মেয়েটি তৃতীয় শ্রেনীতে পড়ে। দেখতে যেমন কিউউট ঠিক ততটাই ইচড়ে পাকা।
প্রথম দিন মেয়েটির মা সর্তক করে দিলেন তার মেয়ে গুচ্ছিয়ে মিথ্যা বলতে পারে এবং সহজে কাউকে বিপদে ফেলতে পারে।
আমি বললাম ঠিক আছে আন্টি . . . .
বেশ কিছুদিন ধরে পড়াচ্ছি ওতো টা পাকনাকি করে না শুধু একটু বেশি কথা বলে।
সে দিন পড়াতে গেলাম দরজা নক করার পর একজন বোরখা পরা হুজুরনী টাইপের মেয়ে দরজা খুললেন। আমি তাকে সালাম দিয়ে ছাত্রীর কথা বললাম।
— তুবা আছে ?
— জি তুবা আছে। আপনি আসুন আমি ডেকে দিচ্ছি।
কিছু ক্ষন পর ছাত্রীর আগমন।সে আজ অনেক খুশি দেখেই বোঝা যাচ্ছে।আমি তাকে বললাম যে দরজা খুললেন সে তোমার কি হয়?? (আমি ভেবছি ওটা হয়তো ওর চাচাতো বা খালাতো বোন হবে)।
— আমার ছোট খালামনি , একটি হাফিজিয়া মাদ্রাসায় পড়েন। যানেন স্যার খালামনি এখনো বিয়ে করেনি খালামনি না প্রেম ও করে না। খালামনি খুব সুন্দর ।
— এই এই থামো অনেক কথা হয়ছে বুঝলা। পড়া শুরু করো।
— কিছুক্ষণ পর স্যারর আমার খালামনির নাম কি জানেন??? আমার খালামনির নাম রূপা আর আপনার নাম রানা দেখছেন কত মিল??
– এবার খুব রেগে বললাম পড়বা না লাঠির পিটান খাবা??
— ২৫ মিনিট পর ছাত্রী বললো স্যার একটু ভিতরে যাবো পানি খাবো??
— যাও তারাতারি আসবে। মেয়েটার পড়ার রুম ও তাদের রান্না ঘর পাশেই।আমি তাদের সব কথা শুনছি
-ছাত্রী বলছে যানো খালামনি কি হয়েছে??
–কি হয়ছে আম্মু?? ( রূপা )
ছাত্রীঃ যানো খালামনি স্যার না তোমার কথা জানতে চেয়েছে।
ছাত্রীর মাঃ কি হয়ছে তাতে??
ছত্রীঃ যানো মা স্যার জানতে চেয়েছেন খালামনি বিয়ে করছে কি না, খালামনি কি প্রেম করে ,, স্যার এই সব জানতে চেয়েছেন ।
আরও বলছে তোমার খালামনি খুবই কিউট সুন্দরী দেখেই প্রেমে পড়ে গেছি।
আমি স্তব্দ হয়ে বসে রইলাম এই টুকু মেয়ে এত মিথ্যা কথা বলে কি করে? নাহ আর মনে হয় থাকা ঠিক হবে না ।