ক্লান্তিহীন ভাবে ঘট ঘট শব্দ করেই চলেছে, জামাল ভাইয়ের ধান ভানার মিলের ইঞ্জিনটা। একটা দুই মনের ধানের বস্তা প্রাণপনে টেনে চলেছে ছেলেটা। আচ্ছা ছেলেটা এমন কেন? একটু সাহায্য চাইলে কি এমন ক্ষতি হবে। বললেই তো আমি এসে বস্তা তুলতে সাহায্য করতে পারি। কিন্তু সে সাহায্য কেন চাইবে? সে তো মহাবীর হারকিউলিকস।
আমি নাহয় মেয়ে, কিন্তু ঐ পাশের ছেলেটার কাছে তো সাহায্য চাইতে পারে। আর ছেলেটাও কেমন দাত কেলিয়ে চানাচুর গিলে যাচ্ছে। আরে বাবা চানাচুর তো সারাজীবনই ক্ষেতে পারবি। এখন অন্তত একটু মানুষটাকে সাহায্য কর। কিন্তু তার কোন ভাবান্তরই নেই। ইচ্ছে করছে ওর চানাচুরের প্যাকেটটা হাত থেকে কেড়ে নিয়ে পুরোটা ওর মাথায় ঢেলে দিই। আর বলি “নে এবার খা চানাচুর”।
কিন্তু যার জন্য আমি এত চিন্তা করছি তারও তো ইচ্ছা নেই সাহায্য চাওয়ার। তাহলে আমি নিজে কেন ভেবে মরছি। এতক্ষনে বস্তাটা বাইরে থেকে ঘরের ভেতরে নিতে সক্ষম হলো। বস্তাটা মেঝেতে ঢেলে দিয়ে আবার বাইরে একটা বস্তার উপড় এসে বসলো। জামাল ভাইয়ের মিলে যে ছোট ছেলেটা কাজ করে সেই এখন সেখান থেকে ধামা ভরে ধান মেশিনে দিচ্ছে। আর বস্তার উপড় বসে থেকে আনমনে উপভোগ করছে আকাশ নামের গাধাটা। হ্যা যার জন্য আমি এতক্ষন চিন্তা করছিলাম সেই মহাবীরের নামই আকাশ।
বস্তার উপড় বসে সে ধান ভানা দেখতে লাগলো। আর আমি অপলক দৃষ্টিতে তার দিকে। এই ছেলেকে দেখে কেউ বলবে না যে, সে একজন কম্পিউটার ইঞ্জিয়ারিং এর ছাত্র। বরং সবাই এক কথায় তাকে ক্ষ্যাত বলে আখ্যায়িত করবে। পোশাক-আশাকেও ক্ষ্যাত ক্ষ্যাত একটা ভাব আছে।
মাথা ভর্তি বাশ ঝাড়ের মতো এক গোছা চুল। সেগুলোতে কয়মাস যাবত চিরুনি পড়েনি আল্লাহ তায়ালাই ভালো জানে। গায়ে ধুসর রং এর একটা ফুল হাতা টি শার্ট আর ঐতিহ্যবাহী লুঙ্গি। আজকে পুরো গেরাইম্মার মতো লাগছে। আজকে কি আমার জ্ঞান হবার পর থেকে আমি এই ছেলেকে কোনদিন স্মার্ট হতে দেখিনি। স্মার্ট হওয়ার কথা বললেও বলে “স্মার্টনেস ধুইয়া কি পানি খামু”। কি আজগুবি কথা! আমির খান, হৃত্বিক রওশান, সালমান-শাহরুখ এরা সবাই কি স্মার্টনেস ধুইয়া পানি খায়? অসহ্য!!
