ইয়ে মানে বিয়ে

ইয়ে মানে বিয়ে

ঐ ঐ হারামজাদ উঠ উঠ বলছি (আমার মা) আম্মু আর একটু ঘুমায় এত শীতে উঠতে মন চাই না (আমি) ঐ হারামজাদা ভুলে গেলি আজকে আমাদের মেয়ে দেখতে যাওয়ার দিন(আম্মু রেগে রেগে) oh no আর ভালো লাগে না এই চার মাস থেকে এক দিন ও নিজে বাসায় সকালে নাস্তা করতে পারি না (মনে মনে আমি)ওকে আম্মু উঠতেছি হু তারাতারি উঠ (এই বলে আম্মু চলে গেল) ওহ আপনাদের তো আমার পরিচয় দেওয়া হয়নি আমি আজম বাবা মায়েয় একমাত্র ছেলে আর আমাকে সবসময় বাঁশ দেওয়ার জন্য আর একজন আছে আমার আদের ছোট বন দিপা আজ আমায় মেয়ে দেখতে যাওয়ার একমাত্র কারন আমার বন যাই হোক গল্পে ফিরে আসা যাক কইরে হলো তোর (আম্মু রেগে রেগে) এই তো আম্মু হলো (আমি) হু এবার চল দিপা মা যা তো আমার আলমারি থেকে আংটিটা নিয়ে আই তো (আম্মু) আম্মু মেয়ে দেখতে যাচ্চো তো আবার আংটির কি দরকার (ভয়ে ভয়ে আমি) চুপ এটাও কথা বলবি না আজ নিয় তোর ৫২ টা মেয়ে দেখা হলো আজ যদি মেয়েকে না পছন্দ করিস তাহলে আমার মরা মুখ দেখবি (আম্মু কেঁদে কেঁদে )।

এই যে নাও মা আংটি (দিপা) ওকে আম্মু আজকে যে মেয়ে দেখতে যাচ্চো আমি তাকেই ইয়ে করবো (আপসস করে আমি) ভাই ওটা ইয়ে না বিয়ে (দিপা হাসতে হাসতে) হয়েছে হয়েছে এবার চল (আম্মু) আম্মু বলছি আমাদের বাসা থেকে সকালের নাস্তাটা করে গেলে হতো না (আমি ভয়ে ভয়ে) চুপ বেশি কথা বলবি না (আম্মু চোখ বড় বড় করে) হু হু তাহলে চলো (আমি) আমরা এখন আমার হবু শশুর বাড়ি যাচ্চি এই যে hlw আপনারা ভাবছেন ইয়ে করলাম না ও sry ইয়ে মানে বিয়ে করলাম না তার আগেই শশুর বাড়ি বলছি কেন???? আসলে কোনো উপায় নাই যাকে দেখতে যাচ্চি তাকে আমার ইয়েটা করাই লাগরে আবার ভুল ইয়ে না বিয়েটা আমায় করাই লাগবে ঐ নাম তোরা কিরে আজম নাম চলে আসছি তো (আম্মু) হু আম্মু চলো আসলে ভাবছি এবার আমি ফাইসা গেলাম (আমি আস্তে আস্তে)।

ঐ কি বললি রে ভাইয়া (দিপা) কই কিছু না আসলে হাতি কাঁদায় পড়লে পিপড়াতেও লাথি মারে আজ বুঝলাম আমি মা আর আমায় বাঁশ দেওয়ার ১ নম্বার পাটি মানে আমার বন দিপা আমার হবু শশুর বাড়ি ঢুকতে যাবো আর তখনি আমি তো পুরাই তাক্সি খাইয়া যাই দেখি আমার ২ নম্বার বাঁশ দেওয়া পাটি মানে আমার অফিসের বস দরজায় দাড়ায় আছে আর মাকে বলছে আসেন বিয়ান ভিতরে আসেন আরে বাবা আজম ভিতরে আসো আসতেছি বস এই বলে বসকে সালাম না দিয়ে প্রতিদিন সকালে যা বলি আজও তাই বললাম মানে Gd M9 থাক থাক বাবা আজম আর আমায় বস এবং Gd M9 কোনোটাই বলা লাগবে না (আমার বস থুক্কু শশুর জি)  যাক বাচা গেল এই বাঘকে আর বস বলতে হবে না (আমি আস্তে আস্তে) কিরে ভাই কিছু বললি (দিপা) কই না তো (আমি)।

