আবুলের সাথে সখিনার কিছুদিন হলো প্রেম শুরু হইছে, তো আবুল সখিনারে একটা মোবাইল গিফ্ট করে বললো “তোমারে একটা ফেসবুক একাউন্ট খুঁইলা দিই কি কও?”
# সখিনা – শোন আবুল আমি অন্য মাইয়াগোর মত এত লোভী না যে তুমার টেকা পয়সার লাইগি তুমারে ভালবাসিছি। আমার কোন একাউন্ট লাগবো না।
# আবুল- আরে কি কও পাগলের মতন, ফেসবুকের নাম হুনো নাই? এইডা টেকা পয়সার একাউন্ট না, এইডা দিয়া সারাদিন তুমি আমার লগে চ্যাট করতে পারবা।
#সখিনা– আস্তাগফিরুল্লাহ্! ছিঃ ছিঃ আবুইল্লা তুমার থাইক্যা এইডা আমি কুনোদিন আশা করি নাই। তুমি আমারে এই ভাবে গালি দিতে পারলা? তোমার লগে আমার আর কুনো কতা নাই।
#আবুল– আরে কি পাগলের মত করতাছো, তুমি আমার পরান পাখি, আমি কি তুমারে গালি দিতে পারি। চ্যাট মানে গালি না পাখি এইডা মানে গল্প করা। তুমি তো ফাইব পর্যন্ত পড়াশুনা করছো, লেকতেও পারো, তাই আমরা সারাদিন লেইখা লেইখা গল্প করমু।
#সখিনা- ও এই কতা, আমি আবার ভাবলাম কি না কি।
একাউন্ট খুলে দিয়ে ১ম দিন চ্যাট করতে করতে আবুল সখিনাকে বললো ময়না পাখি তুমি অহন কি করতাচো?
#সখিনা-কিচু না বইয়া বইয়া পান খাই।
#আবুল- কি পান খাইতাচো? কি সুন্দর লাগতাচে এখন তোমার মুখটা, পান খাইয়া লাল টুকটুকা ইহচে, আমার লাল টুকটুকি ময়না পাখিটারে দেকতে খুব মুন চাইচে। পাখি একটা পিক দাও না দেহি।
#সখিনা- ধুরু পাগলা হইচোনি? পিক দেইখা কি করবা?
#আবুল- দাও না জানু খুব দেকতে মুন চাইচে।
#সখিনা- তুমি যে কি পাগলের মত করো না। এতদুরে থাইকা তোমারে পিক কেমনে দিমু।
#আবুল- এহানেই দেও সোনা, মোবাইলে তুইলা দাও।
#সখিনা- আইচ্চা লও দেখো।
বলেই ফিচ করে এক গাল ভরা পানের পিক মোবাইলের ওপর ফেলে দিলো। মোবাইল পুরাই পানের পিকে গোসল করে উঠলো, লাল হয়ে সব মেখে গেলো। এটা দেখে সখিনা বিড়বিড় করে আবুলরে গালি দিতে দিতে টিউবওয়েলে গিয়ে ভালো করে সাবান দিয়ে মোবাইলটা ডলে ডলে ধুচ্ছে আর আবুইল্যার চোদ্দগুষ্টি উদ্ধার করছে।