জামশেদ সাহেব রাঙামাটির সরকারী বাংলোতে উঠেছেন আজ বেশ কদিন হলো। সঙ্গে রয়েছে তাঁর স্ত্রী এবং একমাত্র সন্তান অপু। তিনি একজন উচ্চপদস্থ সরকারী কর্মকর্তা। ঢাকা থেকে ছুটি কাটাতে এখানে এসেছেন। তাঁর একমাত্র শখ মাছ ধরা এবং অবশ্যই রাতে। ছোটবেলায় গ্রামের বাড়িতে অনেক মাছ ধরেছেন। আজও এই শখ ছাড়তে পারেননি। তাই যখনই ছুটি পান, লেক তীরবর্তী কোনও জায়গায় ছুটি কাটাতে চলে যান। সঙ্গে অবশ্য ছিপ নিতে ভোলেন না। বাংলোর বারান্দায় বসে সঙ্গে আনা নতুন ছিপটা পরীক্ষা করতে করতে স্ত্রীর সাথে কথা বলছিলেন।
‘শোন, অপুর মা,’ জামশেদ সাহেব বললেন। ‘ছেলেটা আজ রাতে আমার সাথে মাছ ধরতে যেতে চাইছে। তুমি আপত্তি করো না, প্লিজ। তা ছাড়া ও এখন বড় হয়েছে।’
পাশে বসা অপুও মাকে অনুরোধ করে বলল, ‘মা, প্লিজ, না করো না।’
মিসেস জামশেদ ছেলের দিকে তাকিয়ে হেসে বললেন, ‘ঠিক আছে, যাও। তবে সাবধানে থেকো। বাবার কাছ থেকে নড়বে না।’ এরপর স্বামীর দিকে তাকিয়ে বললেন, ‘মাছ ধরার নেশায় ছেলের কথা ভুলে যেও না। সবসময় ওকে চোখে চোখে রাখবে। ওর কিছু হলে তোমাকে আমি…’
‘থাক, থাক, আর বলতে হবে না,’ জামশেদ সাহেব কৃত্রিম ভয় পাওয়ার কণ্ঠে বললেন। ‘তুমি একদম চিন্তা করো না।’ তারপর ছেলের দিকে তাকিয়ে বললেন, ‘শেষ পর্যন্ত অনুমতি মিলল। এখন মাছ ধরার সমস্ত জোগাড়যন্ত্র করো।’
মাছ ধরতে যাবে তাও রাতে, এই উত্তেজনায় অপুর সারা শরীর শিউরে উঠল। এর আগে কখনও সারা রাত বাইরে কাটায়নি ও।
সন্ধে নাগাদ জামশেদ সাহেব আর অপু মাছ ধরার জিনিসপত্র নিয়ে বেরিয়ে পড়ল।
যেখানে মাছ ধরতে যাবে, সেই জায়গাটা এই বাংলো থেকে প্রায় সাত-আট মাইল দূরে। পাহাড়ি আঁকাবাঁকা পথ, পায়ে হেঁটে যেতে হয়। যেতে যেতে অপু বলল, ‘জানো, বাবা, রেডিওতে শুনেছি, আজ রাতে নাকি খুব ঝড়বৃষ্টি হবে। তবে কি মাছ ধরতে পারব না?’
