পাশের বাসার ঝগড়াটে আপু

পাশের বাসার ঝগড়াটে আপু

সাহরিয়া কই তুই। এই তো আংকেল খাচ্ছি। ভালো তো খালি খাবি নাকি দরোজাটা ও খুলবি। তিন তিনিট খাঁড়াই থাকেন খুলতেছি। মানে।  সব খুইলা খাইতেছি তো তাই। এই সালার বাড়ি ওয়ালার জন্য আমার কোন কাজে শান্তি নাই কিছু একটু হইলেই চলে আসবে, এই সাহরিয়া আছিস একটু খোল। সবার কাছে শুনছি যে বাড়ি ওয়ালা ভাঁড়াটিয়ে দের সাহায্য করে আর সালা আমার বেলাতেই সব উল্টা হয় খালি। তো দেবদাস মনছুর সাহেব বলে ফ্যালান সমস্যাটা কী? সাহরিয়া তুই কিন্তুু খুব বেয়াদব হয়ে গেছিস আমি তোর বাপের বয়সের।

সেটা ঠিক তাহলে চাচাজান আমি ভিতরে যাই আমি তো বেয়াদব যারা ভালো তাঁদের কাছে যান। এমন করিস কেনো সোনা ছেলে তোরে আমি কত্ত ভালোবাসি না বল দুই মাসের ভাঁড়া ও চাইছি বল। খালি ভাঁড়া ক্যান এই বাড়ি আমার নামে লিখে দিলে ও আমার রিন শোধ হইবো না। আরে এত কথা বলিস ক্যান যা তো নিধির মায়ের হাতে এই চিঠিটা দিয়ে আয় আর পাড়লে আগের উত্তরটা নিয়ে আসিস। কীইইইই আমি আর এই সবের মধ্যে নাই সেদিন একটুর জন্য বাঁইচা গেছি, নিধি আপুরে তো চিনো না তুমি তো বুঁইড়া খাঁটাস তোমারে তো কিছু বলবে না আমারে তো একদম ছিলে ফেলবে। আমি পারমু না অন্য কাউরে দিয়ে পাঠাও। সোনা, মানিক তুই যদি না পাড়িস কে বলবে বল। আচ্ছা যা সামনের মাসের ভাঁড়া ও দেওয়া লাগবে না। সেটা তো দিমুই না পাঁচশো টাকা দাও। কেনো।

নিধি আপুরে মানাইতে যে চকলেট গুলা লাগে তার টাকা কী আমার বাপে দিবে। ঠিকআছে দিতেছে তবে হ্যা ওর হাতেই দিবি। ও টা কে শুনি। আরে তোর আন্টি। আচ্ছা ঠিকআছে টাকা সহ চিঠিটা দাও। এই নে ধর। লুইচ্চা বুঁইড়া। কিছু কী বললি। না না কিছু না। ওহহহহহহহ আর সহ্য হয় না, তবে এইটার অছিলাই সব ফ্রি খালি নিধি আপুরে দেখলেই ভয় লাগে। আমার মাঝে মাঝে অবাক লাগে কত দিনের প্রেম এখন ও মরে নাই। বরং আবার জেঁগে উঠছে সেই ছোট বেলার প্রেম নিধি আপুর মা আর আমার বাড়ি ওয়ালার, নিধি আপুর মায়ের জন্য এখানে এসে বাড়ি করছে পাশাপাশি আর এতে আমার ও ভালো হয়েছে নিধু আপুর বাবা নাই আর এই আংকেল এর বউ নাই বাহ্ কী কপাল নিধি আপুর মা কে তাঁর বাবা জোর করে বিয়ে দিছিলো তাঁতে কী প্রেম তো আছেই।

নিধি আপু যেমন ঝাক্কাস তাঁর মা ও হয়তো সেই কালে এমনি ছিলো বোঝা যায়। এই সব ভাবতে ভাবতে নিধি আপুদের বাসাই চলে গেলাম। কলিং বেল দিতেই। ঐ তুই আমাদের বাসাই কেনো (নিধি)। এহহহহহ..আমি তোমার বাসাই আসি নাই, আন্টি কই।  আন্টিরে ক্যান লাগবে আমাকে বল। তোমার এখন ও বুদ্ধি হয় নাই আন্টিরে ডাকো। থাপ্পর চিনোস হুমমম থাপ্পর দিয়ে দাঁত ফেলে দিমু। তোমার কী ঝগড়া করা ছাঁড়া আর কোন কাজ নাই। ঝগড়ার দেখছস কী তোরে তো আজ ঝাঁড়ু দিয়ে পিটামু। আমি কী দাঁড়াই থাকমু আমি ও ঢ্যাস ঢ্যাস ঢ্যাস। কীইইইই তুই আমাকে মারবি। এত্ত বেশি বোঝ ক্যান হুমমমমমমমম, মারমু এক বার ও কইছি আমি তো দৌঁড় দিমু। তাহলে এমন বললি কেনো। ওহহহহহহ তোমার কপালে বর জুটবে না দেখো এমন চলতে থাকতে। তোর তো সেটা ভাবতে হবে না। আন্টি কই সেটা বলো তো। কেনো।

