আমার ইমন মামার সাথে আমার সম্পর্ক একেবারে বন্ধুর মতো। মামা আমার থেকে মাত্র ২ বছরে বড়। ৪ দিন পর মামার বিয়ে। তাই আমি আজ নানার বাড়ি যাচ্ছি। গত চার বছরে আমি নানা বাড়ি যাই নি। আমি নানাবাড়ি খুব কম যাই। তাই সেখানকার অনেক মানুষকেই আমি চিনি না। সব কিছুই কেমন যেন অচেনা অচেনা লাগছে। যেহেতু বিয়ে বাড়ি অনেক লোকের আনাগোনা আছে। তার ভিতরে কয়েকটা সুন্দরী মেয়েও আছে। স্বভাবগতভাবেই আমার দৃষ্টি সব সময় মেয়েদের প্রতি থাকে। এর ভিতরে একটা মেয়েকে আমার খুব ভাল লাগল।
মেয়েটার বাড়ি মনে হয় আশে পাশে কোন বাড়ি হবে কারণ একটু পর পরই মেয়েটাকে দেখা যায়। বিয়ে বাড়ির বিভিন্ন কাজ ঘুরে ঘুরে দেখছে মেয়েটা । আমিও তাঁকে বার বার ফলো করছি। যদি একটু সুযোগ পাওয়া যায় একা কথা বলার। কয়েকবার সুযোগ পেয়েও আমি কথা বলার সাহস পাই নি। আমি লক্ষ্য করছি মেয়েটাও আমাকে দেখে হাসে আবার আমার পাশা পাশি থাকে। আমি বিভিন্ন আকার ইঙ্গিতে তাকে বুঝাই যে আমি তারসাথে কথা বলতে চাচ্ছি। আর মেয়েটা শুধু হাসে।
আমার কেন জানি মনে হচ্ছিল মেয়েটা মনে হয় আমার মনের কথা বুঝতে পারে কিন্তু ধরা দেয় না । অবশেষে অনেক সাহস করে হাতে একটা গোলাপ ফুল নিয়ে মেয়েটাকে প্রপোজ করতে যাই। গোলাপটা মেয়েটার দিকে এগিয়ে দেই। আমার ঠোঁট কাপছে। কিছুতেই কথা বলতে পাচ্ছি না। আমি কিছু বলার আগেই মেয়েটা বলল
– মামা কিছু বলবেন?
প্রথমে আমি কিছুই বুঝতে পারি নি। বুঝতে পারার পরে একটা ভৌদৌড় দিয়ে পালিয়ে যাই। আর মেয়েটা হাসতে থাকে। আমি ভুলেই গিয়েছিলাম যে আমি নানাবাড়িতে আছি। আর এখানকার বেশিরভাগ মেয়েরাই আমার খালা হয়।
পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি মেয়েটা লাতায় পাতায় আমার এক ধরণের খালা হয়। এর পর থেকে আমি মেয়েটার থেকে পালিয়ে পালিয়ে বেড়াতাম। মেয়েটা আমাকে দেখেই শুধু বলে
– মামা ভাল আছেন? কি জানি বলবেন বলেছিলেন?
বিয়ে বাড়ি এখন আমার কাছে বিসাদ লাগে। প্রেম করার আগেই এত বড় ছেকা খেয়েছি এটা মানতে পারছি না।
এর ৬ বছর পড়ের কথা………
আমি আবার নানা বাড়ি গিয়েছিলাম। সেইখানে আবার মেয়েটার সাথে আমার দেখা হয়। মেয়েটা আমাকে জিজ্ঞাস করে
– মামা কেমন আছেন? অনেক দিন পরে দেখা। আমি বললাম
– হু ভাল। তবে এইবার মেয়েটার কোলে একটা ৩ বছরের বাচ্চা ছিল। বাচ্চাটা খুব দুষ্ট। আমি ভদ্রতার খাতিরে বললাম
– বাচ্চা টা তো অনেক কিউট।
– আর বলবেন না মামা অনেক জ্বালাতন করে। আমি বুঝতে পারলাম মেয়েটা বার বার ইচ্ছা করে আমাকে মামা মামা বলছে । আমি আর কি করব? মেয়েটার কথা শুনে বোকার মত হাসার চেষ্টা করলাম।
বাচ্চাটা বলে উঠে
– মামা মামা দোকানে যাব মেয়েটা বাচ্চাটাকে শুধরিয়ে দেয়
– এইটা তোমার মামা না তোমার ভাইয়া হবে আর আমার মামা। বাচ্চাটা বলে
– আচ্ছা ভাইয়া দোকানে চলো ।
আমি ভদ্রতার খাতিরে বাচ্চাটাকে দোকানে নিয়ে যাই। আর মনে মনে বলি “তোর মায় যেমন বদের ভাইস প্রিন্সিপাল তুই হবি প্রিন্সিপ্যাল”