মেয়ে দেখা শুরু হয়েছে প্রায় বছর তিনেক।প্রথম যে মেয়েকে দেখতে গিয়েছিল,সে মেয়েটার কয়েকদিন আগে একটি মেয়ে হয়েছে।মেয়েটা বাসায় এসে আজ নিজের হাতে মিষ্টি খাওয়ায়ে গেছে।সেই থেকে মেজাজ এখন তার চরমে।মেয়েটা বলে গেছে-তোমারতো আর কোনদিন ছাওয়াল পাওয়াল হবে না?
কলা দা রেগে বলল-ছাওয়াল পাওয়াল হবে না মানে?
-না,তোমার জন্য তো উপযুক্ত মেয়ে পৃথিবীতে তো নেই,পরপারে গেলে যদি পাওয়া যায়।
এই বলে মেয়েটা হাসতে হাসতে চলে গেল।প্রথম দেখায় মেয়েটাকে ভালয় মনে হয়েছিল।এখনতো দেখা যাচ্ছে বজ্জাতের হাড্ডি।মুডটায় খারাপ হয়ে গেল।কেবলমাত্র নিরানব্বইয়ের ধাক্কা পের করে একশত তম মেয়ে দেখার জন্য বের হয়েছে।যাত্রার শুরুটাই খারাপ হলে শেষটা আর ভাল হয় কি করে?
ছেলেটার তুলনায় মেয়েটা বেশ শট।তবুও কলা দা এই মেয়েটাকে বিয়ে করার জন্য রাজি হয়ে গেল।আজ যে অপমান হয়েছে,সেই অপমানের প্রতিশোধ তাকে নিতেই হবে।বজ্জাত মেয়েটিকে দেখাবে পরপারে নয়,এইপারেই সে বিয়ের উপযুক্ত মেয়ে পেয়েছে।কিন্তু এবার বাধা হয়ে দাড়াল মেয়েটা।ছেলে নাকি তার পছন্দ হয় নি।ছেলে দেখতে হাবাগোবা এই তার মত।এছাড়া সে মনে করে যে ছেলে মেয়ে দেখাতে সেঞ্চুরি করেছে,সে ছেলে উচ্চতর গবেট ছাড়া অন্যকিছু হতে পারে না।এসব কথা শুনে কলা দার নিজেকে খুব ছোট মনে হল।এবার মনে হল নিরানব্বই জনের কথা যাদের সে প্রত্যাখ্যান করেছে।কত কথা বলেছে,ফিগার ভাল না,কালো মেয়ে পছন্দ না,মেয়েটা বেশি সাদা ইত্যাদি ইত্যাদি।অথচ এক মেয়ের প্রত্যাখান তার কাছে এত খারাপ লাগছে?অথচ মেয়েদের যে বিয়ে হতে কতবার প্রত্যাখান হতে হয়,তা যে তাদের মনে কতটা ব্যথা দেয় এখন যেন কিছুটা বুঝতে পারছে।