অপারেশন গাজা

অপারেশন গাজা

হুট করেই ফিলিস্তিনিরা আক্রমণের শিকার হচ্ছে দুদিন পর পর। তেল আবিবের দাবি তারা নাকি রকেট আক্রমণের শিকার হচ্ছে। আর এমনই পরিস্থিতি যে এটা রমজান মাস, আরব লীগের নেতারা ইফতার, ঘুম আর সেহরি নিয়ে ব্যস্ত। আর তাই মুসলিম প্রধান দেশগুলি তেল আবিবের এই গোঁয়ার্তুমিতে এসিড ঢেলে দিতে মার্সেনারি নিয়োগ দিতে চাচ্ছে। কিন্তু যেখানে ইসরায়েল তৃতীয় প্রজন্মের মিসাইল কিংবা চালকবিহীন বিমান চালায় এই আমেরিকা আশীর্বাদপুষ্ট শয়তানের আখড়া, সেইখানে এজেন্টস অব ডি ছাড়া আর কিছু কল্পনা করা সার।
-কি করতে হবে? শরীফ বললেন।
-আপাততঃ বিমানে করে মার্কিন মুল্লুকে ঢুকতে হবে। জিওসি তানভীর বললেন। তোমাদের সাথে বাড়তি তিনজন যাচ্ছে।
-কে? শামীম বললো।
-রশ্মি, অঙ্গার ও মাটিমানব। মেজর তালহা তাঁর উর্ধ্বতন তানভীরের দিকে তাকালেন।
-গ্রেট। রিশাদ চোখ জ্বল জ্বল করে তাকিয়ে আছে ইসরায়েলের ম্যাপের দিকে।

বড়ো ধরণের গা ঢাকা অপারেশনে নামতে হবে এজেন্টস অব ডি-কে। সে অপারেশনের প্রতি পদে পদে আছে মৃত্যফাঁদ।

“ইসরায়েল এর তেল আবিব থেকে রসদ গুলো প্রতি রবিবার রাতে মিলিটারি কার্গোতে করে যায় পশ্চিম তীরে। এই যোগানটাকে ঠেকাতে পারলে হামাস প্রতিরক্ষার বাড়তি সুবিধা করতে পারবে। কিন্তু আকাশ ক্ষেপনাস্ত্রের আক্রমণ থাকবেই।”

প্ল্যানের ভেতর আলোচনা চলছিলো এজেন্টস অব ডি এর হেডকোয়ার্টার এ। খট করে কনফারেন্স রুমের দরজা খুলে গেলো। জিওসি তানভীর একটু থমকে দাড়ালেন।
-মে উই কাম ইন? কেউ একজন বললো।
-হু আর ইউ? তানভীর চমকিত স্বরে বললেন।
-জায়েক। মাটিমানব। আমাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিলো।
-ওহোহোহো। দেয়ার ইউ আর! কাম ইন জেন্টেলম্যান।

বলে রাখা ভালো এই মিশনে তিনজন অতিমানবকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিলো। জায়েকের সাথে রশ্মি ও অঙ্গার এসেছে। সেদিন সব প্ল্যান বুঝিয়ে দেয়ার পর, রাতের আঁধারে নিউইয়র্কগামী একটি ফ্লাইটের শিপমেন্টে এগারোজন বাক্সে চড়ে চলে যায় মার্কিন মুল্লুকে।

আঁটোসাটো বাক্সে করে নিউইয়র্ক পৌছানোর পর সেদিন এজেন্ট ও তিন অতিমানব অপারেশনের পূর্ব প্রস্তুতিতে লেগে গেলো। বিশদ প্র্যাকটিস এবং ঝামেলার কাজ হওয়া সত্ত্বেও অনেক রকম বাধা পেরিয়ে গেলো।
-তেল আবিবের ফ্লাইট কয়টায়? জায়েক জিজ্ঞেস করলো।
-ধরতে গেলে আরো ১৪ঘন্টা। শরীফ জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে আছেন।
-দেরি হয়ে যাবে। মোসাদ ঘোরাফেরা করছে শহরে। শামীম বললেন।
-তা তো বুঝতে পারছি। কিন্তু কি করা যায়?
-আইডিয়া আছে। রিশাদ বললো।
-যেমন? তিন জনই ঘুরে তাকালো রিশাদের দিকে।

