লোভী মেয়ে

লোভী মেয়ে

মেয়ে:I Iove you.
ছেলে:মানে
মেয়ে:ইংরেজি বোঝনা।
ছেলে:ঠিক আছে আমি তোমাকে পড়ে ভেবে বলব।
মেয়ে:ঠিক আছে কিন্তু উত্তরটা যাতে হাঁ হয়।
!
!
চলে গেল মেয়েটি।মেয়েটি হচ্ছে মিম।
আর ছেলেটি হচ্ছে নাহিদ।মেয়েটি
টেন আর ছেলেটি পড়ে কলেজে।নাহিদ এখন
ভাবছে সে কি করবে।একবার ভাবছে মিম সুন্দর
ও বুদ্ধিমতি।
একবার ভাবছে তার ব্যবহার ভালো না।
এসব ভাবতে ভাবতে সে হাঁ করে দেয়।তাদের
প্রেমের প্রথম দিনই মিম তাকে অনেক
কিছু গিফট দেয়।নাহিদও খুশি হয়ে অনেক
কিছুই দেয়।
তারপর একদিন ফোনে মিম নাহিদের সাথে
দেখা করতে চায়।দেখা করলে তাদের
মধ্যে অনেক কথা হয়।যাওয়ার সময় নাহিদ
তাকে ও তার বান্ধবিকে একটা কোন
আইসক্রিম কিনে দেয়।মিম তাকে বলে সে
তার বান্ধবীর কাছ থেকে 100 টাকা
ধার নিয়েছে।নাহিদ সবকিছু স্বাভাবিক মনে করে
তাকে টাকাটা দিয়ে দেয়।
মিম তাকে বলে সে তাকে পরে টাকা দিয়ে
দিবে।নাহিদ ভাবে গালফ্রেন্ড এর কাছ থেকে টাকা নেওয়া যায় নাকি তাই সে কথাটা হেসেই উড়িয়ে দেয়।
কয়েক দিন পর নাহিদের জন্মদিন আসলো।
মিম তাকে একটি সুন্দর একটি ঘড়ি গিফট দেয়।সেদিন নাহিদ মিম ও তার সব
বান্ধবীকে খাওয়ায়।সেদিনের মতো
নাহিদ বাড়ি আসে।
সে চিন্তা করে,
মিম তাকে খুব ভালোবাসে।
সবসময় তার খোঁজ খবর নেয়।সবসময় তাকে খুব শাসনের উপর থাকে।খুব ভালোও বাসে।
তবে খুব অভিমানি সে যা চাইবে তাকে সাথে সাথে তা দিতে হবে না হলে আর
নাহিদের সাথে তিন দিন কথাই বলতে চাইবেনা
।একদিন না দিয়ে দেখতে হবে সত্যিই তিন
দিন কথা বলা বন্ধ রাখে নাকি।অবশ্য মিমও
নাহিদকে অনেক কিছুই দেয়।সত্যিই এই
মিমকে পেয়ে খুব ধন্য মনে করে সে।ঘরে
শুয়ে থেকে এসব ভাবে আর
মুচকি মুচকি হাসে নাহিদ।
!
কয়েক দিন হচ্ছে নাহিদের মনে হচ্ছে
মিম তাকে এড়িয়ে চলছে।তাকে ফোন
দিলে প্রায় সব সময় ওয়েটিংএ পায়।ফোন ধরলেও তাকে বেশি সময় দেয়না।
ব্যস্ত আছে বলে ফোন রেখে
দেয়।কার সাথে সারাক্ষণ কথা
বলে জানতে চাইলে তা এড়িয়ে যায়।
একসময় মিম তার সাথে যোগাযোগ
একদম কমিয়ে দেয়।নাহিদ ভেবে পায়না সে কি
করবে।একদম ভেঙ্গে পড়ে সে।মিমকে খুব ভালোবাসত নাহিদ।
একদিন নাহিদের বন্ধুরা মিমকে একটা ছেলের সাথে রিক্সায় ঘুরাঘুরি করতে দেখতে পায়।
একথা নাহিদকে জানালে সে একদম বিশ্বাস করেনা।সে ভাবে
ছেলেটি মিমের কোন নিকট আত্নীয় হবে হয়ত।এই বলে সে নিজের মনকে সান্তনা দেয়।
একদিন মিম নাহিদকে ফোন দিয়ে পারকে দেখা করতে বলে।নাহিদ তো খুব খুশি
