আমিঃ সুপ্তি এই দিকে আসো একটু এই প্রশ্ন টা পারছিনা।
সুপ্তিঃ ঠাসসসসসসস তোর সাহস হলো কিভাবে আমার নাম ধরে ডাকা ( এমন জরে চড় মারছে গাল টা লাল হয়ে গেছে)
আমিঃ এতো জরে কেউ নিজের স্বামী কে কেউ মারে?
সুপ্তিঃ ঠাসসসসসসসসসসসসস আবার ঐ স্বামী কে?
আমিঃ কেন আমি আর তুমি আমার বউ।
সুপ্তিঃ আর একটা কথা বললে এক্সপেল করে দিবো তোরে।
আমিঃ কান্না করে দিবো কিন্তু ( কান্না করে দিছি)
সুপ্তিঃ এই তোর খাতা দে ( বলেই খাতা টা কেড়ে নিলো )
আমিঃ প্লিজ খাতা টা দাও এখনো অনেক প্রশ্ন লেখতে হবে তো।( কান্না করতে করতে )
সুপ্তিঃ যা ক্লাস থেকে বের হ। ( রেগে গিয়ে)
আমিঃ না আমি পরীক্ষা দিমু।
সুপ্তিঃ ঠাসসসসসস বলছি না বের হ।
না আর থাকা গেলোনা অল ক্লাসের সামনে এভাবে আমায় অপমান করবে ভাবতেই পারিনাই আজ কে আমার ডিপ্লোমার পরীক্ষা ছিলো ওয়েট প্রসেসি – ৩ আর একটা প্রশ্ন বেধে গেছিলো তাই জিজ্ঞাসা করার জন্য ওপরের সব আমার ওপর দিয়ে গেলো সুপ্তি হলো আমার সুইট কিউট বউ আমার থেইকা ৪ বছরের বড়। আপনারা অনেকেই জানেন আমাদের কিভাবে বিয়ে হয়েছে। সুপ্তি আমাদের কলেজের শিক্ষিকা। আর আজকে আমাদের পরীক্ষায় র্গাড পরেছিলো সুপ্তি। কলেজে থাকলে সব সময় এমন ব্যবহার করে মনে হয় আমি ওর কেউ না। কি মারডাই না দিলো উহ গাল টা এখনো লাল হয়ে আছে। ওহ কথাগুলো বলতে বলতে বাসায় চলে আসছি। ওর আসতে এখনো ১ঘন্টা বাকি তাই ফ্রেশ হয়ে ঘুমের দেশে গেলাম ঠাসসসসসসসসসসসস ওমা ওমা গালের ওপর দিয়ে আবার চড়ের ঝড় বয়ে গেলো । জেগে দেখি সুপ্তি রাগি লুক নিয়ে আমার দিকে চেয়ে আছি।
আমিঃ এইডা কি হলো?
সুপ্তিঃ তুই পরীক্ষারে হলে এমন করলি কেন?
আমিঃ তাহলে কি বলব হু?
সুপ্তিঃ তুই কেন বুঝিস না আমাদের সর্ম্পক সবাই ভালো চোখে দেখেনা কারন তুই আমার চেয়ে ৪ বছরের ছোট।
আমিঃ তাই এতো জরে চড় মারতে হবে।
সুপ্তিঃ তোকে কতবার বলেছি ক্লাসে আমার নাম ধরে ডাকবিনা ম্যাডাম বলবি তাও তুই শুনিস না।
আমিঃ ডাকবোনা আর নাম ধরে আমি কে তোমার , থাকো তোমার নাম নিয়ে আমি গেলাম।( অভিমান করে )
সুপ্তিঃ কোথায় যাবি ?
