দুধের গ্লাসে বিষ মিশিয়ে এক মহিলা তাঁর স্বামীর হাতে দিয়ে বললো।
“সারাদিন কাজ করতে করতে তুমি একদম শুকিয়ে যাচ্ছো। এখন থেকে প্রত্যেকদিন এক গ্লাস করে গরুর দুধ খাবে। এই নাও!”
লোকটা যেন আকাশ থেকে পড়লো, স্ত্রীর এতো ভালোবাসা দেখে! এক মাস হলো স্ত্রী তাঁর সাথে ভালো করে কথাই বলে না! আর হঠাৎ একেবারে গরুর দুধ!
স্বামী উত্তর দিলো।
“ঝগড়া করলে দুজনে সমান সমান করি। দুঃখ কষ্ট দুজনে ভাগাভাগি করে নিই। আমি পুরো গ্লাস একা কীভাবে খাই?”
স্ত্রী আরো আদুরে স্বরে বললো।
“তোমার জীবন যৌবন তো আমার জন্যই পার করে দিলে। মাথার সব চুল পেঁকেই গেছে। অথচ তোমার দিকে আমি ভালো করে খেয়ালই করিনি! কোনো কথা শুনবো না আমি। তুমি একাই খাবে পুরোটা!”
স্বামীর চোখে পানি এসে গেলো!
“তুমি আসলেই আমাকে অনেক ভালোবাসো! যতই ঝগড়া করো না কেনো! ”
স্ত্রী স্বামীর মাথায় হাত বুলিয়ে বললো।
“ জানো না কী একটা কথা? মানুষ তাঁর সাথেই বেশি ঝগড়া করে। যাকে সে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসে!”
স্বামী আবেগপ্রবণ হয়ে গ্লাসের দিকে তাকিয়ে দেখলো একদম খাঁটি গরুর দুধ।
“খাঁটি গরুর দুধ মনে হচ্ছে?”
“হ্যাঁ গো, মুনিয়ার চাচা সকালে দিয়ে গেলো!”
স্বামী এবার ভালোবেসে বললো, “বিয়ের পর থেকে আজ পর্যন্ত, খাঁটি কোনো কিছু আমি একা একা খাইনি। তুমিও একটু খাও?”
স্ত্রী স্বামীকে ভুলানোর জন্য চোখ মেরে বললো।
“আজকের জন্য কিছু হবে না। তোমার পেটে কিছু যাওয়া তো আমার পেটেই যাওয়া না?”
স্বামী দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বললো।
“সত্যিই তোমার সাথে আর পারা গেলো না।”
বলেই এক চুমুকে পুরো গ্লাসের দুধ খেয়ে নিলো!
স্ত্রী অপেক্ষা করতে লাগলো কখন স্বামী হেলে পড়বে! স্বামী টেবিলে বসে কী যেন কাজ করছে।
একঘন্টা দুইঘন্টা করে চার ঘন্টা হয়ে গেলো। স্বামীর কিছুই হচ্ছে না!
স্ত্রী অস্থির হয়ে জিজ্ঞেস করলো।
“তোমার কী খারাপ লাগছে না?”
স্বামী মাথা নাড়িয়ে বললো।
“না তো! গরুর দুধ খেয়ে তো আমি আরো চাঙা হয়ে গেছি!”
স্ত্রীর মুখ থেকে বেরিয়ে গেলো।
“তবে কী গোলাইপ্পা ভেজাল জিনিস দিলো?”
স্বামী শুনে ফেললো। চোখের চশমাটা ভালো করে লাগিয়ে বললো।
“কোন গোলাপ? ঐ ঘটক গোলাপ? ও কোনোদিন কাউকে আসল জিনিস দেয় না!”
বৌ চমকে গিয়ে বললো।
“তুমি জানো কীভাবে?”
স্বামী হালকা কাশি দিয়ে বললো।
“প্রত্যেকদিন লেবুর শরবত খেয়েও তো তোমার কিছু হয় না! আমি কতো যত্ন করে বানাই!”
স্ত্রী কথাটা শুনার সাথে সাথে অজ্ঞান হয়ে মাটিতে পড়ে গেলো!