বিয়ে বাড়িতে ঢুকছি। খুব একটা ভীড় নেই। বিয়ে বাড়িতে ঢোকার সময় গেষ্ট দের বসার জায়গায় একটা কিউট মেয়েকে দেখেই ক্রাশ খেয়ে গেলাম। লাল লিপিস্টিক, লাল কানের দুল, লাল শোয়েটারে দারুন লাগছিল মেয়েটাকে। দু-চোখ ভরে দেখেও আশ মেটে না, এমন অবস্থা আমার। আমি মেয়েটার অনেকটা কাছাকাছি বসলাম আর আড়-চোখে মেয়েটার দিকে দেখতে লাগলাম। মেয়েটাও মনে হচ্ছে মাঝে মধ্যে আমার দিকে দেখছে। তার মানে চেষ্টা করলে সাফল্য আসতে পারে।
আমাদের সুখ দৃষ্টি আর বেশিক্ষন স্থায়ী হল না কারন খাওয়ার প্যান্ডেলে যেতে হল।। সেখানে তো আরেক রহস্য, মেয়েটা আমার টেবিলেই খেতে ব্সল। উঃ মা গো আমার কিরকম যেন উৎসাহ উৎসাহ ফিল হচ্ছিল। সেখানে আরও এক ঘটনা ঘটে গেল। তরকারীতে লবণ কম হওয়ায় আমার পাশে বসা একজন লবন নিচ্ছিল। অপর আরেকজনের হাত লেগে আমাদের সবার থালায় লবন পরে একাকার।
আমাদের সবার খাওয়া নষ্ট হয়ে গেল। কিন্তু ভোগান্তি এখানেই শেষ নয়। আমি দেখলাম আমার ক্রাশ মেয়েটি গলা ফাটিয়ে জল জল করে চিৎকার করছে। তার চোখে লবণ ঢুকেছে, সে চোখ খুলতে পারছে না। সবাই মিলে ধরাধরি করে তাকে কুয়োর পারে নিয়ে গেলাম। মুখে চোখে জল দেওয়ার পর, সে কিছুটা সুস্থ বোধ করলে তাকে নিয়ে একটু আলোতে এলাম। এবার মেয়েটির দিকে তাকিয়ে আমি তো রিতীমত ‘থ’ লেগেগেছি এ আমি কি দেখছি এ তো ‘Asian Paints’ এর আড়ালে ‘চুনের কাজ’।
আমার আজ উচিত শিক্ষা হল আজ থেকে কোনো বিয়ে বাড়িতে আমি আর মেয়েদের দিকে তাকাবো না।