আমিঃ জানিনা। রাগ করে বাসা থেকে বের হয়ে চলে আসলাম। আমার বউ কেই তো নাম ধরে ডাকছি আর কাউকে তো ডাকি নাই তাই বলে এতো জরে মারবে আবার সব ছাত্র ছাত্রীর সামনে।
আমার কি একটু মান সন্মান নাই? বাইরে এসে মমিন চাচার চা এর দোকানে বসলাম এক কাপ চা আর একটা গোল্ডলিফ নিলাম চা খাচ্ছি আর সিগারেটের ধোয়া উড়াচ্ছি বউ মার দিছে তাই। এর মধ্যে সুপ্তি প্রায় ৩০ বার ফোন দিয়েছে , তাই রাগ করে ফোন বন্ধ করে রাখছি। কিছুক্ষন পর দেখি ৪র্থ সেমিস্টারের কিছু ছেলে আমার দিকে আসছে। এসেই বলছে জুনায়েদ ভাইয়া আপনি বাসায় জান তা নাহলে আমাদের প্যাক্টিকাল র্মাক দিবেনা ম্যাডাম। ম্যাডাম বলেছে যদি আপনাকে বাসায় না নিয়ে যেতে পারি তাহলে র্মাক দিবেনা প্লিজ ভাইয়া বাসায় যান। ম্যাডাম যদি র্মাক না দেই তাহলে ৩টা বিষয়ে আমরা অনেক খারাপ করবো প্লিজ ভাইয়া বাসায় যান প্লিজ। বুঝলাম সুপ্তি এদের ভয় দেখিয়ে পাঠায়ছে। আমাকে বাসায় যাওয়ার জন্য। আমি ওদের বললাম যেতে পারি তবে একটা র্শতে ।তখন ওরা বললো কি র্শত? আমি বললাম একটা বিয়ার আর একটা গোল্ডলিফ খাওয়াতে হবে। ওরা কিছুক্ষন ভেবে বললো , হুম দিবো কিন্তু ম্যাডাম তো আপনাকে বকা দিবে এইগুলো খেলে। আমি বললাম তাহলে তোমরা যেতে পারো। পরে ওরা রাজি হয়ে বিয়ার আর গোল্ডলিফ কিনে দিলো। আমি সেই গুলো খেতে খেতে বাসার উদ্দেশ্য রওনা দিলাম। দরজা তোকা দিয়া মাত্রই দোরজা খুলে গেছে। সুপ্তি আমার আশায় পথ চেয়ে ছিলো। দোরজা খোলার সাথে সাথেই আমাকে জড়িয়ে ধরে সেই কান্না।
সুপ্তিঃ প্লিজ জুনায়েদ আমাকে মাফ করে দাও আর এমন হবেনা। সবাই ভালো বলে না তাই আমার রাগ হয়ে গেছিলো।
আমিঃ হু।
সুপ্তিঃ আর এমন হবেনা তুমি আর রাগ করে থেকোনা ( কান্না করছে )
আমিঃ হুম।
সুপ্তিঃ তোমার গালে অনেক জরে লাগছে তাইনা বাবু।
আমিঃ হু।
সুপ্তিঃ আসো পাপ্পি দেই বাবু আমার অনেক কষ্ট পেয়েছে।
আমিঃ হু
সুপ্তিঃ ঠাসসসসসসসসসস তুই আবার সিগারেট খাইছোস আর সাথে বিয়ার ।( এইডা কিহলো পাপ্পির বদলে চড় )
আমিঃ হু।
সুপ্তিঃ কি হু হ্যা ? তোকে কতবার বলেছি এইগুলো ভালোনা আমার একটা কথাও তো শুনিস না । জানিস না তুই ছাড়া আমার এই পৃথিবীতে কেউ নাই আর তোর কিছু হয়ে গেলে আমার কি হবে ?
