসেছে তখন পেন্তীটা তার গলা টিপে ধরল আর বওটাকে একটা বট গাছের ডালে বসিয়ে দিল। এবং নিজে বও সেজে ঘরে বসে রইল। এভাবেই কাটতে লাগল দিন। একদিন তার সাসরী তাকে বলল গাছ থেকে একটা পাতি নেবু পেরে আনতে বলিল।এবং বওটা পেন্তী হওয়ার কারণে তার হাতটা লম্বা করে লেবু পেরে আনল। এবং তার সাসরী বুঝতে পারল সে একটা পেন্তী । তারপর সে তার ছেলের কাছে সব কথা বলল। কিন্তু তার ছেলে সেটা বিশ্বাস করল না।তারপর সাসরী ও ছেলে দুইজনেই দেখলো বওটা লকড়ির জায়গায় তার পা দিয়ে বসে আছে।আর তাদের সন্দেহ রইল না যে এটা একটা পেন্তী । তখন তারা প্রতিবেশিদের কাছে সবকথা খুলে বলল।এবং তার প্রতিবেশিদের কিছু ছেলে একটা ওঝাকে ডেকে আনল । ওঝা বলল যে পেন্তী অথবা ভূত পোড়া হলদির গদ্ধ সইতে পারল না।তখন ওঝাটা পেন্তীর নাকে হলদি ধরল। এবং পেন্তীটা ছটপট করতে লাগল। ওঝাটা বলল যে বল তুই এই বাড়ির বওকে কথায় লুকিয়ে রেখেছিত। কিন্তু পেন্তীটা বললো না।তারপর ওঝাটা তার পায়ের চটি খুলে পেন্তীটাকে মারতে লাগল।আর পেন্তীটা বলল বলছি আমি বওটাকে বট গাছে লুকিয়ে রেখেছি। ওঝা বলল এখনি বওটাকে আন।আর পেন্তীটা সঙ্গেসঙ্গে বও টাকে আনে দিল এবং ওঝাটা তাকে ছেরে দিল।
গল্পের বিষয়:
ভৌতিক