কথা বলে বেরিয়ে আসলো সেফ হাউজ থেকে রিশাদ। সাথে জাহেদ আর আরমিন। রণিন কোথায় যেনো গেছে। ভেতরে তিন অতিমানব, শরীফ, শামীম, সাদিয়া আর আসিফ।
-আচ্ছা ধরেন, আমি যে পথে ট্রাক যাবে, সেখানে ভূমিধ্বস ঘটালে কেমন হয়? জায়েক বললো।
-আইডিয়া ভালো। তবে রসদের গাড়িতে যে বোমা বা গ্রেনেড আছে সেগুলো অটোমেটিক ব্লাস্ট হয়ে জানমালের ক্ষতি হলে? শামীম বললেন। হাতে একটা হাভানা চুরুট।
-তাহলে আমি গিয়ে জ্বালিয়ে দিয়ে আসলেই তো হয়। অঙ্গারমানব বললেন।
-প্ল্যানের উপর নির্ভর করে। নির্জন পাহাড়ি এলাকায় সেটা করতে হবে। শামীম বললেন।
-কারা যেনো সেফ হাউজে অনুপ্রবেশ করার চেষ্টা করছে। আসিফ মনিটরে চোখ রেখে বললো।
-গাইজ টেক পজিশন। শরীফ বললেন।

অঙ্গার দরজা খোলার দ্বায়িত্ব নিলো। রশ্মি কোণায় দাঁড়ানো। মাটি, শরীফ এবং শামীম কাভারে। আসিফ আর সাদিয়াকে আন্ডারগ্রাউণ্ড সেলারে নেমে যাওয়ার অর্ডার দেয়া হয়েছে।

খুঁট করে দরোজাটা খুলে গেলো। এর পরপরই পাশের দু রুমের জানালার কাঁচ ভাঙ্গার শব্দ!

*মোসাদ কাউন্টার অ্যাটাকে!
____________________________________

মোসাদ ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা।

“ঠক ঠক”

-হুজ দিস? বলেই শামীম তাকালো অঙ্গারমানবের দিকে। রায়হানও চাউনির প্রতিউত্তর দিলো।

সাথে সাথে ব্রাশফায়ার শুরু হয়ে গেলো। গোটা দরজা ফুটো ফুটো হয়ে গেছে। হঠাৎ রায়হান, ছাইচাপা আগুনের একটা দেহে পরিণত হলো। অজস্র ফুটোর দরজাটা ভেদ করে ওপাশে চলে গেলো। আবার ব্রাশফায়ার, হুড়মুড়, চিৎকার এবং তারপর সবকিছু শান্ত।
-কি হলো? জায়েক অবাক চোখে তাকালো।
-হোয়াট দ্যা… বলেই শামীম দৌড় লাগালেন দরজার দিকে।
-কি হলো কি? শরীফও বিভ্রান্ত হয়ে আছে।

গিয়ে দেখা গেলো বাইরের অংশটা নরকে পরিণত হয়ে গেছে। রায়হান, আমাদের অঙ্গারমানবের নাক দিয়ে ধোঁয়া এতো জোরে বেরুচ্ছে যে নিজ দলের লোকরাও পর্যন্ত ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছে।
-সবগুলোর গলা লাল টকটকে হয়ে আছে! এভাবে মারার কি কোনো দরকার ছিলো? শামীম ঘাবড়ে গেছে খুব।
-এখন এতোজনকে কোথায় কবর দিবো? শরীফ বললেন।
-সে কষ্টও করতে হবে না। অঙ্গার বললো।

বলেই সে একটা দেহ আলগিয়ে তুললো। গলা চেপে ধরলো। মুহুর্তেই মোসাদের একজন ছাইয়ে পরিণত হয়ে গেলো !!!