আমিঃ হু।
সুপ্তিঃ আমি তোমার তো কেউ না যে আমার কথা শুনবা। আমি যেই দিন দূর ওই আকাশে চলে যাবো নিঝুমের মতো সেই দিন তুমি বুঝবে কি হারিয়েছো ( কান্না করছে অঝর নয়নে কান্না করতে করতে ছাঁদে চলে গেলো আর আমি বোবা হয়ে সব শুনে যাচ্ছি । সালার বিয়ার আর গরম চা খেয়ে একটু নেশা ধরে গেছে। না আমার বউ টা যদি রাগ করে থাকে তাহলে আমার ভালোবাসা পাওয়া যাবেনা যায় রাগ ভাঙ্গিয়ে আসি কিছুক্ষন পর আমিও ছাঁদে গেলাম , গিয়ে দেখি পাগলী টা ফুপিয়ে ফুপিয়ে নাক টেনে কান্না করছে। আমি গিয়ে পেছন থেকে ওর শাড়ীর নিচ দিয়ে ওর কোমরে হাত রাখলাম আর তখনি ও কেপে উঠলো আর বললো
সুপ্তিঃ ঐ কোন সাহসে আমার কোমরে হাত দিয়েছো ?( কান্না করছে আবার রেগেও আছে)
আমিঃ কেন আমি আমার বউ কে যা মন তাই করতে পারি।
সুপ্তিঃ আমি কারোর বউ হয়নি।( অন্য দিকে মুখ ঘুরিয়ে)
আমিঃ জানু ময়না এমন করে রাগ করেনা ( এখনো ওকে ধরে আছি )
সুপ্তিঃ আমি কারোর জানু টানু হয়না ( অভিমান করে )
আমিঃ না তুমি আমার জান আমার প্রান , তুমি তো আমার এক মাত্র সুইট কিউট বউ তাই তো তোমার কোমরে হাত দিয়েছি হিহি।
সুপ্তিঃ বললাম না আমি কারোর কিছু হয়না।
আমিঃ প্লিজ জান এমন করে না । আমায় একটা পাপ্পি দাওনা জান।
সুপ্তিঃ আমি কারোর জান টান হয়না আর কাউকে পাপ্পি টাপ্পি দিতে পারুম না।
আমিঃ প্লিজ একটা পাপ্পি দাওনা (বিনয় সুরে)
সুপ্তিঃ তুই আমার কোমর থেকে হাত সরা আর পাপ্পি দিতে পারবোনা।( রেগে গিয়ে)
আমিঃ ওকে লাগবেনা যাও , পাশের বাসার ভাবি মনে হয় আমাকে লাইক করে তার থেকেই পাপ্পি নিমুনে ( বলেই চলে আসতে লাগছি)
সুপ্তিঃ ঐ কয় যাস?
আমিঃ কেউ ত আমায় পাপ্পি দিবেনা তাই পাশের বাসার ভাবি যদি দেই তাই ভাবির কাছে যাচ্ছি ( মিছে কথা )
সুপ্তিঃ আর এক পা এগলে এখানেই খুন করে দিবো ।
আমিঃ কেন আবার আমি কি করলাম আমি তো আর তোমাকে বিরক্ত করব না।
সুপ্তিঃ তুই কেনো বুঝিস না তোকে আমি কতটা লাভ করি আর তোর ঐ বিরক্ত গুলোকেও খুব ভালোবাসি।
আমিঃ মিছে কথা আমি গেলাম ( আমিও মিছে কথা কয়লাম )
সুপ্তিঃ ঐ কই যাবি হু? (কলার ধরে)
আমিঃ পাপ্পি নিতে।
সুপ্তিঃ তোরে আমি পাপ্পি দিমু তাও তোরে কারোর কাছে যাইতে দিমুনা।
আমিঃ হু দেখছিই তো ।
সুপ্তিঃ কোমর থেকে হাত সরাইছিস কেন আবার কোমরে হাত দে।
আমিঃ তুমিই তো কয়লা হাত সরাতে।
সুপ্তিঃ আমি বললেই তুই সরাবি ?
আমিঃ হু।
সুপ্তিঃ আমি মরতে বললে মরবি ?
আমিঃ হু।
সুপ্তিঃ তুই আমায় এতো ভালোবাসিস কেন হু ?
আমিঃ হু আমার ম্যাডাম টাকে হেব্বি ভালোবাসি আমার প্রানের চেয়েও বেশি ।
সুপ্তিঃ তোকে আমার কোমর ধরতে বলেছি ( রেগে গিয়ে ) কেন ভালোবাসিস?
আমিঃ হু ধরেছি তো আমি তোমার জন্য মরতেও পারি কথাটা শেষ হয়নি তার আগে আমার মুখ বন্ধ হয়ে গেছে কারোর ভালোবাসার পরশে । যা এক অন্য রকম ভালোবাসা।
আর এভাবেই চলতে আছে আমাদের ঝগড়া আর দুষ্টু মিষ্টি ভালোবাসা …
বিঃদ্রঃ মেয়েরা কিছু পারু না পারুক তাদের ভালোবাসার মানুষের ভাগ কাউকে দিতে চাইনা । আর এটাই হলো ভালোবাসা আর এই ভালোবাসা দিয়ে চলছে হাজারো সংসার নামক এক পবিদ্র তাজমহলে স্বপ্নে গড়া অনুভুতির দেশ