অবগুণ্ঠিতা – ১৩. সন্ধ্যা অনেকক্ষণ উতরে গেছে

অবগুণ্ঠিতা – ১৩. সন্ধ্যা অনেকক্ষণ উতরে গেছে

১৩. সন্ধ্যা অনেকক্ষণ উতরে গেছে

সন্ধ্যা অনেকক্ষণ উতরে গেছে। রাত্রি তখন প্রায় সাড়ে আটটা হবে।

সুব্রত তালুকদারকে কতকগুলো আবশ্যকীয় উপদেশ দিয়ে লালবাজার থানা থেকে বের হল।

আগের রাত্রের ট্যাক্সিতে উঠে ও ড্রাইভারকে গাড়ি চালাতে বললে। ড্রাইভার গাড়ি ছেড়ে দিল।

সুব্রত আগে থেকেই তার প্ল্যান ঠিক করে রেখেছিল। চিৎপুর রোড ও বিডন স্ট্রীট যেখানে এসে মিশেছে, সেখানে এসে সুব্রত ড্রাইভারকে গাড়ি থামাতে বললে। গাড়ি থেকে নেমে সুব্রত ড্রাইভারকে বললে, তুমি এখন যেতে পার।

ড্রাইভার সুব্রত দিকে তাকিয়ে বিস্মিতভাবে বললে, সেখানে যাবেন না সাহেব?

না, তুমি যাও।

ড্রাইভার সুব্রতর মুখের দিকে তাকিয়ে এক মুহূর্ত কি যেন ভাবলে। পরক্ষণেই সুব্রতকে একটা সেলাম দিয়ে গাড়িতে এসে উঠে বসে গাড়ি ছেড়ে দিল উলটোপথে।

গাড়িটা হাত দশ-পনেরো যেতে না যেতেই অন্য একটা ট্যাক্সি এসে সুব্রতর সামনে দাঁড়াল। সুব্রত চকিতে গাড়ির মধ্যে উঠে বসে ড্রাইভারকে লক্ষ্য করে বললে, পীতাম্বর, quick—ওই আগের ট্যাক্সিটাকে অনুসরণ কর।

পীতাম্বর সুব্রতর নির্দেশমত গাড়ি নিয়ে ওখানে এসে সুব্রতর জন্য অপেক্ষা করছিল। সে সঙ্গে সঙ্গে গাড়ি ছেড়ে দিল।

আগের গাড়িটা সোজা চিৎপুর রোড ধরে গিয়ে মেছুয়াবাজারের মধ্যে দিয়ে নয়া রাস্তার দিকে তখন ছুটছে।

সুব্রতর গাড়ি আগের গাড়িটার পিছু পিছু চলতে লাগল।

সুব্রত দেখতে লাগল, আগের গাড়িটা নয়া রাস্তা ধরে সোজা গিয়ে আবার বিডন স্ট্রীটে। ঢুকল। তারপর বিডন স্ট্রীট দিয়ে চিৎপুর রোডে এসে পড়ল।

চিৎপুর রোডে পড়ে বরাবর সেই বাড়িটার দিকেই এগুতে লাগল। বাগবাজারের কাছাকাছি এসে সহসা গাড়িটা আনন্দ চ্যাটার্জি লেনের মুখে এসে দাঁড়িয়ে গেল।

পীতাম্বরও গাড়ি থামালে।

সুব্রত পীতাম্বরকে গাড়ি নিয়ে অপেক্ষা করতে বলে গলির দিকে এগিয়ে গেল। কেননা আগের ট্যাক্সির ড্রাইভার তখন গাড়ি থেকে নেমে গলির মধ্যেই অদৃশ্য হয়েছে।

সুব্রত গলির মধ্যে প্রবেশ করে দেখলে, গলিটা বেশ প্রশস্ত। গলির মাথায় একটা মস্ত বড় পুরাতন বাড়ি। তারই একটি নীচের ঘরে আলো জ্বলছে এবং অনেক লোকের গোলমাল শোনা যাচ্ছে। খোলা দরজার ওপরে একটা সাইন বোর্ড ঝুলছে, চাচার হোটেল।

