আর্জেন্টিনার ট্রফি খরার ১০,০০০ দিন

আর্জেন্টিনার ট্রফি খরার ১০,০০০ দিন

২০২০ সাল আর্জেন্টিনা ফুটবল তথা ফুটবল দুনিয়ার এক বিষাদময় বছর। একেতো করোনার আঘাতে পৃথিবী বিপর্যস্ত,বছর শেষে এসে ফুটবলের বরপুত্র খ্যাত দিয়েগো ম্যারাডোনার মৃত্যুতে ক্রীড়াঙ্গন শোকাহত।আরেকটি ব্যাথাতুর সংবাদ আর্জেন্টিনার ক্রীড়াঙ্গনকে আরো বেশী পীড়িত করলো। সংবাদটি হল, আর্জেন্টিনা কোন আন্তর্জাতিক ট্রফিহীন অবস্থায় ১০,০০০ দিন পার করল।

প্রশ্ন আসতেই পারে, এ আর এমন কি? এমনতো হতেই পারে। আসলে আর্জেন্টিনার মত ২ বিশ্বকাপ, ১৪ কোপা আমেরিকা, ১ কনফেডারেশন, ১ প্যান আমেরিকান ও ১ ইন্টার কন্টিনেন্টাল কাপ অব নেশন্স জেতা দল গত ২৭টি বছর একটি ট্রফিও ঘরে তুলতে পারেনি এমনটা মেনে নেয়া কঠিন। ১৯৯৩ সালে সেই যে ইকোয়েডরকে হারিয়ে কোপা আমেরিকার ট্রফি জিতেছিল এরপর আর কোন মেজর ট্রফি তাদের ঝুলিতে আসেনি। এমন নয় যে সে সময়ের পর আর কোন ভাল খেলোয়াড় তারা পায়নি বরং কয়েক ঝাঁক তারকা পাওয়ার পরও তাদের কপালে কোন ট্রফি জুটেনি।

১৯৯৩ সালে কোপা আমেরিকান ট্রফি হাতে আর্জেন্টিনা

বাতিগোল খ্যাত বাতিস্তুতা, টেকো মাথার ভেরন, সিমিওনে, পাবলো আইমার, সেভিওলা, জেভিয়ের জেনেত্তি, জোয়ান রিকোয়েলমে, এরিয়েল ওর্তেগা, জেভিয়ের মাশ্চেরানো, সুরিন, আয়ালা, গাঞ্জালো হিগোইয়েইন, অ্যানহেল ডি মারিয়া, পালাসিও, ক্যাম্বিয়াসো, হার্নান ক্রেসপো এবং ৬ বারের বিশ্বসেরা ফুটবলার লিওনেল মেসি, নামগুলোতেই যেন ফুটবলিয় জাদুর পরশ ছিল এবং সবুজ কার্পেটে যাদুর পরশ লাগিয়ে আর্জেন্টিনাকে গত ২৭ বছরে কোপা আমেরিকায় ৪ বার, কনফেডারেশন কাপে ২ বার এবং সর্বশেষ ২০১৪ সালের বিশ্বকাপসহ মোট ৭ বার মেজর টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলেও একটি বারের জন্যেও কাঙ্ক্ষিত ট্রফি হাতে তুলতে পারেনি। বিশেষ করে ২০১৪, ২০১৫, ২০১৬ এই তিন বছরে টানা তিনটি টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলেও দিন শেষে খালি হাতেই ফিরতে হয়েছে।