‘তুমি কিছুই জানো না,’ জামশেদ সাহেব হেসে বললেন। ‘বড় বড় মাছ কেবল বৃষ্টির রাতেই ধরা যায়। তা ছাড়া বৃষ্টির কবল থেকে মাথা-শরীর বাঁচাবার জন্য দু’জনের জন্যই রেইনকোট এনেছি।’
দুই
পৃথিবীর বুকে রাতের অন্ধকার নেমে এসেছে। আকাশে ঘন কালো মেঘ। মাঝে মাঝে মেঘের ফাঁক দিয়ে এক চিলতে চাঁদ উঁকি দিচ্ছে। চাঁদের ঘোলাটে আলোয় পাহাড়ি পথের দু’পাশের লম্বা গাছগুলোর গোড়ায় আরও অন্ধকার জমেছে। রাতের পাহাড়ি শীতল বাতাসে গাছপালার ডালগুলো কাঁপছে। ম্লান আলোয় মনে হচ্ছে সেগুলো যেন কোনও বিরাট দৈত্যের হাত।
অপুর মনে হচ্ছে, ও যেন পৃথিবীর বাইরে অন্য কোনও গ্রহে এসে পড়েছে। ওর গা অজানা আশঙ্কায় শিরশির করে উঠল। অল্প ভয়ও পাচ্ছে। তাই বাবার পাশ ঘেঁষে চলতে লাগল।
একটু পরেই বৃষ্টি শুরু হলো। প্রথমে ফোঁটা ফোঁটা, পরে মুষলধারে। বৃষ্টির ফোঁটাগুলো তীরের ফলার মতো ওদের শরীরে এসে লাগল। প্রচণ্ড বেগে বাতাস বইতে লাগল। বাতাসের ধাক্কায় বড় বড় গাছগুলো দুলতে লাগল।
চাঁদ মেঘে ঢাকা পড়ায় কিছুই দেখা যাচ্ছে না। একটা গাছের তলায় দাঁড়িয়ে জামশেদ সাহেব অপুকে বললেন, ‘দাঁড়াও, রেইন কোট পরে নাও।’
দুজনে রেইন কোট পরে আবার হাঁটতে শুরু করল। প্রায় আধ ঘণ্টা হাঁটার পর অপু পানির ছলাৎ ছলাৎ শব্দ শুনতে পেল, বুঝতে পারল লেকের কাছাকাছি চলে এসেছে।
লেকের পাড়ে এসে জামশেদ সাহেব কাঁধ থেকে ব্যাগটা নামালেন। এতক্ষণে বৃষ্টিটা একটু কমে এসেছে। ব্যাগের ভেতর থেকে কৌটা বের করে টোপগুলো দেখতে দেখতে বললেন, ‘এখানে বসব। জায়গাটা উঁচু আছে। আমি কী করছি তা মনোযোগ দিয়ে দেখো। তারপর মাছ ধরতে বসে পড়ো।’ ছেলেকে উৎসাহ দেবার জন্য আরও বললেন, ‘আজ আমরা পাল্লা দিয়ে মাছ ধরব। দেখি কে বেশি মাছ ধরতে পারে।’ এ কথা শুনে অপু লাফিয়ে উঠল।
জামশেদ সাহেব সুতার মাথায় বড়শি বাঁধলেন। তারপর ওতে টোপ লাগিয়ে পানিতে ফেললেন। অপু খুব মনোযোগ দিয়ে দেখতে লাগল। মিনিট পনেরো দেখার পরই ওর মনে হলো মাছ ধরা তো খুবই সহজ। এবার ও নিজেই একটা জায়গায় বসে মাছ ধরতে পারবে। বাবার কাছে থাকলেই দু’জনে কোনও না কোনও কথা বলছে, আর সেজন্য মাছ আসছে না। রেইন কোটের হুড উঠিয়ে
সামনের দিকে ঝুঁকে বাবা বসে আছেন। এখনও ঝিরঝির বৃষ্টি পড়ছে, তবে প্রচণ্ড বেগে বাতাস বইছে। অপু ভাবল, বাবার সাথে প্রতিযোগিতা করার সময় হয়েছে। তাই কোনও কথা না বলে একটা ছিপ আর টোপের কৌটা নিয়ে লেকের পাড় ধরে এগিয়ে গেল।
