বিভ্রান্তি

সরস্বতি পূজা উপলক্ষে দুদিন আগে থেকেই সবাই ব্যস্ত ছিল। তার মধ্যে আমিও ছিলাম। আমি জয় এবং আমার বিদ্যালয়ের নাম তিলথৈ রূপচরণ উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়।

তো আমি বলতে ছিলাম যে, আমি কাজে ব্যস্ত। হঠাৎ আমার পেটে খুব ব্যথা শুরু হয় এবং একটু পরেই আমি বমি করতে শুরু করি। বন্ধুদের এবং স্যারদের সাহায্যে আমাকে হসপিটালে নেওয়া হয়। এবং সেখানে ডাক্তার সাহেব আমাকে আজকের দিনের জন্য থাকতে বলেন। আমি তখন আমার বন্ধুদের বাড়িতে খবর দিতে বলি যে “আমি হসপিটালে আছি এবং ভালো আছি”। তারাও তখন চলে গেল। একটু পরে যখন তারা ফিরে এল তখন তাদের কেন জানি মনে হল তাদের মুখটা কালো  হয়ে আছে । আমি আর সেদিকে ধ্যান দেইনি।

পরের দিন যখন স্কুলে গেলাম তখন তারা আমার চেয়ে দূরে থাকছে দেখে আমার মনে একটু খটকা লাগল। তা সত্ত্বেও আমি কিছু বলিনি।

দু-তিন ঘন্টা পরে যখন আমরা গল্প করতেছি তখন এক বন্ধু এসে চিমটি দিয়ে বলে ব্যথা পেয়েছিস্ তখন আমি মজা করে বলি যে ভুতেরা আবার ব্যথা পায় নাকি। তখন তারা সেখান থেকে দৌড়ে চলে গেল। আমি কিছু বলিনি তখন।

তারপর থেকে দেখলে দৌড়ে পালায়। তখন একদিন আমি নয়নকে (তাদের মধ্যে একজন) ধরে জিঙ্গাসা করি যে কি হয়েছে তখন সে বলে “তুই যখন আমাদের বাড়িতে যেতে বলেছিলে তখন আমরা আন্টিকে সব বলি। তখন তিনি বলেন যে তাঁর ছেলে তিনদিন আগে মারা গিয়েছে। তারা তখন হতাশের সঙ্গে একটু ভয় পায়। কিন্তু যেদিন তারা চিমটি দেও এবং আমি যা বলি তা শুনে বিশ্বাস করে যে আমি একটা ভুত”। সেদিন আমি বাড়িতে গিয়ে জিঙ্গাসা করি “তুমি আমার বন্ধুদের কি বলেছ”। মা তখন জিঙ্গাসা করলেন ” কোনদিনের কথা বলছিস্, তারা আমাদের বাড়িতে একবছর হয়েছে আসিনি”। আমি তো আরো বেশি অবাক হলাম। পরের দিন নয়নকে বাড়ি দেখাতে বললে সে আমার বাড়ি না দেখিয়ে অন্য একটি বাড়ি দেখাল। আমি তখনই সবকিছু বুঝে নিজেদের বন্ধুদের মূর্খতার কথা ভাবতে ভাবতে হাসতে থাকি

গল্পের বিষয়:
হাস্যরস
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

আরও গল্প

সর্বাধিক পঠিত