কত খেলোয়াড় ব্যাথাতুর হৃদয় নিয়ে একে একে অবসরে গেলেন, মেরোডোনার পর খ্যাতি পাওয়া মেসিও তার শেষের দিকে পা রেখেছে কিন্তু অধরা ট্রফি একটিবারের জন্যেও উঁচিয়ে ধরার সুযোগ পেলোনা। একজন বিশ্বসেরা হওয়ার পরও কিংবা ক্লাবে অতিমানবীয় রেকর্ড করার পরও যখন দেশের হয়ে, দেশের মানুষের হতে লড়ে বারং বার খালি হাতেই ফিরতে হয়েছে এর ব্যাথা কত গভীর হতে পারে তা একমাত্র ভুক্তভোগীরাই বুঝতে পারেন। আমরা দর্শকরা হয়ত দিন শেষে সান্তনা নিতে পারি এই বলে যে, এ বছর হয়নি তো কি হয়েছে? আগামীতে হবে। তারপরও একজন সমর্থক হিসেবে ২৭টি বছর প্রিয় দলের হাতে কোন ট্রফি দেখতে না পারার ক্ষত কত গভীর হতে পারে তা অনুভবের কোন উপায় এখন পর্যন্ত আবিস্কৃত হয়নি। আজ আমরা এমন কিছু ম্যাচ ও টুর্নামেন্ট নিয়ে আলোচনা করব যে ম্যাচগুলো সঠিকভাবে খেলতে পারলে এবং প্রাপ্ত সুযোগগুলো কাজে লাগাতে পারলে হয়ত এত আক্ষেপ করতে হতোনা।

১৯৯৪ বিশ্বকাপ (আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র)

১৯৯০ এর বিশ্বকাপের পর থেকেই আর্জেন্টিনা ফুটবলের বোর্ডের সাথে কিছুটা মনমালিন্য, সদ্য গত হওয়া বিশ্বকাপের হতাশা ইত্যাদির কারণে ম্যারাডোনা জাতীয় দল থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেন। ১৯৯১ ও ৯৩ এর কোপা কাপ খেলেননি। ১৯৯৩ সালে আর্জেন্টিনা যখন বিশ্বকাপের কোয়ালিফাইংয়ের জন্যে প্লে অফ খেলতে হচ্ছিল তখন বোর্ডের অনুরোধে আবারো আকাশি সাদা জার্সি গায়ে মাঠে ফেরেন। ডোপ টেস্টে পজিটিভ হওয়ায় প্রথম রাউন্ডের দুইটি খেলা শেষেই তাকে ফিফা থেকে নিষিদ্ধ করা হয়। দলের মূল স্তম্ভের এ পতনে দলও রাউন্ড অব ১৬ এ রোমানিয়ার কাছে হেরে বাড়ি ফেরে।

নিজের শেষ বিশ্বকাপে ম্যারাডোনা

কোপা আমেরিকা ১৯৯৫ (উরুগুয়ে)

এ বছর আর্জেন্টাইন টিম ছিল অনেকটাই গোছালো। জেনেত্তি, আয়ালা, সিমিওনে, ওর্তেগা ও বাতিস্তোতাদের আর্জেন্টিনা নিয়ে জনতার প্রত্যাশা ছিল আকাশচুম্বী। প্রতিপক্ষগুলোও খারাপ ছিলোনা বিশেষত রোমারিও, রিভালদোর ব্রাজিল। প্রথম রাউন্ডে গ্রুপ সি থেকে দুই ম্যাচ জিতে নকআউট নিশ্চিত করে। কোয়ার্টার ফাইনালে ব্রাজিলের সাথে খেলায় দুইবার এগিয়ে থেকেও ২-২ গোলে খেলা শেষ হলে সবশেষে খেলা গড়ায় পেনাল্টি শুটআউটে। আর্জেন্টিনা ৪-২ গোলে হেরে শূন্য হাতেই বাড়ি ফেরে।

কোপা আমেরিকা ১৯৯৭ (বলিভিয়া)

কোপা আমেরিকার এ সিজনে প্রথম পর্বে এক ম্যাচে জয় ও দুই ম্যাচ ড্র নিয়ে আর্জেন্টিনা দ্বিতীয় রাউন্ডে গেলেও নক আউট রাউন্ড আর পেরোতে পারেনি। পেরুর সাথে খেলায় একের পর এক সহজ সুযোগ মিস করায় পেরুর বিপক্ষে ২-১ গোলে হেরে বাড়ির পথ ধরতে হয়।

১৯৯৮ বিশ্বকাপ (ফ্রান্স)

