১. ভেরজিল ভ্যান দিজক্ (লিভারপুল)
এই ডাচ্ সেন্টার ব্যাকের নিজের দেশের বাইরে ২০১৯ সালের একটি চ্যাম্পিয়নস লীগের পুরস্কার রয়েছে।
ফুটবল একটি দলগত খেলা। এই খেলায় আপনি যতই ভালো খেলোয়াড় হন না কেন যদি ঐক্যবদ্ধ হয়ে না খেলা হয় তবে জয়ের আশা খুবই নগন্য। তবে লিভারপুলে যবে থেকে ভ্যান দিজক্ এসেছেন এই দলের প্রতিকক্ষা আগের থেকে অনেক মজবুত হয়েছে।
এই ডাচ্ সেন্টার ব্যাকের নিজের দেশের বাইরে ২০১৯ সালের একটি চ্যাম্পিয়নস লীগের পুরস্কার রয়েছে। তার ঝুরিতে বিশ্বের প্রথম সেন্টার-ব্যাক হয়ে ২০০৬ সালে ব্যালন ডি’অর এর শিরপাও রয়েছে।
২. কালিদৌ কৌলিবালি (নাপোলি)
এই সেনেগাল খেলোয়ারের সেরা দিক তার দৌড়ের গতি যা অতিক্রম করা বিরোধী স্ট্রাইকারদের জন্য একটি কঠিন কাজ।
নাপোলি কৌলিবালিকে আরও একটি মৌসুমে রাখতে সক্ষম হয়েছেন। যদিও এর পিছনে ১৫০ মিলিয়ন পাউন্ড নাপোলিকে গুনতে হয়েছে। এই সেনেগাল খেলোয়ারের সেরা দিক তার দৌড়ের গতি যা অতিক্রম করা বিরোধী স্ট্রাইকারদের জন্য একটি কঠিন কাজ। তবে তার বলের সাথে দক্ষতা এবং কঠিন পরিস্থিতিতে মাথা ঠান্ডা রাখার ক্ষমতা সত্যিই প্রশংসনীয়।
৩. জেরার্ড পিকে (বার্সেলোনা)
পিকে ২০১৮/১৯ সালে বার্সার হয়ে তার অষ্টম লা’লিগা ট্রফিটি ঘরে তুলেছিলেন, ২০০৮ সাল থেকে তিনি কাতালানস এবং স্পেনের সাথে জড়িত। তার ঝুরিতে আরও ১১ টি বড় পুরষ্কার রয়েছে।
পিকে ২০১৮/১৯ সালে বার্সার হয়ে তার অষ্টম লা’লিগা ট্রফিটি ঘরে তুলেছিলেন, ২০০৮ সাল থেকে তিনি কাতালানস এবং স্পেনের সাথে জড়িত। তার ঝুরিতে আরও ১১ টি বড় পুরষ্কার রয়েছে। পিকে এখন ৩৩ বছরে, তবে গত মরসুমে আর্নেস্তো ভালভার্দের হয়ে মাত্র তিনটি লিগ গেম মিস করেছেন এবং এর মধ্যে একটি ছিল সাসপেনশনের কারনে। তিনি ফ্রান্সের স্টপার ক্লিমেন্ট লেঙ্গেলের সাথে একটি সুস্পষ্ট অংশীদারিত্ব গড়ে তুলেছিলেন যা সম্ভবত ২০১৯/২০ সালে আবার দেখতে পাবেন তার ভক্তর।
৪. র্যাফায়েল ভারেন (রিয়াল মাদ্রিদ)
এর আগে তার ঝুরিতে চারটি চ্যাম্পিয়নস্ লীগ এবং দুইটি লা’লিগা শিরপা রয়েছে।
যদিও ২০১৯ এই খেলোয়াড়ের জন্য এতটা ফলপ্রসূ ছিল না তবে ভারেন ২০১৮ তে বিজয়ী দল ফ্রান্সের হয়ে একের পর এক তার সেরা খেলা দেখিয়েছেন। এর আগে তার ঝুরিতে চারটি চ্যাম্পিয়নস্ লীগ এবং দুইটি লা’লিগা শিরপা রয়েছে। ২৭ বছর বয়সী এই খেলোয়াড়ের জন্যে এইগুলোই বা কম কি!