প্রায় আধ মাইল এগিয়ে গিয়ে লেকের কিনারায় একটা জায়গা খুব পছন্দ হলো ওর। ছিপটাকে মাটির ওপর রেখে বড়শিতে টোপ লাগিয়ে সেটা পানিতে ফেলল। এরপর অপেক্ষা করতে লাগল।
তিন
আবার জোরে বৃষ্টি শুরু হলো। আকাশের কোথাও যেন ফুটো হয়ে গেছে। তীব্র বৃষ্টির সাথে ঝড়ো হাওয়া বইতে শুরু করল। অপুর ভয় করতে লাগল। সঙ্গী বলতে কেউ নেই। ওর বাবা তো অনেক দূরে।
অবিরাম বৃষ্টির ফলে পাড় থেকে প্রচুর পানির ধারা লেকে পড়ছে। সেগুলোকে ছোট ছোট নদীর মতো লাগছে। হঠাৎ অপু দেখল, ওর ছিপটা পাড় থেকে নামা পানির সাথে ভেসে লেকের দিকে যাচ্ছে। ভয় পেয়ে নিজের কথা না ভেবে সামনের দিকে ঝাঁপ দিল অপু। ছিপটা ধরার জন্য পানির স্রোতের মধ্যে হাত বাড়াল। কিন্তু ছিপটা ততক্ষণে স্রোতের টানে আরও অনেকটা সরে গেছে। অপু ভাবল, বাবার এত শখের ছিপ স্রোতে ভেসে যাচ্ছে! ছিপটাকে ধরার জন্য আরও এগিয়ে। কিন্তু ও লেকে পড়ে গেল। লেকের পানির তীব্র স্রোতে ভেসে যেতে লাগল। গায়ের রেইন কোটটা ওর কাছে বিরাট বোঝা মনে হলো। এই বোঝার টানে পানির নিচে তলিয়ে যেতে লাগল। মাথাটা পানির ওপরে তুলে হাত-পা ছুঁড়ে কোনওরকমে ভেসে থাকতে চাইল। কিন্তু স্রোতের টানে ক্রমশ মাঝ ভেসে যেতে লাগল অপু।
আর তখনই মাঝ লেকে আলোর এক বিন্দুর দেখতে পেল ও। আরেকটু কাছে আসতেই বিদ্যুৎ চমকের আলোয় একটা নৌকা দেখতে পেল। নৌকার পাটাতনে একটা হারিকেন জ্বালানো রয়েছে। একজন শক্ত হাতে দুটো বড় বৈঠা দিয়ে সেটা বাইছে। নৌকাটা এখন অপুর দিকে এগিয়ে আসছে।
নিজেকে পানির ভেতরে তলিয়ে যাবার হাত থেকে রক্ষা উদ্দেশ্যে হাত-পা ছোঁড়ার জন্য অপুর শক্তি ক্রমেই শেষ হয়ে যাচ্ছে। কোনরকমে সাঁতরে নৌকার দিকে এগুতে লাগল। নৌকার কাছাকাছি আসলে অপু দেখল, একজন লোক ঝুঁকে হাত বাড়িয়ে রেখেছে ওকে ধরার জন্য।
তখুনি মেঘাচ্ছন্ন আকাশের কালো বুক চিরে বিদ্যুৎ চমকে উঠল। সেই আলোয় অপু লোকটার চেহারা দেখতে পেল।
কিন্তু একি! এটা তো একটা কঙ্কালের মুখ! কঙ্কালটা হাসছে। কী ভয়ঙ্কর সেই হাসি! কঙ্কালটা তার কাছে আসার জন্য অপুকে ইশারা করেছে। কঙ্কালটার পরনে একটা কালো আলখাল্লা। এক হাতে বৈঠা নিয়ে আরেক হাত বাড়িয়ে দিল। বিদ্যুতের আলোয় অপু দেখল সেই হাতে চামড়া, মাংস কিছুই নেই। কেবলই হাড়।
এ দৃশ্য দেখে অপু নৌকার কাছ থেকে দূরে সরে যেতে চাইল। কিন্তু অপুকে দূরে সরতে দেখে কঙ্কালটা বৈঠা নামিয়ে রেখে নৌকার পাটাতন থেকে একটা জাল তুলে নিল। তারপর রক্ত হিম করা হাসি হেসে অপুকে লক্ষ্য করে লেকে জাল ছুঁড়ল। জাল দিয়ে অপুকে নৌকায় তুলতে চায়!
