—তুমি আমায় কেমন ভালোবাসো?
—তোমাকে পেঁয়াজের মতো ভালোবাসি!
—ওএমজি! আমি রাজি আছি, আমার বাসায় প্রস্তাব পাঠাও!
—তা ভাইসাব, আপনার মেয়ের কী কী গুণ আছে?
—মেয়ের অনেক গুণের অন্যতম হলো, পেঁয়াজ ছাড়াই ভালো রান্না করতে পারে!
—আলহামদুলিল্লাহ ভাইসাব, আমরা এই বিয়েতে রাজি! দিন তারিখ ঠিক করেন।
—নাহ, এমন পরিবারের মেয়ের সাথে আমাদের ছেলের বিয়েই দেব না!
—যে পরিবারে অতিথীদের প্লেটে পেঁয়াজু তো দূরের কথা এক টুকরা পেঁয়াজ দিতে পারে না তাদের সাথে কোনো আত্মীয়তা হতেই পারে না!
—হুম, ঠিকি বলেছেন।
(অবশেষে)
—১০১টা পেঁয়াজ দেনমোহর ধার্য করে নগদ ১০টা উসুল করে, ৯১টা বাকি রেখে অমুকের ছেলে তমুকের সাথে তোমার বিয়ে ঠিক করা হয়েছে! তুমি রাজি থাকলে, বলো মা কবুল!
—(খুশিতে) কবুল, কবুল, কবুল!
—তোমার মতো কিপ্টা মানুষকে বিয়ে করে আমার জীবনটাই নষ্ট হয়ে গেল! পেঁয়াজ দিয়ে একটা গলার মালা বানিয়ে দেওয়ার কথা ছিল। এর চেয়ে একজন পেঁয়াজ ব্যবসায়ীকে বিয়ে করাই ভালো ছিল! থাকো তুমি, আমি চললাম বাপের বাড়িতে!