৫. আয়মেরিক লাপোর্টে (ম্যানচেস্টার সিটি)
২০১৮ এর জানুয়ারিতে তিনি এথলেটিক ক্লাব থেকে ৫৭ মিলিয়ন পাউন্ডে ম্যানচেস্টার সিটিতে যোগ দেন।
ইনি প্রিমিয়ার লীগের একজন উৎকৃষ্ট দলের উৎকৃষ্ট খেলোয়ার। যদিও এ নিয়ে অনেকে দ্বিমত পোষণ করবেন তবে এই খেলোয়ার প্রয়োজনে তার ক্ষমতার চেয়ে বেশি কিছু করতে কখনই ভয় পান না। ২০১৮ এর জানুয়ারিতে তিনি এথলেটিক ক্লাব থেকে ৫৭ মিলিয়ন পাউন্ডে ম্যানচেস্টার সিটিতে যোগ দেন।
৬. স্যারজিও রামস (রিয়াল মাদ্রিদ)
রামোসের বার্নাব্যুর বাইরে জনপ্রিয়তা পুরস্কার জিতা কষ্টের, তবে তিনি এখন এই তালিকা থেকে সরে চলেছেন, তবে বিশ্ব ফুটবলে অন্যতম সেরা ডিফেন্ডার হিসাবে তার অবস্থান নিয়ে বিতর্ক করা কঠিন।
রামোসের বার্নাব্যুর বাইরে জনপ্রিয়তা পুরস্কার জিতা কষ্টের, তবে তিনি এখন এই তালিকা থেকে সরে চলেছেন, তবে বিশ্ব ফুটবলে অন্যতম সেরা ডিফেন্ডার হিসাবে তার অবস্থান নিয়ে বিতর্ক করা কঠিন।
রিয়াল মাদ্রিদ অধিনায়ক এখনও তার দলের হৃদস্পন্দন এবং সর্বদা বড় কোন খেলায় উপস্থিত হন। যেমন লস ব্লাঙ্কোসের সাম্প্রতিক চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ট্রফির প্রতিষ্ঠার সময় উপস্থিত হয়েছিলেন।
৭. মিলান স্ক্রিনিয়ার (ইন্টার মিলান)
এই স্লোভাকিয়ান সেন্টার-ব্যাক বরাবরই দ্রুততম স্ট্রাইকারদের ধরে রাখতে সক্ষম এক দুর্দান্ত অ্যাথলিট।
এই স্লোভাকিয়ান সেন্টার-ব্যাক বরাবরই দ্রুততম স্ট্রাইকারদের ধরে রাখতে সক্ষম এক দুর্দান্ত অ্যাথলিট। তবে গত কয়েক মৌসুমে তিনি খেলার ধরন বুঝার ক্ষেত্রে আরও উন্নত হয়েছেন। তিনি দিয়েগো গডিন এবং স্টেফান ডি ভিরিজের সাথে ব্যাক থ্রি তে খেলছেন, তিনি সেরি এ-র অন্যতম সেরা ডিফেন্ডারের একজন।
৮. জ্যান ভার্টনঘেন (টোটেনহাম হট্সপার)
জ্যান ভার্টনঘেন গত কয়েক বছর ধরে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় সেন্টার-ব্যাক হিসাবে নিজেকে পরিচিত করেছেন।
জ্যান ভার্টনঘেন গত কয়েক বছর ধরে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় সেন্টার-ব্যাক হিসাবে নিজেকে পরিচিত করেছেন। হট্সপার তাকে ছাড়া পরিপূর্ণ হয়না। এই বেলজিয়ান খেলোয়ার বিরোধী দলের স্ট্রাইকার থেকে বল কেড়ে নিতে ওস্তাদ। এই খেলোয়ার নিজের শ্রেষ্ঠত্ব ২০১৮-২০১৯ বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের বিরুদ্ধে দুর্দান্ত প্রদর্শন দিয়ে প্রমাণ করেছিলেন।
৯. হ্যারি মাগুয়ের (ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড)
বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল সেন্টার-ব্যাক হওয়া মানেই ভালো খেলোয়াড় না, তবে লিসেস্টার এবং ইংল্যান্ডের সাথে তার ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখার জন্য মাগুয়ের এই তালিকায় তার জায়গাটির অধিকারী।
বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল সেন্টার-ব্যাক হওয়া মানেই ভালো খেলোয়াড় না, তবে লিসেস্টার এবং ইংল্যান্ডের সাথে তার ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখার জন্য মাগুয়ের এই তালিকায় তার জায়গাটির অধিকারী। যদিও গত মৌসুমে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের তার পিছে ব্যয় করার জন্য ৮০ মিলিয়ন ডলার একটি বিশাল পরিমাণ ছিল, তবে তিনি এমন একজন খেলোয়াড় যে কি-না একটি দলের দুর্বল ব্যাকলাইন সামলাতে একাই যথেষ্ট।
১০.টোবি অ্যাল্ডারওয়েয়ার্ড (টোটেনহাম হট্সপার)
অ্যাল্ডারওয়েয়ার্ড খুব কমই তার পজিশন হাতছাড়া করেন এবং পিছনের তিন বা চার জনের একজন হয়ে খেলতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন।
অ্যাল্ডারওয়েয়ার্ড খুব কমই তার পজিশন হাতছাড়া করেন এবং পিছনের তিন বা চার জনের একজন হয়ে খেলতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। তিনি একজন মারাত্মক পাসার। যদিও তিনি আর তার শীর্ষে নেই, তবে এখনও তাকে একজন শক্তিশালী ডিফেন্ডার বলা হয়।