বউ বাপের বাড়িত বেড়াতে গেছে আজ ৩ দিন যাবত।খু্ব মনে পড়তেছে বউয়ের কথা।
অফিসে বসে বসে ভাবতেছি?আজ যদি ছুটি থাকতো শশুর বাড়িতে বেড়াতে যেতে পারতাম।শশুর বাড়িতে মজার মজার খাবার খেতে পারতাম।
আজ চাকরীর জন্য যেতে পারি নাই!.এ ভাবতে ভাবতে চিন্তা করলাম বউয়ের সাথে মোবাইলে কথা বলি।
দেরী না করে দিলাম ফোন ওপার দিকে মোবাইলটা রিসিভ করে হ্যালো বলার সাথে সাথে খুব আবেগ নিয়ে আমি বলি-.
_ জান আজ ৩দিন আমি খুব কষ্টে আছি তোমাকে ছাড়া।জান এ কষ্ট দূর করার জন্য ফরেন আমাকে উড়ন্ত একটা কিস দাও এখন !
.এ কথা বলতে না বলতে ওপার থেকে আমার শাশুড়ি আম্মা বলে-.
_জামাই বাবাজি তুমি’তো মিস্টেক করছো। আমি’তো রাইসা না আমি তোমার শাশুড়ি মোনালিসা খাতুন!
.আমার শাশুড়ি এ কথা বলতে না বলতে জিব্বা একটা কামড় দিয়ে মোবাইলটা রেখে দিয়।হায় আল্লাহ আবেগ এর সাথে কারে কি বলে দিলাম।
ছিঃ ছিঃ ভাবতেও লজ্জা লাগতেছে নিজের কাছে!.লজ্জা মুখে আবার মোবাইল করি রাইসার মোবাইলে।ভুল করেছি মাফ’তো চাইতে হবে তাই না।
মোবাইল করার সাথে সাথে কল রিসিভ করে হ্যালো বলার সাথে আমি লজ্জা মুখে বলি-.
_স্যরি শাশুড়ি আম্মা রাইসা মনে করে আপনার সাথে এ বিহাব করেছি মোবাইলে। প্লিজ মাফ করে দেন।
.এগুলো বলার সঙ্গে সঙ্গে আমার বউ রাইসা ওপার থেকে বলে-.
_এরই হাবলু কারে কি বলতেছো তুমি।আমি তোমার বউ বলতেছি জিন্নাত রাইসা।
.বউয়ের কথা শুনে রাগটা উঠে গেছে মাথায়।কঠিন একটা মেজাজ নিয়ে আমি বলি-.
_ফোন রেখে কই গেছিলা তুমি হু।এ দিকে আমি দুইবার মিস্টেক করে ফেলছি।তোমার কণ্ঠ আর তোমার মায়ের কণ্ঠ প্রায় সেইম।
হ্যালো বলার পর বুঝতে কষ্ট হয় কোনটা বউ কোনটা শাশুড়ি!
_আমি অন্তুর সাথে গল্প করতেছি।তো তুমি নাম জিজ্ঞাস করবা না।
_আরে ধ্যাত তোমার ফোন তোমার মায়ে রিসিভ করবে আমি কেমন করে জানি।খুব আবেগ নিয়ে মোবাইল করেছি একটা উড়ন্ত কিস দিবে বলে।
এখন কিস না পেয়ে বাঁশ পেয়েছি আমি।ফোন রাখলাম বায়।
_এই শুনো-
_কি বলো তাড়াতাড়ি। মেজাজ খারাপ আমার!
_লাগবে না?
_কি?
_উড়ন্ত কিস!
_আচ্ছা দাও একটা।বাঁশ তো আগে খেয়ে ফেলছি এখন না হয় উড়ন্ত কিস এর সাহায্য সেটা হজম হোক
_এই নাও উড়ন্ত কিস উম্মাম্মাম্মাম্মাম্মাম্মা!
_বউ……