গ্রীষ্ম কালের প্রচণ্ড গরম। জাহিনের নানার সারারাত কনো ঘুম হয়নি। কারণ কারেন্ট ছিলনা। ভোরবেলায় কারেন্ট আসায় আরামে এক ঘুম দিল।
সকাল ৭:৩০ টা বাজে। জাহিন ঘুম থেকে উঠে নানাকে ডাকতে লাগলো
জাহিন: নানা, ও নানা। একটু উঠো না। ও নানা।
নানা: এই কেডারে? এতো সকাল সকাল ডাকে? angry শান্তি মতো ঘুমাইতেও দিবি না।।
জাহিন: নানা আমি জাহিন।
নানা: কি এমন হইছে যে এতো সকালবেলা হামাক ডাকা লাগবি?
জাহিন: নানা একটা প্রশ্ন কাল রাতে মাথায় আসছে, তাই তোমাক ডাকলাম।
নানা: প্রশ্ন, আবারো প্রশ্ন। যাহ আজ আমি তোর কনো প্রশ্নের উত্তর দিমু না। angry
জাহিন: না ছাড়া হ্যা কইছ কোন দিন। তুমি তো নানা মানে No, No এক্কেবারে ডাবল নাগেটিভ।
নানা: নানাকে নানা কবে না কি কবে? দাদা কবে নাকি, হ্যাহ! (নানা জাহিনের কান মলা দিয়ে বলল)
জাহিন: ক্যান, দাদা, চাচা, মামা, কাকা কনোটাতেও না নাই। কিন্তু তোমাক ডাকতে গেলে পরপর ২বার না বলতে হয়। ক্যান শব্দটা নানা না হয়ে হ্যাহ্যা হইতে পারতোনা?
নানা: আমাকে তুই হ্যাহ্যা কয়ে ডাকবি?
জাহিন: বাদ দাও নানা। এর চেয়ে ওই প্রশ্নটা বলি।
নানা: কি এমন প্রশ্ন যে আমাক ঘুম থাকি ডাকি তোলা লাগবি?
জাহিন: নানা কালকে যে আমাকে কইলা তুমি আমার মাথা ন্যাড়া করে দিবা তখন থাকেই প্রশ্নটা মাথায় আসলো। একটা প্রবাদ আছে না যা, “ন্যাড়া একবারি বেলতলায় যায়” ক্যান? ২বার গেলে কি হয়?
নানা: বেলতলায় গিয়া একবার ন্যাড়া মাথাটা ফাটলে রক্ষা পাওয়া মুশকিল।
জাহিন: ক্যান নানা? এটাতো তালতলাও হতে পারতো নারিকেলতলাও হতে পারতো। আর একবার যদি নারিকেল আসে ন্যাড়া মাথায় আসে পরে তাহলে কি অবস্থাটা হবে চিন্তা করছ?
নানা: ওইসব ফালতু চিন্তা তুই কর। দিন যাচ্ছে তোর বেয়াদবিরর মাত্রা বেড়েই যাচ্ছে। এতদিন ধরে একটা প্রবাদ চলে আসছে আর তুই কিনা সেটা বাতিল করতে যাচ্ছিস? জানিস না অতিরিক্ত কনো কিছুই ভালো না!
জাহিন: কে কইলো অতিরিক্ত কনো কিছুই ভালো না? ক্যান তোমার ছোট ভাইয়ের পোলা অতিরিক্ত সচিব হইছে সেটাকি খারাপ? দেসে কত অতিরিক্ত সচিব, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আছে তারাও কি খারাপ?
নানা: তুই চুপ থাকবি না মার খাবি??? angry
জাহিন: নানা এবার তুমিও কিন্তু অতিরিক্ত রাগ করতিছো, এই অতিরিক্ত রাগো কিন্তু ভালা না।
নানা এবার রাগ হয়ে তাকে তাড়া করল। তাড়া খেয়ে জাহিন পালালো। তারপর নানা শান্তি করে ঘুম দিল।