ভাইয়া মুরগি নেবে? মাত্র ১০০ টাকা!!

ভাইয়া মুরগি নেবে? মাত্র ১০০ টাকা!!

একটু হাসুন এখন .. 😀
মা তার ছেলেকে ১০০ টাকা দিয়ে বল্লেন, যাও বাবা বাজার থেকে একটা মুরগি নিয়ে এসো!! ছেলে বাজার থেকে মুরগি কিনেআনলে মা মুরগি দেখে বল্লেন, এতো রোগা পটকা মুরগি! রোগা পটকা মুরগি আমি নিব না! যাও ফেরত
দিয়ে এসো!! ছেলে মুরগি ফেরত দিতে গিয়ে দেখে দোকানে লেখা “বিক্রিত মাল ফেরত নেয়া হয় না”

এখন সে কি করবে!! বাসায় গেলেতো মা আচ্ছা মত বকা দেবেন! ভাবতে ভাবতে হটাৎ তার মনে হল, তার এক খালাত বোন আছে! সে তাকে খুব আদর করেন,টাকা পয়সাও দেন! তার কাছে গেলে হয়ত একটা ব্যবস্থা হবে নিশ্চই!
বোনের বাড়িতে ঢুকতে গিয়ে দেখে ড্রয়িং রুমে খুব অন্তরঙ্গ অবস্থায় একটি ছেলের সাথে তার খালতো বোন বসে আছে!!

ছেলে লজ্জা পেয়ে সেখানে না গিয়ে চুপচাপ স্টোর রুমে বসেরইল!! ইকটু পর গাড়ির হর্ন এর শব্দ! অর্থাৎ খালু এসেছেন! ড্রয়িং রুমের সেই ছেলেটিও তারাহুরা করে সেই স্টোর রুমে ঢুকে তার বরাবর বসল!! অন্ধকার ঘর,কেউ কারো মুখ দেখছে না! শুধু উপস্থিতি টের পাচ্ছে দুজনই! ইকটু পর ছেলেটি বল্ল ভাই মুরগি নেবেন? মাত্র ১০০টাকা!!
ধুর,আছি বিপদে আর ইনি আসছে মুরগি বিক্রি করতে!
না না মুরগি কিনব না!

ভাই,আপনি যদি মুরগিটা না নেন তবে আমি চিৎকার দেব!
ভাল মুসিবতে ফেল্ল ছেলেটা! বাধ্য হয়ে মুরগি কিনতে হল ভদ্র লোকের!

তার ঠিক ৫মিনিট পর ছেলেটি বলছে..
– ভাই মুরগিটা ফেরত দেন,নইলে আমি চিৎকার দেব! কপাল খারাপ হলে যা হয়,কি আর করা মুরগি ফেরত দিতে হল!! তার কিছুক্ষণ পর ছেলেটি আবার বল্ল,
– ভাই মুরগি নেবেন? মাত্র ১০০ টাকা!! এইভাবে সে মুরগিটি ৫ বার বিক্রি করে মুরগি সহ ৫০০
টাকা নিয়ে বেড়িয়ে গেল! এলিফ্যন্ট রোড ধরে যখন সে আসছিল তখন দেখল সো রুমে একটা সুন্দর জিন্স প্যন্ট ঝোলান আছে! দাম লেখা ৬০০ টাকা! কিন্তু তার কাছে আছে ৫০০ টাকা! অর্থাৎ ১০০ টাকা কম আছে! এখন এই ১০০ টাকা কোথায় পায়!!

ভাবতে ভাবতে চলে গেল নিজের বাড়িতে! ঘরে গিয়ে দেখল তার বড় ভাই ড্রয়িং রুমে বসে মনযোগ সহকারে পেপার
পড়ছেন, চুপচাপ তার কাছে গিয়ে বল্ল

– ভাইয়া মুরগি নেবে? মাত্র ১০০ টাকা!!
ভাইয়াঃ হারামজাদা বাটে ফালাইয়া ৫ বার বিক্রি করছিস এখন আবার আসছিস? আজ তোর একদিন কি আমার একদিন!!

গল্পের বিষয়:
হাস্যরস
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

আরও গল্প

সর্বাধিক পঠিত