-রায়হান তুমি ভুল করেছো।
-কোন ভুল?
-এই যে তোমার অলৌকিক শক্তি’র অপব্যবহার করে মোসাদ এজেন্টদের খুন করলে।
-যদি বাধা না দিতাম তাহলে ইসরাইলিদের হাতে খুন হতে হতো আপনাদের।
-তাও একটা যুক্তি কিন্তু অনেক দুর্বল পয়েন্ট।

ভুল না হলে অঙ্গারমানব যে কাজটা ঠিক করেছে মনে মনে শরীফ ভেবে নিলেন। ইতিমধ্যেই রিশাদ, আরমিন ও রণিন চলে এসেছে। ঘটনাস্থল দেখে চোখ বড়ো বড়ো হয়ে গেছে। ছাইয়ের স্তুপে এখনো জ্বলজ্বলে ভাব।
-এতো কিছু কি জ্বালালেন?
-মানুষ জ্বালিয়ে দিয়েছে রায়হান। শামীম বললেন।
-হোয়াট দ্য… কাদের? রণিন হতভম্ব হয়ে গেছে।
-ইসরায়েলি মোসাদ এজেন্ট।
-অ্যামবুশ করেছিলো নাকি?
-হ্যাঁ।

এরপর আর কিছু বলার থাকে না। তবুও সাবধানতা অবলম্বনে আবার ঘটনার যেনো পুনরাবৃত্তি না ঘটে সেজন্য তাড়াতাড়ি ব্যাগ প্যাক করে ফেললো সবাই। এবার কার্গো বিমানে চড়ে যেতে হবে চরম শত্রুদের কাছে।

কমান্ডার শামাল, ইসরাইয়েলি গোয়েন্দা সংস্থা ‘মোসাদ” এর একজন সিনিয়র স্পাই। বহুদিন ধরে খবর পাচ্ছিলেন, বহির্বিশ্ব থেকে অনেক স্পাই তাদের এই আগ্রাসন ঠেকাতে একজোট হয়েছে। তবে এদের ভেতর নন স্পাইও আছে যাদের কাছে অলৌকিক শক্তি ও আছে। যেমন বাংলাদেশ থেকে তিনজন সম্প্রতি মার্কিন দেশে পা রেখেছে। তাদের ধরার জন্য মোসাদ নিউইয়র্ক টহল দিচ্ছে। কিন্তু কি কারণে যেনো তাদের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। সাবধানের মার নেই, সবাই হয়তো প্ল্যান করে অ্যামবুশ করবে।
-রিপোর্টিং স্যার। আমাদের স্পাইরা লাপাত্তা। সেফ হাউস থেকে বাংলাদেশের স্পাইরা গায়েব।
-উইল সি নেক্সট।

রাগে গা জ্বলে যাচ্ছে। এজেন্টরা বসে বসে ডিম পাড়ছে নাকি? একটা কিছু করতে হবে।

একটা স্নাইপার রাইফেল আর বাইনোকুলার নিয়ে রামলার কোন একটা পাহাড়ি এলাকায় আধ শোয়া অবস্থায় আছে জাহেদ। এজেন্টদের আগের ফ্লাইটেই চলে এসেছে সে। এজেন্ট আর অতিমানবদের যাতে কেউ অ্যামবুশ করতে না পারে সে জন্য সে এই গিরিখাতের একটা জায়গায় পজিশন নিয়েছে। এতোক্ষণে অবশ্য সবাই চলে আসার কথা। কিন্তু কোন বিপ সিগন্যাল নেই ওয়্যারলেস এ। হঠাৎ একটা কম্পন টের পেলো সে। ভুম… ভুম!