হয়।কেননা অনেক দিন পর তারা একসাথে কোন জায়গায় দেখা করছে।
নাহিদ সময় মতো সেখানে পোঁছে যায়।তার প্রায় আধা ঘন্টা পর মিম আসে।
খুব হাসি খুশি দেখাচ্ছিল মিমকে।
মিম এসে সোজা এসে নাহিদকে বল,ে
মিম:নাহিদ আমি তোমার সাথে সম্পকটা আর এগোতে চাইনা।
আমার বাবা আমার বিয়ে ঠিক করেছে।
(মিমের কথা শুনে নাহিদের মাথায় যেন আকাশ ভেঙ্গে পড়ে)
নাহিদ:কি বলছো কিসব।তোমার মাথা ঠিক আছে তো।তুমি আমার কথা কেন তোমার বাড়িতে বলোনি?
তুমি তো আমাকে খুব ভালোবাসো।
মিম:আমার মাথা একদম ঠিক আছে।
আর তোমাকে আমি বিয়ে করব!
এরকম কালো আর গরিব কে বিয়ে
করব ছেলেকে।জানো আমার হবু
বর কত বড়লোক।সে ইচ্ছে করলে
তোমাদের পুরো গ্রাম কিনে নিতে পারবে।
সব কথার এক কথা আমি তোমার
সাথে ব্রেকআপ করতে চাই ব্যাস।
(নিজেকে গরিব আর ছোটালোক বললে নাহিদের খুব রাগ হয়।তারা গরিব বলে তাদের কি কোনই দাম নেই নাকি)
নাহিদ:ব্যাস আর তোমাকে বক্ততা দিতে
হবেনা।আজ থেকে তোমার মত তুমি আর আমার মতো আমি।
এখন তুমি তোমার রাস্তা মাপতে পার।
ঐ ঘটনার পর থেকে খুব ভেঙ্গে পড়েছিল।
তাহলে কি তার বন্ধুদের কথাই সত্যি
হলো।মিম শুধু টাকার লোভেই তার
সাথে ভালোবাসার অভিনয় করেছিল।
নাহিদের মনে জেদ চেপে যায় যে
করেই হোক তাকে বড়লোক হতেই হবে।
হ্যাঁ মিমের স্বামির চাইতেও অনেক বড়লোক।অবস্থা বেগতিক দেখে নাহিদের মা তাকে এক মেয়ের সাথে
নাহিদের বিয়ে দিয়ে দেয়।মেয়েটার নাম সাথি।সে নাহিদকে খুব ভালোবাসে।
নাহিদ এত দিনে সত্যিকার ভালোবাসা কি
তা
বুঝতে পারে।নাহিদও সাথিকে খুব ভালোবাসে।
আর হ্যাঁ নিজের জেদের জোরে নাহিদ
নিজেকে অনেক বড় করে তুলেছে।সে এখন এক বড়
কোম্পানির মালিক।
একদিন নাহিদ সাথিকে নিয়ে বেড়াতে
যায়।সেখানে সে মিমকে দেখতে পায়।সাথে
এক বয়স্ত লোক।নাহিদ ভাবে সে হয়তো
তার শশুড় কিংবা কোন আত্নীয় হবে।নাহিদ
যখন তার কাছে যায় তখন মিম তাকে
তার স্বামি হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেয়।
নাহিদ তো তার কথা শুনে অবাক হয়ে যায়।
সেদিনের মতো নাহিদ বাড়িতে চলে আসে।এসে সে চিন্তা করে মিম টাকার লোভে
একটা বয়স্ত লোককে বিয়ে করলো।মেয়েরা
পারেও বটে।তখন নাহিদের মাথায় একটায় ছন্দ ঘুরপাক খাচ্ছে,,,,,
রতনে রতন চিনে,,,
মেয়েরা চিনে টাকা,,
এই জন্য maximum মেয়ের,
কপালে জোটে বুড়ো কাকা।।
আনমনে নিজেই হেসে ওঠে নাহিদ।

গল্পের বিষয়:
হাস্যরস
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

সর্বাধিক পঠিত