সুব্রত ইতিমধ্যেই গাড়ির মধ্যে বসে বসে তার বেশভূষার কিঞ্চিৎ পরিবর্তন করে নিয়েছিল। এখন কেউ তাকে দেখলে একজন সাধারণ কুলি শ্রেণীর লোক ছাড়া অন্য কিছু ভাববে না।

সুব্রত গিয়ে চাচার হোটেলে প্রবেশ করল।

ঘরের মধ্যে উজ্জ্বল বৈদ্যুতিক বাতি জ্বলছে। মাংস ও পরটার গন্ধ নাকে ভেসে আসে। বেশ প্রশস্ত ঘরখানি। মাঝে মাঝে চেয়ার পাতা। দশ-বারো জন কুলী শ্রেণীর লোক বসে চা ও নানা জাতীয় খাবার খাচ্ছে।

সুব্রত আশেপাশে একটু নজর দিতেই দেখতে পেলে, সেই শিখ ড্রাইভারটা কাউন্টারে উপবিষ্ট একজন মাঝারি বয়সের নাদুসনুদুস লোকের সঙ্গে ফিসফাঁস করে কি সব বলছে।

কাউন্টারের যে খালি চেয়ারটা ছিল, সেটার ওপরে উপবেশন করে সুব্রত এক কাপ চায়ের অর্ডার দিল এবং সঙ্গে সঙ্গে কান খাড়া করে শোনবার চেষ্টা করতে লাগল ওরা কী বলাবলি করছে।

সুব্রত শুনতে পেলে কাউন্টারের লোকটা বলছে, তোর পিছু কেউ নেয়নি তো রে?

না! টিকটিকি ব্যাটা মাঝরাস্তায় নেমে গেল! উঃ, খুব বেঁচে গেছি। শালা আমার সব ভুল নম্বরগুলো নিয়ে নিয়েছে। কিন্তু কর্তা আজ এখানে আসছে নাকি?

তা বলতে পারি না, তবে তোর প্রাপ্য কুলীর কাছে আছে–চাইলেই পাবি।

একটা ছোকরা এসে এক কাপ চা সুব্রতর সামনে টেবিলের ওপর রেখে গেল।

সুব্রত এতক্ষণে স্পষ্টই বুঝতে পারলে, লোকটা ঐ দলেরই একজন। তাকে ধাপ্পা দিয়েছে। বেমালুম। কিন্তু এখন সে কী করবে? যেমন করে তোক বাড়িটার মধ্যে তাকে আবার ঢুকতে হবে। হাত দিয়ে পকেট অনুভব করে দেখলে চাবির গোছা ঠিক আছে। সুব্রত তাড়াতাড়ি চায়ের দাম মিটিয়ে দিয়ে হোটেল থেকে অন্ধকার গলিপথে বের হয়ে এল।

অন্ধকারে অলক্ষ্যে গলিপথে দাঁড়িয়ে সুব্রত তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে একবার বেশ ভাল করে বাড়িটা দেখে নিল।

বাড়িটা অনেকখানি লম্বা। কিন্তু আগাগোড়া বাড়িটার সবটাই অন্ধকার। কোথাও কোন আলোর আভাস পর্যন্ত নেই।

সুব্রত গলিপথ ধরে এগুতে লাগল।

খানিকটা এগুবার পর ও আবার প্রশস্ত চিৎপুর রোডের ওপরে এসে পড়ল। হঠাৎ ও লক্ষ্য করলে, সেই বাড়িটা যার মধ্যে গতকাল রাত্রে প্রবেশ করে ও বন্দী হয়েছিল এবং সামনেই সেই দরজাটা, যেটায় গতকাল রাত্রে নিজহাতে সেই চাবি লাগিয়েছিল।

সুব্রত আর চিন্তামাত্র না করে তখুনি পকেট থেকে গতরাত্রের সেই চাবির গোছাটা বের করে একটু চেষ্টার পরই দরজা খুলে ফেললে।