প্রচণ্ড আতঙ্কে অপু চিৎকার করে উঠল। তারপর আর কিছুই ওর মনে নেই।
চার
আস্তে আস্তে অপুর জ্ঞান ফিরে এল। চোখ খুলে দেখল হাসপাতালের নরম বিছানায় শুয়ে আছে। বিছানার পাশে ওর মা-বাবা এবং পুলিশের এক অফিসার দাঁড়িয়ে আছেন। বাবার চেহারায় চিন্তার ছাপ।
‘কী…কী হয়েছে? আমি এখানে কেন?’ অপু প্রশ্ন করল।
‘শান্ত হও, বাবা,’ জামশেদ সাহেব ছেলেকে বললেন। ‘তুমি লেকে ডুবে যেতে যদি না আমি সময়মতো যেখানে তুমি মাছ ধরতে বসেছিলে সেখানে যেতাম। দেখলাম আমার অন্য ছিপটা পাচ্ছি না। আর তুমিও পাশে নেই। তখন তোমার খোঁজে এগোলাম। বিদ্যুতের আলোয় দেখলাম তুমি ভেসে যাচ্ছ মাঝ লেকের দিকে। আমি লেকে ঝাঁপিয়ে তোমায় টেনে তুললাম। তোমার তখন জ্ঞান নেই।
‘তোমার অজ্ঞান দেহটা নিয়ে কোথায় যাব বুঝতে পারছিলাম না। ঠিক সেই সময় এই পুলিশ অফিসারের সাথে দেখা হয়ে যায়। উনিই তোমাকে এখানে নিয়ে আসতে সাহায্য করেছেন।’
‘আমাকে ক্ষমা করো, বাবা,’ অপু বলল। ‘তোমার শখের ছিপটা হারিয়ে ফেলেছি।’
‘আরে, বোকা, ওটা নিয়ে চিন্তা করতে হবে না। ওরকম ছিপ যোগাড় করা যাবে। কিন্তু তুমি লেকের পানিতে পড়লে কীভাবে?’
‘তোমার ছিপটা ভেসে যাচ্ছিল, ওটা ধরতে গিয়েই তো আমি পানিতে পড়ে গেলাম।’
‘পানিতে পড়ে যাবার পর পাড়ের দিকে আসার চেষ্টা না করে মাঝ লেকে চলে যাচ্ছিলে কেন?’ জামশেদ সাহেব ছেলেকে প্রশ্ন করলেন।
অপু এবার সেই ভুতুড়ে নৌকা আর তার মাঝির কথা বলল।
অপুর কথা শেষ হলে পুলিশ অফিসার চিন্তিতভাবে গাল চুলকে বললেন, ‘অপু, কঙ্কালটা তোমাকে বাঁচাতে আসেনি। ওটা তোমাকে পানিতে চুবিয়ে মারতে এসেছিল।’
জামশেদ সাহেব পুলিশ অফিসারকে প্রশ্ন করলেন, ‘কী বলতে চাইছেন?’
