-দেখ ভাই আমার পোস্টে হা হা রিয়টক্ট দিবি না।(আবির)
-কও কি দাদা।তুমি আমাগো এলাকার বড় ভাই আর এখন পর্যন্ত একটা গার্লফ্রেন্ড জুটাইতে পারো নাই।তো তোমার পোস্টে হা হা দিব না তো কার পোস্টে দিব?(নিলয়)
-দেখ তুই এলাকার ছোট ভাই বলে কিছু বল্লাম না।তাছাড়া আমিই রিলেশন করতে চাই না। -চাও না নাকি হয় না সে আমরা বুঝি। -তারমানে তুই বলতে চাচ্ছিস আমার দ্বারা রিলেশন হবে না।
-না হবে না।
-যদি পারি তবে তোর হাহা রিয়েক্ট দেওয়া বন্ধ করতে হবে।
-বন্ধ করবো মানে কি। আরও উল্টে ২টা করে লাভ রিয়েক্ট দিব যদি তুমি In a relationship দিতে পারো।
-৭ দিনের মধ্যেই দেখাবো আমি কি জিনিস।এত সুন্দর গার্লফ্রেন্ড আনবো যে তোরা আফসোস করে মরবি।
সেদিনের পর থেকে ৬ দিন কেটে যাওয়া পর্যন্তও একটা গার্লফ্রেন্ড যোগাড় করতে পারে না আবির। কিন্তু এদিকে চ্যালেঞ্জও হার মানা যাচ্ছে না।অতঃপর ফেসবুকে ঢুকে দেখে নিলয় In a relation দিয়েছে।এই তো সুযোগ একটা হাহা রিয়েক্ট আর সাথে একটা কমেন্ট দিলাম”কি ভাইয়া আগেরটার কি ওয়ারেন্টি শেষ নাকি নতুন আপডেটে এটা পাইছো”।
বিকালের দিকে দেখি মোড়ের দোকানের সামনে নিলয় একটা মেয়ের সাথে কথা বলছে। একটু উঁকি দিয়ে শোনা যাক,
-ঐ তোমার পোস্টে আবির দা ঐ কমেন্ট কেন করছে?(মেয়েটি)
-আরে বাবু উনি তো আমাকে খুব ভালোবাসে তাই ঐ কমেন্ট করেছে।(নিলয়)
-তাহলে আমাদের রিলেশনের পোস্টে হাহা দিলো কেনো?
-আমি রিলেশন করতে পেরেছি এজন্য সে খুশি হয়ে হাহা দিছে।
-সে তো তোমাকে লাভ রিয়েক্ট ও দিতে পারতো।কিন্তু হাহা রিয়েক্ট দিচ্ছে। তারমানে তোমার এর আগেও রিলেশন ছিল।
-বিশ্বাস করো বাবু তুমিই আমার ফার্স্ট লাভ।
-তুমি আমার সাথে ডাবল টাইমিং করছো।
-না এটাই আমার ফার্স্ট টাইম।
-চুপ কর শালা। তোর সাথে আমার ব্রেক-আপ। আমি এখনি বাসায় গিয়ে ডিভোর্স রিলেশন দিয়ে দিব। আর যদি তুই আবার রিলেশন দিতে যাস তবে তোকে মেরে হাসপাতালের বেডে শুঁইয়ে দিব।শালার লুইচ্চা কোথাকার।
যাক শেষ পর্যন্ত হাহা রিয়েক্ট টা কাজে দিয়েছে। একেবারে জায়গা মতো খেলে দিয়েছি এখন আফসোস কইরা মর। আমার কি আমি তো এখন তোদের ডিভোর্সের পোস্টে আবারও হাহা দেওয়ার প্রচেষ্টায়।