বসেন বিয়ান বসেন বসো মা দিপা বাহ কি লক্ষী মেয়ে আপনার বিয়ান (শশুর জি) লক্ষী মেয়ে আমার বনের কাছ থেকে বাঁশ তো খাননি তাই না হয় বুঝতেন কি রকমের লক্ষী আমার বনটা (আমি মনে মনে) হু মেয়েটা আমার একটু বেশিই লক্ষী (আম্মু) কই গো সবাই তারাতারি নাস্তা নিয়ে এসো(শশুর জি মনে হয় আমার শাশু মাকে বললেন) থাক বিয়াই এতো তারাহুড়ার কি আছে(আম্মু) এ আর কি বিয়ান (শশুর জি) কই সাদিয়ার মা তারাতারি আসো হু আসতেছি ওহ আমার হবু বউ এর নাম তাহলে সাদিয়া হু নামটা খারাপ না সাদিয়া সাদিয়া সাদিয়া নামটা এতো চেনা চেনা লাগছে কেন এই কি সেই সাদিয়া যাকে প্রথম দেখেই আমার মনের লাড্ডু ফুটেছিল যাকে আমি প্রথম দেখায় পর আর দেথতে পাইনি যাকে আমি আজও খুজে যাচ্চি যে আমায় মনটাকে চুরি করে হারিয়ে গেছে ধুর এটা কেমতে হতে পারে(আমি মনে মনে ভাবছি) কিরে ভাইয়া কি এতো গভীর হয়ে ভাবছিস (দিপা) তোর ভাবির ক ক ক ক কই বন কিছু ভাবছি না তো(আমি)।

বাবা আজম তুমি খুব অবাক হয়তেছো আসলে আমি তোমার প্রতিদিন অফিস লেট করে আসার কারন জানতে তোমার মাকে ফোন দি তার পর সব জানতে পারি তখন ভাবলাম হাতের কাছে এতো ভালো একটা ছেলে কিভাবে হাতছাড়া করি তাই কিছু না ভেবে তোমার মাকে ওফার দি যেন আমায় মেয়েকে তোমার বউ করে সাথে একটা ছবি দি আমার মেয়ের আর তোমার মা বললেন এটায় আমার বউমা হবে বাবা আজম তুমি খুব অবাক হয়তেছো আসলে আমি তোমার প্রতিদিন অফিস লেট করে আসার কারন জানতে তোমার মাকে ফোন দি তার পর সব জানতে পারি তখন ভাবলাম হাতের কাছে এতো ভালো একটা ছেলে কিভাবে হাতছাড়া করি তাই কিছু না ভেবে তোমার মাকে ওফার দি যেন আমায় মেয়েকে তোমার বউ করে সাথে একটা ছবি দি আমার মেয়ের আর তোমার মা বললেন এটায় আমার বউমা হবে তাই তো বলি বস কইদিন দরে আমাকে এতো আতু আতু করছে কেন তখনি ভেবেছিলাম ডাল মে কুচ কালা হে (আমি মনে মনে) যাক ইয়েটা হলে মন্দ হবে না প্রতি দিন লেট করে অফিস যেতে পারবো…HA HA HA HA(মনে মনে)।

এই তো এখানে রাখো এবার খান বিয়ান খাও বাবা আজম (শশুর জি) হু খাচ্চি বিয়াই আপনিও খান (আম্মু) ১৫ মিনিট পর তো খাওয়া তো শেষ বিয়াই এবার আমার বউমাকে আনুন (আম্মু) হু বিয়ান আনতেছি কই সবাই এবার মীম মাকে আনো (শশুর জি) এই মীম নামটা শুনে যেন বুকের ভিতর কেমন করছে কেন করছে তা আমি ভালো করেই জানি আপনারা কি জানবেন না থাক পরে যদি আমার হবু বউকে বলে দেন ভাইয়া ভাবি কিন্তু দেখতে হেব্বি (দিপা আমার কানে কানে) আপু ও আপু তোর কাছে তো ছবিটা আছে আমাকে একটু দেথা নারে (আমি বনের কানে কানে) কেন এখনি তো ভাবিকে দেথতে পাবি (বন আমার কানে কানে) এই জন্যই বলে মাদের কথা শুনতে হয় তখন যদি ছবিটা দেখতাম তালহে এতোটা অসহায় বোধ করতাম না।