পুলিশ অফিসার বললেন, ‘আমি আপনাকে যে কাহিনী বলব তা আপনার বিশ্বাস হবে না।’
জামশেদ সাহেব বললেন, ‘বিশ্বাস-অবিশ্বাসের কথা পরে। আগে আপনার গল্পটা বলুন।’
পাঁচ
পুলিশ অফিসার বলতে লাগলেন, ‘অনেক কাল আগের কথা। এদিকের সমস্ত জমির মালিক ছিলেন এক পাহাড়ি আদিবাসীদের রাজা। তিনি ছিলেন অত্যন্ত লোভী এবং নিষ্ঠুর। উনি প্রজাদের বনভূমিতে শিকার করতে দিতেন না, মাছ ধরতে দিতেন না। প্রজারা শিকার করতে অথবা মাছ ধরতে গেলে রাজাকে কর দিতে হত। কিন্তু প্রজারা কর দিতে পারত না। এজন্য তারা খিদেয় কষ্ট পেত। তাই অনেকেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বনে শিকার করত অথবা মাছ ধরতে যেত। যারা ধরা পড়ত রাজার আদেশে তাদের মৃত্যুদণ্ড হত। প্রজারা দলে দলে রাজ্য ছাড়তে লাগল।
‘রাজার নিজের একটা ছোট নৌকা ছিল। সেটায় চেপে তিনি নিজে লেকে ঘুরে বেড়াতেন। লেক পাহারা দিতেন। কেউ লুকিয়ে মাছ ধরতে এসে ধরা পড়লে আর রক্ষা ছিল না। সাথে সাথে তাকে মেরে ফেলা হত।’
এতক্ষণ অপু মনোযোগ দিয়ে পুলিশ অফিসারের কথা শুনছিল। ও জিজ্ঞাসা করল, ‘যে লোক লুকিয়ে মাছ ধরতে আসত সে তো থাকত লেকের পাড়ে। আর রাজা থাকতেন নৌকায়। তা হলে পাড়ে থাকা লোকটাকে ধরতেন কীভাবে?’
‘খুব সহজেই,’ পুলিশ অফিসার বললেন। ‘রাজার একটা জাল ছিল। তুমি তো দেখেছ, তাই না?’ অপু মাথা নাড়ল। ‘রাজা ছিলেন
জাল ছুঁড়তে খুবই ওস্তাদ। মাছ শিকারির অলক্ষে তার কাছাকাছি পৌঁছে যেতেন। তারপর বিদুত্যের মতো ক্ষিপ্রগতিতে লোকটার মাথা লক্ষ্য করে জাল ছুঁড়তেন। মাছ শিকারি জালে আটকা পড়ে যেত। পরে হতভাগ্য লোকটাকে টেনে পানিতে চুবিয়ে মারতেন। এভাবে তিনি অনেক লোককে হত্যা করেছিলেন। এ রকম নিষ্ঠুরতা করে তিনি আনন্দ পেতেন।’
‘কী ভয়ঙ্কর,’ অপু বলল।
‘হ্যাঁ,’ পুলিশ অফিসার বললেন। ‘কিন্তু প্রজারাও একদিন প্রতিশোধ নিল।’
‘কীভাবে?’ জামশেদ সাহেব জিজ্ঞাসা করলেন।
‘প্রচণ্ড এক ঝড়ের রাতে তারা রাজার নৌকার তলায় একটা ফুটো করে দিল। রাজা জানতে পারেননি। তিনি সেই ফুটো নৌকা নিয়েই মাঝ লেকে চলে চলে গেলেন। তাঁর সঙ্গে ছিল সেই জাল আর একটা হারিকেন। পরনে ছিল কালো আলখাল্লা। তারপর যা ঘটার তাই ঘটল। ফুটো দিয়ে পানি ঢুকে নৌকা ডুবে গেল। আর সেই সাথে অত্যাচারী রাজার সলিল সমাধি হলো।’
পুলিশ অফিসার একটু থেমে জামশেদ সাহেবকে বললেন, ‘এতদিন স্থানীয় জেলেদের কাছে শুনেছি, প্রায় প্রতিদিন রাতেই নাকি তারা রাজার নৌকা দেখতে পায়। ওদের কথা বিশ্বাস করিনি। কিন্তু আজ আপনার ছেলের কথায় বিশ্বাস হলো।’
জামশেদ সাহেব আর অপু অবাক দৃষ্টিতে পুলিশ অফিসারের দিকে তাকিয়ে রইলেন।
………………………………………………. (সমাপ্ত) …………………………………………….