নিঃশব্দে বাড়িটার মধ্যে প্রবেশ করলে সুব্রত।

অন্ধকার। একটা চাপা ভ্যাপসা দুর্গন্ধে নাক জ্বালা করে। পকেট থেকে টর্চটা বের করে ও। আলো জ্বালালে এবং টর্চের আলোয় ও নিঃশব্দে অগ্রসর হল।

গতরাত্রের সেই বন্ধ দরজাটার কাছে এসে ধাক্কা দিতেই দরজাটা খুলে গেল।

টর্চ হাতে করে সুব্রত সেই দরজাপথে প্রবেশ করে দেখলে একটা খালি আবর্জনাপূর্ণ মাঝারি গাছের ঘর।

আলো ফেলে সুব্রত ঘরের চারপাশ ভাল করে দেখে নিল। আর একটা বন্ধ দরজা ওর নজরে পড়ল—সে দরজাটাও খোলাই ছিল, ঠেলতেই ফাঁক হয়ে গেল।

সামনেই একটা বারান্দা। বারান্দার এক কোণে প্রশস্ত সিঁড়ি ওর নজরে পড়ল। শিকারী বিড়ালের মত নিঃশব্দ পদসঞ্চারে সিঁড়ি বেয়ে ও উঠতে লাগল। সিঁড়ি দিয়ে উঠে সামনেই দেখলে নীচের তলার মতই আর একটি বারান্দা। কোন একটা ঘরের ঈষৎ ভেজানো দরজার ফাঁকে খানিকটা আলোর রশ্মি এসে বারান্দার ওপরে লুটিয়ে পড়ছে।

সুব্রত ধীরে ধীরে অগ্রসর হতে লাগল পা টিপে টিপে।

যে ঘর থেকে আলো আসছিল তারই পাশের ঘরের দরজাটা খোলাই আছে। কিন্তু ঘরের ভিতর প্রবেশ করে দেখল ঘরটা অন্ধকার। নিঃশব্দে ও ঘরের মধ্যে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে রইল।

পাশের ঘরে যেন কাদের মৃদু কথাবার্তার শব্দ শোনা যাচ্ছে।

দুই ঘরের মধ্যবর্তী দরজার মাঝে একটা ভারী পর্দা ঝুলছে।

সুব্রত পা টিপে টিপে সেই পর্দার সামনে এসে দাঁড়াল।

ও দেখলে মাঝারি গোছের একখানি ঘর। ঘরের মাঝখানে একটা লম্বা টেবিল পাতা, টেবিলের চারপাশে পাঁচ-ছয়জন লোক বসে। প্রথমেই ও লক্ষ্য করল, গতরাত্রের সেই সুবেশধারী বলিষ্ঠ ঢ্যাঙা লোকটা মাঝখানে বসে আছে। মানকে ও গোবরাও দলে আছে। বাকি দুজনকে ও চিনতে পরলে না। হঠাৎ ও দেখলে একটা ট্রেতে করে ধূমায়িত চায়ের কাপ নিয়ে একটি দশএগারো বছরের মেয়ে ঘরে প্রবেশ করল অন্য দিককার একটি পর্দা সরিয়ে।

মেয়েটার চেহারা অত্যন্ত রু। মুখখানি মলিন বিষণ্ণ। টানা-টানা ছলছল দুটি চোখ। চোখের কোণে কালি পড়ে গেছে। একমাথা রুক্ষ চুল এলোমেলো। দুহাতে একগাছি করে কাঁচের চুড়ি। পরিধানে ময়লা ঘেঁড়া একটি তাঁতের ড়ুরেশাড়ি।– মেয়েটি ট্রে হাতে করে টেবিলের সামনে দাঁড়াতেই সকলে এক এক করে হাত বাড়িয়ে এক একটি চায়ের কাপ তুলে নিতে লাগল!