(আমি মনে মনে) ভাই ভাবি আসতেছে (দিপা) বিয়ান এই যে আমার মেয়ে মা যাও তোমার শাশুরি আয় বাবা আজমকে সালাম কর (শশুর জি) আহ এতো বড় ঘমটায় কারনে তো মুখটা দেখতে পাচ্চিনা (আমি মনে মনে) মেয়েরা এতো বড় ঘমটা দাই কেন ইয়ে মানে বউ থুক্কু হবু বউ আমার সামনে এলো এবং ঘমটা খললো ওয়াও একটা মেয়ে এতো সুন্দর হতে পারে এই জন্যই বলে মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব আমি তো সাদিয়া কে দেখে কোথাও হারিয়ে গেছে ঠিক সেই আগের মতো,, এর আগেও আমি একটা মেয়েকে দেখে এমন ভাবে হারিয়ে গেছিলাম। কিন্তু সাদিয়া কে এতো চিনা চিনা কেন লাগছে আমার এমন কেন মনে হচ্ছে,,আমি সাদিয়া কে হাজার হাজার বছর ধরে চিনি এই সাদিয়া সেই সাদিয়া নই তো… যার জন্য এখনো পথ চেয়ে বসে আছি,,, যার জ্ন্য আমি এতো মেয়ে কে রিজেক্ট করেছি। এসব কথা ভাবছি তখনি এই ভাইয়া কি ভাবছিস এতো। ক ক কই কিছু না তো,,,হুম বুঝি বুঝি ভাবির কথা ভাবছিস। তুই অনেক পেকে গেছিস।।

আমি আর বোন এসব কথা বলছি তখোনি,,মা বললো কি রে আজম বউ মাকে পছন্দ হলো??? আমি মাথা নারিয়ে হ্যা বললাম,,আমি যখন হ্যা বললাম তখন দেখলাম সাদিয়ার মুখ টা লজ্জায় লাল হয়ে যাচ্ছ আর মুচকি হাসছে তারপর আামার বসস থুক্কু শোশুর জি বললো তাহলে বিয়ান দিন ঠিক করা যাক।।আর আজম বাবা তুমি যাও সাদিয়ার সাথে ওর রুমে গিয়ে কথা বলো,,,তোমরা তো একে অপরকে চিনো না তাই যাও পরিচিত হয়ে নাও সাদিয়া মা যাও আজম বাবাকে তোমার রুমে নিয়ে যাও। তারপর সাদিয়া আমাকে বললো আসুন,, এই বলে আমি তার পিছু পিছু চলমাম এক একটা রুমের সামনে এসে বললো ভিতরে আসুন,,,এখন আমি আর সাদিয়া এই রুমের ভিতর কেউ কারো সাথে কথা বলছি না সাদিয়া জানালার ধারে দাড়িয়ে আছে,,,আর আমি তার বিছানায় বসে আছি আর বহু দিন আগের কথা ভাবছি।।

ও আর সাদিয়ার রুমটা অনেক সুন্দর,, যেন এটা কোনো পরির রুম,,,,এসব কথা ভাবছি,,তখন সাদিয়া বললো কী চুপ করে কেন,,স্কুল লাইফে তো এতো চুপ করে থাকতি না,,,,, সারাক্ষন তো বকর বকর করতি,,,আমি তো সাদিয়ার এমন কথা শুনে মাটি থেকে আকাশে উড়ছি,,, আর সাদিয়া আমাকে তখন আপনি বললো কিন্তু এখন কেন তুই বলছে কিছুই তো বুঝছি না,,,,তারপর আবার বললো,,,,, কী রে কিছু বলছিস না কেন??? আপনি আমাকে তুই কেন বলছেন,, ?? আর আমার স্কুল লাইফের কথা আপনি জানলেন কি করে???