আন্টিইইইইইইইইইইইইইইই। আচ্ছা তো কী একটা মিনিট ভালো থাকতে পাড়িস না বলতো। সেটা আপনার মেয়েরে কইলেই তো হয়। সাহরিয়া আমি তোর বড়। তোরে আমি কিন্তুু ঐটা দিয়ে পিডামু। দেখছেন আন্টি আপনার সামনে আমারে মারতে চাইতেছে আপনি আসার আগে কি কি বলছে ভাবেন একবার। মা তুমি ওর কথা শুনবা না, ও একটা শয়তান গায়ে পড়ে পড়ে ঝগড়া করে। চুপ কর যা ভিতরে যা। দূর ভালো লাগে না, আমার থেকে তো এখন ঐ বেয়াদবটাই তোমার কাছে আপন। রেগে মেগে চলে গেলো। আন্টি এই ধরেন আপনার মজনুর চিঠি আর আগের টার কোন উত্তর থাকলে দেন আমি যাই। আরে যাবা কেনো কিছু খেয়ে যাও।

আজকে খিদে নাই যখন খিদে লাগবে তখন চলে আসমু নি। ঠিকআছে খিদে পেলেই চলে এসো। আচ্ছা আমি যাই তাহলে। কয়েক দিন পরে খিদে লাগছে তাই নিধি আপুদের বাসাই বসে আছি আর কার্টুন দেখছি। নিধি আপু এখন ও কলেজ থেকে আসে নাই। তাঁরে না দেখলে ও ভালো লাগে না আসলে তাঁরে আমি মনে মনে ভালোবাসি তো হি হি হি। হঠাৎ পিছন থেকে কেউ বালিশ দিয়ে মারলো। সাহরিয়ার বাচ্চা তুই এখানে ক্যান। আচ্ছা তুমি কী গাধী হুমমম আমি কেমনে আমার বাচ্চা হমু। উহহহহহ তোরে তো আমি। কিচ্ছু করা লাগবে না খাইতে আসছিলাম খাইছি তোমারে একটা কথা বলার জন্যই বসে আছিলাম। কীইইইই কথা বলবি শুনি। দাঁড়াও দরোজাটা খুঁলে দিয়ে আসি। কেনো। বলেই দৌঁড় দিমু তোমার তো আবার কোন বিশ্বাস নাই। আচ্ছা তাঁড়াতাড়ি বল।

নিধি আপু তুমি না সেই জোস মনে হয় তোমারে ধরে কামড় দিয়ে খেঁয়ে ফেলি তোমারে খালি জরাই ধরতে মন চায় তোমারে না আমি ভালোবেসে ফেলছি সেই কবে হি হি হি। বলে তো সেই জোরে দৌঁড় তিন দিন বাড়ির বাইরে যাই নাই তিন দিন পরে বুকে একটু সাহস নিয়ে, বাহিরে বের হলাম বাহ্ কী সুন্দর আবহাওয়া এদিন ওদিন ঘোরাঘুরি করে যেই না বাসাই ঢুকতে যামু সামনে দেখি মহারাণী হাজির। সেদিন যা যা বলছিস আবার বল। আমার তো এখানে সরম লাগে। ঠিকআছে নির্জন জায়গায় চাই তো না। হুমমমমমমমম। আচ্ছা চল শার্টের কলার ধরে নিয়ে গেলো। এবার বল। কী সুন্দর বাতাস বইছে নদীর পারে তাই না। তোরে এটা বলতে আনছি এখানে। আরে টিপ টা কপালের মাঝখানে দিছো ক্যান সোঁজা করে দিই। সাহরিয়া মাইর খাবি এইবার। সেদিন যে গুলো বলছিলি ওই সব বল। মনে নাই তো ভুইলা গেছি।

ঠাসসসসসসসসসসসসসসসসসস। ওহহহহহহ নরম হাতে ও এমন লাগে জানতাম না তো। বলবি নাকি। আমার তোমাকে ভালো লাগে, তোমার চুল, নাক, কান, হাত,পা, মাথা, গাল দুইটা সব ভালো লাগে। আসল কথা হইলো আমি তোমারে ভালোবাসি। ঠাসসসসসসসসসসসসসসসসসস। ওহহহহহহহহ কইলে ও মারবা আবার না কইলে ও মারবা এইটা হয় নাকি,যে কোন একটার জন্য তো মারবা। এমন সময় এসে জরাই ধরে বললো তোরে ও আমার ভালো লাগেরে। তাহলে দুইটা থাপ্পর দিলে কেনো। একটা রেগে গিয়ে, আর একটা হইলো এক গালে থাপ্পর মারতে নেই তাই। তাই বলে এত জোরে হুমমমমমমমম। অনেক জোরে লাগছে।

হুমমমমমমমম। আসো পাপ্পি দেই। আমি ও একটা মুভিতে দেখছি একবার জরাই ধরলে এক ঘন্টার আরে ছেঁড়ে দেওয়া হয় না, পাপ হয় নাকি। হি হি হি ওকে এক ঘন্টার জারাই ধরে থাকবো। সত্যি। হুমমমমমমমম। আহা কী শান্তি মনে হয় তুলার বস্তা জরাই ধরে আছি। শয়তান। ঐ শোন না আমি বলি কী? তোর মা আর বাড়ি ওয়ালা আংকেল সেই ছোট বেলা থেকে দুই জন দুই জনকে ভালবাসে তাঁদের ও যদি বিয়ে দেওয়া যায় ভালো হবে না বলো, কত্ত দিনের প্রেম আমার হাত ধরে সফল হতে যাচ্ছে বুকটা কেমন গর্বে ভরে যাচ্ছে হি হি হি।।

সমাপ্ত

গল্পের বিষয়:
ফ্যান্টাসি
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

আরও গল্প

সর্বাধিক পঠিত