ঢ্যাঙা লোকটি চায়ের কাপটা ট্রের ওপর থেকে তুলতে গিয়ে মেয়েটি একটু নড়ায় খানিকটা চা চকে লোকটার প্যান্টের ওপর পড়ে গেল। পরক্ষণেই লোকটা চায়ের কাপটা টেবিলের ওপরে নামিয়ে রেখে গর্জন করে উঠলে, হারামদামী, চোখের মাথা খেয়েছিস?

মেয়েটি ভীত-চকিত করুণ দৃষ্টি মেলে ঢ্যাঙা লোকটার মুখের দিকে তাকাল।

একজন মোটা লোক ঢ্যাঙা লোকটার পাশেই বসেছিল, সে উঠে দাঁড়াল। তার মুখখানা তখন রাগে ফুলছে, সে খিটখিটে গলায় বললে, ফের তুই অসাবধান হয়ে কাজ করবি! কতদিন না তোকে সাবধান করেছি, সতর্ক হয়ে কাজ করতে! বলতে বলতে লোকটা এসে মেয়েটির চুলের মুঠি চেপে ধরল—আজ তোরই একদিন কি আমারই একদিন।

ওগো আমায় আর মেরো না গো আমায় আর মেরো না, আর অসাবধান হব না। তোমার। দুটি পায়ে পড়ি। করুণ কান্নায় মিনতিতে মেয়েটির কণ্ঠস্বর গুড়িয়ে গেল।

না, আজ আর তোর রক্ষে নেই। চল বলতে বলতে লোকটা মেয়েটির চুলের মুঠি চেপে ধরে হিড়হিড় করে টানতে টানতে সুব্রত সতর্ক হবার পূর্বেই এ ঘরে এসে ঢুকল।

মেয়েটির পিঠে দুম্ করে একটা কিল মারতেই মেয়েটি আর্তস্বরে কেঁদে উঠল।

সুব্রতর সর্বশরীর তখন রাগে ফুলছে। পাশের ঘরের লোকগুলি মেয়েটির করুণ চীৎকার শুনে হা হা করে হাসতে লাগল। আর নয়-সুব্রত বাঘের মতই লাফিয়ে পড়ে লোকটার নাকের ওপরে অন্ধকারেই লক্ষ্য করে এক ঘুষি বসালে। লোকটা অতর্কিতে ঘুষি খেয়ে প্রথমটায় ভয়ানক হকচকিয়ে গেল। কিন্তু সে সতর্ক হবার পূর্বেই সুব্রত একটা প্রচণ্ড লাথি বসাল লোকটার পেটে। একটা গ্যাক করে শব্দ করে লোকটা মুহূর্তে ধরাশায়ী হল।

এ ঘরে ততক্ষণে আলো জ্বলে উঠেছে। লোকগুলো পাশের ঘর থেকে দরজার সামনে এসে দাঁড়িয়েছে। সুব্রত এক লাফ দিয়ে মেয়েটিকে নিজের পিছনে টেনে এনে দাঁড়াল তাকে আড়াল করে।

লোকগুলো যেন সুব্রতকে ঐ সময় ঐ ঘরে দেখে বিস্ময়ে একেবারে থ বনে গেছে।

ঢ্যাঙা লোকটাই সর্বপ্রথম কথা বললে, কী করছিস্ তোরা দাঁড়িয়ে! ধর ব্যাটাকে!

মানকে সুব্রতর দিকে এগিয়ে এল, সুব্রতর কঠিন একটা ঘুষি দুম করে লোকটার নাকের ডগায় এসে পড়তেই লোকটা চোখে সর্ষেফুল দেখে। সে বসে পড়ল।

বাকি তিনজন তখন এগিয়ে এসেছে। সুব্রত সমানে ঘুষি চালাতে লাগল আর বিদ্যুৎগতিতে চারপাশে চারকির মত ঘুরতে লাগল। আর একজন ধরাশয়ী হল।