তো তকে কি বলবো তুই আমার ছোট তাই তকে তুই বলছি,,আর তোর স্কুল লাইফের কথা আমি কিভাবে জানলাম সেটা তোকে বাসর রাতে বলবো,,,,,ওর কথা শুনে এতো রাগ হয়তেছিল মনে হয় ওর কানের নিচে লাগায়, ,,, কেন এখন বলেন,,, না বাসর রাতে বলবো,,,ওকে তো এটা বলেন আমি কী,,, উমুক স্কুলে পরেছেন,,,???? হ্যা আর ঔ স্কুলে একটা জুনিয়র ছেলে আমাকে ভালোবাসতো কিন্তু মুখে বলতে পার তো না,,,,,আমার আর বুঝতে বাকি রইলো না এই সেই সাদিয়া যাকে আমি আমার থেকেও বেশি ভালো বেসেছি।।তাই তো বলি একটা মেয়ে আর একটা মেয়ের সাথে কিভাবে এতো মিল থাকতে পারে,,,

হুম আমি বুঝে গেছি,, তুমি কিভাবে আমার স্কুল লাইফের কথা জানো,,,আর বলতে হবে না,,,
আর তখন বলতে পারি নি তো কি হয়েছে এখন বলবো,,,হুমমম বল,, জানিস আমি ও তোকে অনেক ভালোবাসতাম কিন্তু বলতে পারতাম না,,,ভাবছিলাম তুই বলবি কিন্তু তুই তো বললি না আর বাবাও তার কাজের জন্য আমাদেরকে ঢাকায় নিয়ে এলো,,তার পর থেকে আার তোর কোনো খোজ পেলাম না,,,জানিস তখন আমি প্রতিরাতে কাদতাম,,,কিন্তু আমার বিশ্বাস ছিল তুই আমারি হবি তাই আমি শুধু তোর পথ চেয়ে থাকতাম,,,,এদিকে আমার পড়ালেখা শেষ দেখে বাবাও বিয়ের জন্য ছেলে দেখে,,, জানিস আমি প্রায় ৫৭ জন ছেলে কে না করেছি,,,

তার বাবা বললো মা আমি তোর জন্য একটা ছেলে দেখেছি এই ছেলেকেই তোর বিয়ে করতে হবে আর কোনে না শুনতে চাই না,,,,,,,তারপর একটা ছবি দেখায় আর বলে এই সেই ছেলে তার পর আমি দেখি আর এতো খশি হয় বলে বুঝাতে পারবো না,,কারন ছেলেটা হলি তুই আর তোকে চিনতে আমার কোনো অসুবিধা হয় নি,,,,,তার পর আমি বাবাকে হ্যা বলি,,,এই বলে মেয়েটা আমার বুকে ঝাপিয়ে পরলো আর কেদে কেদে বলছে আর কখনো ছেড়ে যাবি না তো,,,আসলে সাদিয়ার কথা শুনে আমার চোখেও জল চলে এসেছে,, কি করে পারে মানুষ এতো ভালোবাসতে,,,,কি হলো বল যাবি না,,,হুম আামার এই পাগলিটাকে ছেড়ে আর কখনো যাবো না,,,ও শুধু কেদেই যাচ্ছে,,, কাদুক আর তো কখনো কাদতে দিবো না,,,,কিরে ভালোবাসি বলবি না??

হুম বাসি তো,,কি,,ভালো,,কাকে,,তোমাকে,,অনেক বেশি ভালোবাসি,,ঔ নীল আকাশের চেয়েও বেশি ভালো বাসি,,,,হুম জানি তো,,,ওহ তাহলে এখন একটা ইয়ে দাও,,,ইয়ে টিয়ে সব বিয়ের পর,,,এই বলে আমাকে ছেরে দিল,,ঔ তুই আমার দিকে আসছিস কেন রে?? আমি চুপপ,,,ঔ দেখ ভালো হবে না কিন্তু,,,তারপর তাকে দেওয়ালের সাথে চেপে ধরলাম,,,আর সাদিয়া চোখ বন্ধ করে নিয়েছে,,,তারপর আমি বসে তার পা টা আামার হাটুটে রেখে,, মানি ব্যাগ থেকে পায়েল টা বের করে তার পায়ে পরিয়ে দিলাম,,,,এটা তুই কথায় পাইলি,,এটা তো আমার স্কুলে হারিয়ে গিয়েছিল,,,??

