ডিজিটাল চ্যাঁটিং এ অন্ধ ভালোবাসা

ডিজিটাল চ্যাঁটিং এ অন্ধ ভালোবাসা

adrita afroz adiba প্রথম যখন নামটা দেখি তখনই একটা ভাল

লাগা কাজ করছিল… কিছুদিন হাই হ্যালো করে তুমিতে চলে আসলাম,

ভাল লাগার এক অস্থিরতা কাজ করছিল

মনে ভাবলাম প্রপোজ করে দিই, যেই ভাবা সেই কাজ..

-কেমন আছো আদ্রিতা?

-ভাল… তুমি?

-তেমন ভালনা.. আচ্ছা একটা কথা বলব?

-কেন কি হয়েছে তোমার.. কিছু লাগবে?

-তেমন কিছু হয়নি.. আজব তো তুমি, বলেছি কি কিছু

লাগবে আমার. কথাটা শোনবে নাকি বল?

-ঠিক আছে বল কি কথা?

-মাইন্ড করবেনা তো তুমি?

-আহা এত প্যাঁচাচ্ছো কেন বলে ফেল

-আমার তোমাকে ভাল লাগে

-আমারও তোমাকে ভাল লাগে.. আর তাতে মাইন্ড করার

কি আছে সবারই তো ভাল লাগে,

কি ঝামেলায় পরলাম মেয়েটাকে নিয়ে আদ্রিতা খুবি ফ্র্যান্ডলী তাই তার কাছে কথাটা স্বাভাবিক মনে হয়েছে সিদ্ধান্ত নিলাম স্পষ্ট ভাষায় বলে দেব ভালবাসি।

-না মানে বলছিলাম আমি তোমাকে ভালবাসি

-আমিও তোমাকে অনেক ভালবাসি..

কথাটা শোনে নিজের চোখকেও বিশ্বাস হচ্ছিলনা,

আমাকে কেউ ভালবাসে, বিশ্বাস করেন তখনেরঅনুভুতিটা বলে বুঝাতে পারবোনা..

যাই হোক আবার কথা স্টার্ট..

-এই তুমি সত্য বলছ তো আদ্রিতা?

-তোমাকে মিথ্যা বলবো কেন?

-কই বলনি তো কখনো?

-বলার সাহস পায়নি কোনদিন আচ্ছা তুমি যে আমাকে

বলছো, তুমি বলছো?

-এইতো বলে দিলাম.. আচ্ছা বাদ দাও.. আদ্রিতা আমরা

দেখা করতে পারি না?

-দরকার কি এভাবেই কথা হচ্ছে ভাল লাগছেনা?

-তা তো লাগছেই.. তবুও দেখা করি সমস্যা কোথায়?

-না আমি দেখা করবোনা, দেখো আরেকবার বল্লে ব্লক

করে দেব সোজা..

ওর কথাতে বুঝলাম ও একটু রাগি, সমস্যা নেই আমি এমন মেয়েই খোঁজছিলাম, মনে মনে খুশিই হলাম যাই হোক চরিত্র খারাপ না, তাতে করে আরো ভালবাসা বেড়ে গেল..

কথা বাড়াতে আবার রিপ্লে দিলাম..

-বাব্বা এত রাগ তোমার?

-হ্যাঁ কোন সমস্যা?

-নাহ.. আমার তো রাগি মানুষ ভাল লাগে

-হাহা তাই.. আমার রাগটাই নষ্ট করে দিলে

-আচ্ছা আদ্রিতা আমিই কখন থেকে বকবক

করে যাচ্ছি তুমি কিছু বলবেনা?

-কে বলছে বকবক করছো আর আমার তো ভালই ভালই লাগছে তোমার বকবক

-ওরে তাই নাকি?

-হুম..

-আদ্রিতা তাহলে তোমার নাম্বারটা দাও?

-আচ্ছা এত আদ্রিতা আদ্রিতা করছো কেন?

-তোমার নামটা অনেক সুন্দর তাই

-হইছে পাম দিতে হবেনা থাক

-পাম দিচ্ছিনা, সত্যিই অনেক সুন্দর

-ওফ আর ভাল লাগছেনা, পামটা বেশি হয়ে যাচ্ছে

কিন্তু..

-ও তাই আচ্ছা বাদ দিলাম.. তবে তুমিতো ভাল কথা

কাটাতে জানো আদ্রিতা

-মানে মানে কোন কথা কাটালাম?

-তোমাকে ফোন নাম্বার দিতে বলছিলাম..

-কেন দেব আমার নাম্বার?

-ফোনে বকবক করার জন্যে..

-আমি অপরিচিত কাওকে নাম্বার দেইনা

-আমি অপরিচিত?

-তা নয় কি? দু কথাতেই চিনি নাকি তোমাকে আমি..

শালি কয় কি, ওর কথা শোনে ঠাডা ভাইঙ্গা আসমান

পড়ল মাথায়, রাগে কয়েকটা মেসেজ এক সাথে পাঠিয়ে দিলাম।

চিন না মানে? আর না চিনলা, তুমি আমাকে ভালবাস

আমি তোমাকে ভালবাসি, নাম্বার এখন দিবানা বল্লেই

পারো, চিন না মানে কি?

-আদ্রিতা আমাকে থামিয়ে বলছে ওই দ্বাড়াও দ্বাড়াও

আমি তোমাকে ভালবাসি কখনো বলছি..

-কি বল মাথা গেছে তোমার একটু আগে না সব কমপ্লিট

হয়ে গেল আমি বল্লাম তোমাকে ভালবাসি তুমিও বল্লে আমাকে ভালবাস, বলে স্কিনশর্ট দিলাম প্রথমের…

-তারপর আদ্রিতা বলছে আমাকে,

আমি তো মা’কে ভালবাসি লেখাটা বাংলিশে লিখে পাঠাও।

ও বলায় হল না ওর সাথে বাংলিশে চ্যাট করছিলাম, প্রপোজ ও করছিলাম বাংলিশে, আর ওখানেই ভুলটা হল, লিখেছিলাম ami to make valobasi, amar to make balo lage, তারপর বুঝতে পারলাম আমি যেন একটা শব্দের ভেতর স্পেস দিছি না, একটা গল্পের ভেতর স্পেস দিয়ে দিছি ভুলে..

লিখাটা এভাবে লিখলেই হতো ami tomake valobasi… একটা স্পেসের ব্যাবদানে যেন আবার প্রথমে চলে এলাম।

এবার যেন ঠাডার মাথায় আমি পড়লাম,  কি ভুলটাই না করলাম… শীট,

-আদ্রিতাকে বল্লাম আমি আমার ভুলটা বুঝতে পেরেছি, আমি ভুল সুধরাতে চাই…

-সে বল্ল আচ্ছা একটা সত্য বলব?

-হ্যাঁ অবশ্যই বলো..

-আমি যদি মেয়ে হতাম সত্যিই ভাই আপনাকে

ভালবাসতাম, আমি আসলে..

এতটুকু পাঠাতেই লজ্জায় সেই যে ব্লক মারছিলাম ।

আজকে যখন একটা ছেলেকে আনব্লক করছিলাম তখন সেই ছেলের ইনবক্সে ডুকে লেখাগুলো দেখে মনে পড়ল এটাতো সেই আইডিটা; যে আমার প্রথম ও শেষ ভালুপাসা

…adrita afroz adiba

গল্পের বিষয়:
হাস্যরস
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

আরও গল্প

সর্বাধিক পঠিত