ঢ্যাঙা লোকটা তখন পিছন থেকে এসে সুব্রতকে জড়িয়ে ধরেছে। যুযুৎসুর প্যাচে সে-ও কাবু হল। বাকি ছিল একজন। সে এক লাফে ঘর থেকে বের হয়ে পালাল। সুব্রত তখন চকিতে মেয়েটির হাত ধরে এক হেঁচকা টান দিয়ে সোজা ঘরের বাইরের এসে এপাশ থেকে শিকল তুলে দিল এবং তাড়াতাড়ি বারান্দায় এসে অন্য দরজাটায়ও শিকল তুলে দিল। লোক চারটিকে বন্দী করে সুব্রত সোজা মেয়েটির হাত ধরে সিঁড়ি দিয়ে নেমে ছুটতে লাগল। এ বারান্দা ও বারান্দা দিয়ে ঘুরে অবশেষে সদর দরজার সামনে এসে দাঁড়াল। রাস্তায় নামতে ও দেখতে পেলে ওর নির্দেশমত কয়েকজন পুলিস তখন রাস্তার ওপরে দাঁড়িয়ে আছে। তাদের যথাযথ উপদেশ দিয়ে সে পীতাম্বরের ট্যাক্সিতে মেয়েটিকে নিয়ে বসল।

কোথায় যাব, হুজুর?

তাই তো! এখন কোথায় যাওয়া যায়? হোটেলেই প্রথমে যাওয়া যাক, তারপর ভেবে দেখা। যাবে কোথায় যাওয়া যায়। সুব্রত বললে, মমতাজ হোটেল!

গাড়ি মমতাজ হোটেলের দিকে তীব্রগতিতে ছুটল।

এতক্ষণে সুব্রত মেয়েটির দিকে তাকাল।

গাড়ির এক কোণে অত্যন্ত সংকোচে জড়সড় হয়ে মেয়েটি বসে আছে।

দরদভরা কণ্ঠে সুব্রত জিজ্ঞাসা করল, তোমার নাম কী খুকী?

ওরা আমায় ক্ষেন্তী বলে ডাকে। কিন্তু আপনি আপনি আমাকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন বাবু? একরাশ উৎকণ্ঠা মেয়েটির কণ্ঠ হতে ঝরে পড়ল।

আমি তোমাকে খুব ভাল জায়গায় নিয়ে যাচ্ছি, যেখানে কেউ আর তোমাকে কষ্ট দেবে না, কেউ মারবে না।

কিন্তু ওরা, মানকে-গোবরা?

কোন ভয় নেই, তারা তোমার নাগাল পেলে তো!

না না, আমাকে সেখানে রেখে আসুন। আমি আপনার সঙ্গে যাব না। না যাব না—ওরা আমাকে মেরে ফেলবে, কেটে গঙ্গায় ফেলে দেবে!

কেন তুমি ভয় করছ খুকী? ওরা তোমাকে পেলে তো। ওরা টেরই পাবে না কোথায় তুমি আছ।

না না, আপনি জানেন না ওদের—ওরা সব পারে! ওরা আমাকে আবার খুঁজে বের করবেই। সর্দারকে আপনি চেনেন না।

দেখলে না, তাদের আমি ঘরে বন্ধ করে রেখে এলাম! এতক্ষণে তাদের জেলে ধরে নিয়ে গেছে আমার লোকেরা। তারা সব জেলে বন্ধ হয়ে থাকবে, কেমন করে তারা তোমাকে খুঁজে পাবে!

না না, তারা ধরা পড়বে না। সর্দারকে কেউ কোনদিন ধরতে পারেনি। কতবার সে জেলে গেল, আবার পালিয়ে এসেছে যেন কেমন করে। সর্দার বলে, জেলে তাকে কেউ আটকে রাখতে পারে না।

সুব্রত নানাভাবে মেয়েটিকে সান্ত্বনা দিতে লাগল। এমনসময় গাড়ি এসে মমতাজ হোেটলের সামনে এসে দাঁড়াল।

সুব্রত মেয়েটির হাত ধরে সোজা নিজের ফ্ল্যাটে গিয়ে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দিল।

গল্পের বিষয়:
ফ্যান্টাসি
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

সর্বাধিক পঠিত