চিনি আছে
ভোম্বলের পাশের বাসায় থাকে এক তরুণী।
একদিন ভোম্বল তাদের বাসায় কলবেল চাপল। তরুণী দরজা খুলল।
ভোম্বল: আপনাদের বাসায় কি চিনি আছে?
তরুণী: হুঁ, আছে।
ভোম্বল: ও! না মানে…বলছিলাম, চিনি না থাকলে আমাদের বাসায় এসে চাইতে পারেন। আমাদের বাসায়ও চিনি আছে।
আপাতত চা
মজনু গেছে পাত্রী দেখতে।
পাত্রীর বাবা: ব্যাটা, তুমি মদ খাও নাকি?
মজনু: না না আঙ্কেল, আপাতত চা হলেই চলবে!
দেখতে আপনার মেয়ের মতো
চান্দু একবার বাংলা পরীক্ষা দিতে গেলো! পরীক্ষায় সবই কমন শুধু রচনা বাদে! রচনা আসছে হাঁস নিয়ে! কিন্তু চান্দু তো আর এটা পড়েনি! তবুও সে চেষ্টা করলো! আসুন দেখি তার চেষ্টাটা কেমন হয়েছিলো-
‘হাঁস এমন প্রাণী যা সারাক্ষণ প্যাঁকপ্যাঁক করে আর খায়। আমি হাঁস পছন্দ করি! আমার বাসার সবাই মনে হয় পছন্দ করে! যদিও আমাকে বলে না, কিন্তু আমি বুঝি! হাঁস পানিতে থাকে! আমিও পানি খাই! আমার পাশের বাসার আঙ্কেল মদ খায়! মদ খুব খারাপ একটা জিনিস! এটা কিন্তু আমি বলি নাই! এটা জ্ঞানী-গুণী লোকেরা বলছে! আমার একটা লাঠি আছে!
লাঠি পানিতে সাঁতার কাটে, হাঁস ও পানিতে সাঁতার কাটে! মনে হয়, তারা আপন ভাইবোন! হাঁস পানিতে গোসল করে আমিও পানিতে গোসল করি! আমার গোসল করতে মাত্র পাঁচ মিনিট লাগে কিন্ত হাঁস সারাদিন লাগিয়ে গোসল করে! এজন্য হাঁস দেখতে এত সাদা! আর আমার গাঁয়ের রংটা একটু ময়লা! বেশি না, সামান্য ময়লা! আমি হাঁস খুব ভালোবাসি! হাঁসও আমাকে খুব ভালোবাসে! একটা কথা বলতে ভুলে গেছি! হাঁস দেখতে ঠিক আপনার মেয়ের মতো!’
সদকা করে দিলাম
এক লোক সবকিছুতেই খুব কার্পণ্য করতো। দান-সদকা তো করতো না কখনোই। একদিন সে গোস্ত রোদে শুকিয়ে শুঁটকি বানাচ্ছে; সারা বছর খাবে বলে।
এমন সময় একটি কাক এসে ছোঁ মেরে এক টুকরো গোস্ত নিয়ে উড়ে গেল। কৃপণ লোকটি তার পিছু ছুটলো। দু’তিন মাইল তাড়া করেও কাকের নাগাল পেলো না।
অবশেষে কাকটি যখন একটি নদী পার হয়ে গেল তখন কৃপণ বলল- কৃপণ : যাহ, সদকা করে দিলাম।