হুম আর আমি সেটা অনেক খোজার পর পেয়েছিলাম,, তার পর সবসময় মানিব্যাগে রাখতাম,,তারপর তাকে দেওয়ালের সাথে চেপে ধরলাম,,,আর সাদিয়া চোখ বন্ধ করে নিয়েছে,,,তারপর আমি বসে তার পা টা আামার হাটুটে রেখে,, মানি ব্যাগ থেকে পায়েল টা বের করে তার পায়ে পরিয়ে দিলাম,,,,এটা তুই কথায় পাইলি,,এটা তো আমার স্কুলে হারিয়ে গিয়েছিল,,,?? হুম আর আমি সেটা অনেক খোজার পর পেয়েছিলাম,, তার পর সবসময় মানিব্যাগে রাখতাম,,,তার পর ভাবছিলাম যে দিন তোমাকে ভালোবাসি বলবো,, ঐ দিন তোমাকে এটা পরিয়ে দিব,,আর আজ বললাম তাই আজি পরিয়ে দিলাম। তারপর সাদিয়া আবার কেদে দিল আর জড়িয়ে ধরলো,,, সারা জীবন এই ভাবে ভালোবাসবি তো?? হুম বাসবো বাসবো,,,ঐ যে দুলাভাই এখন এতো ভালোবাসা ভালো না,,,বিয়ের পর যতো পারেন ভালো বাসবেন। সাদিয়ার ভাইয়ের কথা শুনে আমরা একে অপরকে ছেড়ে দি।

ত ত তুই এখানে কি করিস,, আরে আপু আমি তো কিছুই দেখিনি,,,আর তোদের বিয়ে আর ২ দিন পর তাই তোদের কে।বাবা ডাকটে পাঠালো,,,ও তো চল,,,,তার পর আমরা ওখানে গেলাম,,, গিয়ে সাদিয়া বন,, মা,, সবাই অনেক কথা বললো,, তারপর সব কথা শেরে আমরা আমাদের বাসায় চলে আসলাম,,আসার সময় সাদিয়া আমার ফোন নাম্বার নিলো,,,,তো বাসায় এসে তো আমি বেজায় খুশি আর আমার খুশি দেখে বন বললো কিরে ভাইয়া তোকে এতো খুশি খুশি লাগছে কেন,,,ভাবিকে আগে থেকে চিনতি নাকি,,,ঐ তুই কিন্তু দিন দিন অনেক পেকে যাচ্ছিস,,,তুই কি ভাবছিস তুই সাদিয়ার ভাইয়ের সাথে হেসে হেসে কথা বলছিলি আমি দেখিনি,,,,ঐ সাদিক তো আমার কলেজ frd তাই কথা বলছিলাম,, হুম মাকে বলে তোর বিয়ে দিচ্ছি দারা আর তাছারা,,,, ঐ তাছারা কী??? কিছু না ভাগ এখান থেকে,,,আমি আর বোন এসব কথা বলছি তখোন মা এসে বললো আজম তোর যতো বন্ধু আছে সবাই কে জানিয়ে দে,,হাতে সময় তো বেশি নেই,, আর আমি আমাদের সব রিলেটিভ কে বলে দিয়েছি কাল থেকেই। আসতে শুরু করবে,,,ঠিক আছে আম্মু আমি বলে দিব।