এত কিছুর পরেও একটা কথা বলতেই হয়। ছেলেটাকে দেখতে কিন্তু আমার মোটেও খারাপ লাগছে না। ময়লা কাপড়, মাথায় জটের মতো চুল, কোন কিছুই তার মুখের স্নিগ্ধতাকে হার মানাতে পারেনি। সব কিছু ছাপিয়ে মুখের সেই হাসিটাই যেন বিশ্বভোলানো।
হঠাতই আমার ছোট ভাইটা একটা টায়ার নিয়ে দৌড়িয়ে তার কাছে গেলো। কিছু বলার চেষ্টা করছে। আমি আরো একটু এগিয়ে বারান্দার গ্রিলটা তাদের কথা শোনার চেষ্টা করলাম। মেশিনের ঘট ঘট শব্দে কোন কথাই স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে না। তাই তারাও উচ্চস্বরে কথা বলছে……
—কিরে গুট্টু কি খবর?
—খুব ভালো খবর আকাশ ভাই।
—কি ভালো খবর?
—সুখবর আছে। তোমাকে আর কালকে থেকে আপুকে পড়াতে হবে না।
—কেন? আর এটা সুখবর হয় কি করে?
—আরে আপুর বিয়ে ঠিক হইছে তো।
—ও তাই? তাহলে তো সত্যিই সুখবর।
—তাহলে এবার দাও।
—কি?
—বারে! আমি তোমাকে এত বড় একটা সুখবর দিলাম আর তুমি আমাকে কিছু দেবে না? দশটা টাকা দাও চকলেট খাবো।
আর কোন কথা না বলে কোমর থেকে একটা দশটাকার নোট বের করে ধরিয়ে দিলো গুট্টুর হাতে। আর সে নাচতে নাচতে চলে গেলো। আমি ভালো করেই জানি এই দশটাকার লোভেই সে সুখবর দিতে গিয়েছিলো।
ভাইটা নাচতে নাচতে গেলেও স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছে যে তার মনটা খারাপ। কিন্তু সেটা কেন? তা বুঝতে পারলাম না। আমার বিয়ে হয়ে যাচ্ছে সে জন্য? নাকি শেষ টিউশনিটাও চলে গেলো তাই। গ্রাম্য এলাকায় একটা টিউশনি জোগাড় করা খুব সহজ কথা নয়। তাছাড়া গত মাসে আরো একটা টিউশনি বন্ধ হয়ে গেছে তার।
ঘট ঘট শব্দ করতে করতেই বন্ধ হয়ে মিলটা। ধান ভানা আজকের মতো শেষ। সে বস্তাগুলো একটা ট্রলিতে চাপিয়ে বাড়ি যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলো। হঠাতই মা ডাকলো…
—আকাশ আছিস।
—কিছু বলবেন চাচী?
—তোর কাজ শেষ?
—এইতো শেষ। বাড়ি যাব।
—কাজ শেষ হলে একটু শুনে যাস তো বাবা।
—জি চাচী আসছি।
ট্রলিটা রস্তায় রেখেই বাড়িতে ঢুকলো সে। পথ আটকে দাড়ালো আমার ছোটো ভাই।
—তুমি আম্মুর কাছে বিচার দিতে যাচ্ছ? যে আমি তোমার কাছ থেকে টাকা নিয়েছি।
—আরে না। বিচার দিবো কেন? তুই তো আমার ছোট ভাই। টাকা নিতেই পারিস।
—সত্যি বলছো তো।
—হ্যা সত্যি বলছি। তোর আম্মু আমাকে ডেকেছে, কি যেন কথা আছে।
—ও আম্মু ডেকেছে? তাহলে যাও। তবে একটা কথা।
—আবার কি কথা। আম্মু তোমাকে ডেকেছে মানে তোমাকে মিষ্টি খাওয়াবে। তুমি কিন্তু সব মিষ্টী খাবেনা। অর্ধেক খাবে। আর বাকীগুলো আমাকে দিয়ে যাবে। আমি এখানেই আছি।
—মিষ্টি? কিসের মিষ্টি?
