আমি আর কিশোর ক্লাশে বসে আছি।পড়ার চেয়ে মনোযোগ মেয়েদের দিকে বেশি।
বিখাউজ(because) মাইয়া চয়েজ করতেছিi।কোনটার সাথে লাইন মারা যায়।
বুজতে হবে,নতুন কলেজে উঠছি।প্রেম না করলে জীবনটাই বেরসিক হয়ে যাবে।
সো মাইয়া চয়েজের মিশনে নামছি।
— দোস্তো ওইটা কিন্তু দারুন।(কিশোর)
— ধুর ব্যাটা,চেহারায় ময়দার পরিমান দেখছোস!!(আমি)
— তাতে কি??
— না কিছুনা।যদি তুই মুদি দোকানদার হস।তাইলে তোর আর ময়দা কেনা লাগবো না।ময়দায় শর্ট পরলে ওর গালে ঘষা
দিলেই কেজিতে কেজিতে ময়দা পাবি।(আমি)
— ওহহহহ।তাহলে ওইটা।(কিশোর)
— ধুর হালা।(আমি)
— কি??
— প্লেটে ভাতের চাইতে ডাইল(ডাল) উচু।(আমি)
— মানে??(কিশোর)
— মানে তোর চাইতে লম্বা হবে।তুই তো শালা পিচ্চি পোলা।(আমি)
— তাইলে ওইটা!!(কিশোর)
— বাহহহ দারুন।(আমি)
— তাই নাকি মাম্মা(কিশোর)
— হ।কিন্তু তোর লগে মানাইবে না।(আমি)
–ক্যা?? (কিশোর)
— ওইটাতো নুনের বস্তা।আর তুই হইলি পাটকাঠি।তোরে ওই মাইয়ায় কোলে নিয়া হাটতে পারবে।😃😃
— ওহহহ তাই নাকি।তাহলে এখন তুই চয়েজ কর।
দেখি তোর পছন্দ কেমন!!??(কিশোর)
হঠাৎ ক্লাশে একটা নতুন মেয়ে এসে উপস্থিত হলো।
আমিতো তাকাইয়া হা হয়ে গেলাম।
তাড়াতাড়ি কিশোরের দিকে তাকাইলাম।
দেখি ওর মুখটা উজ্জল হয়ে আছে।
আমি ঠিক তখনি বললাম…
— সাইট প্লিজ।এবার আমার পালা।(আমি)
— না দোস্তো মাইয়াডা আমার খুব পছন্দ হইছে।(কিশোর)
— চুপ শালা।আমার চয়েসের দিকে হাত দিবি না।ওইটার সাথে আমি লাইন মারুম।(আমি)
— ধুর ব্যাটা। তোর এখনো প্রেম করার বয়স হয় নাই।
আরো কয়েকদিন যাক।তারপর প্রেম করিস।(কিশোর)
— তাইলে ব্যাটা তোর এখনো জন্মই হয় নাই।এখনো তুই আন্টির পেটে।আগে জন্ম নে।তারপর প্রেম করিস।।(আমি)
— চুপ শালা।কথা বলবি না। তুইতো বেঈমান।বন্ধুর পছন্দের মাইয়া নিয়া কাড়াকাড়ি করিস।(কিশোর)
— তুইতো শালা দুমুখো।একবার বললি আমার চয়েজের পালা।এখন তুই নিজেই চয়েস করতেছিস।(আমি)
এভাবে তর্ক করতে করতে অনেক সময় পেরিয়ে গেল।অতঃপর দুইজন তর্ক বন্ধ করে মেয়েটির দিকে তাকিয়ে আছি।
হঠাৎ মেয়েটা পাশের একটা মেয়ের সাথে কথা বলতে বলতে একটু হাসলো।
হাসি দেইখা পুরাই টাসকি।
মনে মনে ভাবতাছি তাসকিনের বউ এইখানে কি করে।😃
অতঃপর….
— দোস্ত,অনেক ভাবলাম তুই যখন চয়েস করছিস।তুই ই লাইন মার।(আমি)
— নারে দোস্তঁ তুইই লাইন মার।আমি তোর জন্য সেক্রিফাইস করলাম।(কিশোর)
— নারে দোস্তো।তুইতো তাসকিনেরর বউরে বহুত পছন্দ করছিলি।ওই দেখ তাসকিনের শালি আসছে।ওর সাথে তুই লাইন মার।(আমি)
— না দোস্তো তুই।
এভাবে মেয়ে নিয়া কাড়াকাড়ি অতঃপর সেই মেয়ে নিয়া ঠেলাঠেলিতে আমাদের বিষয়টা স্যারের দৃষ্টিতে বেশ ভালোভাবেই ধরা পরলো।
অতঃপর দুজনের ক্লাশ থেকে বহিষ্কার। বাহিরে গিয়ে আমাদের ঝগড়া চলছিল,এখনো চলছে এবং আশা করি ভবিষ্যতেও চলবে।
(ভুলেও এই পোষ্ট থেকে শিক্ষা লাভ করে প্রাকটিক্যালি মাইয়াগো চেহারা নিয়া পইরেন না।
আর প্রেম করলে ভাল চেহারা নয়,ভাল একটা মন দেখে কইরেন।
অবশ্য যদি কোনো সিঙ্গেল মেয়ে পাইয়া থাকেন তো।ভাল মন তো পরের কথা।শুধুমাত্র তাহলে এই যুক্তি প্রযোজ্য।)