মরণশীল অভিযান : দ্যা ল্যান্ড অফ ড্যাথ

মরণশীল অভিযান : দ্যা ল্যান্ড অফ ড্যাথ

সপ্নটা ছিল “শীলগুপ্ত ধোন” খোজার। শংকরকে মোনা বার বার রিকুয়েস্ট করেছে এই অভিযানে যাওয়ার জন্য। আ্যামাজন অভিজানের পর শংকর এই অভিযান এক্সেপ্ট করল। তারা চার দিন সফরের পর পুব বাংলার শহর রাজশাহীতে নামল। মোনার বাড়ি রাজশাহী থেকে ৭৬ মাইল দূরে। মোনা ব্রিটিশ বংশদূত তার বাবা একজন ব্রিটিস অবসর প্রাপ্ত অফিসার। মোনার জন্য তার বাড়ির চাকরেরা অভিনন্দন জানাতে এলো আর বাড়ি আসতে সাহায্য করল। মোনা বাড়িতে আসার সাথেই বাবার স্বাস্থ্য সম্পর্কে খবর নিল। বহুত মেজাজ চওয়া লোক। নাম রুল এঞ্জ ত্রুডু বয়স ৭৮ বছর। আর মোনার মা আর বেচে নেই। মোনার সম্পূর্ণ নাম মোনালিজা এত্থ ত্রুডু। ৭ বছর ধরে মোনা কলকাতা থাকে। সেখানেই শংকরের সাথে দেখা। মোনার বাবা যেহেতু ইংরেজ সেহেতু তিনি শংকরকে মানতে পারেন নি। কিন্তু তাকে বাড়িতে থাকার অনুমতী দিয়েছিল। শংকর সেই মরণশীল সম্পর্কে সব বই এ পড়ছে : মরণশীল যা পূর্ব বাংলা বা ব্রিটিশ বাংলার সিলেট অঞ্চলে অবস্থিত। সিলেটে বেশীরভাগ আদিবাসী তারা ইশারা এ ভাব প্রকাশ করে। এর আগে প্রায় ৭৬৫ জন এই মরণশীল অঞ্চলে গেছে কিন্তু কেউ ফেরেননি। তাদের খবরে সাতটি হেলিকপ্টার পাঠানো হলেও তার একটাও আসে নি। আর এখানের বড় অাকর্ষন নেকড়ে, বাঘ, হাতি, বনজ শুকর, বনজ মুরগি (৪ ফুট উচ্চতা), এনাকোন্ডা সাপ, আর বিষাক্ত মশা। আরো অনেক কিছু ; পড়তে পড়তে শংকর ঘুমিয়ে গেল। আর যখন ওঠে তখন সকাল আর পরিবেশ খুব ঠান্ডা রাতে বৃষ্টি হয়েছে। মোনাদের বড়ি দোতালা। সে সকালে নাস্তা নিয়ে এলো। শংকর নাস্তা শেষে রুল এর কাছে এলো। রুল তাকে বলল ৪ দিন পর যাত্রা শুরু হবে তার আগে তারা জাহাঙ্গীর নগর(ঢাকা)যাবে। আর জাহাঙ্গীর নগর থেকে তারা কিশোরগঞ্জ এক দিন থাকবে। সেই সময় সাল ছিল ১৯১৮ । সেই সময় ঢাকা নাম তোতটা প্রচলিত হয়নি। পরদিন তারা ট্রেনে চড়ল সকাল ৬ টা ট্রেন চলছিল আপন মনে। বেলা ৩:⅜৮ এ তারা পাবনার রুপনগর এসে নামলে ঘোড়া গাড়িতে আরিচা ঘাট পৌঁছালে তারা খেয়া পারাপার করে আবার ট্রেনে চড়ে ঢাকা নামল। সেখানে তারা ” বেঙ্গল ব্রিটিস পর্বত আরোহী সংস্থায় নিজেদের নাম লেখান। এর পর তারা পাড়ি জমান কিশোরগঞ্জ। সেখানে তারা ঘোড়া নেয় আর ঘোড়া সহ সফর শুরু করে। তারা তিন জন তখন ইস্ট হোট ফোরেস্ট এ রাতে এক গুহাতে আশ্রয় নিয়েছে। এখানে রাতে বেলা খুব কালো প্রকৃতি থাকে। রাতে পানির শব্দে শংকরের ঘুম ভেংগে গেলে সে মশাল নিয়ে উপরে আলো দিতেই শেষ!! সে দেখল উপরে অস্ংখ্য বাদুড়। আর সেই সব রক্ত খেকো। ইতিমধ্যে মোনার গলা থেকে রক্ত ঝরছে। শংকর আস্তে মোনার গোলাতে সেই একটা বাদুড় কে ধরে চাকু দিচ্ছে এক পর্যায়ে বাদুড় মারা যায় আর শংকর। আর মোনা রুল কে ডাক দিল এবং দ্রুত তারা জঙ্গল ভেদ করার চেষ্টা করল। এক পর্যায়ে তারা জঙ্গল থেকে বের হয়ে ঘোড়া নিয়ে হাটা শুরু করল দূর থেকে তারা অনেক আলো দেখতে পেল!!

গল্পের বিষয়:
ফ্যান্টাসি
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

আরও গল্প

সর্বাধিক পঠিত