—আরে তোমাকে তখন বললাম না আপুর বিয়ে ঠিক হইছে।
—ও বিয়ের মিষ্টি?
—হ্যা।
—আচ্ছা ঠিক আছে। তুই এখানেই থাক। অর্ধেক নয় পুরোটাই তোকে দিয়ে যাবো।
—তুমি খুব ভালো ভাইয়া। ঐ দুলাভাইয়ের চাইতেও ভালো।
—দুলাভাই? কোন দুলাভাই?
—আরে যার সাথে আপুর বিয়ে ঠিক হইছে। জানো? আমি শুধু বুলেছিলাম যে দুলাভাই দুলাভাই বিশটা টাকা দাওতো চকলেট খাবো।
—তারপর? দেয়নি?
—আরে টাকা তো দেয়ইনি। বরং আব্বুর কাছে বিচার দিছে। আর আব্বু আমারে দৌড়ানি দিছে।
—ও তাই? খুবই দুঃখের বিষয়।
—দুঃখের বিষয় না ছাই। ঐ বেটা একটা হাড় কিপটা। টাকা তো দিলই না। আবার আমারে দৌড়ানি খাওয়াইলো।
—সবাই কি তোর আকাশ ভাইয়ের মতো।
—হ্যা সেজন্যই তো বলি তুমি খুব ভালো। ইশ তুমি যদি আমার দুলাভাই হতে।
উত্তরে কিছুই বলতে পারেনি সে। আমিও আর বাকীটা শোনার অপেক্ষা করিনি। গুট্টুর মুখে দুলাভাই শব্দটা শুনে এই প্রথমবার আমার কিছু অনুভব হচ্ছে। সেটা যে আনন্দের নয় সেটা নিশ্চয় এতক্ষনে বুঝে গেছেন।
হ্যা। ঐ গেরাইম্মা, আনস্মার্ট ছেলেটাকে গুট্টুর দুলাভাই বানানোর স্বপ্নটা একসময় আমিও দেখতাম। একসময় বলতে, এখন যে দেখি না তা কিন্তু নয়। এখনো দেখি। তবে এ এখন আর স্বপ্নটা আগের মতো রঙ্গিন না। ফ্যাকাশে হয়ে গেছে।
মার সাথে কিছু কথা বলে। মিষ্টি হাতে নিয়েই বেড়িয়ে গেলো সে। মার কাছে আমার সম্পর্কেও জানতে চেয়েছিলো। কিন্তু আমি তার সামনে যাইনি। বারান্দার গ্রিলের ভেতর দিয়ে সন্ধ্যার আবছা আলোয় দেখতে পেলাম পুরো মিষ্টিটাই গুট্টুর হাতে ধরিয়ে ট্রলিটা নিয়ে হন হন করে চলে গেলো সে।
,
,
আর মাত্র দুইদিন পরে আমার বিয়ে। বাড়ির সবাই কাজে ব্যাস্ত। শুধু আমারই কাজ নেই। তাই বাড়ির পেছনের দিকে আমগাছটার নিচে আনমনে বসে আছি। চাচাতো বোনগুলো ডেকে গেলো। বিয়ের বেনারসী কি রঙয়ের হবে সেটা নিয়েই আলোচনা হচ্ছে। কিন্তু আমি যাইনি। বলেছি তোরা যা আমি আসছি।
কি আশ্চর্য একসময় এই বেনারসী নিয়ে আমার কতই না আগ্রহ ছিলো। আমার সব বান্ধবী আর চাচাতো বোনের বিয়েতে বেনারসী আমিই ঠিক করেছিলাম। অথচ আমার বিয়ের বেনারসীতেই এখন আর আমার আগ্রহ নেই। হঠাতই কেউ নাম ধরে ডাকলো…..
—অবু! এই অবু..
—আহ! বিরক্ত করছিস কেন? বলছি না পরে আসছি।
—এই অবু, কাকে কি বলছিস।
—আরে আকাশ ভাই আপনি?