মাটিতে ফাটল দেখা যাচ্ছে। একটা মাত্র রাস্তা যেটা ফেটে যাচ্ছে এই মুহুর্তে। তারপর হঠাৎ একটা তীব্র আলোক রশ্মি। এরপরই একসারিতে ত্রিশটা ফ্যালকন ফাইটার এইদিকেই আসতে দেখা গেলো। হঠাৎ রশ্মিটা আকাশের দিকে উড়ে গেলো। তিনটা বিমানকে কেটে ফেললো। ভূপতিত হয়ে বিশাল অগ্নিকান্ড বেঁধে গেল নিচে জঙ্গলের এক কোণায়।

হঠাৎ রণিনকে দেখা গেলো আকাশে উড়ন্ত অবস্থায় !!!

একটা M1 bazooka নিয়ে খাড়াই পথে ওঁত পেতে আছে রিশাদ। কমান্ডার শরীফ এর হাতে একটা মডারেট AK 71। এছাড়াও শামীম, আসিফ সাদিয়া প্রত্যেকের হাতে একটা করে টোকারেভ tt37, কাঁধে ডাবল ব্যারেল SXS শটগান আছে। আর আরমিন নেমেছে ইসরাইলি ক্যাম্পে একটা বাতাস থেকে পাওয়ার রিচার্জেবল লেজার গান নিয়ে। তার সাথে আছে রণিন। যদিও মাঝে মাঝে উপরে উড়ে মিসাইলগুলোকে ভূলদিকে নিয়ে যাওয়ার দ্বায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তার বাহুতে একটা স্বয়ংক্রিয় রকেট গান আছে যেগুলোর দৈর্ঘ্য মধ্যাঙ্গুলের সমান। কমপক্ষে চল্লিশ বর্গগজ জায়গায় ধ্বংসলীলা দেখাতে সক্ষম এই দেশীয় অস্ত্রটি। প্রতি রাউন্ডে পাঁচটি করে মিনি রকেট ছাড়ে।

-আসে না কেনো? রিশাদ একটু অস্থির হয়ে উঠেছে। নীচে একটা ইসরাইলি আর্মি ক্যাম্প দেখা যাচ্ছে। চার পাঁচটা তাঁবুতে ঘন ভাবে সংযুক্ত।
-ওরা বোধহয় হালকা অস্ত্র নিয়ে নেমেছে। তাই ফাইট দিতে চাচ্ছে না। শরীফ বললেন।

ওদিকে চার পাহাড় পরে তিন অতিমানব নিচে রাস্তা ধ্বংস করতে উঠে পড়ে লেগেছে। যদিও অঙ্গারের কাজ এখনও শুরু হয়নি, ইসরাইলিরা ফ্যালকন ফাইটার দিয়ে অপারেশন ঠেকাতে চাইলেও আপাদমস্তক রশ্মির ক্ষমতায় সেটা হতে পারছে না। কমপক্ষে তিনটা বিমান ভূপতিত হয়ে মাটিতে ক্রাশ করেছে। বিপদ ভয়াবহ আকার ধারণ করছে দেখে ইসরাইলি কমান্ডার শামাল বাকি ২৭টি বিমানকে “নো ফ্লাই জোন” এ বসিয়ে রেখেছে। মাটিমানব ওরফে জায়েক মাটিতে ফাটল দিয়ে ধ্বস নামিয়ে রাস্তা বন্ধ করে ফেলছে। কিন্তু তিন রাস্তা দিয়ে তিনটা ট্রাক একই সময়ে চলে যাচ্ছে। তাহলে কিভাবে এই রসদবাহী ট্রাকগুলোকে আক্রমণ করবে এজেন্টস অব ডি?

পরিস্থিতি অনেক ঘোলাটে হয়ে যাচ্ছে…

-এইম
-রেডি
-ফায়ার…

বিশাল এক আগুনের গোলা ছুটে চলেছে, নিচে ইসরাইলি ক্যাম্প থেকে এক রাউণ্ড গুলি তেড়ে এলো। তা দেখেই কমান্ডার শরীফ নির্দেশ দিলেন রিশাদকে। আর তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করে রিশাদ দ্রুত বাজুকায় ট্রিগার টিপে দিলো।

