আজ থেকে প্রায় ১৫ বছর আগের কাহিনি।
তখন ছিল গ্রীষ্মকাল ।
রহিম আলী নানা প্রতিদিনের মত সেদিনও ঘাস কাটার জন্য মাঠে গেল। যাওয়ার পথে একটা খাল পার হয়ে তারপর মাঠে যেতে হয়।
সারাদিন ঘাস কেটে জোহরের আজান দিলে ঘাসগুলো বেধে কাদে করে নিয়ে চলে আসেন।সেদিনও তার ব্যতিক্রম ছিলোনা । সারাদিন ঘাট কাটলেন,ওইদিন একটু বেশি সময়ই ঘাস কাটলেন। যার ফলে আসে পাশের সবাই অনেক আগেই চলে গেছে।
এদিকে নানার দেরি দেখে নানী বড় মামাকে পাঠালেন নানার কাছে। ওই দিকে নানা একা একাই যখন ঘাস গুলো বাধতে গেলের,তখন হঠাৎ একটা ঢিল উনার সামনে এসে পড়লো। নানা চারপাশে তাকালেন, কিন্তু কেউ নেই কোথাও । আবার যখন বাধতে গেলেন তখন আরও একটা ঢিল এসে উনার হাতের উপর পড়ে ।
নানার মেজাজ ৩৬০ এ গিয়ে দাড়ায় । উনি আন্দাজে বকা শুরু করলেন ।যাক নানা তাড়াতাড়ি করে ঘাস বেধে বাড়ির পথে হাটা দিলেন ।
নানা যখন খাল পার হতে গেলেন হঠাৎ করেই কেউ একজন উনাকে ধাক্কা মেরে খালের নিচে ফেলে দেয়।
খালে অল্প একটু পানি ছিলো, আর বাকি সব কাঁদা ।
উনি যখন উঠতে যাবেন ঠিক তখনই দানবের মত বড় বড় নখ ওয়ালা একটা ভূল উনার উপর জাপিয়ে পড়ে ।
রহিম নানা নিজেও অনেক তরতাজা আর সুঠাম দেহের অধিকারী।
তুমুল দস্তাদস্তি শুরু হয়ে গেল ভুত আর নানার মধ্যে, কিন্তু ভূতের সাথে পারাটা অতটা সোজা নয় ।
ভূতটা নানাকে উনার গলা পর্যন্ত কাঁদামাটিতে ঘেড়ে ফেলে, তখনই দূর থেকে মামা ,বাবা বাবা বলে চিৎকার দিয়ে উঠলেন।
তারপর অনেক লোকজন এসে নানাকে মাটির ভেতর থেকে বের করেন ।
রহিম নানার হাতের পায়ের সবগুলা নখ মরে যায়, উনি একমাস বিছানা ছেড়েই উঠতে পারে নাই।