—হ্যা, আমি। মন খারাপ করে বসে আছিস কেন? তোর তো খুশি হওয়ার কথা।
—হ্যা আমি তো খুশিই। আমার বিয়ে হচ্ছে আর আমি কি খুশি না হয়ে পারি? শুধু দুঃখ হচ্ছে গুট্টুর জন্য।
—কেন গুট্টু আবার কি করলো?
—না কিছু না। গুট্টু তার মনের দুলাভাই পেলো না। এই আরকি।
—আমি যাইরে।(এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে।)
—যাবেন মানে? কেন এসেছিলান?
—চাচা ডেকেছিলেন, এ মাসের টাকাটা নেয়ার জন্য। আমি নিতে চাইনি। কিন্তু অবশেষে চাচার জোরাজুরিতে নিতে হলো। আর না নিয়েই বা কি করতাম। তুই তো জানিস। এই কয়টা টাকার কতটা প্রয়োজন আমার।
—আচ্ছা আকাশ ভাই। আপনি কি আমার বিয়েতে খেতে আসবেন?
—আসবো না কেন? খেতে আসা ছাড়া আর কিই বা করতে পারি আমি। বেকার কর্মহীন এক যুবক।
কথাটা বলে এক মুহুর্তও দাড়ালো না। উল্টো পথে হাটা দিলো। মুখটা দেখা না গেলেও আমি বুঝতে পারছি এই মুহুর্তে কাদছে সে। হাত উল্টো করে অনেকটা ছোটোদের মতো চোখের পানি মুছতে মুছতেই অদৃশ্য হয়ে গেলো সে। কিন্তু আমি কাদছি না। মানুষ যখন জানে যে কেদেও কোন লাভ হবে না। তখন কান্নাটা নিতান্তই মেকি হয়ে দাড়ায়।
,
,
আজ আমার বিয়ে।
ইতিমধ্যেই বরযাত্রী এসে গেছে। বিয়ের আনুষ্টানিকতা শুরুর আগে খাওয়াদাওয়া পর্ব চলছে। হঠাতই দেখলাম গুট্টু দৌড়ে বরের আসনের কাছে যাচ্ছে। আমি ঘরের ভেতরে থাকলেও জানালা দিয়ে বরের আসনটা দেখা যায়।
দেখলাম গুট্টু লোকটাকে কি যেন বললো। শোরগোলের কারনে তা আমি শুনতে পাইনি। কিন্তু লোকটার মুখে বিরক্তিটা স্পষ্ট হয়ে উঠলো। বুঝতে পারলাম গুট্টু টাকা চাইতে গেছে। লোকটা একরাশ বিরক্তি নিয়ে কাকে যেন কি বললো। তারপরই দেখলাম বাবা এসে গুট্টুকে ধমকি দিলো। বাবার ধমকি শুইনে গুট্টু লোকোটার দিকে একটা ভেংচি কেটে দৌড়ে পালাতে চাইলো।
কিন্তু হঠাতই একটা চেয়ারের সাথে ধাক্কা খেয়ে, ছিটকে গিয়ে একটা টেবিলের কোনায় পড়লো। কপালের এক পাশে প্রায় অনেক খানিই কেটে গেলো গুট্টুর। কপাল থেকে রক্ত ঝরছে গুট্টুর। কিন্তু লোকটার মুখ দেখে মনে হচ্ছে না একটুও অনুতপ্ত সে। মুখে কেমন যেন বিজয়ীর হাসি।
গুট্টু পড়ে কাদতে লাগলো। মা গিয়ে তাকে তুলে নিয়ে এলো। কিন্তু তবুও কান্না থামছে না। মা মলম লাগিয়ে গুট্টুকে আমার কাছে দিয়ে গেলো। ছোট বেলা থেকেই গুট্টু কাদলে আমি ছাড়া আর কেউ সেটা থামাতে পারতো না।