তারও পরে, ওদিকে ঠিক তিন পাহাড় পরে রণিন এর সাথে ফাইট দিতে পাঁচজন ইসরাইলি আর্মি এসে গেছে। একটা মেশিনগান থেকে মুহুর্মুহু গুলি বর্ষণে রণিন পাহাড়ের এক কোনে আশ্রয় নিতে বাধ্য হলো।

-শরীফ ভাই অবস্থা খারাপ। হেভি আরমর নিয়ে আমাকে অ্যাটাক করছে।
-ওয়েট করো। আমি অঙ্গারকে পাঠাচ্ছি।

দু মিনিটের মাথায় অঙ্গার চলে এলো রণিনকে সাহায্য করতে।
একটা অতি চালাক ইসরাইলি তার মেশিনগান তাক করলো অঙ্গার এর বরাবর।
ব্যস অঙ্গার টুঁটি চিপে ধরলো বেচারার। মুহূর্তে ছাইয়ে পরিণত হলো।

কমান্ডার শামাল, ওদিকে দুই প্লাটুন পাঠিয়ে দিলো। ইয়া বড়ো বড়ো ব্যারেলের হেভি মেশিনগান গুলি তাক করে এগোচ্ছে বাঙ্গলাদেশের এজেন্টের দিকে।

এজেন্ট জাহেদ, ক্ষিপ্রমানব ঠিক সেই সময়টাতে একটা কান্ড বাঁধিয়ে বসলো। ডিটেকটিভ শামীমের আবিষ্কার করা কেমিক্যাল হোল্ডারটা বের করে সাইলেন্সার এ ফিট করলো। পয়েন্ট করে প্লাটুন এর গাড়ির পাশে খাদ বরাবর ট্রিগারটা টিপে দিলো।

এরপর যা হলো তা ভাষায় বর্ণনা করার মতো নয়…

রশ্মিমানবের আক্রমণে দুই প্লাটুন সৈন্যের গাড়ি দুটো ভস্মে পরিণত হলো। প্রমাণ লুকোতে জায়েক মাটি ফাঁক করে দিলো। মুহুর্তেই ভস্ম গায়েব হয়ে গেলো।

ইসরাইলি কমান্ডার শামাল ঠিক যেই প্ল্যানই করুক না কেনো, তা ধোপে টিকবে না। ফ্যালকন, প্লাটুন পাঠিয়েও কাজ হলোনা। আর এদিকে ঠিক যে পয়েন্ট দিয়ে গাড়ি তিনটি তিন জায়গা দিয়ে রামলা থেকে গাজায় ঢুকবে তার মাঝ বরাবর দাঁড়িয়ে আছে।

যদিও এই অপারেশনের আসল কাজটা অঙ্গারের, তবুও প্ল্যান বি বলে কিছু একটা রেখেছেন কমান্ডার শরীফ। ব্যঘ্রমানবের মাথায় কখন কি যে আসে তা তিনি নিজেই জানেন না।
-শরীফ ভাই দে আর কামিং। রণিন টান টান হয়ে আছে।
-রেডি?
-রেডি
-অ্যাটাক…

রণিনের হাত থেকে এক রাউন্ড মিনি রকেট বেরিয়ে গেলো। ওদিকে অঙ্গার গ্রেনেড ও বারুদ বাহী ট্রাকের ভেতর ঢুকে গেলো।

বুউউম…

এলাকাটা বিশাল এক দাবানলে জ্বলে উঠলো। পুড়ে ছাই হয়ে গেছে রসদবাহী ট্রাক তিনটি। গাজায় হামলা করার জন্য যে পরিমাণ রসদের দরকার তার দুই-তৃতীয়াংশ ধ্বংস করে দিলো এজেন্টস অব ডি আর তিন অতিমানব।

এখানেই অপারেশন শেষ। দেশে ফিরে হয়তো নতুন অপারেশনে নামতে হবে। তবে ফিলিস্তিনিরা এই অপারেশনের কথা মনে রাখবে বছরের পর বছর। চির কৃতজ্ঞ থাকবে আজীবন এজেন্টস অব ডি এর কাছে।

গল্পের বিষয়:
ফ্যান্টাসি
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

সর্বাধিক পঠিত