অনেক বছর পর যেন আর্জেন্টিনাকে আবারো স্বরূপে দেখা যাচ্ছিল। মধ্যমাঠে ভেরন, ওর্তেগার দাপট ও ফরোয়ার্ড লাইনে বাতিস্তুতা, ক্রেসপোদের দাপটে সবাই আবারো আশায় বুক বেধেছিল এবার হয়ত কিছু হবে। গ্রুপ পর্বে ডমিনেট করে রাউন্ড অব ১৬ এ উঠে। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে পেনাল্টিতে ২-২(৪-২) জয়লাভ করে কোয়ার্টার ফাইনালে উত্তীর্ণ হয়। হল্যান্ডের সাথে হাড্ডাহাড্ডি সেই খেলায় হঠাৎ ওর্তেগা হল্যান্ড গোলকিপার ফন ডার সারকে মাথা দিয়ে আঘাত করে লাল কার্ড পেলে আর্জেন্টিনা মধ্য মাঠের দখল হারিয়ে ফেলে এবং ৯০ মিনিটে বার্গক্যাম্পের গোলে ২-১ হেরে আবারো কোটি দর্শকের হৃদয় ভেঙ্গে যায়।

মাথা দিয়ে আঘাত করে ওর্তেগার রেড কার্ড খাওয়ার মুহুর্ত

কোপা আমেরিকা ১৯৯৯ (প্যারাগুয়ে)

টুর্নামেন্টের শুরুটা হয়েছিল দারুণ। প্রথম ম্যাচেই সিমিওনের ১ গোল ও পালের্মোর ২ গোলে ইকোয়েডরকে হারিয়ে দারুণ শুরুর পর কলোম্বিয়ার সাথে আগের ম্যাচের পালের্মো বিশ্ব রেকর্ড করে বসলেন। বিশ্বের প্রথম কোন ফুটবলার হিসেবে এক ম্যাচে তিন তিনটি পেনাল্টি পেয়ে তিনটিই মিস করে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ডে নিজের নাম লিখিয়ে নিলেন। প্রথম কিক ক্রসবারে, দ্বিতীয় কিক বাবের উপর দিয়ে আর শেষ কিক গোলকিপাপের হাতে মেরে আর্জেন্টিনার সৌভাগ্যে শেষ পেরেক মেরে নিজেকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে গেলেন। ফলে ম্যাচট ৩-০ আর্জেন্টিনা হেরে যায়। সেই যে ৯৩ সাল থেকে ব্রাজিল গেড়ো আর্জেন্টিনার লেগেছিল তা যেন কোনভাবেই খুলছিলনা। এবারো আবার সেই ব্রাজিলের মুখোমুখি হয়ে রিভালদো ও রোনালদোর দুই গোলের বিপরীতে এক গোল করে আবারো কোয়ার্টার থেকেই বিদায় নিতে হল।

২০০২ বিশ্বকাপ (কোরিয়া জাপান)

সব দিক থেকেই একটি ব্যাল্যান্স টিম হিসেবে এবং বিশ্বকাপের ফেভারিট হিসেবেই আর্জেন্টিনা এশিয়াতে আগমন করে এবং বাতিস্তুতা আগেই ঘোষণা দিয়ে রাখেন, এবার তিনি আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ জিতিয়েই অবসরে চলে যাবেন। বাতিস্তুতা কথা রেখেছেন, শুধু তিনি নন বরং এ বিশ্বকাপ শেষে আর্জেন্টিনার এক ঝাঁক তারকাই অবসরে চলে যান শুধু বিশ্বকাপে প্রথম পর্বেই বাদ পড়ে যান। প্রথম ম্যাচে নাইজেরিয়াকে হারানোর পর দ্বিতীয় ম্যাচে ইংল্যান্ডের কাছে হেরে যায়। শেষ ম্যাচে আর্জেন্টিনার অন্যতম প্রতিপক্ষ্য হয়ে দাঁড়ায় ক্রসবার। বাতিগোলের একের পর এক শট ক্রসবারে লেগে ফিরে আসলে ম্যাচ ড্র করায় আর্জেন্টিনাকে প্রথম রাউন্ড থেকেই বিদায় নিতে হয়।