দিপা তুই ও তোর সব বন্ধু বান্ধবী দের বলিস ওকে আম্মু,,,,তারপর বোন আর আম্মু আমার রুম থেকে চলে গেল,,আর আমি ও সবাই কে জানাতে শুরু করলাম,,,,সালা এরা বন্ধু না অন্যকিছু সকলের একি কথা মামা তুই তো শেষ,,,কোথায় একটু বলবে মামা ভালো তা না আমাকে ভয় দেখাইছে অবশেষে আজ আমার বিয়ে হয়ে গেলো,,,এখন আমি বাসর ঘরের সামনে দাড়িয়ে আমার সব বন্ধুরা বার বার ঘরে যেতে বলছে কিন্তু আমার কেন যানি ভয় লাগছে,,, তারপরেও কিছু করার নেই সবাই জোর করে ঘরে ঢুকিয়ে দিল,,তারপর আমি দরজা টা লাগিয়ে দিলাম,, তারপর বিছানার দিকে তাকিয়ে দেখি সাদিয়া বিছানা থেকে উঠে আমার দিকে আসছে, আমি তো ভয় পেয়ে গেছি কিন্তুু একি ও আমাকে সালাম করছে কেন,,,

ওঠো মা বেচে থাকো থুক্কু বউ ঐ চল দুজনে নামাজ পরবো,,,কেন?? তুই তো ছোট তাই বুঝবি না,,,চল ওযু করে আসি,,,তারপর নামাজ দুজনে নামাজ পরি,,,এখন আমরা দুজনে বিছানায় শুয়ে আছি,,,,,বউ ও বউ কি,,বলছি একটু কাছে আসো না,,,কেন কাছে গেলে কি করবি,,,বিড়াল মারবো,,,তো মার আমাকে বলছিস কেন,,,তো কাকে বলবো,,,,আমি কি জানি, ,বউ ও বউ,,হুম বল,,বলছি মিষ্টি খাবো,,,এতো রাতে মিষ্টি কই পাবি ?? সকাল হোক আমি তখন খাস,,কেন তোমার কাছেই তো আছে,,,আছে তো আমাকে বলছিস কেন,,জোর করে খেতে,,,,,, ওর কথা শেষ করার আগেই চার ঠোট এক করে দিলাম,,,তারপর লাইট অফ আর আমরা হারিয়ে গেলাম অন্য এক দুনিয়ায়,,,,,,

৪ বছর পর বাবাই বাবাই আম্মু তোমাতে দাততে উতো তালাতালি,,,,হুমমমমমম তি হোলো উতো,,না আমিও আম্মু মোতো তোমাতে পানি দিবো,,,হুমমমম আম্মু আর একটু ঘুমায়,,,না না আম্মু তোমাতে ডাকতে তো,,তোমার আম্মু কে গিয়ে বলো,, বাবাই ঘুমাচ্ছে আর আমাকে এখন একটা পাপ্পি দাও তো মানুনি,,,,উমমমমম্মা,,আমি যাচ্ছি আম্মুর কাছে,,,,ঔ কেরে আমাকে পানি দিলো,,,,তোর বউ দিছে ,,,তুমি কিন্তু কেন ,,তোকে কখন থেকে মিমি ডাকছে উঠিস না কেন,,,,আজ তো অফিস নাই তাই,,তো আজ না আমাদের ঘুরতে যাওয়ার দিন,,

ও তাই তো,,সাদিয়া একটু শুনো তো,,, আমার কাছে এসে কি বল,,,,ঔ সয়তান ছার বলছি ছার,,, দেখ ভালো হবে না কিন্তু কেউ এসে পরবে ছার,,,,কেউ আসবে না,,,হি হি হি কি মতা কি মতা বাবাই আম্মু কে জলিয়ে ধলেছে কি মজা,,,ক ক কই মামুনি আমি ধরি নি আসলে তোমার আম্মুর চোখে কি যেন পরেছে তাই দেখে দিচ্ছিলাম,,,,ও আত্তা,,, ওতে আমি দিদুনের কাতে গেলাম,, দিদুন কে রেদি হতে বলতে,,,হুম মামুনি যাও আর আমি তোমার আম্মু চোখ টা ভালো করে দেখি,,,,

ঐ কুত্তা আমার অনেক কাজ আছে ছার,,,আমি তো কিছুই শুনবো না,,,ওকে দারা,,,ও মাগো দিলো রে আমার হাত টা শেষ করে,,,কি রে আসবি না আমার কাছে,, হা হা হা ঐ দাড়াও দেখাচ্ছি মজা,,,

সমাপ্ত

গল্পের বিষয়:
ফ্যান্টাসি
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

সর্বাধিক পঠিত