কাদতে কাদতে হেচকি উঠে গেছে। ওর কান্না দেখে আমারও চোখে পানি এসে গেলো। আমি জানি আমার বিয়ে নিয়ে ওর অনেক স্বপ্ন ছিলো। যেদিন থেকে আমার বিয়ের কথা শুরু হয়েছিলো। সেদিন থেকেই ও বলতো দেখিস আপু, আমার দুলাভাইটা না খুব ভালো হবে। আমাকে অনেক আদর করবে। আমাকে চকলেট, চিপস খাওয়ার জন্য টাকা দিবে। আমাকে কখনো বকবে না। আব্বু দৌড়ানি দিলেই আমি তোর শ্বশুড়বাড়ি চলে যাবো। আর দুলাভাইয়ের কাধে চড়ে মূলা খাবো। কি মজা! কি মজা! দুলাভাই দুলাভাই। আপনার কাধে চড়ে মূলা খাই।
এবার কান্না থামিয়ে ঠোট বাকিয়ে গুট্টু বলতে লাগলো……
—জানিস আপু। দুলাভাইটা না একটুও ভালো না। আমি বললাম দশটা টাকা দিতে সে দিলোনা। আরো আব্বুর কাছে বিচার দিলো। আর আব্বুর দৌড়ানি খেয়েই তো…
বলতে বলতে আবার হেচকি তুলে কাদতে লাগলো। আমি বললাম…
—কাদিস না ভাই। ঐ লোকটা টাকা দেয়নি তো কি হইছে। আমি তোকে টাকা দেব।
—আমার টাকা লাগবে না। তুই শুধু ঐ লোকটাকে বিয়ে করিস না আপু। ঐ লোকটা ভালো না। খুব খারাপ।
—এসব বলে না ভাই। তুই কান্না থামা। তুই জানিস না তুই কাদলে আমারও কান্না পায়।
সে আবার কতক্ষন কেদে বললো…
—ঐ লোকটার থেকে আকাশ ভাইই ভালো। তুই আকাশ ভাইকেই দুলাভাই বানা আপু। জানিস আকাশ ভাই না আজকেও আমাকে চকলেট খাওয়ার জন্য বিশ টাকা দিয়েছে।
—আকাশ ভাই এসেছে নাকি?
—না আসেনি। আমি তাদের বাড়িতে গিয়েছিলাম। জানিস আকাশ ভাইয়ের না খুব মন খারাপ। আমাকে দেখে চোখ মুছে ফেললেও আমি ঠিকই বুঝতে পেরেছি, উনি লুকিয়ে লুকিয়ে কাদছেন।
কিছু গল্প হয়তো কান্না দিয়েই শেষ হয়। সব গল্পের শেষে হাসি থাকে না। এটাই বাস্তবতা। কিন্তু এই বয়সে সে বাস্তবতাটা মেনে নেয়ার মতো শক্তি আমার ছোট্ট ভাইটির নেই। তাই সে সমানে কেদে চলেছে। আর বলছে…
—আপু তুই ঐ লোকোটাকে বিয়ে করিস না। লোকটা খুব খারাপ।
আমি গুট্টুকে শান্তনা দেয়ার ভাষা পেলাম না। শুধু মনে মনে বললাম….
—ভাইরে তুই তো মাত্র দশ টাকার জন্য কাদছিস। সেটা অন্য কেউও দিয়ে দিতে পারে। কিন্তু আমি যেটা হারিয়েছি সেটা হাজার চাইলেও কেউ দিতে পারবে না। সবার সব ইচ্ছা পূরন হয়না। হয়তো আমার ভালোবাসাটাও তেমন। তোর মনের মতো দুলাভাইয়ের ইচ্ছাটাও হয়তো পূরন হবার নয়….
,
……….অতঃপর শুরু……….
গল্পের বিষয়:
হাস্যরস