নিজের শেষ বিশ্বকাপে হতাশ বাতিগোল খ্যাত বাতিস্তোতা

কোপা আমেরিকা ২০০৪ (পেরু)

দলের নতুন রিক্রুট, যুব বিশ্বকাপ জয়ী কার্লোস তেভেজকে ঘিরে আর্জেনটাইন ফ্যানরা আবারো স্বপ্ন দেখতে শুরু করে।  স্বপ্নের শুরুটাও ছিল দারুণ এবং এগিয়ে চলাও ছিল যথার্থ। কিন্তু ফাইনালে ৯৩ মিনিটে আদ্রিয়ানোর গোল সকল স্বপ্ন ভেঙ্গে দেয়। ২-২ গোলে ড্র হওয়া ম্যাচটি পেনাল্টিতে (২-৪) গোলে হেরে রানার আপ হিসেবেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়।

২০০৫ কনফেডারেশন কাপ (জার্মানি)

অনেক বছর পর এ টুর্নামেন্টে কোয়ালিফাই করে ফাইনালে উঠে ভক্ত হৃদয়ে আবারো আশা জাগালে চির প্রতিদন্দ্বী ব্রাজিল আবারো পথ আটকে দাঁড়ায়। আবারো আদ্রিয়ানোর অতিমানবীয় খেলায় দিন শেষে ব্রাজিল ম্যাচটি ৪-১ গোলে জিতে নেয়। ব্রাজিলের পক্ষে গোল করেন আদ্রিয়ানো (১১,৬৩) কাকা (১৬),রোনালদিনহো (৪৭)।  আর্জেন্টিনার পক্ষে একটি গোল পরিশোধ করেন পাবলো আইমার (৬৫)।

২০০৬ বিশ্বকাপ (জার্মানি)

জার্মানি এ বিশ্বকাপ নিয়ে আর্জেন্টাইন ভক্তকূলের আক্ষেপ খেলোয়ারদের চাইতে কোচের প্রতিই বেশী ছিল। জার্মানির বিপক্ষের ম্যাচটিতে এগিয়ে থাকার পরও কেন জার্মান কোচ হোসে পেকারম্যান এক সাথে রিকোয়েলমে ও ক্রেসপোকে সাব করালো এবং ফর্মে থাকা তরুণ তুর্কি মেসিকে ১২০ মিনিটের খেলাতেও মাঠে নামালোনা তা আজও অমীমাংসিত আক্ষেপ হয়ে থাকবে। শুরুতে এগিয়ে গিয়েও ম্যাচটি ১-১ গোলে শেষ হলে পেনাল্টিতে আর্জেন্টিনার কপাল পুড়ে।

এভাবেই বসে বসে দলের পরাজয় দেখতে হয়েছিল তরুণ মেসিকে

কোপা আমেরিকা ২০০৭ (ভেনেজুয়েলা)

এবার আর্জেন্টিনা সর্বোপরি ভালই খেলছিল। তবে দ্বিতীয় ম্যাচেই পেনাল্টি নিতে গিয়ে ক্রেসপো ইঞ্জুরির শিকার হলে দলের নাম্বার নাইনেই অভাব ছিল স্পষ্ট। অন্যদের বেলায় উৎরিয়ে গেলেও চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিলের সাথে ফাইনালে আবারো মুখোমুখী হলে শুরুতেই ডিফেন্সের ভুলে ৪ মিনিটে ব্রাজিল এগিয়ে যায়। আর্জেন্টিনার আক্রমণগুলো একজন সলিড নাম্বার নাইনের অভাবে কাজে লাগানো যাচ্ছিলো না। মিড থেকে রিকোয়েলমে, ডান থেকে মেসি ও বাম থেকে তেভেজের আক্রমণগুলো নষ্ট হচ্ছিল। এর মাঝেই ৪০ মিনিটে বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে আয়ালা নিজের জালেই গোল দিয়ে বসলে খেলা অনেকটাই একপেশে হয়ে যায় এবং আর্জেন্টিনা আবারো রানার আপ হয়।

২০১০ বিশ্বকাপ (দক্ষিন আমেরিকা)

এ বিশ্বকাপেও ২০০৬ সালের মতই কোচের কল্যাণেই আবারো কোয়ার্টারে জার্মান ওয়ালে আটকে যায়। কোচ ম্যারাডোনার একরোখা মনোভাব ও রিকোয়েলমের জেদ মিলে আর্জেন্টিনার মধ্যমাঠ বলে তেমন কিছুই ছিল না। কোয়ার্টারে এক হালি গোল হজম করে এবারো খালি হাতেই ফিরতে হয়।

কোপা আমেরিকা ২০১১ (আর্জেন্টিনা)

অনেক বছর পর ঘরের মাঠে টুর্নামেন্ট বলে আশায় বুক বাধলেও আর্জেন্টিনা উরুগুয়ের বিপক্ষে ১-১(৪-৫) গোলে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে পড়ে।

২০১৪ বিশ্বকাপ (ব্রাজিল)

১৯৯০ সালের পর ২০১৪ সাল আর্জেন্টিনার হৃদয়ে এক মারাত্মক ক্ষত হয়েই থাকবে। সেবারো জার্মানির কাছে বিশ্বকাপ হারানোর পর বিশ্বকাপের মঞ্চে বারংবার জার্মান ওয়াল আর্জেন্টিনার পথ রোধ করে দাঁড়িয়েছে। এবার সুযোগ ছিল সকল ঘাতের প্রতিঘাত হানার কিন্তু লাভেজ্জির বাড়িয়ে দেয়া থ্রো পেয়ে হিগোয়াইন ফাঁকা মাঠে কেন পোস্টের অনেক বাইরে দিয়ে শট নিল তা দর্শকদের এখনো অজানা। একের পর এক কাপে কাছে গিয়েও ছুঁয়ে দেখতে না পারার ব্যাথা কত গভীর হতে পারে তা মেসির তাকিয়ে থাকা দেখেই বোঝা গিয়েছিল।

কোপা আমেরিকা ২০১৫,২০১৬ (চিলি যুক্তরাষ্ট্র)

দুইটি টুর্নামেন্টেই শুধুমাত্র ফরোয়ার্ড লাইনের মিসের মহড়ার কল্যানে আর্জেন্টিনাকে চিলির কাছে দুইবার সহ টানা তিন বছরে তিনটি মেজর টুর্নামেন্টেই রানার আপ হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে।

টানা তিনটি ফাইনাল হারার পর মাঠেই কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন মেসি

২০১৮ বিশ্বকাপ (রাশিয়া)

ভক্তকুল এবার অনিশ্চিত কিছু আশা করেনি বরং চেয়েছে হয়ত দল ভালই খেলবে। এক মেসির উপর ভর করে কতইবা খেলা যায়। যেদিন ফরোয়ার্ড লাইন ভালো খেলে তো ডিফেন্স লাইনের খবর নেই আবার ডিফেন্স যেদিন ভালো হয় ফরোয়ার্ড লাইনের খবর নেই। এই অবস্থায় ফ্রান্সের সাথে ৪-৩ গোলে হেরে কোয়ার্টার থেকে বিদায় ভক্ত হৃদয়ে তেমন রক্ত ক্ষরণের কারণ হয়েছে বলে মনে হয়না।

কোপা আমেরিকা ২০১৯ (ব্রাজিল)

শুরুটাও যেমন খুব ভাল হয়নি তেমনি খেলার সামগ্রিক অবস্থাও ভালো ছিলোনা। তারপরও ভক্ত হৃদয়ে আশার সঞ্চার হয়েছিল এক মেসির কারণেই। কিন্তু এবারো ব্রাজিলের গেড়ো আর খোলা গেলো না। সেমিফাইনালে ২-০ গোলে হেরে বাড়ির পথ ধরতে হয়েছে। এভাবেই গত ২৭ টি বছর আর্জেন্টিনা ট্রফি খরায় ভুগছে। হয়তো সামনে সুদিন আসবেই তবে কে জানে অগ্রজদের মত মেসিকেও খালি হাতেই অবসরের খাতায় নাম লিখাতে হয় কিনা।

গল্পের বিষয়:
ইতিহাস
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

সর্বাধিক পঠিত